নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ও কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি
আর কয়েক দিন পরেই ঈদ। শুরু হয়েছে ঈদের ছুটি। আগামীকাল শুক্রবার থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৯ দিনের ছুটি কাটাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা। এতে প্রিয়জনের কাছে যেতে শহর ছেড়ে গ্রামে ফিরছে নগরবাসী। আজ বৃহস্পতিবার শেষ কর্মদিবসে বিকেলের পর থেকে রাজধানী ছাড়তে বাস ও ট্রেন স্টেশনে ঘরমুখী মানুষের ঢল নেমেছে। তবে লঞ্চে যাত্রীদের চাপ নেই। মহাসড়কে বড় যানজট না হলেও, রাজধানী থেকে বের হতে যানজটে আটকে থাকতে হচ্ছে যাত্রীদের।
আজ বাস টার্মিনালগুলোতে যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। কাউন্টারের সামনে এবং ট্রেন স্টেশনগুলোতে অপেক্ষমাণ মানুষদের ভিড় ছিল। লঞ্চ টার্মিনালে ভিড় থাকলেও স্বাভাবিকভাবে ছেড়ে গেছে বেশির ভাগ লঞ্চ। রাজধানী ছাড়তে ঝক্কি-ঝামেলা থাকলেও ঈদের আনন্দে বাড়ি ফেরা মানুষদের মুখে ছিল আনন্দের ছাপ।
আজ কমলাপুর থেকে প্রায় ৬৭টি ট্রেন বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে গেছে। এর মধ্যে ৪৩টি আন্তনগর, ২৪টি মেইল কমিউটার। এসব ট্রেনের সঙ্গে দুটি বিশেষ ট্রেনও যুক্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে ট্রেনে প্রতিদিন ৫০ হাজার যাত্রী পরিবহন করছে রেল।
কমলাপুর রেলস্টেশনে সরেজমিন দেখা যায়, নীলসাগর এক্সপ্রেস, কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস, রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস এবং নকশিকাঁথা এক্সপ্রেস ট্রেন এক থেকে দেড় ঘণ্টা বিলম্বে গন্তব্যে যাত্রা করেছে। এতে এসব ট্রেনের যাত্রীদের কিছুটা ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী নীলা চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে ট্রেন ছাড়ার কথা। বাসা থেকে ভোরে রওনা হয়ে কমলাপুর এসেছি। কিন্তু এসে দেখি ট্রেনটি সময়মতো ছাড়েনি। ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করা ভোগান্তিকর। এমনিতেই স্টেশনে যাত্রীর চাপ বেশি, তারপরে আবার বসে থাকাটা কষ্টকর।’
ট্রেনগুলো বিলম্বে যাত্রা করার বিষয় স্টেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্রেনগুলো দেরি করে কমলাপুরে আসাতে দেরি করে ছাড়তে হয়েছে।
রেলস্টেশন ঘুরে আরও দেখা যায়, যাত্রীদের চাপ বাড়তে থাকায় বাড়তি কড়াকড়ি আরোপ করেছে স্টেশন কর্তৃপক্ষ। তিন স্তরের চেকিং শেষে যাত্রীকে স্টেশনের মধ্যে ঢুকতে হচ্ছে। টিকিট ছাড়া কাউকে স্টেশনে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
কমলাপুর রেলস্টেশনের ৭ নম্বর প্ল্যাটফর্মে একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী এনামুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনেক কষ্ট করে অনলাইনে টিকিট কেটেছি। তবে এবার চেকিং ব্যবস্থা ভালো। টিকিট ছাড়া কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না। এতে করে আমার সিটে আমি সুন্দরমতো উঠতে পেরেছি এবং যেতে পারছি। অন্যবার যাত্রীর চাপে নিজের সিটেই ওঠা যায় না।’
এদিকে কমিউটার ট্রেনের টিকিট কাউন্টারের সামনে যাত্রীদের টিকিট কাটার জন্য দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। আন্তনগর ট্রেনের টিকিট না পাওয়ায় অনেক যাত্রী কমিউটার ট্রেনের দিকে ঝুঁকছেন।
সার্বিক বিষয়ে কমলাপুর রেলস্টেশনে স্টেশন ম্যানেজার মো. শাহাদাত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজকে যাত্রীর চাপ বাড়বে। বিষয়টি মাথায় রেখে আমাদের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। টিকিট ছাড়া কোনো যাত্রীকে স্টেশনে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। যাত্রীদের আরামদায়ক ও নিরাপদ ভ্রমণের জন্যই বিনা টিকিটের বিষয়টি কাড়াকাড়ি আরোপ করা হয়েছে। বিকেলের পরে যাত্রীদের চাপ বাড়লেও কেউ যেন ট্রেনের ছাদে উঠতে না পারে, সে বিষয়েও নজর রাখা হচ্ছে। বেশির ভাগ ট্রেন নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যাচ্ছে। আশা করি যাত্রীদের ভোগান্তি হবে না।’
মহাসড়কে নেই ভোগান্তি
রাজধানী ছাড়তে বাসের যাত্রীরা গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে ভিড় জমিয়েছে। রাজধানী থেকে বের হওয়ার মুখগুলোতে যানজট হওয়ার কারণে টার্মিনাল থেকে গাড়িগুলো বের হতে সময় লাগছে। এতে বাসের কাউন্টারে যাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে কাঙ্ক্ষিত বাসে ওঠার জন্য।
গতকাল সকালের দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে মদনপুর থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ঢাকায় ট্রাক ঢুকতে না দেওয়ার কারণে এই মহাসড়কে জট তৈরি হয়েছিল।
আজ বিকেলের পর থেকে সব মহাসড়কে গাড়ির চাপ বেড়েছে, তবে কোথাও বড় ধরনের যানজটের খবর পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া ঈদযাত্রায় এখনো ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়নি। মহাসড়কে জট না থাকায় অনেকটা স্বস্তিতেই গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে যাত্রীরা।
এদিকে গতকাল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গণি বলেছেন, ‘ঈদে অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটবে না। ঈদকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনেক সতর্ক থাকবে। ঈদের ছুটিতে বিপুলসংখ্যক মানুষ ঢাকা থেকে গ্রামে যাবে। তাদের যাত্রাটা আনন্দদায়ক করার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। হাইওয়ে পুলিশ খুব সচল রয়েছে।’
গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা সেতু দিয়ে ৩৩ হাজার ৭৬৬টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৭৮ লাখ ৯৯ হাজার ৯০০ টাকা। ঈদ সামনে রেখে দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশদ্বার পদ্মা সেতুতে গেল ২৪ ঘণ্টায় ৩ কোটি ২৩ লাখ ৮৭ হাজার ২০০ টাকার টোল আদায় হয়েছে। এ সময়ে সেতু দিয়ে পার হয়েছে মোট ২৬ হাজার ৪২৮টি যানবাহন।
সড়কপথে ঈদযাত্রার বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান মো. ইয়াসীন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ঈদযাত্রা নির্বিঘ্নভাবেই চলছে সড়কপথে। আমাদের ব্যবস্থাপনা অনুযায়ী কাজ হচ্ছে। টার্মিনালগুলোতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা আদালত পরিচালনা করছে। বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ পেলে জরিমানা করা হচ্ছে। আশা করছি, সড়কপথে এবার ঈদযাত্রা ভোগান্তি ছাড়াই শেষ হবে।’
সদরঘাটে ভিড় নেই
প্রতিবছর এ সময়ে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় থাকলেও এ বছর ঢাকা নদীবন্দর সদরঘাট টার্মিনালে নেই সেই চিরচেনা ভিড়। তবে এবার উপচে পড়া ভিড় না থাকায় স্বস্তি প্রকাশ করছে যাত্রীরা।
বিআইডব্লিউটিএ ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আজ বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ৩৩টি যাত্রীবাহী লঞ্চ সদরঘাট টার্মিনাল ছেড়ে বিভিন্ন গন্তব্যে চলে গেছে। অন্যদিকে টার্মিনালে ভিড়েছে ৭৮টি লঞ্চ। এ ছাড়া এ বছর ঈদযাত্রায় প্রায় ১৭৫টি লঞ্চ যাত্রীসেবা দিচ্ছে।
লঞ্চমালিকদের সংগঠন অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল ও যাত্রী পরিবহন (যাপ) সংস্থার সদস্য হামজা লাল শেখ বলেন, ‘টার্মিনালে যাত্রীদের তেমন চাপ নেই। তবে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আমাদের ১৭৫টি লঞ্চ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যাত্রীদের উপস্থিতির ওপর নির্ভর করে বিশেষ লঞ্চের ব্যবস্থা করা হবে।’
বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক মোবারক হোসেন বলেন, টার্মিনালে এখনো যাত্রী চাপ হয়নি। তবে যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তা ও সেবা নিশ্চিতে ইতিমধ্যে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আর কয়েক দিন পরেই ঈদ। শুরু হয়েছে ঈদের ছুটি। আগামীকাল শুক্রবার থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৯ দিনের ছুটি কাটাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা। এতে প্রিয়জনের কাছে যেতে শহর ছেড়ে গ্রামে ফিরছে নগরবাসী। আজ বৃহস্পতিবার শেষ কর্মদিবসে বিকেলের পর থেকে রাজধানী ছাড়তে বাস ও ট্রেন স্টেশনে ঘরমুখী মানুষের ঢল নেমেছে। তবে লঞ্চে যাত্রীদের চাপ নেই। মহাসড়কে বড় যানজট না হলেও, রাজধানী থেকে বের হতে যানজটে আটকে থাকতে হচ্ছে যাত্রীদের।
আজ বাস টার্মিনালগুলোতে যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। কাউন্টারের সামনে এবং ট্রেন স্টেশনগুলোতে অপেক্ষমাণ মানুষদের ভিড় ছিল। লঞ্চ টার্মিনালে ভিড় থাকলেও স্বাভাবিকভাবে ছেড়ে গেছে বেশির ভাগ লঞ্চ। রাজধানী ছাড়তে ঝক্কি-ঝামেলা থাকলেও ঈদের আনন্দে বাড়ি ফেরা মানুষদের মুখে ছিল আনন্দের ছাপ।
আজ কমলাপুর থেকে প্রায় ৬৭টি ট্রেন বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে গেছে। এর মধ্যে ৪৩টি আন্তনগর, ২৪টি মেইল কমিউটার। এসব ট্রেনের সঙ্গে দুটি বিশেষ ট্রেনও যুক্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে ট্রেনে প্রতিদিন ৫০ হাজার যাত্রী পরিবহন করছে রেল।
কমলাপুর রেলস্টেশনে সরেজমিন দেখা যায়, নীলসাগর এক্সপ্রেস, কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস, রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস এবং নকশিকাঁথা এক্সপ্রেস ট্রেন এক থেকে দেড় ঘণ্টা বিলম্বে গন্তব্যে যাত্রা করেছে। এতে এসব ট্রেনের যাত্রীদের কিছুটা ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী নীলা চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে ট্রেন ছাড়ার কথা। বাসা থেকে ভোরে রওনা হয়ে কমলাপুর এসেছি। কিন্তু এসে দেখি ট্রেনটি সময়মতো ছাড়েনি। ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করা ভোগান্তিকর। এমনিতেই স্টেশনে যাত্রীর চাপ বেশি, তারপরে আবার বসে থাকাটা কষ্টকর।’
ট্রেনগুলো বিলম্বে যাত্রা করার বিষয় স্টেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্রেনগুলো দেরি করে কমলাপুরে আসাতে দেরি করে ছাড়তে হয়েছে।
রেলস্টেশন ঘুরে আরও দেখা যায়, যাত্রীদের চাপ বাড়তে থাকায় বাড়তি কড়াকড়ি আরোপ করেছে স্টেশন কর্তৃপক্ষ। তিন স্তরের চেকিং শেষে যাত্রীকে স্টেশনের মধ্যে ঢুকতে হচ্ছে। টিকিট ছাড়া কাউকে স্টেশনে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
কমলাপুর রেলস্টেশনের ৭ নম্বর প্ল্যাটফর্মে একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী এনামুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনেক কষ্ট করে অনলাইনে টিকিট কেটেছি। তবে এবার চেকিং ব্যবস্থা ভালো। টিকিট ছাড়া কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না। এতে করে আমার সিটে আমি সুন্দরমতো উঠতে পেরেছি এবং যেতে পারছি। অন্যবার যাত্রীর চাপে নিজের সিটেই ওঠা যায় না।’
এদিকে কমিউটার ট্রেনের টিকিট কাউন্টারের সামনে যাত্রীদের টিকিট কাটার জন্য দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। আন্তনগর ট্রেনের টিকিট না পাওয়ায় অনেক যাত্রী কমিউটার ট্রেনের দিকে ঝুঁকছেন।
সার্বিক বিষয়ে কমলাপুর রেলস্টেশনে স্টেশন ম্যানেজার মো. শাহাদাত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজকে যাত্রীর চাপ বাড়বে। বিষয়টি মাথায় রেখে আমাদের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। টিকিট ছাড়া কোনো যাত্রীকে স্টেশনে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। যাত্রীদের আরামদায়ক ও নিরাপদ ভ্রমণের জন্যই বিনা টিকিটের বিষয়টি কাড়াকাড়ি আরোপ করা হয়েছে। বিকেলের পরে যাত্রীদের চাপ বাড়লেও কেউ যেন ট্রেনের ছাদে উঠতে না পারে, সে বিষয়েও নজর রাখা হচ্ছে। বেশির ভাগ ট্রেন নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যাচ্ছে। আশা করি যাত্রীদের ভোগান্তি হবে না।’
মহাসড়কে নেই ভোগান্তি
রাজধানী ছাড়তে বাসের যাত্রীরা গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে ভিড় জমিয়েছে। রাজধানী থেকে বের হওয়ার মুখগুলোতে যানজট হওয়ার কারণে টার্মিনাল থেকে গাড়িগুলো বের হতে সময় লাগছে। এতে বাসের কাউন্টারে যাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে কাঙ্ক্ষিত বাসে ওঠার জন্য।
গতকাল সকালের দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে মদনপুর থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ঢাকায় ট্রাক ঢুকতে না দেওয়ার কারণে এই মহাসড়কে জট তৈরি হয়েছিল।
আজ বিকেলের পর থেকে সব মহাসড়কে গাড়ির চাপ বেড়েছে, তবে কোথাও বড় ধরনের যানজটের খবর পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া ঈদযাত্রায় এখনো ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়নি। মহাসড়কে জট না থাকায় অনেকটা স্বস্তিতেই গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে যাত্রীরা।
এদিকে গতকাল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গণি বলেছেন, ‘ঈদে অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটবে না। ঈদকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনেক সতর্ক থাকবে। ঈদের ছুটিতে বিপুলসংখ্যক মানুষ ঢাকা থেকে গ্রামে যাবে। তাদের যাত্রাটা আনন্দদায়ক করার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। হাইওয়ে পুলিশ খুব সচল রয়েছে।’
গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা সেতু দিয়ে ৩৩ হাজার ৭৬৬টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৭৮ লাখ ৯৯ হাজার ৯০০ টাকা। ঈদ সামনে রেখে দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশদ্বার পদ্মা সেতুতে গেল ২৪ ঘণ্টায় ৩ কোটি ২৩ লাখ ৮৭ হাজার ২০০ টাকার টোল আদায় হয়েছে। এ সময়ে সেতু দিয়ে পার হয়েছে মোট ২৬ হাজার ৪২৮টি যানবাহন।
সড়কপথে ঈদযাত্রার বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান মো. ইয়াসীন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ঈদযাত্রা নির্বিঘ্নভাবেই চলছে সড়কপথে। আমাদের ব্যবস্থাপনা অনুযায়ী কাজ হচ্ছে। টার্মিনালগুলোতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা আদালত পরিচালনা করছে। বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ পেলে জরিমানা করা হচ্ছে। আশা করছি, সড়কপথে এবার ঈদযাত্রা ভোগান্তি ছাড়াই শেষ হবে।’
সদরঘাটে ভিড় নেই
প্রতিবছর এ সময়ে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় থাকলেও এ বছর ঢাকা নদীবন্দর সদরঘাট টার্মিনালে নেই সেই চিরচেনা ভিড়। তবে এবার উপচে পড়া ভিড় না থাকায় স্বস্তি প্রকাশ করছে যাত্রীরা।
বিআইডব্লিউটিএ ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আজ বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ৩৩টি যাত্রীবাহী লঞ্চ সদরঘাট টার্মিনাল ছেড়ে বিভিন্ন গন্তব্যে চলে গেছে। অন্যদিকে টার্মিনালে ভিড়েছে ৭৮টি লঞ্চ। এ ছাড়া এ বছর ঈদযাত্রায় প্রায় ১৭৫টি লঞ্চ যাত্রীসেবা দিচ্ছে।
লঞ্চমালিকদের সংগঠন অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল ও যাত্রী পরিবহন (যাপ) সংস্থার সদস্য হামজা লাল শেখ বলেন, ‘টার্মিনালে যাত্রীদের তেমন চাপ নেই। তবে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আমাদের ১৭৫টি লঞ্চ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যাত্রীদের উপস্থিতির ওপর নির্ভর করে বিশেষ লঞ্চের ব্যবস্থা করা হবে।’
বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক মোবারক হোসেন বলেন, টার্মিনালে এখনো যাত্রী চাপ হয়নি। তবে যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তা ও সেবা নিশ্চিতে ইতিমধ্যে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় কৃষি খাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। টানা কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে ওই এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে উপজেলার গ্রীষ্মকালীন সবজি, আউশ ধানের বীজতলা ও রোপা আউশ ধান চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেউত্তরাঞ্চলের যোগাযোগের প্রধান সড়ক রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়ক। এ মহাসড়কের রংপুরের পাগলাপীর থেকে মেডিকেল মোড় পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার অংশ এখন পথচারী ও যানবাহনের জন্য মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। হাজারো গর্তে ভরা এই মহাসড়কে প্রতিদিন চলাচল করতে হচ্ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে। ভোগান্তির শেষ নেই যাত্রী ও চালকদের।
৪ ঘণ্টা আগেরাজধানী ঢাকার কোরবানির অস্থায়ী ও স্থায়ী পশুর হাটগুলোতে ক্রেতার অপেক্ষায় ব্যাপারীরা। গরু-ছাগলে হাটগুলো ভরে উঠলেও ক্রেতা কম। তাঁদের মধ্যেও বেশির ভাগ আসছেন দাম যাচাই করতে। ধারণা করা হচ্ছে, আজ বুধবার অফিস শেষে ঈদের সরকারি ছুটি শুরু হলে হাটে অনেক ক্রেতা আসবেন, মূল বেচাকেনা শুরু হবে।
৪ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোর ভয়াবহ বিস্ফোরণের তিন বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ। এই তিন বছরে ডিপো এলাকায় আগের চিত্র ফিরলেও এখন পর্যন্ত থামেনি স্বজন হারানোর কান্না। ভয়াবহ এ বিস্ফোরণে যেনতেন বিচারে যেমন নিহত ব্যক্তিদের স্বজনদের মনে স্বস্তি ফেরেনি, তেমনি উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ না পাওয়ার...
৪ ঘণ্টা আগে