Ajker Patrika

মাদক মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন আরও দুজন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ইসমাইল হোসেন সম্রাট। ফাইল ছবি
ইসমাইল হোসেন সম্রাট। ফাইল ছবি

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট এবং তাঁর সহযোগী এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মাদক মামলায় আরও দুজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। আজ রোববার ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান মজুমদারের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন।

যারা সাক্ষ্য দিয়েছেন তাঁরা হলেন—পুলিশের এসআই মুসা মিয়া এবং ব্যবসায়ী শাহাদাত আলম। দুজনের সাক্ষ্য গ্রহণের শেষে আদালত আগামী ১৪ আগস্ট পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পিপি মাহফুজ হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এই নিয়ে মোট তিনজনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলো এই মামলায়। এর আগে, গত ৭ মে মামলার বাদী র‍্যাব-১ এর তৎকালীন উপপরিচালক (ডিএডি) আব্দুল খালেক সাক্ষ্য দেন। এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়।

২০১৯ সালে ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান চলাকালে ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তাঁর সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। পরে তাঁকে নিয়ে দুপুর দেড়টার দিকে তার কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সম্রাটের কার্যালয়ের ভেতর থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, পিস্তল ও বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণীর চামড়া উদ্ধার করা হয়।

বন্যপ্রাণীর চামড়া রাখার দায়ে সম্রাটকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই দিনই রাত পৌনে ৯টার দিকে সম্রাটকে কারাগারে নেওয়া হয়। ৭ অক্টোবর বিকেলে র‍্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে রমনা থানায় অস্ত্র ও মাদক মামলা করেন।

২০২০ সালের ৬ নভেম্বর অস্ত্র আইনের মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা র‍্যাবের এসআই শেখর চন্দ্র মল্লিক। ওই বছরের ৯ ডিসেম্বর মাদক মামলায় সম্রাট এবং আরমানের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়।

আওয়ামী লীগ আমলেই দীর্ঘসময় সম্রাট কারাগারে ছিলেন। এর মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলাও করা হয়। দীর্ঘদিন কারা ভোগ করার পর আওয়ামী লীগ আমলের শেষ দিকে তাঁর জামিন হয়। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আবার তিনি পলাতক হন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত