Ajker Patrika

আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের এক সদস্যের ৭ বছরের কারাদণ্ড

ফরিদপুর প্রতিনিধি
আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের এক সদস্যের ৭ বছরের কারাদণ্ড

ফরিদপুরে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য মো. সালাউদ্দিন ওরফে ক্ষণিকের মুসাফির (২৬) নামে এক যুবককে ৭ বছর ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ফরিদপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজের প্রথম আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এই রায় দেন। একই সঙ্গে পৃথক দুটি ধারায় ২০ হাজার ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও চার মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। 

দণ্ডপ্রাপ্ত যুবক জেলার সালথা উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর বিশ্বাসের ছেলে এবং নগরকান্দা উপজেলার শাকপালদিয়া আনোয়ারুল উলুম মাদ্রাসার ছাত্র। তিনি ক্ষণিকের মুসাফির নামে ফেসবুক আইডি থেকে জঙ্গি কার্যক্রম ও সরকার বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন বলে আদালত জানায়। 

আদালত সূত্রে জানা যায়, মো. সালাউদ্দিন ওরফে ক্ষণিকের মুসাফিরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইন (২০০৯) এর ৮ ধারা প্রমাণিত হওয়ায় ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৯ ধারা প্রমাণিত হওয়ায় ৬ মাসের কারাদণ্ডসহ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। 

এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে পুলিশের এন্ট্রি টেররিজমের অভিযোগের সন্ত্রাস বিরোধী আইনের ১০,১১ ও ১৩ ধারা প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস প্রদান করা হয়। রায় ঘোষণার সময় তাকে পুলিশ প্রহরায় আদালতে হাজির করা হয় এবং রায় ঘোষণা শেষে কারাগারে পাঠানো হয়। 

এর আগে ২০২০ সালের ১৮ আগস্ট নগরকান্দা উপজেলার মাঝিকান্দা এলাকা থেকে পুলিশের এন্ট্রি টেররিজম ইউনিট তাকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার কাছ থেকে চারটি উগ্রবাদী বই জব্দ করা হয়। পরদিন নগরকান্দা থানায় পুলিশের এন্ট্রি টেররিজম ইউনিটের উপপরিদর্শক জিসান আহমেদ বাদী হয়ে সন্ত্রাস বিরোধী আইন (২০০৯) এর পাঁচটি ধারায় মামলা দায়ের করেন। 

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, সালাউদ্দিন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের একজন প্রশিক্ষিত সদস্য। তিনিসহ সক্রিয় কয়েকজন সদস্য রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র, হত্যা, দেশে অস্থিরতা, সাইবার স্পেসের মাধ্যমে জঙ্গি প্রচার-প্রচারণা, জননিরাপত্তা বিপন্ন করা, জনমনে ত্রাস ও আতঙ্ক সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও প্রস্তুতির জন্য নিয়মিত একত্রিত হতো। 

তিনি ক্ষণিকের মুসাফির ও খনিকের মুসাফির নামে দুটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে এসব কার্যক্রম চালাতেন। তার মূল উদ্দেশ্য ছিল ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠা করা। তারা হিন্দের সৈনিক নামে আরেকটি ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে মতবাদ প্রচার করত। এমনকি অস্ত্র ও বোমা সংগ্রহের চেষ্টা করত। এ ছাড়া সিকিউর অ্যাপসের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করত। 

এদিকে রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন দণ্ডপ্রাপ্ত মো. সালাউদ্দিনের বাবা জাহাঙ্গীর বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে নির্দোষ এবং সহজ সরল মানুষ। ওরে মাওলানা বানিয়েছি। হঠাৎ পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। আজ ৪ বছর যাবৎ বিভিন্ন জায়গা দৌড়াতে দৌড়াতে আমি রাস্তার ফকির হয়ে গেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত