মাহমুদ সোহেল

যত দিন যাচ্ছে, দেশে শব্দ দূষণ তত বাড়ছে। বিশেষত রাজধানীতে শব্দ দূষণ এক ভয়াবহ মাত্রা পেয়েছে। এটা এতটাই যে, ঢাকায় কর্মরত ট্রাফিক পুলিশদের প্রায় ১২ শতাংশ কানে কম শোনেন বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যৌথ উদ্যোগে সম্প্রতি ঢাকার শব্দ দূষণ নিয়ে একটি গবেষণা চালানো হয়। গবেষণা তথ্য বলছে, তীব্র দূষণের কারণে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক সদস্যদের ১১ দশমিক ৮ শতাংশই কানে কম শোনেন।
গবেষকেরা বলছেন, ঢাকার শব্দ দূষণের প্রধান কারণ দুটি। প্রথমটি গাড়ির হর্ন এবং দ্বিতীয়টি নির্মাণকাজ। রাজউকের কিছু বিধিনিষেধের কারণে ভবন নির্মাণে শব্দ এখন আগের চেয়ে কম হলেও গাড়ির হর্নের কারণে শব্দ দূষণ বেড়েছে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে চলাচলে বিধিনিষেধ এখন আর নেই। সেই ধাপ পেরিয়ে আসার পর নীরবতা ভেঙে পুরো ঢাকা শহর জেগে উঠেছে। আর এই জেগে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে পুরো শহর আবারও শব্দ দূষণের কবলে পড়েছে। দেশি-বিদেশি নানা গবেষণায় বলা হচ্ছে, শহরের প্রায় সব এলাকাতেই শব্দ গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে দুই থেকে তিনগুণ বেশি। ঢাকার এক-তৃতীয়াংশ মানুষ এখন এই দূষণের কবলে। কিন্তু কারও কোনো রা নেই। গাড়ির হর্ন বা নির্মাণকাজ তো আছেই, সঙ্গে মাইক লাগিয়ে চারপাশ কাঁপিয়ে নানা অনুষ্ঠানের বহর আছে। দিন বা রাত যেকোনো সময়ই যেকোনো অজুহাতে উচ্চ শব্দে মাইক বেজে চলাটা যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অথচ, বাংলাদেশে রাত ১০টার পর উচ্চ শব্দের অনুষ্ঠান আইনবিরোধী। এটি করলে শাস্তির বিধান আছে শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালায়। যদিও এটি জানেন না অনেকেই। বিধিমালা অনুযায়ী, এই আইন অমান্যকারীকে প্রথমবারের অপরাধের জন্য এক মাস কারাদণ্ড বা ৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে। দ্বিতীয়বারের অপরাধের জন্য ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫-এর অধীনে এই বিধিমালা প্রণীত হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত এই আইনে কারও শাস্তি হয়নি।
শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা অনুযায়ী ঢাকার এলাকাগুলোকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়। এগুলো হলো নীরব, আবাসিক, মিশ্র, বাণিজ্যিক ও শিল্প এলাকা। এলাকাভেদে শব্দের আলাদা মানমাত্রাও নির্ধারণ করা হয়েছে। শব্দ মাপার একককে ডেসিবেল বলা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, আবাসিক এলাকায় শব্দের সহনীয় মাত্রা দিনের বেলা (সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা) ৫৫ ডেসিবেল, রাতে ৪৫ ডেসিবেল হওয়ার কথা। বাণিজ্যিক এলাকায় দিনে ৬৫ ডেসিবেল ও রাতে ৫৫ ডেসিবেল, শিল্পাঞ্চলে দিনে ৭৫ ডেসিবেল ও রাতে ৬৫ ডেসিবেলের মধ্যে শব্দমাত্রা থাকার কথা। আর হাসপাতাল এলাকায় দিনে ৫০ ও রাতে ৪০ ডেসিবেল শব্দমাত্রা থাকার কথা।
কিন্তু বিভিন্ন গবেষণা বলছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে ঢাকায় শব্দের মাত্রা সব সময় বেশি থাকছে।
সম্প্রতি ঢাকার ১০টি স্থানে গবেষণা চালিয়ে এর চেয়ে বেশি শব্দ দূষণ পেয়েছে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস)। গত এপ্রিল, মে, জুন ও জুলাই—এই চার মাস গবেষণাটি চালানো হয়। এতে দেখা গেছে, ১০টি স্থানের মধ্যে পরিবেশ মন্ত্রণালয় ঘোষিত তিনটি নীরব এলাকাও রয়েছে। এগুলো হচ্ছে—সংসদ ভবন এলাকা, শাহবাগ ও আহসান মঞ্জিল। এই তিন এলাকায় ৯৯ দশমিক ৪৫ শতাংশ সময়জুড়ে শব্দ দূষণ মানমাত্রার চেয়ে বেশি ধরা পড়েছে। আবাসিক এলাকায় ৯৮ দশমিক ৩১ শতাংশ, বাণিজ্যিক এলাকায় ৬৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ, মিশ্র এলাকায় ৮৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং শিল্প এলাকায় ১৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ সময় মানমাত্রার চেয়ে বেশি শব্দ দূষণ পাওয়া গেছে।
গবেষণাটিতে নেতৃত্ব দেন স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও ক্যাপসের পরিচালক ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্বের সেরা শব্দ দূষণ শহরের একটি। এখানে আইন আছে, মানুষ তা জানে না। কারও কারও ধারণা নিজের বাসায় রাত-বিরাতে উচ্চ স্বরে গান বাজানো অপরাধ নয়। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে উল্টো হেনস্তার শিকার হয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে ঢাকায়।
শব্দ দূষণ কত ক্ষতি করতে পারে, ঢাকার অধিকাংশ মানুষই তা জানে না। কারণ হিসেবে গবেষকেরা বলছেন, একটি দেশের আর্থসামাজিক উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে আচরণগত পরিবর্তনও হয়। বিশ্বের যে দেশ যত উন্নত, সেই দেশের মানুষের মধ্যে তত সচেতনতা বাড়ছে। শব্দ দূষণের ক্ষতি নিয়ে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে এখনই জোরালো প্রচার শুরুর পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।
ঢাকার শব্দ দূষণ নিয়ে ভয়ের তথ্য দিচ্ছেন নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরাও। তাঁরা জানান, দীর্ঘদিন শব্দ দূষণের মধ্যে থাকলে সেই ব্যক্তি অনেকাংশে বধির হয়ে যেতে পারে। একই সঙ্গে দুশ্চিন্তা ও উগ্রতা বেড়ে যাওয়া এবং ঘুম কম হওয়ার সংকট বাড়ে। কমে যেতে পারে স্মরণশক্তি। সঙ্গে হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ার বিষয়টি তো আছেই।
এক গবেষণার বরাত দিয়ে ঢাকার ৩৫ শতাংশ মানুষ কানে কম শোনে বলে জানান নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মণিলাল আইচ লিটু। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘ঢাকার ১৪ শতাংশ মানুষের কানে অসুখ আছে। তাদের শ্রবণ শক্তি কমেছে। বাড়ছে হৃদ্রোগ। মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাচ্ছে। বধিরতা বাড়ছে। গর্ভে থাকা সন্তানও শব্দ দূষণের শিকার হচ্ছে।’
শব্দ দূষণের এই নেতিবাচক প্রভাবে কিন্তু শুধু ঢাকাবাসী নেই। দূষণের মাত্রা দেশের সব ছোট-বড় শহরেই বেশি। এতে মোটাদাগে দেশের ২০ শতাংশ মানুষের শ্রবণশক্তি কমে গেছে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পরিচালিত ২০১৩ সালের এক গবেষণায় উঠে এসেছে। কিন্তু এত কিছুর পরও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি।
অথচ শব্দ দূষণ বিধিমালা অনুযায়ী, পরিবেশ অধিদপ্তরের বাইরে প্রত্যেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি) এ সম্পর্কিত আইন প্রয়োগের ক্ষমতা রাখেন। কিন্তু প্রচারের অভাবে বিষয়টি নাগরিকেরা জানেন না। থানায়ও অভিযোগ করেন না কেউ। আবার প্রশাসনের পক্ষ থেকেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় না।
দীর্ঘ দিন ঢাকার শব্দ দূষণ নিয়ে কাজ করছেন বাপার নির্বাহী সহসভাপতি ডা. আব্দুল মতিন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘দেশের ৯০ ভাগ মানুষ শব্দ দূষণ কী, তা জানে না। টেলিভিশন ও বেতারে শব্দ দূষণের কুফল নিয়ে প্রচার বাড়াতে হবে।’
শব্দ দূষণ বন্ধে হাইকোর্টে রিট আবেদনকারী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, অ্যাম্বুলেন্স ও পুলিশের গাড়িতে হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহারের অনুমতি আছে। বাকি সব হর্ন ব্যবহারই অবৈধ। সরকারি, ক্ষমতাশালী ও শিক্ষিত ব্যক্তিরা ঢাকায় বেশি শব্দ দূষণ করছে। এই দূষণ রোধে উচ্চ আদালতের কিছু নির্দেশনা থাকলেও তা মানছে না কেউ। এই অপরাধের দায়ে আজ পর্যন্ত কারও সাজা হয়নি।

যত দিন যাচ্ছে, দেশে শব্দ দূষণ তত বাড়ছে। বিশেষত রাজধানীতে শব্দ দূষণ এক ভয়াবহ মাত্রা পেয়েছে। এটা এতটাই যে, ঢাকায় কর্মরত ট্রাফিক পুলিশদের প্রায় ১২ শতাংশ কানে কম শোনেন বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যৌথ উদ্যোগে সম্প্রতি ঢাকার শব্দ দূষণ নিয়ে একটি গবেষণা চালানো হয়। গবেষণা তথ্য বলছে, তীব্র দূষণের কারণে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক সদস্যদের ১১ দশমিক ৮ শতাংশই কানে কম শোনেন।
গবেষকেরা বলছেন, ঢাকার শব্দ দূষণের প্রধান কারণ দুটি। প্রথমটি গাড়ির হর্ন এবং দ্বিতীয়টি নির্মাণকাজ। রাজউকের কিছু বিধিনিষেধের কারণে ভবন নির্মাণে শব্দ এখন আগের চেয়ে কম হলেও গাড়ির হর্নের কারণে শব্দ দূষণ বেড়েছে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে চলাচলে বিধিনিষেধ এখন আর নেই। সেই ধাপ পেরিয়ে আসার পর নীরবতা ভেঙে পুরো ঢাকা শহর জেগে উঠেছে। আর এই জেগে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে পুরো শহর আবারও শব্দ দূষণের কবলে পড়েছে। দেশি-বিদেশি নানা গবেষণায় বলা হচ্ছে, শহরের প্রায় সব এলাকাতেই শব্দ গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে দুই থেকে তিনগুণ বেশি। ঢাকার এক-তৃতীয়াংশ মানুষ এখন এই দূষণের কবলে। কিন্তু কারও কোনো রা নেই। গাড়ির হর্ন বা নির্মাণকাজ তো আছেই, সঙ্গে মাইক লাগিয়ে চারপাশ কাঁপিয়ে নানা অনুষ্ঠানের বহর আছে। দিন বা রাত যেকোনো সময়ই যেকোনো অজুহাতে উচ্চ শব্দে মাইক বেজে চলাটা যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অথচ, বাংলাদেশে রাত ১০টার পর উচ্চ শব্দের অনুষ্ঠান আইনবিরোধী। এটি করলে শাস্তির বিধান আছে শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালায়। যদিও এটি জানেন না অনেকেই। বিধিমালা অনুযায়ী, এই আইন অমান্যকারীকে প্রথমবারের অপরাধের জন্য এক মাস কারাদণ্ড বা ৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে। দ্বিতীয়বারের অপরাধের জন্য ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫-এর অধীনে এই বিধিমালা প্রণীত হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত এই আইনে কারও শাস্তি হয়নি।
শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা অনুযায়ী ঢাকার এলাকাগুলোকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়। এগুলো হলো নীরব, আবাসিক, মিশ্র, বাণিজ্যিক ও শিল্প এলাকা। এলাকাভেদে শব্দের আলাদা মানমাত্রাও নির্ধারণ করা হয়েছে। শব্দ মাপার একককে ডেসিবেল বলা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, আবাসিক এলাকায় শব্দের সহনীয় মাত্রা দিনের বেলা (সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা) ৫৫ ডেসিবেল, রাতে ৪৫ ডেসিবেল হওয়ার কথা। বাণিজ্যিক এলাকায় দিনে ৬৫ ডেসিবেল ও রাতে ৫৫ ডেসিবেল, শিল্পাঞ্চলে দিনে ৭৫ ডেসিবেল ও রাতে ৬৫ ডেসিবেলের মধ্যে শব্দমাত্রা থাকার কথা। আর হাসপাতাল এলাকায় দিনে ৫০ ও রাতে ৪০ ডেসিবেল শব্দমাত্রা থাকার কথা।
কিন্তু বিভিন্ন গবেষণা বলছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে ঢাকায় শব্দের মাত্রা সব সময় বেশি থাকছে।
সম্প্রতি ঢাকার ১০টি স্থানে গবেষণা চালিয়ে এর চেয়ে বেশি শব্দ দূষণ পেয়েছে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস)। গত এপ্রিল, মে, জুন ও জুলাই—এই চার মাস গবেষণাটি চালানো হয়। এতে দেখা গেছে, ১০টি স্থানের মধ্যে পরিবেশ মন্ত্রণালয় ঘোষিত তিনটি নীরব এলাকাও রয়েছে। এগুলো হচ্ছে—সংসদ ভবন এলাকা, শাহবাগ ও আহসান মঞ্জিল। এই তিন এলাকায় ৯৯ দশমিক ৪৫ শতাংশ সময়জুড়ে শব্দ দূষণ মানমাত্রার চেয়ে বেশি ধরা পড়েছে। আবাসিক এলাকায় ৯৮ দশমিক ৩১ শতাংশ, বাণিজ্যিক এলাকায় ৬৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ, মিশ্র এলাকায় ৮৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং শিল্প এলাকায় ১৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ সময় মানমাত্রার চেয়ে বেশি শব্দ দূষণ পাওয়া গেছে।
গবেষণাটিতে নেতৃত্ব দেন স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও ক্যাপসের পরিচালক ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্বের সেরা শব্দ দূষণ শহরের একটি। এখানে আইন আছে, মানুষ তা জানে না। কারও কারও ধারণা নিজের বাসায় রাত-বিরাতে উচ্চ স্বরে গান বাজানো অপরাধ নয়। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে উল্টো হেনস্তার শিকার হয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে ঢাকায়।
শব্দ দূষণ কত ক্ষতি করতে পারে, ঢাকার অধিকাংশ মানুষই তা জানে না। কারণ হিসেবে গবেষকেরা বলছেন, একটি দেশের আর্থসামাজিক উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে আচরণগত পরিবর্তনও হয়। বিশ্বের যে দেশ যত উন্নত, সেই দেশের মানুষের মধ্যে তত সচেতনতা বাড়ছে। শব্দ দূষণের ক্ষতি নিয়ে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে এখনই জোরালো প্রচার শুরুর পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।
ঢাকার শব্দ দূষণ নিয়ে ভয়ের তথ্য দিচ্ছেন নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরাও। তাঁরা জানান, দীর্ঘদিন শব্দ দূষণের মধ্যে থাকলে সেই ব্যক্তি অনেকাংশে বধির হয়ে যেতে পারে। একই সঙ্গে দুশ্চিন্তা ও উগ্রতা বেড়ে যাওয়া এবং ঘুম কম হওয়ার সংকট বাড়ে। কমে যেতে পারে স্মরণশক্তি। সঙ্গে হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ার বিষয়টি তো আছেই।
এক গবেষণার বরাত দিয়ে ঢাকার ৩৫ শতাংশ মানুষ কানে কম শোনে বলে জানান নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মণিলাল আইচ লিটু। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘ঢাকার ১৪ শতাংশ মানুষের কানে অসুখ আছে। তাদের শ্রবণ শক্তি কমেছে। বাড়ছে হৃদ্রোগ। মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাচ্ছে। বধিরতা বাড়ছে। গর্ভে থাকা সন্তানও শব্দ দূষণের শিকার হচ্ছে।’
শব্দ দূষণের এই নেতিবাচক প্রভাবে কিন্তু শুধু ঢাকাবাসী নেই। দূষণের মাত্রা দেশের সব ছোট-বড় শহরেই বেশি। এতে মোটাদাগে দেশের ২০ শতাংশ মানুষের শ্রবণশক্তি কমে গেছে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পরিচালিত ২০১৩ সালের এক গবেষণায় উঠে এসেছে। কিন্তু এত কিছুর পরও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি।
অথচ শব্দ দূষণ বিধিমালা অনুযায়ী, পরিবেশ অধিদপ্তরের বাইরে প্রত্যেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি) এ সম্পর্কিত আইন প্রয়োগের ক্ষমতা রাখেন। কিন্তু প্রচারের অভাবে বিষয়টি নাগরিকেরা জানেন না। থানায়ও অভিযোগ করেন না কেউ। আবার প্রশাসনের পক্ষ থেকেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় না।
দীর্ঘ দিন ঢাকার শব্দ দূষণ নিয়ে কাজ করছেন বাপার নির্বাহী সহসভাপতি ডা. আব্দুল মতিন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘দেশের ৯০ ভাগ মানুষ শব্দ দূষণ কী, তা জানে না। টেলিভিশন ও বেতারে শব্দ দূষণের কুফল নিয়ে প্রচার বাড়াতে হবে।’
শব্দ দূষণ বন্ধে হাইকোর্টে রিট আবেদনকারী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, অ্যাম্বুলেন্স ও পুলিশের গাড়িতে হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহারের অনুমতি আছে। বাকি সব হর্ন ব্যবহারই অবৈধ। সরকারি, ক্ষমতাশালী ও শিক্ষিত ব্যক্তিরা ঢাকায় বেশি শব্দ দূষণ করছে। এই দূষণ রোধে উচ্চ আদালতের কিছু নির্দেশনা থাকলেও তা মানছে না কেউ। এই অপরাধের দায়ে আজ পর্যন্ত কারও সাজা হয়নি।

নীলফামারীর ডিমলায় টিকা নিতে যাওয়ার পথে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় নানি তাঁর ১৪ দিনের নবজাতক নাতনিসহ নিহত হয়েছেন। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার গয়াবাড়ী ইউনিয়নের গয়াবাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজসংলগ্ন ঘোড়ামারা রোড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২০ মিনিট আগে
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের স্টেশনমাস্টার খাদিজা খাতুনের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে মানববন্ধন করা হয়েছে। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে আক্কেলপুর রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ‘আক্কেলপুরবাসী’র ব্যানারে এই মানববন্ধন হয়। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অর্ধশতাধিক মানুষ অংশ নেন।
২৭ মিনিট আগে
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, বন্য প্রাণী রক্ষায় শুধু আইন নয়, মনস্তাত্ত্বিক ও আচরণগত পরিবর্তন জরুরি। যদি মানুষ নিরীহ প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুর হয়, তা সমাজের মূল্যবোধের অবক্ষয়ের প্রতিফলন।
৩৫ মিনিট আগে
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নিখোঁজের তিন দিন পর গোলাপী বেগম (৩৫) নামের তিন সন্তানের জননীর পা বাঁধা অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (২৬ অক্টোবর) সকালে মির্জাপুর থানা-সংলগ্ন বারোখালী খাল থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি

নীলফামারীর ডিমলায় টিকা নিতে যাওয়ার পথে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় নানি তাঁর ১৪ দিনের নবজাতক নাতনিসহ নিহত হয়েছেন। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার গয়াবাড়ী ইউনিয়নের গয়াবাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজসংলগ্ন ঘোড়ামারা রোড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন উপজেলার গয়াবাড়ী ইউনিয়নের শুটিবাড়ি বাজারসংলগ্ন এলাকার আব্দুস ছাত্তার খানের স্ত্রী মোছা. সূর্য খাতুন (৫৫) এবং তাঁর নাতনি সামিয়া আক্তার (১৪ দিন) একই এলাকার বাসিন্দা বাবুল হোসেনের মেয়ে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকালে সূর্য খাতুন নাতনি সামিয়াকে নিয়ে টিকাদান কেন্দ্রে যাচ্ছিলেন। রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগতির একটি মালবাহী পিকআপ তাঁদের ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই নবজাতক সামিয়া মারা যায়। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় সূর্য খাতুনকে উদ্ধার করে ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
দুর্ঘটনার পর পিকআপের চালক পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
নিহত নবজাতকের স্বজনেরা বলেন, নানি তাঁর নাতনিকে নিয়ে টিকা দিতে গিয়েছিল। সকালবেলায় হাসিখুশি ছিল সবাই। কিন্তু মুহূর্তেই সব শেষ হয়ে গেল।
স্থানীয়রা জানান, ওই সড়কে বেপরোয়া গতির কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।
ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে। পিকআপের চালককে শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

নীলফামারীর ডিমলায় টিকা নিতে যাওয়ার পথে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় নানি তাঁর ১৪ দিনের নবজাতক নাতনিসহ নিহত হয়েছেন। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার গয়াবাড়ী ইউনিয়নের গয়াবাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজসংলগ্ন ঘোড়ামারা রোড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন উপজেলার গয়াবাড়ী ইউনিয়নের শুটিবাড়ি বাজারসংলগ্ন এলাকার আব্দুস ছাত্তার খানের স্ত্রী মোছা. সূর্য খাতুন (৫৫) এবং তাঁর নাতনি সামিয়া আক্তার (১৪ দিন) একই এলাকার বাসিন্দা বাবুল হোসেনের মেয়ে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকালে সূর্য খাতুন নাতনি সামিয়াকে নিয়ে টিকাদান কেন্দ্রে যাচ্ছিলেন। রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগতির একটি মালবাহী পিকআপ তাঁদের ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই নবজাতক সামিয়া মারা যায়। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় সূর্য খাতুনকে উদ্ধার করে ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
দুর্ঘটনার পর পিকআপের চালক পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
নিহত নবজাতকের স্বজনেরা বলেন, নানি তাঁর নাতনিকে নিয়ে টিকা দিতে গিয়েছিল। সকালবেলায় হাসিখুশি ছিল সবাই। কিন্তু মুহূর্তেই সব শেষ হয়ে গেল।
স্থানীয়রা জানান, ওই সড়কে বেপরোয়া গতির কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।
ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে। পিকআপের চালককে শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

যত দিন যাচ্ছে, দেশে শব্দ দূষণ তত বাড়ছে। বিশেষত রাজধানীতে শব্দ দূষণ এক ভয়াবহ মাত্রা পেয়েছে। এটা এতটাই যে, ঢাকায় কর্মরত ট্রাফিক পুলিশদের প্রায় ১২ শতাংশ কানে কম শোনেন বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
২৯ অক্টোবর ২০২১
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের স্টেশনমাস্টার খাদিজা খাতুনের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে মানববন্ধন করা হয়েছে। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে আক্কেলপুর রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ‘আক্কেলপুরবাসী’র ব্যানারে এই মানববন্ধন হয়। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অর্ধশতাধিক মানুষ অংশ নেন।
২৭ মিনিট আগে
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, বন্য প্রাণী রক্ষায় শুধু আইন নয়, মনস্তাত্ত্বিক ও আচরণগত পরিবর্তন জরুরি। যদি মানুষ নিরীহ প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুর হয়, তা সমাজের মূল্যবোধের অবক্ষয়ের প্রতিফলন।
৩৫ মিনিট আগে
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নিখোঁজের তিন দিন পর গোলাপী বেগম (৩৫) নামের তিন সন্তানের জননীর পা বাঁধা অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (২৬ অক্টোবর) সকালে মির্জাপুর থানা-সংলগ্ন বারোখালী খাল থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেআক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের স্টেশনমাস্টার খাদিজা খাতুনের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে মানববন্ধন করা হয়েছে। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে আক্কেলপুর রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ‘আক্কেলপুরবাসী’র ব্যানারে এই মানববন্ধন হয়। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অর্ধশতাধিক মানুষ অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, খাদিজা খাতুন ২০ বছরের বেশি সময় ধরে আক্কেলপুরের স্টেশনমাস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সান্তাহার জংশনের দায়িত্বেও আছেন। স্থানীয় যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়া এবং তাঁর মনগড়া প্রতিবেদনের কারণে চিলাহাটী এক্সপ্রেস ট্রেনের আক্কেলপুরে যাত্রাবিরতি বন্ধ রয়েছে বলে অভিযোগ করেন বক্তারা। তাঁকে দ্রুত এখান থেকে অপসারণের দাবি জানান তাঁরা।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন আক্কেলপুর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও চিলাহাটী এক্সপ্রেসের যাত্রাবিরতির সমন্বয়ক আব্দুর রউফ মাজেদ। বক্তব্য দেন পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম চপল, তিলকপুর ইউপির সদস্য মামুনুর রশিদ পিন্টু, কলেজশিক্ষক খায়রুল ইসলাম চৌধুরী, ব্যবসায়ী তরিকুল ইসলাম তুহিন, মাসুদ চৌধুরী, ছাত্রদল নেতা আরমান হোসেন কানন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আক্কেলপুর, ক্ষেতলাল, নওগাঁর বদলগাছী-পত্নীতলা এবং বগুড়ার দুপচাঁচিয়া এলাকার যাত্রীরা এই স্টেশন ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াত করে। চিলাহাটী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতি পেলে মানুষের ভোগান্তি অনেকটা কমবে। কিন্তু স্টেশনমাস্টার খাদিজা খাতুনের মনগড়া প্রতিবেদনের কারণে তা বন্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে আক্কেলপুরের স্টেশনমাস্টার খাদিজা খাতুন বলেন, ‘আমি চিলাহাটী এক্সপ্রেসের যাত্রাবিরতির বিরোধিতা করে কোনো মৌখিক বা লিখিত প্রতিবেদন দিইনি। ২০২৪ সাল থেকে সান্তাহার জংশনের অতিরিক্ত দায়িত্বও পালন করছি। এক বছর তিন মাসে কোনো যাত্রী আমার দ্বারা হয়রানির শিকার হয়নি। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। একটি স্বার্থান্বেষী মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।’

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের স্টেশনমাস্টার খাদিজা খাতুনের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে মানববন্ধন করা হয়েছে। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে আক্কেলপুর রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ‘আক্কেলপুরবাসী’র ব্যানারে এই মানববন্ধন হয়। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অর্ধশতাধিক মানুষ অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, খাদিজা খাতুন ২০ বছরের বেশি সময় ধরে আক্কেলপুরের স্টেশনমাস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সান্তাহার জংশনের দায়িত্বেও আছেন। স্থানীয় যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়া এবং তাঁর মনগড়া প্রতিবেদনের কারণে চিলাহাটী এক্সপ্রেস ট্রেনের আক্কেলপুরে যাত্রাবিরতি বন্ধ রয়েছে বলে অভিযোগ করেন বক্তারা। তাঁকে দ্রুত এখান থেকে অপসারণের দাবি জানান তাঁরা।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন আক্কেলপুর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও চিলাহাটী এক্সপ্রেসের যাত্রাবিরতির সমন্বয়ক আব্দুর রউফ মাজেদ। বক্তব্য দেন পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম চপল, তিলকপুর ইউপির সদস্য মামুনুর রশিদ পিন্টু, কলেজশিক্ষক খায়রুল ইসলাম চৌধুরী, ব্যবসায়ী তরিকুল ইসলাম তুহিন, মাসুদ চৌধুরী, ছাত্রদল নেতা আরমান হোসেন কানন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আক্কেলপুর, ক্ষেতলাল, নওগাঁর বদলগাছী-পত্নীতলা এবং বগুড়ার দুপচাঁচিয়া এলাকার যাত্রীরা এই স্টেশন ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াত করে। চিলাহাটী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতি পেলে মানুষের ভোগান্তি অনেকটা কমবে। কিন্তু স্টেশনমাস্টার খাদিজা খাতুনের মনগড়া প্রতিবেদনের কারণে তা বন্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে আক্কেলপুরের স্টেশনমাস্টার খাদিজা খাতুন বলেন, ‘আমি চিলাহাটী এক্সপ্রেসের যাত্রাবিরতির বিরোধিতা করে কোনো মৌখিক বা লিখিত প্রতিবেদন দিইনি। ২০২৪ সাল থেকে সান্তাহার জংশনের অতিরিক্ত দায়িত্বও পালন করছি। এক বছর তিন মাসে কোনো যাত্রী আমার দ্বারা হয়রানির শিকার হয়নি। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। একটি স্বার্থান্বেষী মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।’

যত দিন যাচ্ছে, দেশে শব্দ দূষণ তত বাড়ছে। বিশেষত রাজধানীতে শব্দ দূষণ এক ভয়াবহ মাত্রা পেয়েছে। এটা এতটাই যে, ঢাকায় কর্মরত ট্রাফিক পুলিশদের প্রায় ১২ শতাংশ কানে কম শোনেন বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
২৯ অক্টোবর ২০২১
নীলফামারীর ডিমলায় টিকা নিতে যাওয়ার পথে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় নানি তাঁর ১৪ দিনের নবজাতক নাতনিসহ নিহত হয়েছেন। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার গয়াবাড়ী ইউনিয়নের গয়াবাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজসংলগ্ন ঘোড়ামারা রোড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২০ মিনিট আগে
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, বন্য প্রাণী রক্ষায় শুধু আইন নয়, মনস্তাত্ত্বিক ও আচরণগত পরিবর্তন জরুরি। যদি মানুষ নিরীহ প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুর হয়, তা সমাজের মূল্যবোধের অবক্ষয়ের প্রতিফলন।
৩৫ মিনিট আগে
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নিখোঁজের তিন দিন পর গোলাপী বেগম (৩৫) নামের তিন সন্তানের জননীর পা বাঁধা অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (২৬ অক্টোবর) সকালে মির্জাপুর থানা-সংলগ্ন বারোখালী খাল থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘বন্য প্রাণী সংরক্ষণে নতুন করে যে আইন করা হচ্ছে, তার খসড়ায় জামিনের সুযোগ না রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। আমরা বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন যেটা নতুন ড্রাফট করেছি, সেখানে কগনিজেবল (পুলিশ যেখানে আদালতের অনুমতি ছাড়াই গ্রেপ্তার ও তদন্ত শুরু করতে পারে) এবং নন-বেইলেবল (জামিন অযোগ্য) অপরাধ যুক্ত করেছি, যা এখনো খসড়া আকারে রয়েছে এবং ক্যাবিনেটে যায়নি।’
আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বন ভবনে ‘আন্তর্জাতিক মিঠাপানির ডলফিন দিবস ২০২৫’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘বন্য প্রাণী রক্ষায় শুধু আইন নয়, মনস্তাত্ত্বিক ও আচরণগত পরিবর্তন জরুরি। যদি মানুষ নিরীহ প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুর হয়, তা সমাজের মূল্যবোধের অবক্ষয়ের প্রতিফলন। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর মেছো বিড়াল নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করলাম। মেছো বিড়ালকে শুধু শুধুই আমরা মেছো বাঘ বলি। বাঘ বলে একটা ভীতি সঞ্চার করি। নিরীহ একটা প্রাণীকে মেরে ফেলি। মারি যে, লজ্জাও পাই না। মেরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা প্রকাশ করি। বন্য প্রাণী আইন বলেন, বিধিমালা বলেন, বন বিভাগ বলেন, সব যদি সক্রিয় হয়; কিন্তু মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন যদি না আসে, তাহলে এই প্রাণীগুলোকে বাঁচানো যাবে না। এই নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে সমাজকে দাঁড়াতে হবে।’
অনুষ্ঠানে ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটির কান্ট্রি ডিরেক্টর ও ডলফিন বিশেষজ্ঞ ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘দেশের ৪৫টি বড় নদীতে জরিপ করে ৩৯টি নদীতে ২ হাজার ৮২টি ডলফিনের সংখ্যা নির্ণয় করা হয়েছে। আমাদের প্রায় ২৫০টি ডলফিন মারা যাওয়ার তথ্য আছে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ আমরা দেখেছি কারেন্ট জাল অথবা ফাঁস জালে আটকে মারা গেছে।’
এ বিষয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘ডলফিনগুলোকে বাঁচানোর জন্য বা বংশবৃদ্ধি করার জন্য যা প্রয়োজন, তা একটা সভ্য সমাজের মানদণ্ডের নির্ণায়ক। আপনি যদি বলেন, শুশুক বা আমাদের ডলফিন থাকবে পরিষ্কার পানিতে, তাহলে যেকোনো সভ্য জাতিও থাকবে পরিষ্কার পানির পাশেই। যে জাতি নিজেকে সভ্য দাবি করবে, সে জাতি তার নদীগুলোকে আবার দূষিত করবে—দুটো একসঙ্গে হতে পারে না। দুটো সাংঘর্ষিক হয়ে যাচ্ছে।’
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘যখন ডলফিনের সংখ্যা বাড়বে, তখন বুঝতে হবে, নদীদূষণ আমরা নিয়ন্ত্রণ করছি। যখন আমার ডলফিনের সংখ্যা কমবে, তখন আমি বুঝব, নদীগুলোকে আমি ঝুঁকিপূর্ণ করে ফেলছি। নদী মানুষের জন্য যখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়, তখন তা ডলফিনের জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ। নদী যখন ডলফিনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ, তখন তা মানুষের জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ।’
ডলফিন নদীর ‘সুস্থতার প্রতীক’ উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, যেখানে ডলফিন টিকে থাকে, সেখানে নদীও টিকে থাকে। আর নদী টিকে থাকলেই মানুষ বাঁচে। ডলফিন নিয়ে কথা বলা মানে আমাদের বেঁচে থাকার কথাই বলা। কারণ নদীর পানি যদি দূষিত হয়, তাহলে তা যেমন ডলফিনের জন্য বিপদ, তেমনি মানুষের জন্যও। নদী পরিষ্কার রাখাই মানুষের ও ডলফিনের জীবনের অন্যতম শর্ত।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি আশা করি, দেশের প্রতিটি জেলায় বন বিভাগকে সহায়তা করার জন্য স্বেচ্ছাসেবী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হবে। এতে প্রাণী উদ্ধার ও সুরক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ সম্ভব হবে। বন্য প্রাণী রক্ষায় যাঁরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ করছেন, তাঁদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’
প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বন সংরক্ষক মো. ছানাউল্যা পাটওয়ারী, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী প্রমুখ।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘বন্য প্রাণী সংরক্ষণে নতুন করে যে আইন করা হচ্ছে, তার খসড়ায় জামিনের সুযোগ না রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। আমরা বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন যেটা নতুন ড্রাফট করেছি, সেখানে কগনিজেবল (পুলিশ যেখানে আদালতের অনুমতি ছাড়াই গ্রেপ্তার ও তদন্ত শুরু করতে পারে) এবং নন-বেইলেবল (জামিন অযোগ্য) অপরাধ যুক্ত করেছি, যা এখনো খসড়া আকারে রয়েছে এবং ক্যাবিনেটে যায়নি।’
আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বন ভবনে ‘আন্তর্জাতিক মিঠাপানির ডলফিন দিবস ২০২৫’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘বন্য প্রাণী রক্ষায় শুধু আইন নয়, মনস্তাত্ত্বিক ও আচরণগত পরিবর্তন জরুরি। যদি মানুষ নিরীহ প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুর হয়, তা সমাজের মূল্যবোধের অবক্ষয়ের প্রতিফলন। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর মেছো বিড়াল নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করলাম। মেছো বিড়ালকে শুধু শুধুই আমরা মেছো বাঘ বলি। বাঘ বলে একটা ভীতি সঞ্চার করি। নিরীহ একটা প্রাণীকে মেরে ফেলি। মারি যে, লজ্জাও পাই না। মেরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা প্রকাশ করি। বন্য প্রাণী আইন বলেন, বিধিমালা বলেন, বন বিভাগ বলেন, সব যদি সক্রিয় হয়; কিন্তু মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন যদি না আসে, তাহলে এই প্রাণীগুলোকে বাঁচানো যাবে না। এই নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে সমাজকে দাঁড়াতে হবে।’
অনুষ্ঠানে ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটির কান্ট্রি ডিরেক্টর ও ডলফিন বিশেষজ্ঞ ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘দেশের ৪৫টি বড় নদীতে জরিপ করে ৩৯টি নদীতে ২ হাজার ৮২টি ডলফিনের সংখ্যা নির্ণয় করা হয়েছে। আমাদের প্রায় ২৫০টি ডলফিন মারা যাওয়ার তথ্য আছে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ আমরা দেখেছি কারেন্ট জাল অথবা ফাঁস জালে আটকে মারা গেছে।’
এ বিষয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘ডলফিনগুলোকে বাঁচানোর জন্য বা বংশবৃদ্ধি করার জন্য যা প্রয়োজন, তা একটা সভ্য সমাজের মানদণ্ডের নির্ণায়ক। আপনি যদি বলেন, শুশুক বা আমাদের ডলফিন থাকবে পরিষ্কার পানিতে, তাহলে যেকোনো সভ্য জাতিও থাকবে পরিষ্কার পানির পাশেই। যে জাতি নিজেকে সভ্য দাবি করবে, সে জাতি তার নদীগুলোকে আবার দূষিত করবে—দুটো একসঙ্গে হতে পারে না। দুটো সাংঘর্ষিক হয়ে যাচ্ছে।’
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘যখন ডলফিনের সংখ্যা বাড়বে, তখন বুঝতে হবে, নদীদূষণ আমরা নিয়ন্ত্রণ করছি। যখন আমার ডলফিনের সংখ্যা কমবে, তখন আমি বুঝব, নদীগুলোকে আমি ঝুঁকিপূর্ণ করে ফেলছি। নদী মানুষের জন্য যখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়, তখন তা ডলফিনের জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ। নদী যখন ডলফিনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ, তখন তা মানুষের জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ।’
ডলফিন নদীর ‘সুস্থতার প্রতীক’ উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, যেখানে ডলফিন টিকে থাকে, সেখানে নদীও টিকে থাকে। আর নদী টিকে থাকলেই মানুষ বাঁচে। ডলফিন নিয়ে কথা বলা মানে আমাদের বেঁচে থাকার কথাই বলা। কারণ নদীর পানি যদি দূষিত হয়, তাহলে তা যেমন ডলফিনের জন্য বিপদ, তেমনি মানুষের জন্যও। নদী পরিষ্কার রাখাই মানুষের ও ডলফিনের জীবনের অন্যতম শর্ত।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি আশা করি, দেশের প্রতিটি জেলায় বন বিভাগকে সহায়তা করার জন্য স্বেচ্ছাসেবী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হবে। এতে প্রাণী উদ্ধার ও সুরক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ সম্ভব হবে। বন্য প্রাণী রক্ষায় যাঁরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ করছেন, তাঁদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’
প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বন সংরক্ষক মো. ছানাউল্যা পাটওয়ারী, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী প্রমুখ।

যত দিন যাচ্ছে, দেশে শব্দ দূষণ তত বাড়ছে। বিশেষত রাজধানীতে শব্দ দূষণ এক ভয়াবহ মাত্রা পেয়েছে। এটা এতটাই যে, ঢাকায় কর্মরত ট্রাফিক পুলিশদের প্রায় ১২ শতাংশ কানে কম শোনেন বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
২৯ অক্টোবর ২০২১
নীলফামারীর ডিমলায় টিকা নিতে যাওয়ার পথে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় নানি তাঁর ১৪ দিনের নবজাতক নাতনিসহ নিহত হয়েছেন। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার গয়াবাড়ী ইউনিয়নের গয়াবাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজসংলগ্ন ঘোড়ামারা রোড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২০ মিনিট আগে
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের স্টেশনমাস্টার খাদিজা খাতুনের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে মানববন্ধন করা হয়েছে। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে আক্কেলপুর রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ‘আক্কেলপুরবাসী’র ব্যানারে এই মানববন্ধন হয়। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অর্ধশতাধিক মানুষ অংশ নেন।
২৭ মিনিট আগে
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নিখোঁজের তিন দিন পর গোলাপী বেগম (৩৫) নামের তিন সন্তানের জননীর পা বাঁধা অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (২৬ অক্টোবর) সকালে মির্জাপুর থানা-সংলগ্ন বারোখালী খাল থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেমির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নিখোঁজের তিন দিন পর গোলাপী বেগম (৩৫) নামের তিন সন্তানের জননীর পা বাঁধা অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (২৬ অক্টোবর) সকালে মির্জাপুর থানা-সংলগ্ন বারোখালী খাল থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত গোলাপী বেগম মির্জাপুর পৌর এলাকার বাওয়ার রোডের বিশু মিয়ার মেয়ে ও পোষ্টকামুরী দক্ষিণ পাড়ার আব্দুল কাদের মিয়ার স্ত্রী।
পারিবারিক সূত্র জানায়, তিন দিন আগে গোলাপী বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। এর পর থেকে তাঁর আর খোঁজ মেলেনি। রোববার সকালে স্থানীয় লোকজন থানার পাশে খালে ভাসমান লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জিআই তার দিয়ে পা বাঁধা অবস্থায় অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘গোলাপী বেগম তিন দিন আগে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। পরনের কাপর দেখে তাঁর লাশ স্বামী কাদের মিয়া শনাক্ত করেছেন। এটি একটি হত্যা। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।’

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নিখোঁজের তিন দিন পর গোলাপী বেগম (৩৫) নামের তিন সন্তানের জননীর পা বাঁধা অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (২৬ অক্টোবর) সকালে মির্জাপুর থানা-সংলগ্ন বারোখালী খাল থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত গোলাপী বেগম মির্জাপুর পৌর এলাকার বাওয়ার রোডের বিশু মিয়ার মেয়ে ও পোষ্টকামুরী দক্ষিণ পাড়ার আব্দুল কাদের মিয়ার স্ত্রী।
পারিবারিক সূত্র জানায়, তিন দিন আগে গোলাপী বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। এর পর থেকে তাঁর আর খোঁজ মেলেনি। রোববার সকালে স্থানীয় লোকজন থানার পাশে খালে ভাসমান লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জিআই তার দিয়ে পা বাঁধা অবস্থায় অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘গোলাপী বেগম তিন দিন আগে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। পরনের কাপর দেখে তাঁর লাশ স্বামী কাদের মিয়া শনাক্ত করেছেন। এটি একটি হত্যা। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।’

যত দিন যাচ্ছে, দেশে শব্দ দূষণ তত বাড়ছে। বিশেষত রাজধানীতে শব্দ দূষণ এক ভয়াবহ মাত্রা পেয়েছে। এটা এতটাই যে, ঢাকায় কর্মরত ট্রাফিক পুলিশদের প্রায় ১২ শতাংশ কানে কম শোনেন বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
২৯ অক্টোবর ২০২১
নীলফামারীর ডিমলায় টিকা নিতে যাওয়ার পথে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় নানি তাঁর ১৪ দিনের নবজাতক নাতনিসহ নিহত হয়েছেন। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার গয়াবাড়ী ইউনিয়নের গয়াবাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজসংলগ্ন ঘোড়ামারা রোড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২০ মিনিট আগে
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের স্টেশনমাস্টার খাদিজা খাতুনের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে মানববন্ধন করা হয়েছে। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে আক্কেলপুর রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ‘আক্কেলপুরবাসী’র ব্যানারে এই মানববন্ধন হয়। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অর্ধশতাধিক মানুষ অংশ নেন।
২৭ মিনিট আগে
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, বন্য প্রাণী রক্ষায় শুধু আইন নয়, মনস্তাত্ত্বিক ও আচরণগত পরিবর্তন জরুরি। যদি মানুষ নিরীহ প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুর হয়, তা সমাজের মূল্যবোধের অবক্ষয়ের প্রতিফলন।
৩৫ মিনিট আগে