উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি
রাজধানীর উত্তরার একটি বাড়ির কেয়ারটেকার নিখোঁজ হয়েছেন। উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরের ৫ নম্বর সড়কের মনিকা নামের ৪ নম্বর বাড়ির নিচতলার গ্যারেজে থাকতেন তিনি। আজ শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে সেখানে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে গ্যারেজে থাকা তাঁর বিছানাপত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ও মেঝেতে রক্তের ছোপ দেখা গেছে।
পরে খবর পেয়ে বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে যায় উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ। তারপর আলামত সংগ্রহ ও তদন্তে সহযোগিতার জন্য অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি টিম আলামত সংগ্রহ করে নিয়ে যায়।
নিখোঁজ ওই কেয়ারটেকার হলেন ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার পূর্ব নড়াইল গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। তিনি ওই বাড়িটিতে ২০ বছর ধরে কেয়ারটেকার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
মনিকা নামের ওই ভবনের মালিক মোছা. মেহেরুন্নেছা। কেয়ারটেকার নিখোঁজ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তাঁর ছেলে খালেদ মাহমুদ মোবাইলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আপনি পুলিশের সাথে কথা বলেন, নিচে পুলিশ আছে।’
ওই চারতলা বাড়ির সামনে আজ সন্ধ্যায় গিয়ে দেখা যায়, কেয়ারটেকারের প্রতিবেশী ও স্বজনেরা বাড়ির সামনে অবস্থান করলেও তাঁদের কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। অবস্থানকারী নারীরা বলেন, ‘আমরা তো গরিব মানুষ। তাই আমাদের কেউ মূল্য দেয় না। আজ যদি বড়লোক কেউ হতো, তাহলে তোলপাড় শুরু হয়ে যেত।’
বাড়িটির সামনে একটি সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলেও সেটি নষ্ট বলে জানিয়েছে পুলিশ। আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ তল্লাশি করে দেখা হচ্ছে বলেও পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ঘটনাস্থলের ওই বাড়ির সামনে পুলিশের দুটি গাড়িতে বেশ কয়েকজন পুলিশকে অবস্থান করতে দেখা যায়। সেই সঙ্গে ঘটনাস্থলের ওই গ্যারেজে পিএসআই নাসিমকে পাহারায় বসা অবস্থায় পাওয়া যায়। তিনি বলেন, ‘সিআইডির একটি টিম আলামত সংগ্রহ করে নিয়ে গেছে। গ্যারেজের বেডের পাশের ছিটিয়ে থাকা রক্ত আসলে মানুষের নাকি অন্য কিছুর তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।’
গাড়ির গ্যারেজে ঢুকে দেখা যায়, একটি বেড রয়েছে। পাশেই একটি চেয়ারে টিভি রাখা। বেডের মশারি এলোমেলো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। মেঝেতে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ। বেডটাও এলোমেলো। দেখে মনে হচ্ছে, সেখানে ধস্তাধস্তি করা হয়েছে। বেডের নিচে পড়ে রয়েছে কেয়ারটেকার রিয়াজের এক জোড়া কালো জুতা।
এদিকে ওই বাড়ির নিচতলার বাসিন্দা ব্যবসায়ী আরিফুল হল সজল বলেন, ‘সকাল পৌনে ৮টার দিকে চাচি (কেয়ারটেকার রিয়াজের স্ত্রী) আসছিলেন। এসেই দেখেন রুম এলোমেলো, চাচা (কেয়ারটেকার) নেই। পরে খবর দেওয়া হলে বেলা ১১টার দিকে পুলিশ আসে।’
আরিফুল হক সজল বলেন, ‘গতকাল রাতে (বৃহস্পতিবার দিবাগত) আমরা কোনো সাড়াশব্দ পাইনি। চাচি আসার পর বিষয়টি জানতে পেরেছি।’
সজল বলেন, ‘উনার সাথে কারও শত্রুতা নেই। যদিও কেউ থেকে থাকে, তাহলে মাথার ওপরে আছে। আমার, আপনার কারও জানা নেই।’
পাশের বাড়ির কেয়ারটেকার ওলিউর রহমান বলেন, ‘আমরাও আতঙ্কে রয়েছি। আসলে কী হয়েছে, সেটা বুঝতে পারছি না।’
এ বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘কেয়ারটেকার নিখোঁজের ঘটনায় আমরা কাজ করছি। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
এক প্রশ্নের জবাবে ওসি হাফিজ বলেন, ‘বাড়ির সিসি ক্যামেরার ফুটেজ নেই। আশপাশে আমরা খুঁজে দেখছি। তিনি কোথায়, কী অবস্থায় আছেন, তা বের করার জন্য তদন্ত করছি।’
রাজধানীর উত্তরার একটি বাড়ির কেয়ারটেকার নিখোঁজ হয়েছেন। উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরের ৫ নম্বর সড়কের মনিকা নামের ৪ নম্বর বাড়ির নিচতলার গ্যারেজে থাকতেন তিনি। আজ শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে সেখানে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে গ্যারেজে থাকা তাঁর বিছানাপত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ও মেঝেতে রক্তের ছোপ দেখা গেছে।
পরে খবর পেয়ে বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে যায় উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ। তারপর আলামত সংগ্রহ ও তদন্তে সহযোগিতার জন্য অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি টিম আলামত সংগ্রহ করে নিয়ে যায়।
নিখোঁজ ওই কেয়ারটেকার হলেন ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার পূর্ব নড়াইল গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। তিনি ওই বাড়িটিতে ২০ বছর ধরে কেয়ারটেকার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
মনিকা নামের ওই ভবনের মালিক মোছা. মেহেরুন্নেছা। কেয়ারটেকার নিখোঁজ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তাঁর ছেলে খালেদ মাহমুদ মোবাইলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আপনি পুলিশের সাথে কথা বলেন, নিচে পুলিশ আছে।’
ওই চারতলা বাড়ির সামনে আজ সন্ধ্যায় গিয়ে দেখা যায়, কেয়ারটেকারের প্রতিবেশী ও স্বজনেরা বাড়ির সামনে অবস্থান করলেও তাঁদের কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। অবস্থানকারী নারীরা বলেন, ‘আমরা তো গরিব মানুষ। তাই আমাদের কেউ মূল্য দেয় না। আজ যদি বড়লোক কেউ হতো, তাহলে তোলপাড় শুরু হয়ে যেত।’
বাড়িটির সামনে একটি সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলেও সেটি নষ্ট বলে জানিয়েছে পুলিশ। আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ তল্লাশি করে দেখা হচ্ছে বলেও পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ঘটনাস্থলের ওই বাড়ির সামনে পুলিশের দুটি গাড়িতে বেশ কয়েকজন পুলিশকে অবস্থান করতে দেখা যায়। সেই সঙ্গে ঘটনাস্থলের ওই গ্যারেজে পিএসআই নাসিমকে পাহারায় বসা অবস্থায় পাওয়া যায়। তিনি বলেন, ‘সিআইডির একটি টিম আলামত সংগ্রহ করে নিয়ে গেছে। গ্যারেজের বেডের পাশের ছিটিয়ে থাকা রক্ত আসলে মানুষের নাকি অন্য কিছুর তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।’
গাড়ির গ্যারেজে ঢুকে দেখা যায়, একটি বেড রয়েছে। পাশেই একটি চেয়ারে টিভি রাখা। বেডের মশারি এলোমেলো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। মেঝেতে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ। বেডটাও এলোমেলো। দেখে মনে হচ্ছে, সেখানে ধস্তাধস্তি করা হয়েছে। বেডের নিচে পড়ে রয়েছে কেয়ারটেকার রিয়াজের এক জোড়া কালো জুতা।
এদিকে ওই বাড়ির নিচতলার বাসিন্দা ব্যবসায়ী আরিফুল হল সজল বলেন, ‘সকাল পৌনে ৮টার দিকে চাচি (কেয়ারটেকার রিয়াজের স্ত্রী) আসছিলেন। এসেই দেখেন রুম এলোমেলো, চাচা (কেয়ারটেকার) নেই। পরে খবর দেওয়া হলে বেলা ১১টার দিকে পুলিশ আসে।’
আরিফুল হক সজল বলেন, ‘গতকাল রাতে (বৃহস্পতিবার দিবাগত) আমরা কোনো সাড়াশব্দ পাইনি। চাচি আসার পর বিষয়টি জানতে পেরেছি।’
সজল বলেন, ‘উনার সাথে কারও শত্রুতা নেই। যদিও কেউ থেকে থাকে, তাহলে মাথার ওপরে আছে। আমার, আপনার কারও জানা নেই।’
পাশের বাড়ির কেয়ারটেকার ওলিউর রহমান বলেন, ‘আমরাও আতঙ্কে রয়েছি। আসলে কী হয়েছে, সেটা বুঝতে পারছি না।’
এ বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘কেয়ারটেকার নিখোঁজের ঘটনায় আমরা কাজ করছি। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
এক প্রশ্নের জবাবে ওসি হাফিজ বলেন, ‘বাড়ির সিসি ক্যামেরার ফুটেজ নেই। আশপাশে আমরা খুঁজে দেখছি। তিনি কোথায়, কী অবস্থায় আছেন, তা বের করার জন্য তদন্ত করছি।’
ভোলার লালমোহনে অভিযান চালিয়ে ৯টি অবৈধ ট্রলিং বোট জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (২০ এপ্রিল) বিকেলে লালমোহন উপজেলার গজারিয়া খাল গোড়ায় এই অভিযান চালানো হয়। কোস্ট গার্ড ভোলা দক্ষিণ জোনের লেফটেন্যান্ট কমান্ডার ও স্টাফ অফিসার অপারেশন রিফাত আহমেদ প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
২০ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অবস্থিত ইউএস–বাংলা মেডিকেল কলেজের ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আগামীকাল সোমবার। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কলেজ ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে যাচ্ছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
২৩ মিনিট আগেনেছারাবাদে আরামকাঠি ক্ষুদ্র সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতির পরিচালক মো. রহমাত উল্লাহর বিরুদ্ধে পাঁচ সহস্রাধিক গ্রাহকের হাজার কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ রোববার তাঁর বাড়িতে বিক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে সমিতির ম্যানেজার-মাঠকর্মীসহ সাতজনকে আটক করে পুলিশের হাতে
৩০ মিনিট আগেচিরকুটে লেখা ছিল, ‘বিয়ের পর আমার বাবা-মা, স্বামীর পরিবারের সাথে কোনো যোগাযোগ নাই। আমাদের দুজনের মরদেহ ঢাকাতে কোনো সরকারি কবরস্থানে দাফন দিয়েন। আমার এবং আমার স্বামীর বাড়িতে নেওয়ার দরকার নাই।’
৩৪ মিনিট আগে