Ajker Patrika

জবির সাবেক অধ্যাপক আনোয়ারার জামিন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০২ জুন ২০২৫, ১৯: ৫৭
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আনোয়ারা বেগমকে বৃহস্পতিবার কারাগারে পাঠানো হয়। ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণে। ছবি: সংগৃহীত
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আনোয়ারা বেগমকে বৃহস্পতিবার কারাগারে পাঠানো হয়। ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণে। ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লার দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আনোয়ারা বেগমকে জামিন দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান তাঁকে জামিন দেন।

আনোয়ারা বেগমের পক্ষে তাঁর আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। তাঁর পক্ষে ১১ জন আইনজীবী শুনানি করেন। তারা প্রত্যেকেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র বলে জানা গেছে। আদালত আনোয়ারা বেগমের বয়স ও শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় জামিন দিয়েছেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি শামসুজ্জামান দিপু জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে, গত ২৯ মে আনোয়ারা বেগমকে কারাগারে পাঠানো হয়। তাঁকে জামিন না দেওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ও বিভিন্ন সংগঠন ব্যাপক সমালোচনা করেন। এরপর চার দিন কারাগারে থাকার পর তিনি জামিন পেলেন।

গত ২৮ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে এই হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা গুলিবিদ্ধ হওয়ায় ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়টির অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক কর্মকর্তা ও সাবেক-বর্তমান ছাত্রলীগের ৯৪ জনসহ ১৯৩ জনের বিরুদ্ধে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার আদালতে মামলা করেন সুজন মোল্লা নিজে। পরে আদালতের নির্দেশে ২৫ ফেব্রুয়ারি সূত্রাপুর থানায় মামলাটি রুজু হয়।

মামলায় শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া আসামি করা হয়েছে—সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক তথ্যমন্ত্রী আরাফাত এ রহমান ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসকে।

পাশাপাশি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জন শিক্ষককেও মামলায় আসামি করা হয়েছে। তাঁরা হলেন—রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. অরুণ কুমার গোস্বামী ও ড. আনোয়ারা বেগম, জবি নীল দলের অধ্যাপক ড. জাকারিয়া মিয়া, সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল, সহকারী প্রক্টর নিউটন হাওলাদার, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মিলটন বিশ্বাস, ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. কামাল হোসেন, আইইআর বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফারুক আহমেদ, অগাস্টিন পিউরিফিকেশন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবু সালেহ সেকেন্দার।

আসামি জবির পাঁচ কর্মকর্তা হলেন—বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি কাজী মনির, ডেপুটি রেজিস্ট্রার আলতাফ হোসেন ও ইমরান হোসেন ইমন, ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টোর কিপার পদে নিয়োজিত কর্মকর্তা টুটুল আহমেদ, জবি ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ও স্টোরকিপার সুমন হাসান সোহান।

আসামির তালিকায় সাবেক-বর্তমান ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে রয়েছেন—শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজি, সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, সহসভাপতি কামরুল হাসান, সাবেক সভাপতি তরিকুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদীন রাসেল, সাবেক সভাপতি সিরাজুল ইসলাম ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলামসহ প্রমুখ।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৯ জুলাই ঢাকা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিপরীত পাশে স্টার হোটেলের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল। এ সময় আসামিরা পরিকল্পিতভাবে ওই আন্দোলনে গুলিবর্ষণ ও মারপিট করে। এ ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা চোখে গুলিবিদ্ধ হন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত