Ajker Patrika

যাতায়াতে এক নতুন বাস্তবতা

নিজস্ব প্রতিবেদক
যাতায়াতে এক নতুন বাস্তবতা

ঢাকা: চলমান লকডাউনে মার্কেট, শপিং মল খোলা। সেখানে ঈদের কেনাকাটা করতে ভিড় করছেন মানুষজন। তাঁদের শপিংয়ে যাওয়ার বড় ভরসা ব্যক্তিগত গাড়ি, রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা।

আর সুযোগটা ভালোভাবেই কাজে লাগাচ্ছেন অটোরিকশার চালকেরা। এই বাহনটি এখন যাত্রী নিয়ে ছুটছে দ্বিগুণ গতিতে। কারণ সড়কে সেভাবে গাড়ির ভিড় নেই। তাতে চালকেরা আগের চেয়ে আয় করছেন বেশি।

খিলগাঁও পুলিশ ফাঁড়ি থেকে এমন তিনজন যাত্রী নিয়ে মহাখালীর উদ্দেশে রওনা দেয় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা। একজন মধ্য বাড্ডায় যাবেন ৩০ টাকা, দুজন যাবেন ১৪০ টাকায় মহাখালী।

রামপুরা ব্রিজ থেকে জনপ্রতি ১০০ টাকা করে চারজন যাত্রী নিয়ে আব্দুল্লাহপুর যাচ্ছে আরেকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা। রামপুরা থেকে আব্দুল্লাহপুরে অটোরিকশার স্বাভাবিক রিজার্ভ ভাড়া ২০০-২৫০ টাকা। আলাদা আলাদা একাধিক যাত্রী হওয়ায় পর সেই ভাড়া দাঁড়াচ্ছে ৪০০ টাকা, যা আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। তবুও চালকেরা বলছেন ভিন্ন কথা।

অটোরিকশাচালক রনি বলেন, ‘হাফ বেলা ৫০০ জমা দেওন লাগে। দুই দিন হইল মানুষ একটু বেশি বাইর হইতাছে। ভাড়া জমা দিয়া ছয়–সাত শ ট্যাকা থাকে। আপনাগো কাছে যেমন মনে হইতাছে, তেমন না। খুব বেশি হইলে এক হাজার ট্যাকা হয়। এইডা আগেও হইত।’

বাস বা অন্য গণপরিবহন না থাকায় যাত্রীদের যেতেই হচ্ছে। উপায় নেই। পারভেজ নামের একজন যাত্রী বললেন, ‘বাস তো বন্ধ। যাইতে তো হবে। সে জন্য এমনেই যাইতাছি। বাসে হইলে ৪০ ট্যাকায় যাইতে পারতাম। কিন্তু এহন ১০০ ট্যাকায় যাইতে হইতাছে। তাও আবার চাপাচাপি কইরা।’

ঢাকার বাইরে থেকে মানুষ ঢুকছে না। তাই রিজার্ভ ভাড়া তেমন হচ্ছে না বলে বলছেন অটোরিকশাচালক রেজাউল। লোকাল ভাড়া নেবেন না বলে রেজাউল বলেন ‘রিজার্ভ যাত্রী না পাইলে লস। লোকাল যাত্রী বাসের ভাড়ায় যাইতে চায়। আর লোকাল যাত্রীর জন্যে চিল্লাইতে হয়। রোজা থাইকা চিল্লাইতে ভালো লাগে না।’ তাঁর এই কথার সঙ্গে বাস্তবতার পুরোটা মিল নেই। রাস্তায় চালকেরা যাত্রী ডাকতে থাকেন, একপর্যায়ে দর–কষাকষির মাধ্যমেই ঠিক হয় যাত্রা। তবে বাস্তবতা হলো, রেজাউলের কথা শেষ হতে না–হতেই বাংলামোটরের একজন যাত্রী পেয়েও গেলেন তিনি।

সিএনজিচালিত অটোরিকশায় চলাচলে সামাজিক দূরত্ব তো দূরের কথা, গাঁ ঘেষে বসছেন একে অপরের অচেনা যাত্রীরা। যাত্রী বসছেন চালকের পাশেও। মাসুম নামের এক যাত্রী বলছিলেন, ‘আমরা তো মাস্ক পরছি, আমার করোনা পজিটিভ না। সামাজিক দূরত্ব মানতে গেলে ঘরে বন্দী থাকা লাগব। বাইরে এমন হইবই।’ তার পাশেই বসা প্রাইভেট একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত স্বাধীন বলছেন, ‘সামর্থ্য অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমাদের চলতে হবে। কিন্তু সবার সামর্থ্য তো এক না। তাই এমন বাস্তবতা।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হোলি আর্টিজানের ঘটনায় ‘জঙ্গি সন্দেহে’ আটক ছিলেন অনিন্দ্য, রাজশাহীর সাবেক মেয়র লিটনের চাচাতো ভাই তিনি

‘তেলের ক্রেতা’ হিসেবে ভারতকে আর পাবে না রাশিয়া, জানালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান: ভারতীয় দুই কোম্পানির ব্যাংক গ্যারান্টি প্রত্যাহার করল বাংলাদেশ

মহিলা মাদ্রাসা থেকে দুই শিশু শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

রাবির অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত