Ajker Patrika

কমলাপুর রেলস্টেশনে ভোরে ভিড়, দুপুর থেকে স্বস্তিতে যাত্রীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২১ এপ্রিল ২০২৩, ১৫: ২৮
কমলাপুর রেলস্টেশনে ভোরে ভিড়, দুপুর থেকে স্বস্তিতে যাত্রীরা

রাত পেরোলেই ঈদ। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে শেষ মুহূর্তে গ্রামের বাড়ির দিকে ছুটছে শহরের মানুষ। তাই আজ শুক্রবার ভোর থেকেই কমলাপুর রেলস্টেশনে মানুষের ভিড় দেখা গেলেও দুপুর হতেই সেই বিড়ম্বনা কেটে গেছে। তবে প্রায় সব ট্রেনই কিছুটা বিলম্বে প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে গেছে। ভোরের পর টিকিট কাউন্টারগুলোতেও খুব একটা ভিড় দেখা যায়নি। 

শুক্রবার রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, ভোর থেকে কমলাপুরে ঘরমুখো মানুষ ট্রেনের অপেক্ষায় রয়েছে। স্ট্যান্ডিং টিকিটের জন্য লাইনে ছিলেন অনেকেই। তবে সকালের পর এই অবস্থা অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। দুপুরের পর থেকে স্টেশনে তেমন ভিড় নেই। গতকাল ট্রেনের ছাদে করে যাত্রীরা গেলেও আজ সকালে নীলসাগর এক্সপ্রেস ছাড়া আর কোনো ট্রেনের ছাদে যাত্রী দেখা যায়নি। 

উত্তরবঙ্গে বাড়ি রিয়াজুল আহসানের। তাঁর সঙ্গে কথা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল কাজ শেষ করে টিকিট পাইনি। একবার ভাবছিলাম যাব না। কিন্তু বাড়ি থেকে বারবার ফোন দিচ্ছে। তাই সকালে কষ্ট করে হলেও রওনা দিয়ে দিচ্ছি। কষ্ট হলেও ঈদটা আনন্দে কাটাতে পারব।’ 

ব্রাহ্মণবাড়িয়াগামী রুবেল হোসেন বলেন, ‘ঈদের সময় কিছুটা ভিড় তো থাকবেই। তবে গত কয়েকবারের চেয়ে এবার ভিড় অনেক কম। ট্রেনেও স্বস্তিতেই যাচ্ছি।’ 

এ দিকে খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা দেরিতে ৯টা ৩০ এ ছেড়ে গেছে। দেওয়ানগঞ্জগামী দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল ৯টা ২৫ মিনিটে। কিন্তু সেটি ছেড়ে গেছে ৯টা ৪৫ মিনিটে। এ ছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়াগামী তিতাস কমিউটার ১৫ মিনিট বিলম্বে ১০টায়, উত্তরবঙ্গগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস এক ঘণ্টা বিলম্বে সকাল সাড়ে ৭টায় এবং একতা এক্সপ্রেস ৪০ মিনিট দেরিতে ১০টা ৫০ মিনিটে প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে গেছে। 

শুক্রবার ভোর থেকেই কমলাপুর রেলস্টেশনে মানুষের ভিড় দেখা গেলেও দুপুর হতেই সেই বিড়ম্বনা কেটে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকাগত দুই দিনের মতো আজ স্ট্যান্ডিং টিকিটের ভিড় নেই। স্ট্যান্ডিং টিকিটের লাইনে স্বস্তিতেই টিকিট নিতে পারছেন যাত্রীরা। এবারের ব্যবস্থাপনায়ও সন্তোষ জানিয়েছেন যাত্রীরা। যাত্রীদের সহযোগিতার জন্য স্টেশনে কাজ করছেন স্কাউটসহ রেলের নিরাপত্তা কর্মীরা। 

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এবার ট্রেনের আগাম টিকিটে শতভাগ অনলাইনে বিক্রি করায় যাত্রীদের ঈদযাত্রা স্বস্তির হয়েছে। শিডিউল বিপর্যয় ছাড়াই ট্রেনগুলো প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে গেছে। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা যাতে না হয়, সে জন্য রেলওয়ের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আজ সকালে কিছুটা ভিড় ছিল। উত্তরবঙ্গগামী ট্রেন চলে যাওয়ার পর স্টেশনের চিত্র স্বাভাবিক।’ 

রেলের আগাম টিকিট শতভাগ অনলাইনে বিক্রি করায় এবার নেই কমলাপুরের চিরচেনা ভিড়। টিকিট ছাড়া কাউকে প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় প্ল্যাটফর্মেও ভিড় নেই। প্রতিবছর রেল কর্তৃপক্ষের প্রতি মানুষের ক্ষোভ থাকলেও এবার অনেকটাই স্বস্তিতে বাড়ি যেতে পেরে রেল কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে সাধারণ মানুষ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত