সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
সাভারের একটি পোশাক কারখানায় দাবি-দাওয়া নিয়ে শ্রমিকদের লাইসেন্সকৃত অস্ত্র দেখিয়ে ভীতি প্রদর্শন ও কুকুর লেলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এর আগে কারখানার কয়েকজন নারী ও পুরুষ শ্রমিকদের বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে মারধর করারও অভিযোগ করেছেন শ্রমিকেরা। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শ্রমিকেরা।
আজ সোমবার দুপুরে সাভারের কলমা এলাকায় সেঞ্চুরি ডিজাইন অ্যান্ড ফ্যাশন (প্রা.) লিমিটেড কারখানায় সরেজমিনে গিয়ে এ অভিযোগ পাওয়া যায়। কারখানায় মোট শ্রমিক সংখ্যা সাড়ে ৩০০। অর্ধশতাধিক এসব ঘটনার শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে।
মারধরে আহত শ্রমিকেরা হলেন— দেলোয়ার হোসেন সাদ্দাম, মো. আকাশ, মো. জাহিদ, মাহিনূর, আসাদুল ও সুজন মোল্লা।
ভুক্তভোগী শ্রমিকেরা বলছেন, গত শনিবার বিকেল ৫টায় কারখানাটির শ্রমিকবাহী একটি বাসে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা করে। কারখানা ছুটির পর বাসে রওনা হলে কলমা এলাকায় কয়েকজন ব্যক্তি মোটরসাইকেলে এসে বাস আটকায়। এরপর বাসে উঠে শ্রমিকদের এলোপাতাড়ি মারধর করে তারা। বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হন। নারী শ্রমিকদের শ্লীলতাহানির মতো ঘটনাও ঘটে।
ওই কারখানার শ্রমিক মাজেদা বলেন, ‘আমাদের পিস্তল দিয়ে গুলি করার ভয় দেখান মালিক। আমরা বেতনের টাকা চাইতে তাঁর রুমে গেলে বলেন— গুলি করে দেব। পিস্তল মাথায় ঠেকিয়েও ভয় দেখান তিনি। আবার বড় বড় কুকুর দিয়ে ভয় দেখান। বাস থেকে আমাদের অকথ্য ভাষায় গালি দিয়ে নামানো হয়েছে। এক মেয়ে তো ওড়না ছাড়া হয়ে গিয়েছিল। “বেতন চাও, কাজ বন্ধ কর?” এসব কথা বলে মারধর করেছিল তারা। ১৬ তারিখের পর থেকে আমরা কাজ বন্ধ করে দেই।’
গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের সাভার আশুলিয়া ধামরাই আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আহমেদ জীবন বলেন, ‘শ্রমিকেরা থানাতে অভিযোগ তো দিয়েছেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সে হিসেবে কাজ করবে। আমরা শ্রমিকদের পাওনা আদায় করে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করেছি। মালিক যদি অস্ত্র দিয়ে শ্রমিকদের ভয় দেখায় তাহলে অবশ্যই তিনি অন্যায় করেছেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কারখানার প্রশাসনিক কর্মকর্তা শাহবাজ বলেন, ‘আর কোনো শ্রমিকের তো কোনো অভিযোগ নেই। এই কয়েকজন শ্রমিকের শুধু অভিযোগ। তাদের ওপর কোনো হামলায় কারখানা কর্তৃপক্ষের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। বেতন দেওয়া এরই মধ্যে শুরু হয়েছে।’ মালিকের অস্ত্র প্রদর্শন করে ভয়ভীতি দেখানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এদিকে কারখানার কয়েকটি কুকুরের মধ্য একটি জার্মান শেফার্ড কিছুদিন আগে মারা যায়। ওই কুকুরটিকে শ্রমিকদের কেউ মেরে ফেলেছে বলে অভিযোগ কারখানা মালিকের।
কারখানার মালিক আজহারুল হক বলেন, ‘এ কুকুরগুলো ওয়াচডগ এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ। শ্রমিকদের চেক করার জন্য এ কুকুর ব্যবহার করা হয়। শ্রমিকদের কেউ কুকুরটির ঘাড়ে কাটার দিয়ে আঘাত করেছে।’
কারখানা মালিক আরও বলেন, ‘মানুষের জন্য আমি কিছু করব না। কুকুরকে যে মেরেছে তাঁকে খুঁজে বের করে দিলে আমি ১ লাখ টাকা পুরস্কার দেব।’
শ্রমিকদের অভিযোগের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে আজহারুল হক বারবার বলতে থাকেন, ‘আমি রোজাদার, আমার গলা শুকিয়ে গেছে!’
আজ সোমবার আন্দোলনরত শ্রমিকেরা কারখানার সামনে অবস্থান নেন। তাঁরা কারখানা সংলগ্ন সিঅ্যান্ডবি-আশুলিয়া সড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করেন। এ সময় শিল্প পুলিশের এক কর্মকর্তার হাতে আলমগীর ও আনিসুর নামে দুই শ্রমিক নেতা হেনস্তার শিকার হন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সাভার মডেল থানার এসআই শহীদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি যতটুক জেনেছি শ্রমিকদের মধ্যে একপক্ষ যারা বেতন পেয়েছে অন্যপক্ষ যারা বেতন পায়নি তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি থেকে হাতাহাতি বা মারধরের ঘটনা ঘটে। বহিরাগত সন্ত্রাসীর কিছু আমি পাইনি। সব তারা নিজেরা নিজেরাই।’
সাভারের একটি পোশাক কারখানায় দাবি-দাওয়া নিয়ে শ্রমিকদের লাইসেন্সকৃত অস্ত্র দেখিয়ে ভীতি প্রদর্শন ও কুকুর লেলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এর আগে কারখানার কয়েকজন নারী ও পুরুষ শ্রমিকদের বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে মারধর করারও অভিযোগ করেছেন শ্রমিকেরা। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শ্রমিকেরা।
আজ সোমবার দুপুরে সাভারের কলমা এলাকায় সেঞ্চুরি ডিজাইন অ্যান্ড ফ্যাশন (প্রা.) লিমিটেড কারখানায় সরেজমিনে গিয়ে এ অভিযোগ পাওয়া যায়। কারখানায় মোট শ্রমিক সংখ্যা সাড়ে ৩০০। অর্ধশতাধিক এসব ঘটনার শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে।
মারধরে আহত শ্রমিকেরা হলেন— দেলোয়ার হোসেন সাদ্দাম, মো. আকাশ, মো. জাহিদ, মাহিনূর, আসাদুল ও সুজন মোল্লা।
ভুক্তভোগী শ্রমিকেরা বলছেন, গত শনিবার বিকেল ৫টায় কারখানাটির শ্রমিকবাহী একটি বাসে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা করে। কারখানা ছুটির পর বাসে রওনা হলে কলমা এলাকায় কয়েকজন ব্যক্তি মোটরসাইকেলে এসে বাস আটকায়। এরপর বাসে উঠে শ্রমিকদের এলোপাতাড়ি মারধর করে তারা। বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হন। নারী শ্রমিকদের শ্লীলতাহানির মতো ঘটনাও ঘটে।
ওই কারখানার শ্রমিক মাজেদা বলেন, ‘আমাদের পিস্তল দিয়ে গুলি করার ভয় দেখান মালিক। আমরা বেতনের টাকা চাইতে তাঁর রুমে গেলে বলেন— গুলি করে দেব। পিস্তল মাথায় ঠেকিয়েও ভয় দেখান তিনি। আবার বড় বড় কুকুর দিয়ে ভয় দেখান। বাস থেকে আমাদের অকথ্য ভাষায় গালি দিয়ে নামানো হয়েছে। এক মেয়ে তো ওড়না ছাড়া হয়ে গিয়েছিল। “বেতন চাও, কাজ বন্ধ কর?” এসব কথা বলে মারধর করেছিল তারা। ১৬ তারিখের পর থেকে আমরা কাজ বন্ধ করে দেই।’
গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের সাভার আশুলিয়া ধামরাই আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আহমেদ জীবন বলেন, ‘শ্রমিকেরা থানাতে অভিযোগ তো দিয়েছেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সে হিসেবে কাজ করবে। আমরা শ্রমিকদের পাওনা আদায় করে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করেছি। মালিক যদি অস্ত্র দিয়ে শ্রমিকদের ভয় দেখায় তাহলে অবশ্যই তিনি অন্যায় করেছেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কারখানার প্রশাসনিক কর্মকর্তা শাহবাজ বলেন, ‘আর কোনো শ্রমিকের তো কোনো অভিযোগ নেই। এই কয়েকজন শ্রমিকের শুধু অভিযোগ। তাদের ওপর কোনো হামলায় কারখানা কর্তৃপক্ষের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। বেতন দেওয়া এরই মধ্যে শুরু হয়েছে।’ মালিকের অস্ত্র প্রদর্শন করে ভয়ভীতি দেখানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এদিকে কারখানার কয়েকটি কুকুরের মধ্য একটি জার্মান শেফার্ড কিছুদিন আগে মারা যায়। ওই কুকুরটিকে শ্রমিকদের কেউ মেরে ফেলেছে বলে অভিযোগ কারখানা মালিকের।
কারখানার মালিক আজহারুল হক বলেন, ‘এ কুকুরগুলো ওয়াচডগ এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ। শ্রমিকদের চেক করার জন্য এ কুকুর ব্যবহার করা হয়। শ্রমিকদের কেউ কুকুরটির ঘাড়ে কাটার দিয়ে আঘাত করেছে।’
কারখানা মালিক আরও বলেন, ‘মানুষের জন্য আমি কিছু করব না। কুকুরকে যে মেরেছে তাঁকে খুঁজে বের করে দিলে আমি ১ লাখ টাকা পুরস্কার দেব।’
শ্রমিকদের অভিযোগের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে আজহারুল হক বারবার বলতে থাকেন, ‘আমি রোজাদার, আমার গলা শুকিয়ে গেছে!’
আজ সোমবার আন্দোলনরত শ্রমিকেরা কারখানার সামনে অবস্থান নেন। তাঁরা কারখানা সংলগ্ন সিঅ্যান্ডবি-আশুলিয়া সড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করেন। এ সময় শিল্প পুলিশের এক কর্মকর্তার হাতে আলমগীর ও আনিসুর নামে দুই শ্রমিক নেতা হেনস্তার শিকার হন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সাভার মডেল থানার এসআই শহীদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি যতটুক জেনেছি শ্রমিকদের মধ্যে একপক্ষ যারা বেতন পেয়েছে অন্যপক্ষ যারা বেতন পায়নি তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি থেকে হাতাহাতি বা মারধরের ঘটনা ঘটে। বহিরাগত সন্ত্রাসীর কিছু আমি পাইনি। সব তারা নিজেরা নিজেরাই।’
বরিশালের হিজলায় প্রায় দেড় কোটি টাকার হাট-বাজার ইজারা কার্যক্রম প্রস্তুত করতে গিয়ে শিডিউল জমাই দিতে পারেনি ঠিকাদারেরা। স্থানীয় বিএনপির একটি পক্ষ উপজেলার ২০টি হাট-বাজারের শিডিউল প্রস্তুত প্রক্রিয়ায় নামে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারেনি তারা।
৫ ঘণ্টা আগেবিভাগীয় শহর রংপুরে গত দেড় দশকে মানুষের পাশাপাশি বেড়েছে যানবাহনের চাপ। কিন্তু ট্রাফিক ব্যবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি। এতে তীব্র যানজটে দুর্ভোগে পড়তে হয় নগরবাসীকে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে তিন বছর আগে ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নগরীতে ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল স্থাপন করা হলেও তা কাজে আসছে না।
৫ ঘণ্টা আগেএককালে ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি। বিএনপির সমর্থন নিয়ে হয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানও। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ভিড়তে শুরু করেন শামীম ওসমানের সঙ্গে। ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি।
৬ ঘণ্টা আগেবিশাল সমুদ্রসৈকত। তারই এক পাশের মাটি কেটে বানানো হচ্ছে বাড়ি। কেউ আবার বাড়ির আদলে পুকুর কেটে রেখেছে। অনেকে মাটি কেটে নিজেদের সীমানা তৈরি করেছে। গত ৫ আগস্ট রাজনীতির পটপরিবর্তনের পর পর্যটন সম্ভাবনাময় এলাকা নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার নিঝুম দ্বীপ সৈকতের চিত্র এটি। সেখানে চলছে সৈকতের জায়গা দখলের
৬ ঘণ্টা আগে