Ajker Patrika

বেইলি রোডে ভবনে আগুন: মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ৪ জুন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৬: ১১
বেইলি রোডে ভবনে আগুন: মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ৪ জুন

রাজধানীর বেইলি রোডে কোজি কটেজ ভবনে আগুনে ৪৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৪ জুন তারিখ ধার্য করা হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিন এই তারিখ ধার্য করেন।

আজ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় আদালত নতুন তারিখ ধার্য করেন। আদালতের প্রসিকিউশন দপ্তরের রমনা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই নিজাম উদ্দিন ফকির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনটিতে আগুন লাগে। এ ঘটনায় ৪৬ জন মারা যান। ১১ জন আহত হন। নিহতদের মধ্যে ২০ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী ও ৮ জন শিশু।

এ ঘটনায় ২ মার্চ সকালে রমনা মডেল থানার এসআই মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে অবহেলা জনিত হত্যা মামলাটি করেন।

মামলায় এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন—ভবনটির নিচতলায় থাকা চা-কফির দোকান চুমুকের মালিক আনোয়ারুল হক (২৯), গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের মালিক আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ, ভবনের ম্যানেজার মুন্সি হামিমুল আলম বিপুল (৪০) এবং কাচ্চি ভাই নামে রেস্তোরাঁর মালিক মো. সোহেল সিরাজ (৩৪)। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও বেশ কয়েকজনকে আসামি করা হয়।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ভবনটির মালিক ও ম্যানেজার সংশ্লিষ্ট যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া বেশ কিছু রেস্টুরেন্ট ও দোকান ভাড়া দেন। রেস্টুরেন্টগুলো যথাযথ নিরাপত্তাব্যবস্থা ছাড়া রান্নার কাজে গ্যাসের সিলিন্ডার এবং চুলা ব্যবহার করে। রান্নার কাজে ব্যবহারের জন্য ভবনের মালিক ও ম্যানেজারের যোগসাজশে চুমুক, কাচ্চি ভাই, মেজবানী রেস্টুরেন্ট, খানাস ফ্ল্যাগশিপ, স্ট্রিট ওভেন, জেষ্টি, হাক্কা ঢাক্কা, শেখহলি, ফয়সাল জুসবার (বার্গার), ওয়াফেলবে, তাওয়াজ, পিৎজা-ইন, ফোকো এবং এম্ব্রোশিয়া রেস্তোরাঁর মালিকেরা ভবনটির নিচতলায় বিপুল পরিমাণ গ্যাস সিলিন্ডার মজুত করেন। তাঁরা জননিরাপত্তা তোয়াক্কা না করে অবহেলা, অসাবধানতা, বেপরোয়া ও তাচ্ছিল্যপূর্ণ এবং বিপজ্জনকভাবে এই গ্যাস সিলিন্ডার এবং গ্যাসের চুলা ব্যবহার করে আসছিলেন। এই গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি হয়। এই আগুনের তাপ ও প্রচণ্ড ধোঁয়া পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। যার ফলে বিভিন্ন ফ্লোরে থাকা রেস্টুরেন্ট ও দোকানে অবস্থানকারী লোকজন আগুনে পুড়ে ও ধোঁয়া শ্বাসনালিতে ঢুকে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যান এবং গুরুতর আহত হন।

মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ভবনটি আবাসিক ভবন হিসেবে নির্মিত হলেও পরে মালিক ভবনের বিভিন্ন ফ্লোর ব্যবসায়িক কাজে পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন নেন। ভবনটির যেসব তলায় রেস্তোরাঁ ছিল, সেগুলোতে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারের জন্য ফায়ার সার্ভিসের কোনো অনুমোদন নেয়নি। এ ছাড়া অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা ছিল না। এমনকি ভবনটিতে ফায়ার এক্সিট সিঁড়িও নেই।

এজাহারে আরও বলা হয়েছে, ভবনের মালিক, ম্যানেজার ও রেস্তোরাঁর মালিকেরা ভবন ব্যবহারের যথাযথ নিয়ম মানেননি। তাঁরা আবাসিক ভবনকে বাণিজ্যিক কার্যক্রমের জন্য ভাড়া দিয়েছেন। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) দোকান পরিদর্শকদের ম্যানেজ করে অবৈধভাবে রেস্তোরাঁ স্থাপন করে গ্যাসের চুলা ও সিলিন্ডার ব্যবহার করেছেন।

আগুনের এ ঘটনার পর ভবনের কাচ্চি ভাইয়ের ম্যানেজার জিসান, চা চুমুকের মালিক আনোয়ারুল হক ও শাকিল আহমেদ রিমন এবং গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের ম্যানেজার হামিমুল হক বিপুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অবশেষে সেই শখের হাঁসটি নারীকে ফেরত দিলেন এনজিও কর্মকর্তারা

আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি 
হাফিজা খানমকে হাঁস ফেরত দেন এনজিওর কর্মকর্তা। ছবি: আজকের পত্রিকা
হাফিজা খানমকে হাঁস ফেরত দেন এনজিওর কর্মকর্তা। ছবি: আজকের পত্রিকা

কিস্তির টাকা না পেয়ে নিয়ে যাওয়া সেই চিনা হাঁসটি অবশেষে হাফিজা খানমকে ফেরত দিয়েছেন টিএমএসএস এনজিওর কর্মকর্তারা। আজ শনিবার দুপুরে হাফিজার বাড়িতে এসে তারা হাঁসটি ফেরত দিয়ে যান। একই সঙ্গে হাঁসটি যিনি নিয়ে গিয়েছিলেন, সেই এনজিও কর্মীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী গ্রামের নারী হাফিজা। ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘের (টিএমএসএস) সদস্য তিনি। এনজিওটি থেকে ৬০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ছিলেন তিনি। গত মঙ্গলবার বিকেলে কিস্তির টাকা না পেয়ে তার বাড়ি থেকে একটি চিনা হাঁস নিয়ে যান এনজিওর কর্মী ফিরোজ খাঁন। হাফিজার স্কুলপড়ুয়া মেয়ে শখ করে হাঁসটি পালত। এটি নিয়ে ‘শখের হাঁসটি ধরে নিয়ে গেলেন এনজিও কর্মীরা’ শিরোনামে আজকের পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ ঘটনায় নড়েচড়ে বসে এনজিওটির কর্মকর্তারা।

টিএমএসএস এনজিওর বরিশাল বিভাগীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সফিউর রহমান, মাদারীপুর জোনাল কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, বরিশাল জোনাল কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদসহ চারজন কর্মকর্তা তদন্তের জন্য হাফিজার বাড়িতে আসেন। তাঁরা হাফিজা খানম, তাঁর স্বামী মুরাদ হোসেন ও স্থানীয়দের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেন। এই ঘটনায় অভিযুক্ত মাঠকর্মী ফিরোজ খানকে গত বৃহস্পতিবার সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

হাঁসটি ফেরত পেয়ে হাফিজা বলেন, ‘আমার মেয়ের শখের হাঁসটি ফেরত পেয়ে আমি ও আমার পরিবারের সবাই খুশি হয়েছি।’

এ ব্যাপারে টিএমএসএসের এনজিওর ম্যানেজার মো. রাজেক ইসলাম বলেন, ‘হাফিজা খানমের বাড়ি থেকে ধরে নেওয়া হাঁসটি আজ দুপুরে ফেরত দিয়েছি। মাঠকর্মী ফিরোজ খানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নেত্রকোনায় লরি-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, নিহত ১

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় ইটবোঝাই লরির সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক নারী নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে কলমাকান্দা পূর্ববাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত রোকেয়া আক্তার (৪৫) উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের রামনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি আব্দুল জব্বারের স্ত্রী।

স্থানীয়দের বরাতে কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিদ্দিক হোসেন জানান, রোকেয়া আক্তার তাঁর মেয়ে সাদিয়া আক্তারকে নিয়ে ঢাকা থেকে বাড়ি যাচ্ছিলেন। প্রথমে তিনি মেয়েকে নিয়ে ঢাকা থেকে বাসে করে কলমাকান্দা সদরে পৌঁছান।

পরে তিনি মেয়েকে নিয়ে কলমাকান্দা বাজারের রেন্টিতলা মোড় থেকে ভাড়ায় মোটরসাইকেলে চড়ে রামনাথপুরে নিজ বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। পথে কলমাকান্দা পূর্ববাজার এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা ইটবোঝাই একটি লরির সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

এতে রোকেয়া আক্তার মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে লরির চাকায় চাপা পড়েন। এ সময়  ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান ওসি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় ময়লার গাড়ির চালক কারাগারে

শ্যামপুর-কদমতলী (ঢাকা) প্রতিনিধি 
গ্রেপ্তার চালক মো. রফিকুল ইসলাম (৫০)। ছবি: আজকের পত্রিকা
গ্রেপ্তার চালক মো. রফিকুল ইসলাম (৫০)। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানীর ডেমরায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ময়লাবাহী গাড়ির ধাক্কায় দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার চালক মো. রফিকুল ইসলামকে (৫০) কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ শনিবার বিকেলে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এই নির্দেশ দেন।

এর আগে, গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ডেমরা থানা-পুলিশ।

এ ঘটনায় নিহত তাহসিন ইসলাম তপুর চাচা মো. মেহেদী হাসান শুক্রবার বিকেলে ডেমরা থানায় মামলা করেন। গ্রেপ্তার রফিকুল ইসলাম কুমিল্লার মেঘনা থানার গোবিন্দপুর গ্রামের আবেদ আলী ব্যাপারীর ছেলে। বর্তমানে রাজধানীর মতিঝিল আর কে মিশন রোড ৯৭/২ গোপীবাগের বাসিন্দা তিনি। গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ধার্মিকপাড়া এলাকার মিনি কক্সবাজার সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত শিক্ষার্থীরা হলেন আইইউবির শিক্ষার্থী তাহসিন ইসলাম তপু (২২) চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানার ছোট কিনাচর গ্রামের মৃত জহিরুল ইসলামের ছেলে। অপরজন ইউআইইউর শিক্ষার্থী গাজী ইরাম রিদওয়ান (২৪) নারায়ণগঞ্জের সদর থানার মিজমিজি খদ্দঘোষপাড়া কান্দাপাড়া গ্রামের জিএম হাবিব উল্লাহর ছেলে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, বন্ধুর বড় ভাইয়ের বিয়ের গায়েহলুদ অনুষ্ঠান শেষে মোটরসাইকেলে করে ফেরার পথে ডিএসসিসির ময়লাবাহী গাড়িটি (ঢাকা মেট্রো-শ-১৪-০৫৭৪) বেপরোয়া গতিতে চালালে মোটরসাইকেলটির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেলে থাকা দুই আরোহী গুরুতর আহত হন। এ সময় তাঁদের সঙ্গের বন্ধুরা উদ্ধার ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাহসিন ইসলাম তপুকে প্রথমে মৃত ঘোষণা করেন। পরে গাজী ইরাম রিদওয়ানের চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাড়ে ৫টায় মৃত্যু হয়।

এদিকে দুর্ঘটনার পরই গাড়ির চালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে ডেমরা থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ময়লাবাহী গাড়ি ও মোটরসাইকেল জব্দ করে।

এ বিষয়ে ডেমরা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মুরাদ হোসেন বলেন, ‘মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনার পরে মামলা নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। পরে আদালত তাকে শনিবার বিকেলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাকসুর জিএসকে ‘হত্যার হুমকি’ দিয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার ফেসবুক পোস্ট

রাবি প্রতিনিধি  
আসাদুল্লা-হিল-গালিব । ছবি: সংগৃহীত
আসাদুল্লা-হিল-গালিব । ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মারকে ‘হত্যার হুমকি’ দিয়েছেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখার সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব।

শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে তিনি এ হুমকি দেন। ওই পোস্টে সম্মতি জানিয়েছেন রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু।

ফেসবুক পোস্টে ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম ও বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে আসাদুল্লা-হিল-গালিব লেখেন, ‘দয়া করে আমার ক্যাম্পাসটাকে কেউ কিছু করবেন না, অনুরোধ রইল। ওইটা শুধু আমার আর আমার ভাই মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর ভাগ।’

পোস্টে রাকসু জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারকে উদ্দেশ করে তিনি লেখেন, ‘ছোটভাই, প্রটেকশন বাড়াও। ৮০ সিসি বাইক নিয়ে একা একা ঘোরাঘুরি করো না। আর তোমার আব্বা সাদিক কায়েম হেলিকপ্টারে যাতায়াত করে, তুমি অন্তত প্লেনে ঢাকা যাবা। তা নাহলে যমুনার আগে ও পরে একটা কিছু হলেও হতে পারে। আমি চাই তুমি বেঁচে থাকো, অনেক হিসাব আছে।’

ওই পোস্টে মন্তব্য করেছেন রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু। মন্তব্যে মোস্তাফিজুর রহমান বাবু লেখেন, ‘আল্লাহর কাছে দোয়া করো যেন ওকে বাঁচিয়ে রাখে।’

এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় রাকসু জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘পোস্টটি আমি এখনো দেখি নাই। তবে একজনের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পেজ থেকে মাঝেমধ্যেই এ ধরনের পোস্ট করে বলা হয়—নেক্সট টার্গেট আমি। এগুলো আমার কাছে খুব একটা কনসার্নের বিষয় না।’

আম্মার বলেন, ‘আল্লাহর দেওয়া জান আল্লাহই নিয়ে যাবেন। এ জন্য আমি ঘর থেকে বের হবো না বা প্রোটোকল বাড়াবো, এমন কিছু না। আমি এ ধরনের হুমকিতে ন্যূনতম ভীত-সন্ত্রস্ত নই। আমি আমার কাজ করে যেতে চাই।’

গালিবের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ ক্ষমতায় থাকাকালীনও তার কোনো পাওয়ার ছিল না। এরকম একজনের পোস্টকে গুরুত্ব দেওয়া মানেই তাকে গুরুত্ব দেওয়া। তাই এসব হুমকিতে ভীত হওয়াটা আমার জন্য সময়ের অপচয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত