Ajker Patrika

এডিসি হারুনকে নিয়ে ছাত্রলীগের অবস্থানে নেতা-কর্মীদের অসন্তোষ

ঢাবি প্রতিনিধি
এডিসি হারুনকে নিয়ে ছাত্রলীগের অবস্থানে নেতা-কর্মীদের অসন্তোষ

ছাত্রলীগের তিন নেতাকে থানায় বেদম মারধরের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদের বিষয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির অবস্থান নিয়ে অসন্তোষ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা। এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। 

মারধরের ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩টি হল শাখা ছাত্রলীগ বিচার চেয়ে বিবৃতি দিলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রলীগ কোনো বিবৃতি দেয়নি। একই ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র ইউনিয়ন। তবে নীরব কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। তারা আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি।

অবশ্য ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ গতকাল রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ঘটনার বিচার দাবি করেছেন।

এদিকে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহত নাঈমকে হাসপাতালে দেখতে যায় ঢাবি শাখা ছাত্রলীগ। এ বিষয়ে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাংগাঠনিক একটি ডেকোরাম রয়েছে। যারা মারধরের শিকার হয়েছেন তারা কেন্দ্রীয় নেতা। আমাদের হলের নেতাদের বলে দিয়েছি, হল শাখাগুলো নিন্দা ও প্রতিবাদ করেছে। হাসপাতালে থাকা নাঈমকে দেখতে গেছি।’ 

এ বিষয়ে যদি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ কোনো ধরণের সহযোগিতা চাইলে তাঁরা সবসময় প্রস্তুত বলে জানান সৈকত।   

এদিকে এডিসি হারুনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি জানিয়ে ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের’ ব্যানারে গতকাল রোববার মানববন্ধন করেছে ঢাবি ছাত্রলীগের বিভিন্ন হলের নেতা-কর্মীরা। 

আজ সোমবার দুপুরে হারুনকে চাকরি থেকে স্থায়ী বহিষ্কার ও গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে ছাত্রলীগের একদল সাবেক নেতৃবৃন্দ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশের সামনে ‘গাজীপুর জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতি’ ও ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ’–এর ব্যানারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করেন ছাত্রলীগের কয়েকজন সাবেক নেতা।  

মানববন্ধনে ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা জানান, এডিসি হারুন একজন শিক্ষার্থী বিদ্বেষী পুলিশ কর্মকর্তা। এর আগেও বিভিন্ন সময় তিনি ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান, কোর্টে আইনজীবী এবং সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ করেছেন। অতি দ্রুত তাকে ফৌজদারি অপরাধের কারণে আইনের আওতায় না আনলে সাধারণ ছাত্র সমাজ রাজপথে নেমে আসবে। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতা-কর্মীদের ক্ষোভ প্রকাশ
এ ছাড়া ছাত্রলীগ নেতাদের মারধরের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকেই এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি না দেওয়ায় ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন অনেকেই। 

শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য আরিফ মনোয়ার মাহিন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বই থেকে মুখস্ত করে নিজের কর্মীদের সামনে ২-৪ লাইন এস্থেটিক কথা বলাকে রাজনীতি বলে না। রাজনীতি মাঠের জিনিস, রাজপথের জিনিস। কর্মীর বিপদে রাজপথে আসেন, নাহলে দিনশেষে হাততালি দেওয়ার মতো কর্মী থাকবে না।’

ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন রানা গতকাল রোববার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ছাত্রলীগের সাবেক বর্তমান সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে নিন্দা ও প্রতিবাদ করছেন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ইনান ভাই গতকাল থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছেন যেন এ ঘটনার সর্বোচ্চ শাস্তি এডিসি হারুন পায়। কিন্তু কিছু সাবেক ও বর্তমান ছাত্রলীগের কীট আছে, যারা নানান অপকর্মে সবসময় লিপ্ত ছিল, এমনকি ছাত্রলীগের নামে কালিমা লেপন করতে সচেষ্ট ছিল ও আছে। তারা উল্টাপাল্টা লিখে নিজেকে জাহির করার চেষ্টা করছেন। তাদের বলি আপনারা সাবধান হোন নাহয় নিজেদের মুখ দেখাতে পারবেন না।’

মাস্টারদা সূর্যসেন হলের কার্যনির্বাহী সদস্য মিনহাজুল ইসলাম লিখেছেন, ‘চর্যাপদের কবিরা যেমন দ্রোহ করে নাই তেমনি এখনকার জারুল ফুলের কবিরাও করে না৷ খালি আহহা, উহহো করে গলা ফাটাইতে পারে৷’

রাকিব আরও লিখেছেন, ‘আমরা সেই ছাত্রলীগ ফিরে পেতে চাই, যে ছাত্রলীগের একজন কর্মীর জয় বাংলা স্লোগানে প্রকম্পিত হতো রাজপথ। আমরা এই ফুল, ফল, জারুল অভিশাপ থেকে মুক্তি চাই।’

ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি কামাল খান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেন, ‘সিংহের লেজে পা রাখার শখ হয়েছে উনার! সাবেক সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের ঘনিষ্ঠ বন্ধু উনি! এটাই নাকি উনার ছাত্রলীগের পদ পরিচয়! মাননীয় নেত্রীকে ঘটনাটি জানানো হয়েছে, ইনশাআল্লাহ দ্রুতই উনার বল্টু হারানো সংবাদ পাব বলে বিশ্বাস করি। পাশাপাশি উনার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া যেতে পারে ৷ পিপিলিকার পাখা গজায় মরিবার তরে!’

একই ধরনের পোস্ট দিতে দেখা গেছে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফরিদ, সূর্যসেন হল শাখার সদস্য মিনহাজুল ইসলামসহ কয়েকজনকে।

ডিএমপির তদন্তে আস্থা রাখতে চায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ
কেন্দ্রীয় নেতাদের বেধড়ক পিটুনির ঘটনায় মামলার পরিবর্তে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বিভাগীয় তদন্তে আস্থা রাখতে চায় ছাত্রলীগ। আজ সোমবার দুপুরে ডিএমপি কার্যালয়ে কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। একইসঙ্গে মামলা করা হবে না বলেও জানান তিনি। 

ঘটনার পর ছাত্রলীগ দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে জানিয়ে সাদ্দাম বলেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যুগে যুগে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ যে দায়িত্বশীলতা ও সুবিবেচনার পরিচয় দিয়েছে এর ওপর ভিত্তি করে বলতে পারি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এ বিষয়ে একটি নিয়মতান্ত্রিক সুস্পষ্ট সমাধান পাবে।’ 

মারধরের শিকার ছাত্রলীগ নেতাদের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে তারা মামলা করবে কিন্তু ছাত্রলীগ নিষেধ করছে—এক সাংবাদিকের এমন মন্তব্যের জবাবে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে আজকে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি। ডিএমপির তদন্ত কমিটির রিপোর্ট যেন দ্রুত দেওয়া হয় সে জন্য আমরা বলেছি। তদন্তের মাধ্যমে আইনানুগ সর্বোচ্চ শাস্তি যেন নিশ্চিত করা হয় সেটিও আমরা বলেছি। পরিবারকে মামলা করতে দেওয়া হচ্ছে না ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে—এ কথাটি মিথ্যা।’ 

উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নাঈম, বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক শরীফ আহম্মেদ মুনীম ও সমাজসেবা সম্পাদক মাহাবুবুর রহমানকে শাহবাগ থানার ভেতরে নিয়ে মারধর করেন এডিসি হারুন ও কয়েকজন পুলিশ সদস্য।

এ ঘটনায় এডিসি হারুনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি পুলিশ অধিদপ্তরে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন। গতকাল রোববার হারুনকে প্রথমে পিওএম এবং পরে এপিবিএনে বদলি করা হয়।

আরও পড়ুন

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বরিশাল বিএম কলেজে অবহেলায় ছাত্রীর মৃত্যুর অভিযোগ, তদন্তে কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
পরিবারের সদস্যদের আহাজারি। ছবি: সংগৃহীত
পরিবারের সদস্যদের আহাজারি। ছবি: সংগৃহীত

বরিশাল বিএম কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের এক ছাত্রীর মৃত্যু নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। রুমানা আক্তার সুমি নামের ওই ছাত্রী মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।

গত বৃহস্পতিবার কলেজে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ার প্রায় ২ ঘণ্টা পর রুমানা আক্তার সুমিকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে পরদিন শুক্রবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। এদিকে সহপাঠীর মৃত্যুতে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন শিক্ষার্থীরা।

আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) এ ঘটনায় দফায় দফায় সভা শেষে ইসলামের ইতিহাস বিভাগের গাফিলতি আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অপর দিকে কলেজে চিকিৎসক না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ছাত্ররা।

আজ ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীরা সহপাঠী সুমির মৃত্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় তোলেন। এ ঘটনায় তাঁরা ওই বিভাগের শিক্ষকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁরা বিভাগের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ১৪টি অভিযোগ তুলেছেন। এ ঘটনায় সঠিক তদন্তে অধ্যক্ষ ও বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন।

জানতে চাইলে কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমরা এ ঘটনায় রোববারও অর্ধশত শিক্ষার্থীর সঙ্গে বসেছি। মেয়েটি আগে থেকেই অসুস্থ ছিল। সে নলছিটির নাচমহল এলাকার কৃষিজীবী আ. রাজ্জাকের কন্যা।’

মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, গত বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টায় বিভাগে অসুস্থ হয়ে পড়েন সুমি। পরে বেলা ৩টার দিকে এক চাচি এসে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করান। রাত ১০টায় হাসপাতালে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন সুমি। পরদিন শুক্রবার সোয়া ৯টায় মারা যান তিনি।

আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমরা তার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে মেয়ের বাবার সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন যে, সুমি রক্তক্ষরণে ভুগছিল। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ তোলা হয়নি। তারপরও যেহেতু একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে, সেহেতু কারও অবহেলা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হোক।’

আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, কলেজে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক নেই। ছাত্ররা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে অধ্যক্ষকে বলেছেন।

বিএম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. শেখ মো. তাজুল ইসলামকে ফোন করা হলেও পাওয়া যায়নি। তবে উপাধ্যক্ষ প্রফেসর এ টি এম রাশেদুল ইসলাম বলেন, মেয়েটি অসুস্থ ছিলেন। আগেই মেয়েলি রোগে রক্তপাত হয়েছিল তাঁর। বিভাগের কাজে এসে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁর সেবা করা হয়। কিন্তু হয়তো একটু দেরি করে ফেলেন ওই বিভাগের শিক্ষকেরা। পরে তাঁর চাচা এসে নিয়ে যান। এখানে শিক্ষকদের বিচক্ষণতার ঘাটতি থাকতে পারে। যে কারণে আজ তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমানকে। তিনি আরও বলেন, কলেজের নিজস্ব চিকিৎসক দীর্ঘদিন ধরে নেই। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আজই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দ্রুত একজন চিকিৎসক চাওয়া হয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন বিএম কলেজ শাখা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ছাত্র ইউনিয়ন মনে করে, প্রশাসনের চরম অবহেলা ও উদাসীনতাই এই মৃত্যুর জন্য দায়ী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাবিতে প্রথম বর্ষের ভর্তির আবেদন শুরু ২০ নভেম্বর

রাবি প্রতিনিধি  
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক। ছবি: সংগৃহীত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তির আবেদন আগামী ২০ নভেম্বর থেকে শুরু হবে। আবেদন চলবে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৬, ১৭ ও ২৪ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে। রাজশাহী, ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রংপুর ও বরিশাল অঞ্চলে পরীক্ষা নেওয়া হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ‘সি’ (বিজ্ঞান) ইউনিটের, ১৭ জানুয়ারি ‘এ’ (মানবিক) ইউনিটের আর ২৪ জানুয়ারি ‘বি’ (বাণিজ্য) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হবে। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা ও বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দুই শিফটে পরীক্ষা হবে।

মানবিক শাখার আবেদন ফি ১ হাজার ৩২০ টাকা, বাণিজ্য ইউনিটে ১ হাজার ১০০ টাকা এবং বিজ্ঞান ইউনিটে ১ হাজার ৩২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরীক্ষায় থাকবে ১০০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্ন, ৮০টি প্রশ্নের মধ্যে প্রতি চারটি ভুলের জন্য এক নম্বর কাটা যাবে। পাস নম্বর ৪০।

আবেদনের যোগ্যতার বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৪ ও ২০২৫ সালের এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা যোগ্যতা অনুযায়ী আবেদন করতে পারবে। বিজ্ঞান শাখায় ন্যূনতম জিপিএ ৮.০০, মানবিক ও বাণিজ্য শাখায় জিপিএ ৭.০০ থাকতে হবে। ভর্তিসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জয়পুরহাটে চাতালের হাউসে পড়ে প্রাণ গেল শিশুর

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

জয়পুরহাটের কালাই পৌরসভার পাঁচশিরা এলাকায় ‘মেসার্স ভাই ভাই চাউল কল’-এর ধান ভেজানো ও সেদ্ধ করার হাউসের পানিতে পড়ে আবু বক্কর সিদ্দিক (৩) নামে এক শিশু মারা গেছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত শিশু আবু বক্কর সিদ্দিক গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার হাপানিয়া গ্রামের অহিদুল ইসলামের ছেলে।

কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানা গেছে, নিহত শিশুর মা-বাবা ওই চাতালে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। প্রতিদিনের মতো তাঁরা বিকেলে কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এ সময় সবার অজান্তে শিশুটি ধান সেদ্ধ করার হাউসের পাশে খেলতে গিয়ে পানিতে পড়ে যায়।

পরে তাকে না পেয়ে স্বজনেরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে হাউসের পানিতে শিশুটিকে ভাসতে দেখে দ্রুত উদ্ধার করে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

স্বামীকে ভিডিও কলে রেখে নারীর আত্মহত্যার চেষ্টা, হাসপাতালে মৃত্যু

বাগেরহাট প্রতিনিধি
স্বামীকে ভিডিও কলে রেখে নারীর আত্মহত্যার চেষ্টা, হাসপাতালে মৃত্যু

বাগেরহাটের মোল্লাহাটে কীটনাশক পান করে পিয়াসী (২২) নামের এক নারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ রোববার গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।

এর আগে গত শুক্রবার নিজ ঘরের দরজা বন্ধ করে স্বামীকে ভিডিও কলে রেখে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই নারী। পরে স্বজনেরা তাঁকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করান।

মৃত পিয়াসী উপজেলার কামারগ্রামের সজীব শেখের স্ত্রী।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সজীব শেখ ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। এর আগেও পিয়াসী বিষ পান করে সে যাত্রায় বেঁচে যান।

এ বিষয়ে মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফজলুল হক বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি, এখন পর্যন্ত ওই পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত