কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
সেনাবাহিনী অথবা পুলিশে চাকরির স্বপ্ন দেখতেন মো. রাকিব। সেভাবে নিজেকে তৈরিও করছিলেন। কিন্তু একটি গুলি দুঃস্বপ্ন করে দিয়েছে সেই স্বপ্ন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন রাকিব। ওই আন্দোলনের ফলে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। কিন্তু আগের দিন ৪ আগস্ট বাঁ চোখে গুলিবিদ্ধ হন রাকিব। এরপর রাজধানীর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও সিএমএইচে চিকিৎসা নিয়েছেন। তিনবার অস্ত্রোপচারও করা হয়েছে; কিন্তু গুলি বের করা সম্ভব হয়নি। চিকিৎসকেরা উন্নত চিকিৎসার কথা জানালেও অর্থাভাবে তা হচ্ছে না।
রাকিব কিশোরগঞ্জ পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কানিকাটা বন্দের বাড়ির মো. রাজিবের ছেলে। ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবেন করিমগঞ্জ সরকারি কলেজ থেকে। তিন ভাই, এক বোনের মধ্যে বড় রাকিব। তাই রাকিবকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতেন তাঁর মা-বাবাও।
অটোরিকশাচালক রাজিবের সংসারে অনটন থাকলেও ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার প্রতি খুবই আন্তরিক। তাই রাকিবকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যেতে নিষেধ করেছিলেন।
স্বজনেরা জানান, কিশোরগঞ্জ শহরে ৪ আগস্ট দিনভর ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাসের শেল, সাউন্ড গ্রেনেডসহ শটগানের গুলি ছোড়ে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে স্টেশন রোডে অবস্থিত আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের পাশে খড়মপট্টি অভিমুখের রাস্তায় পড়ে যাওয়া অন্য একজনকে টেনে তুলতে গিয়ে একটি ছররা গুলি চোখে লাগে। আরও বেশ কয়েকটি গুলি লাগে বুকে ও গলায়। শরীরের গুলিগুলো বের করা গেলেও বাঁ চোখে লাগা গুলি যেন চিরস্থায়ী আসন গেড়েছে।
রাকিব বলেন, ‘ওই চোখে এখন কিছুই দেখতে পারি না। তিনবার অপারেশনের পরও চোখের গুলি বের করা সম্ভব হয়নি। ইচ্ছা ছিল পড়াশোনা করে সেনাবাহিনী অথবা পুলিশে চাকরি করার। কিন্তু চোখ নষ্ট হওয়ায় এখন তা আর পূরণ হবে না।’
রাকিব আরও বলেন, ‘এখন ডান চোখও ব্যথা করে। বাকি জীবন চোখের ড্রপ ব্যবহার করতে হবে। ডাক্তার বলেছেন, গুলি বের না করতে পারলেও সমস্যা নেই; কিন্তু আমার চোখে সমস্যা হচ্ছে।’
রাকিবের মা রাবেয়া বলেন, ‘আমি বারবার নিষেধ করার পরেও লুকিয়ে আন্দোলনে গিয়ে আহত হয়েছে। আমার ছেলের চোখের অবস্থা ভালো না। উন্নত চিকিৎসা পেলে অন্তত অন্ধত্ব থেকে বাঁচবে। বড় ছেলেটাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল। সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে। আমি সরকারের কাছে একটাই দাবি জানাই—আমার ছেলের চোখের গুলি যেন বের করে দেওয়া হয়।’
জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান বলেন, যাঁরা জুলাই-আগস্টে আহত হয়েছেন এবং বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন, তাঁদের তালিকা এসেছে। এখন আন্দোলনে আহতদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই চলছে।
সেনাবাহিনী অথবা পুলিশে চাকরির স্বপ্ন দেখতেন মো. রাকিব। সেভাবে নিজেকে তৈরিও করছিলেন। কিন্তু একটি গুলি দুঃস্বপ্ন করে দিয়েছে সেই স্বপ্ন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন রাকিব। ওই আন্দোলনের ফলে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। কিন্তু আগের দিন ৪ আগস্ট বাঁ চোখে গুলিবিদ্ধ হন রাকিব। এরপর রাজধানীর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও সিএমএইচে চিকিৎসা নিয়েছেন। তিনবার অস্ত্রোপচারও করা হয়েছে; কিন্তু গুলি বের করা সম্ভব হয়নি। চিকিৎসকেরা উন্নত চিকিৎসার কথা জানালেও অর্থাভাবে তা হচ্ছে না।
রাকিব কিশোরগঞ্জ পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কানিকাটা বন্দের বাড়ির মো. রাজিবের ছেলে। ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবেন করিমগঞ্জ সরকারি কলেজ থেকে। তিন ভাই, এক বোনের মধ্যে বড় রাকিব। তাই রাকিবকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতেন তাঁর মা-বাবাও।
অটোরিকশাচালক রাজিবের সংসারে অনটন থাকলেও ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার প্রতি খুবই আন্তরিক। তাই রাকিবকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যেতে নিষেধ করেছিলেন।
স্বজনেরা জানান, কিশোরগঞ্জ শহরে ৪ আগস্ট দিনভর ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাসের শেল, সাউন্ড গ্রেনেডসহ শটগানের গুলি ছোড়ে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে স্টেশন রোডে অবস্থিত আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের পাশে খড়মপট্টি অভিমুখের রাস্তায় পড়ে যাওয়া অন্য একজনকে টেনে তুলতে গিয়ে একটি ছররা গুলি চোখে লাগে। আরও বেশ কয়েকটি গুলি লাগে বুকে ও গলায়। শরীরের গুলিগুলো বের করা গেলেও বাঁ চোখে লাগা গুলি যেন চিরস্থায়ী আসন গেড়েছে।
রাকিব বলেন, ‘ওই চোখে এখন কিছুই দেখতে পারি না। তিনবার অপারেশনের পরও চোখের গুলি বের করা সম্ভব হয়নি। ইচ্ছা ছিল পড়াশোনা করে সেনাবাহিনী অথবা পুলিশে চাকরি করার। কিন্তু চোখ নষ্ট হওয়ায় এখন তা আর পূরণ হবে না।’
রাকিব আরও বলেন, ‘এখন ডান চোখও ব্যথা করে। বাকি জীবন চোখের ড্রপ ব্যবহার করতে হবে। ডাক্তার বলেছেন, গুলি বের না করতে পারলেও সমস্যা নেই; কিন্তু আমার চোখে সমস্যা হচ্ছে।’
রাকিবের মা রাবেয়া বলেন, ‘আমি বারবার নিষেধ করার পরেও লুকিয়ে আন্দোলনে গিয়ে আহত হয়েছে। আমার ছেলের চোখের অবস্থা ভালো না। উন্নত চিকিৎসা পেলে অন্তত অন্ধত্ব থেকে বাঁচবে। বড় ছেলেটাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল। সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে। আমি সরকারের কাছে একটাই দাবি জানাই—আমার ছেলের চোখের গুলি যেন বের করে দেওয়া হয়।’
জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান বলেন, যাঁরা জুলাই-আগস্টে আহত হয়েছেন এবং বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন, তাঁদের তালিকা এসেছে। এখন আন্দোলনে আহতদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই চলছে।
পুরোপুরি পাকেনি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের হাওরের ধান। তবে অকালবন্যার শঙ্কায় ১ বৈশাখ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ধান কাটা শুরু হয়েছে। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, ইতিমধ্যে ৩০ ভাগের বেশি জমির বোরো ফসল ঘরে তুলেছেন কৃষক।
৩ মিনিট আগেবরগুনার আমতলী উপজেলার খেকুয়ানী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবনের নিচতলায় বসছে পানের বাজার। খেকুয়ানী বাজারের ইজারাদার শাহ আলম শিকদার এ বাজার বসাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরার রেসিডেনসিয়াল ল্যাবরেটরি কলেজে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কলেজের চেয়ারম্যানের যাচ্ছেতাই নিয়মে চলছে প্রতিষ্ঠানটি। দুটি বিষয়ের মাত্র তিনজন শিক্ষক দিয়ে চলছে কলেজটির শিক্ষা কার্যক্রম।
২ ঘণ্টা আগেভারতীয় চেইন হসপিটাল ফর্টিস এসকর্টস হার্ট ইনস্টিটিউটের নাম ভাঙিয়ে শতকোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে এএফসি হেলথ লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। প্রতিষ্ঠানটি ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও কুমিল্লায় ‘ফর্টিস’ নামে চারটি শাখা
২ ঘণ্টা আগে