তোফাজ্জল হোসেন রুবেল, ঢাকা

কমবেশি ১৮ বছর পর রাজধানীর বনানী ৫৪ প্লট প্রকল্পের ফাইলগুলোর দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। ২০০১ সালে ক্ষমতাসীন হওয়া বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে বনানীর এ প্লটগুলো তৎকালীন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও অন্যদের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। ওই সরকারের মেয়াদ শেষের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৭ সালে বরাদ্দ-সংক্রান্ত প্রক্রিয়ায় নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ফাইলগুলোর কার্যক্রম স্থগিত করে। পরবর্তী সময়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারও দীর্ঘদিন এর ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। সর্বশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব ফাইলের কার্যক্রম শুরু করেছে রাজউক।
জানা গেছে, এখন থেকে বনানীর ওই প্লটগুলোর হস্তান্তর, বন্ধক, নামজারি, নকশা অনুমোদনসহ দাপ্তরিক কোনো কাজে বাধা থাকছে না। কার্যক্রম শুরুর প্রথম দিন বিএনপির ৭ জন নেতার নামে থাকা প্লটের আবেদনপত্র নিয়ে সেগুলোর পরবর্তী কার্যক্রম চালানোর বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হয় বলে জানা গেছে।
জানতে চাইলে রাজউকের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. সিদ্দিকুর রহমান সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দীর্ঘ সময় কার্যক্রম বন্ধ থাকা বনানীর এ প্লটগুলোর কার্যক্রম শুরু করেছি। যাচাই-বাছাই করে একটা সমাধান করা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্তসচিব মো. হামিদুল ইসলাম খান গতকাল রাতে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা (মন্ত্রণালয়) অবগত নই।’
রাজউক সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি অভিজাত এলাকা বনানীর এসব প্লটের কার্যক্রম আবার চালুর বিষয়টি বেশ জোরেশোরে আলোচনায় আসে। এরই মধ্যে বিএনপিসমর্থিত প্রকৌশলীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্সের (অ্যাব) নেতা প্রকৌশলী মো. রিয়াজুল ইসলামকে গত বছরের ২৬ অক্টোবর ২ বছরের জন্য রাজউকের সদস্য (এস্টেট) করা হয়। এরপর সংশ্লিষ্টদের কাছে প্লট-সংক্রান্ত কার্যক্রমের সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ চিত্রটি আরও পরিষ্কার হয়। ৮ জানুয়ারি রাজউকের চেয়ারম্যান এ-সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠন করেন। সে কমিটিতেও প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলামকে আহ্বায়ক করা হয়। এরপর গতকাল এ কমিটি প্রথম সভা করে। প্রথম সভাতেই প্লটবিষয়ক ৭টি আবেদন নিষ্পত্তির বিষয়ে ইতিবাচক মতামত উঠে আসে।
রাজউকের একাধিক কর্মকর্তা জানান, ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় এসে রাজউকের পাঁচটি এলাকার দামি প্লটগুলোর দৈনন্দিন কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে ২০০৭ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজউক চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে যেসব ফাইলের কার্যক্রম বন্ধ করা হয় তার তালিকায় ছিল বনানীর প্রকল্পটিও। প্লট বরাদ্দ পাওয়া ৫৪ জনের মধ্যে ৪১ জনই বিএনপির তৎকালীন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য; একজন চারদলীয় জোট সরকারের মিত্র জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সংসদ সদস্য ও একজন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য। আর বাকি ১১ জনেরও বেশির ভাগ বিএনপির নেতা ও বিএনপিপন্থী শিক্ষক, ব্যবসায়ী এবং চাকরিজীবী।
প্লট বরাদ্দপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন বিএনপির সাবেক মহাসচিব প্রয়াত আবদুল মান্নান ভূঁইয়া, সাবেক ডেপুটি স্পিকার আখতার হামিদ সিদ্দিকী, সাবেক তথ্যমন্ত্রী প্রয়াত তরিকুল ইসলাম, সাবেক মৎস্য ও পশুসম্পদমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান, সাবেক বাণিজ্য উপদেষ্টা বরকতউল্লা বুলু, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী এহছানুল হক মিলন, সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলু, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ফজলুর রহমান পটল, সাবেক সংসদ সদস্য মজিবর রহমান সরোয়ার, রাজশাহীর সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী, বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, নিখোঁজ সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস আলী, ফজলুল হক মিলন, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আবদুল হাই, সেলিমা রহমান, প্রয়াত নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, খায়রুল কবির খোকন, মজিবুর রহমান মঞ্জু, মশিউর রহমানসহ ৪১ জন। এর মধ্যে রাজউকে দাখিল করা হলফনামায় তথ্যের অমিল থাকার অভিযোগে কয়েকজনের প্লট বাতিল করা হয়েছিল।
পূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, মন্ত্রণালয় থেকে ২০১৫ সালের ২০ আগস্ট রাজউক চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি দিয়ে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছিল। বরাদ্দের ক্ষেত্রে বিধিবিধান মানা হয়েছে কি না এবং কেউ মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্লট নিয়েছেন কি না, তা জানানোর কথা বলা হয়েছিল চিঠিতে। পরে রাজউকের বিধান অনুযায়ী প্লটের আবেদনকারীদের হলফনামায় দেওয়া তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করা হয়। সেখানে প্লট-বরাদ্দ পাওয়া কারও কারও তথ্যে গরমিল পাওয়া যায়। তথ্য গোপন করে যাঁরা প্লট নিয়েছিলেন পরে তাঁদের বরাদ্দ বাতিল করা হয়। রাজউকের এমআইএস সেল এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সহায়তা নিয়ে জহির উদ্দিন স্বপনের বনানীর ১/সি রোডের ৩ নম্বর প্লট, সাবেক সংসদ সদস্য সামসুজ্জোহা খানের ১/বি রোডের ৫ নম্বর প্লট, পেশাজীবীর তালিকায় বরাদ্দ পাওয়া শিক্ষক সাবিনা শারমিনের বনানী ১/এ রোডের ৪ নম্বর প্লট, বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য এম নাসের রহমানের প্লট, সাবেক সংসদ সদস্য আবুল খায়ের ভূঁইয়ার প্লট, বরিশালের সাবেক মেয়র মজিবর রহমান সরোয়ারের বনানী ২ নম্বর রোডের ৭ নম্বর প্লট, বিএনপির নেতা বরকতউল্লা বুলুর প্লট, সাবেক উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর প্লট ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী লুৎফর রহমান খান আজাদের প্লট বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছিল বলে জানা যায়। এসব বরাদ্দ বাতিল হওয়া প্লটের মধ্যেও কয়েকটির বিষয়ে রাজউক থেকে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান বলে জানা গেছে।
রাজউকের সদস্য (এস্টেট) রিয়াজুল ইসলাম গতকাল রাতে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সকল সংস্থার সাথে সমন্বয় করে সেসব সংস্থা থেকে অনাপত্তি নিয়ে সাতটি ফাইলের কাজ শুরু করেছি। কিছু জটিলতার কারণে এখানে জহির উদ্দিন স্বপনের ফাইল আমলে নেওয়া সম্ভব হয়নি। এখানে আইনের ব্যত্যয় হচ্ছে না।’

কমবেশি ১৮ বছর পর রাজধানীর বনানী ৫৪ প্লট প্রকল্পের ফাইলগুলোর দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। ২০০১ সালে ক্ষমতাসীন হওয়া বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে বনানীর এ প্লটগুলো তৎকালীন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও অন্যদের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। ওই সরকারের মেয়াদ শেষের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৭ সালে বরাদ্দ-সংক্রান্ত প্রক্রিয়ায় নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ফাইলগুলোর কার্যক্রম স্থগিত করে। পরবর্তী সময়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারও দীর্ঘদিন এর ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। সর্বশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব ফাইলের কার্যক্রম শুরু করেছে রাজউক।
জানা গেছে, এখন থেকে বনানীর ওই প্লটগুলোর হস্তান্তর, বন্ধক, নামজারি, নকশা অনুমোদনসহ দাপ্তরিক কোনো কাজে বাধা থাকছে না। কার্যক্রম শুরুর প্রথম দিন বিএনপির ৭ জন নেতার নামে থাকা প্লটের আবেদনপত্র নিয়ে সেগুলোর পরবর্তী কার্যক্রম চালানোর বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হয় বলে জানা গেছে।
জানতে চাইলে রাজউকের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. সিদ্দিকুর রহমান সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দীর্ঘ সময় কার্যক্রম বন্ধ থাকা বনানীর এ প্লটগুলোর কার্যক্রম শুরু করেছি। যাচাই-বাছাই করে একটা সমাধান করা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্তসচিব মো. হামিদুল ইসলাম খান গতকাল রাতে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা (মন্ত্রণালয়) অবগত নই।’
রাজউক সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি অভিজাত এলাকা বনানীর এসব প্লটের কার্যক্রম আবার চালুর বিষয়টি বেশ জোরেশোরে আলোচনায় আসে। এরই মধ্যে বিএনপিসমর্থিত প্রকৌশলীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্সের (অ্যাব) নেতা প্রকৌশলী মো. রিয়াজুল ইসলামকে গত বছরের ২৬ অক্টোবর ২ বছরের জন্য রাজউকের সদস্য (এস্টেট) করা হয়। এরপর সংশ্লিষ্টদের কাছে প্লট-সংক্রান্ত কার্যক্রমের সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ চিত্রটি আরও পরিষ্কার হয়। ৮ জানুয়ারি রাজউকের চেয়ারম্যান এ-সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠন করেন। সে কমিটিতেও প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলামকে আহ্বায়ক করা হয়। এরপর গতকাল এ কমিটি প্রথম সভা করে। প্রথম সভাতেই প্লটবিষয়ক ৭টি আবেদন নিষ্পত্তির বিষয়ে ইতিবাচক মতামত উঠে আসে।
রাজউকের একাধিক কর্মকর্তা জানান, ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় এসে রাজউকের পাঁচটি এলাকার দামি প্লটগুলোর দৈনন্দিন কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে ২০০৭ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজউক চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে যেসব ফাইলের কার্যক্রম বন্ধ করা হয় তার তালিকায় ছিল বনানীর প্রকল্পটিও। প্লট বরাদ্দ পাওয়া ৫৪ জনের মধ্যে ৪১ জনই বিএনপির তৎকালীন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য; একজন চারদলীয় জোট সরকারের মিত্র জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সংসদ সদস্য ও একজন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য। আর বাকি ১১ জনেরও বেশির ভাগ বিএনপির নেতা ও বিএনপিপন্থী শিক্ষক, ব্যবসায়ী এবং চাকরিজীবী।
প্লট বরাদ্দপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন বিএনপির সাবেক মহাসচিব প্রয়াত আবদুল মান্নান ভূঁইয়া, সাবেক ডেপুটি স্পিকার আখতার হামিদ সিদ্দিকী, সাবেক তথ্যমন্ত্রী প্রয়াত তরিকুল ইসলাম, সাবেক মৎস্য ও পশুসম্পদমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান, সাবেক বাণিজ্য উপদেষ্টা বরকতউল্লা বুলু, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী এহছানুল হক মিলন, সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলু, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ফজলুর রহমান পটল, সাবেক সংসদ সদস্য মজিবর রহমান সরোয়ার, রাজশাহীর সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী, বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, নিখোঁজ সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস আলী, ফজলুল হক মিলন, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আবদুল হাই, সেলিমা রহমান, প্রয়াত নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, খায়রুল কবির খোকন, মজিবুর রহমান মঞ্জু, মশিউর রহমানসহ ৪১ জন। এর মধ্যে রাজউকে দাখিল করা হলফনামায় তথ্যের অমিল থাকার অভিযোগে কয়েকজনের প্লট বাতিল করা হয়েছিল।
পূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, মন্ত্রণালয় থেকে ২০১৫ সালের ২০ আগস্ট রাজউক চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি দিয়ে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছিল। বরাদ্দের ক্ষেত্রে বিধিবিধান মানা হয়েছে কি না এবং কেউ মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্লট নিয়েছেন কি না, তা জানানোর কথা বলা হয়েছিল চিঠিতে। পরে রাজউকের বিধান অনুযায়ী প্লটের আবেদনকারীদের হলফনামায় দেওয়া তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করা হয়। সেখানে প্লট-বরাদ্দ পাওয়া কারও কারও তথ্যে গরমিল পাওয়া যায়। তথ্য গোপন করে যাঁরা প্লট নিয়েছিলেন পরে তাঁদের বরাদ্দ বাতিল করা হয়। রাজউকের এমআইএস সেল এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সহায়তা নিয়ে জহির উদ্দিন স্বপনের বনানীর ১/সি রোডের ৩ নম্বর প্লট, সাবেক সংসদ সদস্য সামসুজ্জোহা খানের ১/বি রোডের ৫ নম্বর প্লট, পেশাজীবীর তালিকায় বরাদ্দ পাওয়া শিক্ষক সাবিনা শারমিনের বনানী ১/এ রোডের ৪ নম্বর প্লট, বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য এম নাসের রহমানের প্লট, সাবেক সংসদ সদস্য আবুল খায়ের ভূঁইয়ার প্লট, বরিশালের সাবেক মেয়র মজিবর রহমান সরোয়ারের বনানী ২ নম্বর রোডের ৭ নম্বর প্লট, বিএনপির নেতা বরকতউল্লা বুলুর প্লট, সাবেক উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর প্লট ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী লুৎফর রহমান খান আজাদের প্লট বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছিল বলে জানা যায়। এসব বরাদ্দ বাতিল হওয়া প্লটের মধ্যেও কয়েকটির বিষয়ে রাজউক থেকে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান বলে জানা গেছে।
রাজউকের সদস্য (এস্টেট) রিয়াজুল ইসলাম গতকাল রাতে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সকল সংস্থার সাথে সমন্বয় করে সেসব সংস্থা থেকে অনাপত্তি নিয়ে সাতটি ফাইলের কাজ শুরু করেছি। কিছু জটিলতার কারণে এখানে জহির উদ্দিন স্বপনের ফাইল আমলে নেওয়া সম্ভব হয়নি। এখানে আইনের ব্যত্যয় হচ্ছে না।’
তোফাজ্জল হোসেন রুবেল, ঢাকা

কমবেশি ১৮ বছর পর রাজধানীর বনানী ৫৪ প্লট প্রকল্পের ফাইলগুলোর দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। ২০০১ সালে ক্ষমতাসীন হওয়া বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে বনানীর এ প্লটগুলো তৎকালীন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও অন্যদের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। ওই সরকারের মেয়াদ শেষের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৭ সালে বরাদ্দ-সংক্রান্ত প্রক্রিয়ায় নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ফাইলগুলোর কার্যক্রম স্থগিত করে। পরবর্তী সময়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারও দীর্ঘদিন এর ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। সর্বশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব ফাইলের কার্যক্রম শুরু করেছে রাজউক।
জানা গেছে, এখন থেকে বনানীর ওই প্লটগুলোর হস্তান্তর, বন্ধক, নামজারি, নকশা অনুমোদনসহ দাপ্তরিক কোনো কাজে বাধা থাকছে না। কার্যক্রম শুরুর প্রথম দিন বিএনপির ৭ জন নেতার নামে থাকা প্লটের আবেদনপত্র নিয়ে সেগুলোর পরবর্তী কার্যক্রম চালানোর বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হয় বলে জানা গেছে।
জানতে চাইলে রাজউকের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. সিদ্দিকুর রহমান সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দীর্ঘ সময় কার্যক্রম বন্ধ থাকা বনানীর এ প্লটগুলোর কার্যক্রম শুরু করেছি। যাচাই-বাছাই করে একটা সমাধান করা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্তসচিব মো. হামিদুল ইসলাম খান গতকাল রাতে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা (মন্ত্রণালয়) অবগত নই।’
রাজউক সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি অভিজাত এলাকা বনানীর এসব প্লটের কার্যক্রম আবার চালুর বিষয়টি বেশ জোরেশোরে আলোচনায় আসে। এরই মধ্যে বিএনপিসমর্থিত প্রকৌশলীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্সের (অ্যাব) নেতা প্রকৌশলী মো. রিয়াজুল ইসলামকে গত বছরের ২৬ অক্টোবর ২ বছরের জন্য রাজউকের সদস্য (এস্টেট) করা হয়। এরপর সংশ্লিষ্টদের কাছে প্লট-সংক্রান্ত কার্যক্রমের সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ চিত্রটি আরও পরিষ্কার হয়। ৮ জানুয়ারি রাজউকের চেয়ারম্যান এ-সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠন করেন। সে কমিটিতেও প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলামকে আহ্বায়ক করা হয়। এরপর গতকাল এ কমিটি প্রথম সভা করে। প্রথম সভাতেই প্লটবিষয়ক ৭টি আবেদন নিষ্পত্তির বিষয়ে ইতিবাচক মতামত উঠে আসে।
রাজউকের একাধিক কর্মকর্তা জানান, ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় এসে রাজউকের পাঁচটি এলাকার দামি প্লটগুলোর দৈনন্দিন কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে ২০০৭ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজউক চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে যেসব ফাইলের কার্যক্রম বন্ধ করা হয় তার তালিকায় ছিল বনানীর প্রকল্পটিও। প্লট বরাদ্দ পাওয়া ৫৪ জনের মধ্যে ৪১ জনই বিএনপির তৎকালীন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য; একজন চারদলীয় জোট সরকারের মিত্র জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সংসদ সদস্য ও একজন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য। আর বাকি ১১ জনেরও বেশির ভাগ বিএনপির নেতা ও বিএনপিপন্থী শিক্ষক, ব্যবসায়ী এবং চাকরিজীবী।
প্লট বরাদ্দপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন বিএনপির সাবেক মহাসচিব প্রয়াত আবদুল মান্নান ভূঁইয়া, সাবেক ডেপুটি স্পিকার আখতার হামিদ সিদ্দিকী, সাবেক তথ্যমন্ত্রী প্রয়াত তরিকুল ইসলাম, সাবেক মৎস্য ও পশুসম্পদমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান, সাবেক বাণিজ্য উপদেষ্টা বরকতউল্লা বুলু, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী এহছানুল হক মিলন, সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলু, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ফজলুর রহমান পটল, সাবেক সংসদ সদস্য মজিবর রহমান সরোয়ার, রাজশাহীর সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী, বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, নিখোঁজ সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস আলী, ফজলুল হক মিলন, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আবদুল হাই, সেলিমা রহমান, প্রয়াত নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, খায়রুল কবির খোকন, মজিবুর রহমান মঞ্জু, মশিউর রহমানসহ ৪১ জন। এর মধ্যে রাজউকে দাখিল করা হলফনামায় তথ্যের অমিল থাকার অভিযোগে কয়েকজনের প্লট বাতিল করা হয়েছিল।
পূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, মন্ত্রণালয় থেকে ২০১৫ সালের ২০ আগস্ট রাজউক চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি দিয়ে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছিল। বরাদ্দের ক্ষেত্রে বিধিবিধান মানা হয়েছে কি না এবং কেউ মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্লট নিয়েছেন কি না, তা জানানোর কথা বলা হয়েছিল চিঠিতে। পরে রাজউকের বিধান অনুযায়ী প্লটের আবেদনকারীদের হলফনামায় দেওয়া তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করা হয়। সেখানে প্লট-বরাদ্দ পাওয়া কারও কারও তথ্যে গরমিল পাওয়া যায়। তথ্য গোপন করে যাঁরা প্লট নিয়েছিলেন পরে তাঁদের বরাদ্দ বাতিল করা হয়। রাজউকের এমআইএস সেল এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সহায়তা নিয়ে জহির উদ্দিন স্বপনের বনানীর ১/সি রোডের ৩ নম্বর প্লট, সাবেক সংসদ সদস্য সামসুজ্জোহা খানের ১/বি রোডের ৫ নম্বর প্লট, পেশাজীবীর তালিকায় বরাদ্দ পাওয়া শিক্ষক সাবিনা শারমিনের বনানী ১/এ রোডের ৪ নম্বর প্লট, বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য এম নাসের রহমানের প্লট, সাবেক সংসদ সদস্য আবুল খায়ের ভূঁইয়ার প্লট, বরিশালের সাবেক মেয়র মজিবর রহমান সরোয়ারের বনানী ২ নম্বর রোডের ৭ নম্বর প্লট, বিএনপির নেতা বরকতউল্লা বুলুর প্লট, সাবেক উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর প্লট ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী লুৎফর রহমান খান আজাদের প্লট বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছিল বলে জানা যায়। এসব বরাদ্দ বাতিল হওয়া প্লটের মধ্যেও কয়েকটির বিষয়ে রাজউক থেকে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান বলে জানা গেছে।
রাজউকের সদস্য (এস্টেট) রিয়াজুল ইসলাম গতকাল রাতে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সকল সংস্থার সাথে সমন্বয় করে সেসব সংস্থা থেকে অনাপত্তি নিয়ে সাতটি ফাইলের কাজ শুরু করেছি। কিছু জটিলতার কারণে এখানে জহির উদ্দিন স্বপনের ফাইল আমলে নেওয়া সম্ভব হয়নি। এখানে আইনের ব্যত্যয় হচ্ছে না।’

কমবেশি ১৮ বছর পর রাজধানীর বনানী ৫৪ প্লট প্রকল্পের ফাইলগুলোর দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। ২০০১ সালে ক্ষমতাসীন হওয়া বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে বনানীর এ প্লটগুলো তৎকালীন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও অন্যদের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। ওই সরকারের মেয়াদ শেষের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৭ সালে বরাদ্দ-সংক্রান্ত প্রক্রিয়ায় নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ফাইলগুলোর কার্যক্রম স্থগিত করে। পরবর্তী সময়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারও দীর্ঘদিন এর ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। সর্বশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব ফাইলের কার্যক্রম শুরু করেছে রাজউক।
জানা গেছে, এখন থেকে বনানীর ওই প্লটগুলোর হস্তান্তর, বন্ধক, নামজারি, নকশা অনুমোদনসহ দাপ্তরিক কোনো কাজে বাধা থাকছে না। কার্যক্রম শুরুর প্রথম দিন বিএনপির ৭ জন নেতার নামে থাকা প্লটের আবেদনপত্র নিয়ে সেগুলোর পরবর্তী কার্যক্রম চালানোর বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হয় বলে জানা গেছে।
জানতে চাইলে রাজউকের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. সিদ্দিকুর রহমান সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দীর্ঘ সময় কার্যক্রম বন্ধ থাকা বনানীর এ প্লটগুলোর কার্যক্রম শুরু করেছি। যাচাই-বাছাই করে একটা সমাধান করা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্তসচিব মো. হামিদুল ইসলাম খান গতকাল রাতে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা (মন্ত্রণালয়) অবগত নই।’
রাজউক সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি অভিজাত এলাকা বনানীর এসব প্লটের কার্যক্রম আবার চালুর বিষয়টি বেশ জোরেশোরে আলোচনায় আসে। এরই মধ্যে বিএনপিসমর্থিত প্রকৌশলীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্সের (অ্যাব) নেতা প্রকৌশলী মো. রিয়াজুল ইসলামকে গত বছরের ২৬ অক্টোবর ২ বছরের জন্য রাজউকের সদস্য (এস্টেট) করা হয়। এরপর সংশ্লিষ্টদের কাছে প্লট-সংক্রান্ত কার্যক্রমের সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ চিত্রটি আরও পরিষ্কার হয়। ৮ জানুয়ারি রাজউকের চেয়ারম্যান এ-সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠন করেন। সে কমিটিতেও প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলামকে আহ্বায়ক করা হয়। এরপর গতকাল এ কমিটি প্রথম সভা করে। প্রথম সভাতেই প্লটবিষয়ক ৭টি আবেদন নিষ্পত্তির বিষয়ে ইতিবাচক মতামত উঠে আসে।
রাজউকের একাধিক কর্মকর্তা জানান, ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় এসে রাজউকের পাঁচটি এলাকার দামি প্লটগুলোর দৈনন্দিন কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে ২০০৭ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজউক চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে যেসব ফাইলের কার্যক্রম বন্ধ করা হয় তার তালিকায় ছিল বনানীর প্রকল্পটিও। প্লট বরাদ্দ পাওয়া ৫৪ জনের মধ্যে ৪১ জনই বিএনপির তৎকালীন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য; একজন চারদলীয় জোট সরকারের মিত্র জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সংসদ সদস্য ও একজন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য। আর বাকি ১১ জনেরও বেশির ভাগ বিএনপির নেতা ও বিএনপিপন্থী শিক্ষক, ব্যবসায়ী এবং চাকরিজীবী।
প্লট বরাদ্দপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন বিএনপির সাবেক মহাসচিব প্রয়াত আবদুল মান্নান ভূঁইয়া, সাবেক ডেপুটি স্পিকার আখতার হামিদ সিদ্দিকী, সাবেক তথ্যমন্ত্রী প্রয়াত তরিকুল ইসলাম, সাবেক মৎস্য ও পশুসম্পদমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান, সাবেক বাণিজ্য উপদেষ্টা বরকতউল্লা বুলু, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী এহছানুল হক মিলন, সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলু, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ফজলুর রহমান পটল, সাবেক সংসদ সদস্য মজিবর রহমান সরোয়ার, রাজশাহীর সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী, বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, নিখোঁজ সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস আলী, ফজলুল হক মিলন, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আবদুল হাই, সেলিমা রহমান, প্রয়াত নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, খায়রুল কবির খোকন, মজিবুর রহমান মঞ্জু, মশিউর রহমানসহ ৪১ জন। এর মধ্যে রাজউকে দাখিল করা হলফনামায় তথ্যের অমিল থাকার অভিযোগে কয়েকজনের প্লট বাতিল করা হয়েছিল।
পূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, মন্ত্রণালয় থেকে ২০১৫ সালের ২০ আগস্ট রাজউক চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি দিয়ে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছিল। বরাদ্দের ক্ষেত্রে বিধিবিধান মানা হয়েছে কি না এবং কেউ মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্লট নিয়েছেন কি না, তা জানানোর কথা বলা হয়েছিল চিঠিতে। পরে রাজউকের বিধান অনুযায়ী প্লটের আবেদনকারীদের হলফনামায় দেওয়া তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করা হয়। সেখানে প্লট-বরাদ্দ পাওয়া কারও কারও তথ্যে গরমিল পাওয়া যায়। তথ্য গোপন করে যাঁরা প্লট নিয়েছিলেন পরে তাঁদের বরাদ্দ বাতিল করা হয়। রাজউকের এমআইএস সেল এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সহায়তা নিয়ে জহির উদ্দিন স্বপনের বনানীর ১/সি রোডের ৩ নম্বর প্লট, সাবেক সংসদ সদস্য সামসুজ্জোহা খানের ১/বি রোডের ৫ নম্বর প্লট, পেশাজীবীর তালিকায় বরাদ্দ পাওয়া শিক্ষক সাবিনা শারমিনের বনানী ১/এ রোডের ৪ নম্বর প্লট, বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য এম নাসের রহমানের প্লট, সাবেক সংসদ সদস্য আবুল খায়ের ভূঁইয়ার প্লট, বরিশালের সাবেক মেয়র মজিবর রহমান সরোয়ারের বনানী ২ নম্বর রোডের ৭ নম্বর প্লট, বিএনপির নেতা বরকতউল্লা বুলুর প্লট, সাবেক উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর প্লট ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী লুৎফর রহমান খান আজাদের প্লট বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছিল বলে জানা যায়। এসব বরাদ্দ বাতিল হওয়া প্লটের মধ্যেও কয়েকটির বিষয়ে রাজউক থেকে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান বলে জানা গেছে।
রাজউকের সদস্য (এস্টেট) রিয়াজুল ইসলাম গতকাল রাতে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সকল সংস্থার সাথে সমন্বয় করে সেসব সংস্থা থেকে অনাপত্তি নিয়ে সাতটি ফাইলের কাজ শুরু করেছি। কিছু জটিলতার কারণে এখানে জহির উদ্দিন স্বপনের ফাইল আমলে নেওয়া সম্ভব হয়নি। এখানে আইনের ব্যত্যয় হচ্ছে না।’

রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার নিভৃতপল্লী সীট নাজিরদহ গ্রামে মাকে হত্যার পর বসতঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখার দায়ে ছেলেকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে রংপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ফজলে খোদা মো. নাজির এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন অভিযুক্ত
২ মিনিট আগে
থানা চত্বর থেকে গাড়িতে ওঠানোর আগে সাংবাদিকদের ক্যামেরা দেখে গ্রেপ্তার হওয়া এক ছিনতাইকারী হাত উঁচিয়ে বলতে থাকেন—‘আবার আসব, ভাঙ্গা শহর তছনছ করে ফেলব।’ এ সময় গ্রেপ্তার আরও এক ছিনতাইকারীকে জয়সূচক চিহ্ন দেখিয়ে বের হতে দেখা যায়।
৫ মিনিট আগে
যারা সংস্কারের বিপক্ষে এবং যাদের ইতিহাসের দায়ভার রয়েছে, তাদের সঙ্গে আগামী নির্বাচনে জোটে যেতে অনেকবার ভাবতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী পর্যটন মোটেলে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। এনসিপি এখন পর্যন্ত কোনো জোটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত
৬ মিনিট আগে
জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি করার অধিকার নিয়ে আছে কি না, সে বিষয়ে গণভোট চেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পোস্টে মন্তব্যের অভিযোগে গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) পুবাইল থানার সেই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম মুরাদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
৩৩ মিনিট আগেকাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি

রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার সীট নাজিরদহ গ্রামে মাকে হত্যার পর বসতঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখার দায়ে ছেলেকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে রংপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ফজলে খোদা মো. নাজির এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন অভিযুক্ত জামিল মিয়া ওরফে ভেলন (২৫)।
দণ্ডপ্রাপ্ত জামিল মিয়া কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ ইউনিয়নের সীট নাজিরদহ (ময়নুদ্দিনটারী) গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক ওরফে লাল মিয়ার ছেলে।
আদালত সূত্র ও মামলার বিবরণে জানা গেছে, জামিলের স্ত্রী কাকলী বেগমের সঙ্গে তাঁর মা জামিলা বেগমের পারিবারিক বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য হয়। এতে জামিলের স্ত্রী কাকলী রাগ করে বাবার বাড়ি চলে যান। এ ঘটনায় মাকে দোষারোপ করতে থাকেন জামিল এবং তাঁকে হত্যার সুযোগ খুঁজতে থাকেন।
ঘটনার দিন ২০২২ সালের ১৯ আগস্ট রাতে খাবার শেষে জামিল ও তাঁর মা একই ঘরে আলাদা বিছানায় শুয়ে পড়েন। একপর্যায়ে জামিলা ঘুমিয়ে পড়লে রাত ১টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় বালিশচাপা দিয়ে মাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন জামিল। পরে হত্যার বিষয়টি গোপন রাখতে বসতঘরের মেঝে খুঁড়ে লাশ পুঁতে রাখেন।
এদিকে কয়েক দিন ধরে বাড়িতে জামিলাকে দেখতে না পেয়ে প্রতিবেশীরা তাঁর খোঁজ নিতে থাকেন। কয়েক দিন পর জামিলের মামাতো বোন রোজিনা ওই বাড়িতে এসে প্রতিবেশীদের নিয়ে ঘরে ঢোকেন এবং দুর্গন্ধ ও মাটি খোঁড়া দেখতে পান। পরে তাঁরা জামিলকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বসতঘরের মেঝে খুঁড়ে মাটিচাপা লাশ উদ্ধার করে এবং জামিলকে আটক করে।
এ ঘটনায় নিহত জামিলার ভাই ছামসুল হক বাদী হয়ে জামিলকে আসামি করে কাউনিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ রায় ঘোষণা করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. আফতাব উদ্দিন এবং আসামিপক্ষে স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী ছিলেন মো. শামীম আল মামুন।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের পিপি মো. আফতাব উদ্দিন বলেন, একজন ছেলের হাতে মায়ের মৃত্যু মানবিকতার চূড়ান্ত অবক্ষয়। আদালত আজ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন, অপরাধ করলে কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়।

রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার সীট নাজিরদহ গ্রামে মাকে হত্যার পর বসতঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখার দায়ে ছেলেকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে রংপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ফজলে খোদা মো. নাজির এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন অভিযুক্ত জামিল মিয়া ওরফে ভেলন (২৫)।
দণ্ডপ্রাপ্ত জামিল মিয়া কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ ইউনিয়নের সীট নাজিরদহ (ময়নুদ্দিনটারী) গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক ওরফে লাল মিয়ার ছেলে।
আদালত সূত্র ও মামলার বিবরণে জানা গেছে, জামিলের স্ত্রী কাকলী বেগমের সঙ্গে তাঁর মা জামিলা বেগমের পারিবারিক বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য হয়। এতে জামিলের স্ত্রী কাকলী রাগ করে বাবার বাড়ি চলে যান। এ ঘটনায় মাকে দোষারোপ করতে থাকেন জামিল এবং তাঁকে হত্যার সুযোগ খুঁজতে থাকেন।
ঘটনার দিন ২০২২ সালের ১৯ আগস্ট রাতে খাবার শেষে জামিল ও তাঁর মা একই ঘরে আলাদা বিছানায় শুয়ে পড়েন। একপর্যায়ে জামিলা ঘুমিয়ে পড়লে রাত ১টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় বালিশচাপা দিয়ে মাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন জামিল। পরে হত্যার বিষয়টি গোপন রাখতে বসতঘরের মেঝে খুঁড়ে লাশ পুঁতে রাখেন।
এদিকে কয়েক দিন ধরে বাড়িতে জামিলাকে দেখতে না পেয়ে প্রতিবেশীরা তাঁর খোঁজ নিতে থাকেন। কয়েক দিন পর জামিলের মামাতো বোন রোজিনা ওই বাড়িতে এসে প্রতিবেশীদের নিয়ে ঘরে ঢোকেন এবং দুর্গন্ধ ও মাটি খোঁড়া দেখতে পান। পরে তাঁরা জামিলকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বসতঘরের মেঝে খুঁড়ে মাটিচাপা লাশ উদ্ধার করে এবং জামিলকে আটক করে।
এ ঘটনায় নিহত জামিলার ভাই ছামসুল হক বাদী হয়ে জামিলকে আসামি করে কাউনিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ রায় ঘোষণা করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. আফতাব উদ্দিন এবং আসামিপক্ষে স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী ছিলেন মো. শামীম আল মামুন।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের পিপি মো. আফতাব উদ্দিন বলেন, একজন ছেলের হাতে মায়ের মৃত্যু মানবিকতার চূড়ান্ত অবক্ষয়। আদালত আজ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন, অপরাধ করলে কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়।

কমবেশি ১৮ বছর পর রাজধানীর বনানী ৫৪ প্লট প্রকল্পের ফাইলগুলোর দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। ২০০১ সালে ক্ষমতাসীন হওয়া বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে বনানীর এ প্লটগুলো তৎকালীন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও অন্যদের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। ওই সরকারের মেয়াদ শেষের প
১০ জানুয়ারি ২০২৫
থানা চত্বর থেকে গাড়িতে ওঠানোর আগে সাংবাদিকদের ক্যামেরা দেখে গ্রেপ্তার হওয়া এক ছিনতাইকারী হাত উঁচিয়ে বলতে থাকেন—‘আবার আসব, ভাঙ্গা শহর তছনছ করে ফেলব।’ এ সময় গ্রেপ্তার আরও এক ছিনতাইকারীকে জয়সূচক চিহ্ন দেখিয়ে বের হতে দেখা যায়।
৫ মিনিট আগে
যারা সংস্কারের বিপক্ষে এবং যাদের ইতিহাসের দায়ভার রয়েছে, তাদের সঙ্গে আগামী নির্বাচনে জোটে যেতে অনেকবার ভাবতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী পর্যটন মোটেলে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। এনসিপি এখন পর্যন্ত কোনো জোটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত
৬ মিনিট আগে
জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি করার অধিকার নিয়ে আছে কি না, সে বিষয়ে গণভোট চেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পোস্টে মন্তব্যের অভিযোগে গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) পুবাইল থানার সেই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম মুরাদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
৩৩ মিনিট আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা আদালতে যাওয়ার সময় ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছেন। থানা চত্বর থেকে গাড়িতে ওঠানোর আগে সাংবাদিকদের ক্যামেরা দেখে গ্রেপ্তার হওয়া এক ছিনতাইকারী হাত উঁচিয়ে বলতে থাকেন, ‘আবার আসব, ভাঙ্গা শহর তছনছ করে ফেলব।’ এ সময় গ্রেপ্তার আরও এক ছিনতাইকারীকে জয়সূচক চিহ্ন দেখিয়ে বের হতে দেখা যায়।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানা চত্বরে এমন দৃশ্যের একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যায়। আজ মঙ্গলবার বিকেলে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন।
ওসি জানান, গ্রেপ্তার আসামিরা পেশাদার ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ইজিবাইক ছিনতাই, চুরি ও ডাকাতির মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ভাঙ্গা থানায় মামলা হয়েছে এবং গতকাল সোমবার দুপুরে পুলিশ পাহারায় তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, গতকাল দুপুরে থানা-পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া ছিনতাইকারী চক্রের পাঁচজন সদস্যকে আদালতে পাঠানো হয়। এ সময় তাঁরা সাংবাদিকদের দেখে আবার ফিরে এসে শহর তছনছ করবেন বলে হুমকি দেন। একটি ইজিবাইক ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলায় গত রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ভাঙ্গা পৌরসভার আতাদি গ্রামের বাঁধন মাতুব্বর (২৩), পূর্ব হাসামদিয়া গ্রামের পার্থ মাতুব্বর (২৫), ঢাকার ধামরাই থানার আফজাল শেখের ছেলে সজিব (২২), রাজবাড়ী সদর উপজেলার আকাশ (২১) এবং একই এলাকার সাকিব (১৯)।
ভাঙ্গা থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত রোববার বিকেলে ফরিদ খান নামের এক ব্যক্তির ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ফরিদ খান ভাঙ্গা বাজার থেকে এক্সপ্রেসওয়ের লোকাল লেন হয়ে পুলিয়া বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে সলিলদিয়া নামের ফাঁকা জায়গায় ব্রিজের কাছে পৌঁছালে সেখানে ওত পেতে থাকা ছিনতাইকারীরা চালককে মারধর করে ইজিবাইকটি ছিনতাই করে নিয়ে যান। পরে ভুক্তভোগী ব্যক্তি ভাঙ্গা থানায় মামলা করেন। এরপর অভিযান চালিয়ে চক্রটির পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা আদালতে যাওয়ার সময় ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছেন। থানা চত্বর থেকে গাড়িতে ওঠানোর আগে সাংবাদিকদের ক্যামেরা দেখে গ্রেপ্তার হওয়া এক ছিনতাইকারী হাত উঁচিয়ে বলতে থাকেন, ‘আবার আসব, ভাঙ্গা শহর তছনছ করে ফেলব।’ এ সময় গ্রেপ্তার আরও এক ছিনতাইকারীকে জয়সূচক চিহ্ন দেখিয়ে বের হতে দেখা যায়।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানা চত্বরে এমন দৃশ্যের একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যায়। আজ মঙ্গলবার বিকেলে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন।
ওসি জানান, গ্রেপ্তার আসামিরা পেশাদার ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ইজিবাইক ছিনতাই, চুরি ও ডাকাতির মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ভাঙ্গা থানায় মামলা হয়েছে এবং গতকাল সোমবার দুপুরে পুলিশ পাহারায় তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, গতকাল দুপুরে থানা-পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া ছিনতাইকারী চক্রের পাঁচজন সদস্যকে আদালতে পাঠানো হয়। এ সময় তাঁরা সাংবাদিকদের দেখে আবার ফিরে এসে শহর তছনছ করবেন বলে হুমকি দেন। একটি ইজিবাইক ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলায় গত রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ভাঙ্গা পৌরসভার আতাদি গ্রামের বাঁধন মাতুব্বর (২৩), পূর্ব হাসামদিয়া গ্রামের পার্থ মাতুব্বর (২৫), ঢাকার ধামরাই থানার আফজাল শেখের ছেলে সজিব (২২), রাজবাড়ী সদর উপজেলার আকাশ (২১) এবং একই এলাকার সাকিব (১৯)।
ভাঙ্গা থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত রোববার বিকেলে ফরিদ খান নামের এক ব্যক্তির ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ফরিদ খান ভাঙ্গা বাজার থেকে এক্সপ্রেসওয়ের লোকাল লেন হয়ে পুলিয়া বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে সলিলদিয়া নামের ফাঁকা জায়গায় ব্রিজের কাছে পৌঁছালে সেখানে ওত পেতে থাকা ছিনতাইকারীরা চালককে মারধর করে ইজিবাইকটি ছিনতাই করে নিয়ে যান। পরে ভুক্তভোগী ব্যক্তি ভাঙ্গা থানায় মামলা করেন। এরপর অভিযান চালিয়ে চক্রটির পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

কমবেশি ১৮ বছর পর রাজধানীর বনানী ৫৪ প্লট প্রকল্পের ফাইলগুলোর দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। ২০০১ সালে ক্ষমতাসীন হওয়া বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে বনানীর এ প্লটগুলো তৎকালীন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও অন্যদের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। ওই সরকারের মেয়াদ শেষের প
১০ জানুয়ারি ২০২৫
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার নিভৃতপল্লী সীট নাজিরদহ গ্রামে মাকে হত্যার পর বসতঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখার দায়ে ছেলেকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে রংপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ফজলে খোদা মো. নাজির এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন অভিযুক্ত
২ মিনিট আগে
যারা সংস্কারের বিপক্ষে এবং যাদের ইতিহাসের দায়ভার রয়েছে, তাদের সঙ্গে আগামী নির্বাচনে জোটে যেতে অনেকবার ভাবতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী পর্যটন মোটেলে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। এনসিপি এখন পর্যন্ত কোনো জোটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত
৬ মিনিট আগে
জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি করার অধিকার নিয়ে আছে কি না, সে বিষয়ে গণভোট চেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পোস্টে মন্তব্যের অভিযোগে গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) পুবাইল থানার সেই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম মুরাদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
৩৩ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

যারা সংস্কারের বিপক্ষে এবং যাদের ইতিহাসের দায়ভার রয়েছে, তাদের সঙ্গে আগামী নির্বাচনে জোটে যেতে অনেকবার ভাবতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী পর্যটন মোটেলে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
এনসিপি এখন পর্যন্ত কোনো জোটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়নি জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘যদি আমাদের জোটে যেতে হয়, তা অবশ্যই একটা নীতিগত জায়গা থেকে আসবে। জুলাই সনদ বা সংস্কার বিষয়ে কারা বাংলাদেশের পক্ষে দাঁড়াচ্ছে, আমাদের সহযোগিতা করছে, সেই জায়গা থেকে জোটের বিষয়ে চিন্তা করতে পারি। যদি সংস্কারের বিরুদ্ধে দাঁড়ায় বা যাদের ইতিহাসের অনেক দায়ভার রয়েছে, তাদের সঙ্গে জোটে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের অনেকবার ভাবতে হবে। কারণ, জনগণের অনেক প্রত্যাশা আমাদের কাছে। আমরা নিজেদের শক্তিতেই দাঁড়াতে চাই।’
নির্বাচন পেছাতে শাপলা দেওয়া হচ্ছে না
এনসিপিকে শাপলা প্রতীক না দেওয়া প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘শাপলা না দেওয়ার বিষয়টা নির্বাচন কমিশনের একটা স্বেচ্ছাচারিতা। কারণ, নির্বাচন কমিশন যদি কোনো ধরনের ব্যাখ্যা ছাড়া একটা বিষয় চাপিয়ে দিতে চায়, আমরা ধরে নেব নির্বাচন কমিশন অন্য কোনো শক্তির দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এই নির্বাচন কমিশন স্বাধীন নয়, ন্যায়বিচার করতে সক্ষম নয়, নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে না, গায়ের জোরে পরিচালিত হচ্ছে। তখন জনগণের মধ্যে প্রশ্ন তৈরি হবে। যদি আমাদের সাংবিধানিক ব্যাখ্যা দেওয়া হয়, আমরা অন্য যেকোনো প্রতীক নিতে প্রস্তুত আছি। তবে এখনো পর্যন্ত আমরা কোনো বাধা নই।’
এনসিপি যাতে নির্বাচনমুখী কার্যক্রম করতে না পারে, সেই উদ্দেশ্য থেকেই শাপলা প্রতীক নিয়ে গড়িমসি করা হচ্ছে অভিযোগ করে নাহিদ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে কোনো রাজনৈতিক শক্তি এটা করছে। নির্বাচন কমিশন নিয়ে আমাদের অভিযোগ নতুন নয়। আমরা কিন্তু কমিশন গঠনের শুরু থেকেই প্রশ্ন তুলেছিলাম, এই গঠনটা কোন আইনের ভিত্তিতে হলো।’
নাহিদ বলেন, ‘এখন প্রতীক ইস্যু সামনে এনে নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে আমাদের নির্বাচন করতে দেবে না, তখন এটাকে রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করতে হবে। আমাদের নির্বাচন কার্যক্রম থামিয়ে রাখিনি। আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রার্থী বাছাই চলছে। খুব শিগগিরই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করব। আমরা চাই, আগামী সংসদে তরুণদের ভয়েস থাকবে। পাশাপাশি গ্রহণযোগ্য মানুষ, যারা সমাজ পরিবর্তনে কাজ করতে চায়, সেই ধরনের মানুষগুলোকে আমরা উঠিয়ে আনতে চায়। প্রবাসীদের সমন্বয়ে নারী ও সংখ্যালঘুদের সমন্বয়ে প্রার্থী তালিকা করতে চাই।’
জুলাই সনদ কেবলই আনুষ্ঠানিকতা
বাস্তবায়নের রূপরেখা ছাড়া জুলাই সনদ কেবলই আনুষ্ঠানিকতা বলে মন্তব্য করে নাহিদ বলেন, ‘জুলাই সনদ যেদিন স্বাক্ষর হয়, সেদিনই আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছি। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন কীভাবে নিশ্চিত হবে, সেটি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এটি কেবলই একটা আনুষ্ঠানিকতা। কাগজের সাইন, যার মূল্য কেবলই কাগজে। বাংলাদেশের ইতিহাসে আমরা নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পরে এ রকম ত্রিদলীয় রূপরেখা দেখেছিলাম, যেটা জনগণকে লোকদেখানো এবং ক্ষমতায় যাওয়ার পরে ভুলে যাওয়া। এই ভুল আমরা করব না।
‘তবে আমরা বলেছি, আমরা স্বাক্ষর করতে চাই। এই সংস্কারের পুরো অগ্রযাত্রাতেই আমরা ছিলাম। অবশ্যই আমরা সংস্কার চাই। স্বাক্ষর করার জন্যই আমরা অপেক্ষা করছি। আমরা শুনেছি, ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে সুপারিশটা দেওয়া হবে। আমরা বলেছি, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে আমরা সুনির্দিষ্ট কয়েকটি বিষয় দেখতে চাই। একটি হচ্ছে, নোট অব ডিসেন্ট বলে কোনো কিছু থাকবে না। যে সমস্ত বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে অথবা ঐকমত্য কমিশন সংবিধান সংস্কারের জন্য যে সমস্ত বিষয়কে লিপিবদ্ধ করেছে, সেই বিষয়গুলো গণভোটে যাবে এবং জনগণ রায় দেবে সেই বিষয়গুলো পরিবর্তিত হবে কি না।’
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকেই ঘোষণা করতে হবে উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, ‘গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদ অনুমোদিত হবে এবং এই আদেশটা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জারি করবেন। এই আদেশের বা সংস্কারের ভিত্তিটা হচ্ছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান। বিদ্যমান সংবিধানের অধীনে এই ধরনের সাংবিধানিক আদেশ দেওয়ার সুযোগ নেই। বর্তমান যে প্রেসিডেন্ট আছেন চুপ্পু, তিনি এই আদেশ দিতে পারেন না। সেটা বৈধ হবে না, জনগণের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হবে না। ড. মুহাম্মদ ইউনূস জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বৈধতার জায়গা থেকে এই আদেশটি জারি করবেন। পরবর্তীতে যে সংসদ হবে, সেখানে একটা সংস্কার পরিষদ হওয়ার কথা, সেখানে এই সকল পরিবর্তিত বিষয়গুলো সন্নিবেশিত হবে। এগুলো যখন নিশ্চিত হবে, সেখানে আমরা জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে স্বাক্ষর করব।’
একক সরকার টিকবে না
নাহিদ বলেছেন, ‘আমরা বলেছি, ফেব্রুয়ারির মধ্যেই যেন নির্বাচন হয়। এ জন্য সকল পক্ষকেই কাজ করতে হবে। পতিত শক্তি নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। যদি ক্ষমতার লোভে কোনো দল কিংবা কোনো শক্তি যদি মনে করে তারা এককভাবেই সবকিছু করবে বা এই জাতীয় ঐক্য ভেঙে দেবে বা জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে দাঁড়াবে, তাহলে কিন্তু হিতে বিপরীত হবে। তারা সংসদ টেকাতে পারবে না। সংসদ টেকাতে তাদের কষ্ট হবে এবং জনগণের আস্থা তারা পাবে না। তাই সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান করব, সংস্কারের পক্ষে থাকার।’
তবে বিচার প্রক্রিয়ার রোডম্যাপ দিতে হবে উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, ‘নির্বাচনের আগে অবশ্যই বিচারের রোডম্যাপ দিতে হবে। সারা দেশে যে আট শতাধিক মামলা রয়েছে, সেগুলোর কী হবে—তা জানাতে হবে। ট্রাইব্যুনালে যে গুমের মামলা চলমান রয়েছে, সেটি যেন অব্যাহত থাকে। ট্রাইব্যুনালের সকল কার্যক্রম যাতে পরবর্তী সরকারের সময়েও চলমান থাকে, এই ধরনের প্রতিশ্রুতি সকল রাজনৈতিক দল ও সরকারের পক্ষ থেকে থাকতে হবে।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকারে না
আগামী সংসদ নির্বাচনেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার আনার সুযোগ নেই বলে মনে করেন নাহিদ। তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার এই মুহূর্তে ফিরিয়ে আনার সুযোগ নেই। আমরা বিচার বিভাগকে এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জায়গায় টেনে আনতে চাই না। এর নানা ক্ষতিকর দিক আমরা অতীতে দেখেছি। এটা ঐকমত্য কমিশনের বিষয় যেহেতু, এটা গণভোটে গেলেই চূড়ান্ত হবে। এর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আনার সুযোগ নেই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনেই, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অধীনেই আমাদের নির্বাচনের দিকে যেতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘তবে এই সরকারের কিছু সমালোচনা এসেছে। আমাদের জায়গা থেকেও বলেছি। কিছু উপদেষ্টাদের বিষয়েও কথা এসেছে। এটা যথাযথভাবেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অ্যাড্রেস করা উচিত। সরকারের সেই নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা উচিত। এ জন্য নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে উপদেষ্টা পরিষদে কোনো রদবদলের প্রয়োজন হলে সরকার করতে পারে।’
নিম্নকক্ষে পিআর নয়
জামায়াতে ইসলামীসহ কিছু দলের পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা উচ্চকক্ষে পিআর চাই। এটা একটা মীমাংসিত বিষয় ছিল। পিআর ছাড়া উচ্চকক্ষের তো কোনো প্রয়োজনীয়তাই নেই। নিম্নকক্ষে পিআর নিয়ে আন্দোলনের কোনো প্রয়োজন ছিল না। এই আন্দোলন সামগ্রিক ঐকমত্য কমিশনের আলাপটাকে ডাইভার্ট করেছে, মনোযোগটা অন্য দিকে সরিয়েছে। যে সমস্ত দল এই আন্দোলনে ছিল, আমরা তাদের আহ্বান করেছি সেটা থেকে সরে এসে সত্যিকার যে সংস্কার প্রয়োজন সেটির ব্যাপারে আমরা যেন ঐক্যবদ্ধ থাকি।’
আ.লীগ রাজনৈতিক শক্তি নয়
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক শক্তি নয়। আওয়ামী লীগ দলগতভাবে বিচারের প্রক্রিয়ায় রয়েছে ট্রাইব্যুনালে। আওয়ামী লীগ কোনো দিনই নির্বাচনে বিশ্বাস করেনি, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেনি। শেখ মুজিবের আমল থেকে শেখ হাসিনা পর্যন্ত তারা বারবার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক কোনো দল নয়। তারা চেষ্টাই করবে নির্বাচনকে ভন্ডুল করতে। নির্বাচন যাতে না হয়, বাংলাদেশে যেন স্থিতিশীলতা না হয়। আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন বৈদেশিক শক্তিও চেষ্টা করবে। তাই ফ্যাসিবাদের প্রশ্নে আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। আমরা মনে করি, আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত করা গেছে, কিন্তু আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদ এখনো নানাভাবে রয়ে গেছে। সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনীতি এবং ব্যবসার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদ আছে। আওয়ামী লীগের সুবিধাবাদী শ্রেণি রয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা পর্যন্ত জামিন পেয়ে নানা জায়গায় তাণ্ডব চালাচ্ছে।’
জাতীয় পার্টির বিচার দাবি করে নাহিদ বলেন, ‘জাতীয় পার্টি এখন আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার চেষ্টা করছে। জাতীয় পার্টি প্রকাশ্যে বলছে, আওয়ামী লীগ ছাড়া নাকি নির্বাচন হবে না। এই সাহস তারা কীভাবে পায়! সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তারা বিগত ১৬ বছরের আওয়ামী লীগের সকল গুম-খুনকে বৈধতা দিয়েছে। তারা আওয়ামী লীগের পাতানো নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। আমরা মনে করি না, তারা গণতন্ত্রের পক্ষের কোনো দল। তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত এবং এটা অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব।’
এ সময় এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব নাহিদা সারোয়ার নিভা, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক হান্নান মাসউদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আসিফ নেহাল, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমন, রাজশাহী মহানগর সমন্বয়ক কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী মোবাশ্বের আলীসহ স্থানীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

যারা সংস্কারের বিপক্ষে এবং যাদের ইতিহাসের দায়ভার রয়েছে, তাদের সঙ্গে আগামী নির্বাচনে জোটে যেতে অনেকবার ভাবতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী পর্যটন মোটেলে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
এনসিপি এখন পর্যন্ত কোনো জোটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়নি জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘যদি আমাদের জোটে যেতে হয়, তা অবশ্যই একটা নীতিগত জায়গা থেকে আসবে। জুলাই সনদ বা সংস্কার বিষয়ে কারা বাংলাদেশের পক্ষে দাঁড়াচ্ছে, আমাদের সহযোগিতা করছে, সেই জায়গা থেকে জোটের বিষয়ে চিন্তা করতে পারি। যদি সংস্কারের বিরুদ্ধে দাঁড়ায় বা যাদের ইতিহাসের অনেক দায়ভার রয়েছে, তাদের সঙ্গে জোটে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের অনেকবার ভাবতে হবে। কারণ, জনগণের অনেক প্রত্যাশা আমাদের কাছে। আমরা নিজেদের শক্তিতেই দাঁড়াতে চাই।’
নির্বাচন পেছাতে শাপলা দেওয়া হচ্ছে না
এনসিপিকে শাপলা প্রতীক না দেওয়া প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘শাপলা না দেওয়ার বিষয়টা নির্বাচন কমিশনের একটা স্বেচ্ছাচারিতা। কারণ, নির্বাচন কমিশন যদি কোনো ধরনের ব্যাখ্যা ছাড়া একটা বিষয় চাপিয়ে দিতে চায়, আমরা ধরে নেব নির্বাচন কমিশন অন্য কোনো শক্তির দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এই নির্বাচন কমিশন স্বাধীন নয়, ন্যায়বিচার করতে সক্ষম নয়, নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে না, গায়ের জোরে পরিচালিত হচ্ছে। তখন জনগণের মধ্যে প্রশ্ন তৈরি হবে। যদি আমাদের সাংবিধানিক ব্যাখ্যা দেওয়া হয়, আমরা অন্য যেকোনো প্রতীক নিতে প্রস্তুত আছি। তবে এখনো পর্যন্ত আমরা কোনো বাধা নই।’
এনসিপি যাতে নির্বাচনমুখী কার্যক্রম করতে না পারে, সেই উদ্দেশ্য থেকেই শাপলা প্রতীক নিয়ে গড়িমসি করা হচ্ছে অভিযোগ করে নাহিদ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে কোনো রাজনৈতিক শক্তি এটা করছে। নির্বাচন কমিশন নিয়ে আমাদের অভিযোগ নতুন নয়। আমরা কিন্তু কমিশন গঠনের শুরু থেকেই প্রশ্ন তুলেছিলাম, এই গঠনটা কোন আইনের ভিত্তিতে হলো।’
নাহিদ বলেন, ‘এখন প্রতীক ইস্যু সামনে এনে নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে আমাদের নির্বাচন করতে দেবে না, তখন এটাকে রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করতে হবে। আমাদের নির্বাচন কার্যক্রম থামিয়ে রাখিনি। আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রার্থী বাছাই চলছে। খুব শিগগিরই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করব। আমরা চাই, আগামী সংসদে তরুণদের ভয়েস থাকবে। পাশাপাশি গ্রহণযোগ্য মানুষ, যারা সমাজ পরিবর্তনে কাজ করতে চায়, সেই ধরনের মানুষগুলোকে আমরা উঠিয়ে আনতে চায়। প্রবাসীদের সমন্বয়ে নারী ও সংখ্যালঘুদের সমন্বয়ে প্রার্থী তালিকা করতে চাই।’
জুলাই সনদ কেবলই আনুষ্ঠানিকতা
বাস্তবায়নের রূপরেখা ছাড়া জুলাই সনদ কেবলই আনুষ্ঠানিকতা বলে মন্তব্য করে নাহিদ বলেন, ‘জুলাই সনদ যেদিন স্বাক্ষর হয়, সেদিনই আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছি। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন কীভাবে নিশ্চিত হবে, সেটি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এটি কেবলই একটা আনুষ্ঠানিকতা। কাগজের সাইন, যার মূল্য কেবলই কাগজে। বাংলাদেশের ইতিহাসে আমরা নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পরে এ রকম ত্রিদলীয় রূপরেখা দেখেছিলাম, যেটা জনগণকে লোকদেখানো এবং ক্ষমতায় যাওয়ার পরে ভুলে যাওয়া। এই ভুল আমরা করব না।
‘তবে আমরা বলেছি, আমরা স্বাক্ষর করতে চাই। এই সংস্কারের পুরো অগ্রযাত্রাতেই আমরা ছিলাম। অবশ্যই আমরা সংস্কার চাই। স্বাক্ষর করার জন্যই আমরা অপেক্ষা করছি। আমরা শুনেছি, ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে সুপারিশটা দেওয়া হবে। আমরা বলেছি, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে আমরা সুনির্দিষ্ট কয়েকটি বিষয় দেখতে চাই। একটি হচ্ছে, নোট অব ডিসেন্ট বলে কোনো কিছু থাকবে না। যে সমস্ত বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে অথবা ঐকমত্য কমিশন সংবিধান সংস্কারের জন্য যে সমস্ত বিষয়কে লিপিবদ্ধ করেছে, সেই বিষয়গুলো গণভোটে যাবে এবং জনগণ রায় দেবে সেই বিষয়গুলো পরিবর্তিত হবে কি না।’
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকেই ঘোষণা করতে হবে উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, ‘গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদ অনুমোদিত হবে এবং এই আদেশটা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জারি করবেন। এই আদেশের বা সংস্কারের ভিত্তিটা হচ্ছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান। বিদ্যমান সংবিধানের অধীনে এই ধরনের সাংবিধানিক আদেশ দেওয়ার সুযোগ নেই। বর্তমান যে প্রেসিডেন্ট আছেন চুপ্পু, তিনি এই আদেশ দিতে পারেন না। সেটা বৈধ হবে না, জনগণের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হবে না। ড. মুহাম্মদ ইউনূস জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বৈধতার জায়গা থেকে এই আদেশটি জারি করবেন। পরবর্তীতে যে সংসদ হবে, সেখানে একটা সংস্কার পরিষদ হওয়ার কথা, সেখানে এই সকল পরিবর্তিত বিষয়গুলো সন্নিবেশিত হবে। এগুলো যখন নিশ্চিত হবে, সেখানে আমরা জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে স্বাক্ষর করব।’
একক সরকার টিকবে না
নাহিদ বলেছেন, ‘আমরা বলেছি, ফেব্রুয়ারির মধ্যেই যেন নির্বাচন হয়। এ জন্য সকল পক্ষকেই কাজ করতে হবে। পতিত শক্তি নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। যদি ক্ষমতার লোভে কোনো দল কিংবা কোনো শক্তি যদি মনে করে তারা এককভাবেই সবকিছু করবে বা এই জাতীয় ঐক্য ভেঙে দেবে বা জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে দাঁড়াবে, তাহলে কিন্তু হিতে বিপরীত হবে। তারা সংসদ টেকাতে পারবে না। সংসদ টেকাতে তাদের কষ্ট হবে এবং জনগণের আস্থা তারা পাবে না। তাই সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান করব, সংস্কারের পক্ষে থাকার।’
তবে বিচার প্রক্রিয়ার রোডম্যাপ দিতে হবে উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, ‘নির্বাচনের আগে অবশ্যই বিচারের রোডম্যাপ দিতে হবে। সারা দেশে যে আট শতাধিক মামলা রয়েছে, সেগুলোর কী হবে—তা জানাতে হবে। ট্রাইব্যুনালে যে গুমের মামলা চলমান রয়েছে, সেটি যেন অব্যাহত থাকে। ট্রাইব্যুনালের সকল কার্যক্রম যাতে পরবর্তী সরকারের সময়েও চলমান থাকে, এই ধরনের প্রতিশ্রুতি সকল রাজনৈতিক দল ও সরকারের পক্ষ থেকে থাকতে হবে।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকারে না
আগামী সংসদ নির্বাচনেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার আনার সুযোগ নেই বলে মনে করেন নাহিদ। তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার এই মুহূর্তে ফিরিয়ে আনার সুযোগ নেই। আমরা বিচার বিভাগকে এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জায়গায় টেনে আনতে চাই না। এর নানা ক্ষতিকর দিক আমরা অতীতে দেখেছি। এটা ঐকমত্য কমিশনের বিষয় যেহেতু, এটা গণভোটে গেলেই চূড়ান্ত হবে। এর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আনার সুযোগ নেই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনেই, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অধীনেই আমাদের নির্বাচনের দিকে যেতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘তবে এই সরকারের কিছু সমালোচনা এসেছে। আমাদের জায়গা থেকেও বলেছি। কিছু উপদেষ্টাদের বিষয়েও কথা এসেছে। এটা যথাযথভাবেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অ্যাড্রেস করা উচিত। সরকারের সেই নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা উচিত। এ জন্য নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে উপদেষ্টা পরিষদে কোনো রদবদলের প্রয়োজন হলে সরকার করতে পারে।’
নিম্নকক্ষে পিআর নয়
জামায়াতে ইসলামীসহ কিছু দলের পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা উচ্চকক্ষে পিআর চাই। এটা একটা মীমাংসিত বিষয় ছিল। পিআর ছাড়া উচ্চকক্ষের তো কোনো প্রয়োজনীয়তাই নেই। নিম্নকক্ষে পিআর নিয়ে আন্দোলনের কোনো প্রয়োজন ছিল না। এই আন্দোলন সামগ্রিক ঐকমত্য কমিশনের আলাপটাকে ডাইভার্ট করেছে, মনোযোগটা অন্য দিকে সরিয়েছে। যে সমস্ত দল এই আন্দোলনে ছিল, আমরা তাদের আহ্বান করেছি সেটা থেকে সরে এসে সত্যিকার যে সংস্কার প্রয়োজন সেটির ব্যাপারে আমরা যেন ঐক্যবদ্ধ থাকি।’
আ.লীগ রাজনৈতিক শক্তি নয়
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক শক্তি নয়। আওয়ামী লীগ দলগতভাবে বিচারের প্রক্রিয়ায় রয়েছে ট্রাইব্যুনালে। আওয়ামী লীগ কোনো দিনই নির্বাচনে বিশ্বাস করেনি, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেনি। শেখ মুজিবের আমল থেকে শেখ হাসিনা পর্যন্ত তারা বারবার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক কোনো দল নয়। তারা চেষ্টাই করবে নির্বাচনকে ভন্ডুল করতে। নির্বাচন যাতে না হয়, বাংলাদেশে যেন স্থিতিশীলতা না হয়। আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন বৈদেশিক শক্তিও চেষ্টা করবে। তাই ফ্যাসিবাদের প্রশ্নে আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। আমরা মনে করি, আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত করা গেছে, কিন্তু আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদ এখনো নানাভাবে রয়ে গেছে। সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনীতি এবং ব্যবসার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদ আছে। আওয়ামী লীগের সুবিধাবাদী শ্রেণি রয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা পর্যন্ত জামিন পেয়ে নানা জায়গায় তাণ্ডব চালাচ্ছে।’
জাতীয় পার্টির বিচার দাবি করে নাহিদ বলেন, ‘জাতীয় পার্টি এখন আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার চেষ্টা করছে। জাতীয় পার্টি প্রকাশ্যে বলছে, আওয়ামী লীগ ছাড়া নাকি নির্বাচন হবে না। এই সাহস তারা কীভাবে পায়! সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তারা বিগত ১৬ বছরের আওয়ামী লীগের সকল গুম-খুনকে বৈধতা দিয়েছে। তারা আওয়ামী লীগের পাতানো নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। আমরা মনে করি না, তারা গণতন্ত্রের পক্ষের কোনো দল। তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত এবং এটা অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব।’
এ সময় এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব নাহিদা সারোয়ার নিভা, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক হান্নান মাসউদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আসিফ নেহাল, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমন, রাজশাহী মহানগর সমন্বয়ক কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী মোবাশ্বের আলীসহ স্থানীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

কমবেশি ১৮ বছর পর রাজধানীর বনানী ৫৪ প্লট প্রকল্পের ফাইলগুলোর দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। ২০০১ সালে ক্ষমতাসীন হওয়া বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে বনানীর এ প্লটগুলো তৎকালীন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও অন্যদের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। ওই সরকারের মেয়াদ শেষের প
১০ জানুয়ারি ২০২৫
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার নিভৃতপল্লী সীট নাজিরদহ গ্রামে মাকে হত্যার পর বসতঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখার দায়ে ছেলেকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে রংপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ফজলে খোদা মো. নাজির এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন অভিযুক্ত
২ মিনিট আগে
থানা চত্বর থেকে গাড়িতে ওঠানোর আগে সাংবাদিকদের ক্যামেরা দেখে গ্রেপ্তার হওয়া এক ছিনতাইকারী হাত উঁচিয়ে বলতে থাকেন—‘আবার আসব, ভাঙ্গা শহর তছনছ করে ফেলব।’ এ সময় গ্রেপ্তার আরও এক ছিনতাইকারীকে জয়সূচক চিহ্ন দেখিয়ে বের হতে দেখা যায়।
৫ মিনিট আগে
জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি করার অধিকার নিয়ে আছে কি না, সে বিষয়ে গণভোট চেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পোস্টে মন্তব্যের অভিযোগে গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) পুবাইল থানার সেই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম মুরাদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
৩৩ মিনিট আগেগাজীপুর প্রতিনিধি

জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি করার অধিকার নিয়ে আছে কি না, সে বিষয়ে গণভোট চেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পোস্টে মন্তব্যের অভিযোগে গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) পুবাইল থানার সেই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম মুরাদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
জিএমপির ভারপ্রাপ্ত কমিশনার মো. জাহিদুল হাসান স্বাক্ষরিত চিঠিতে আজ মঙ্গলবারের মধ্যে একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার কাছে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে জিএমপি সদর দপ্তরে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জাহিদুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ফেসবুকে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে মন্তব্য করার পর বিতর্কের সৃষ্টি হয়। ওই ঘটনায় ২০ অক্টোবর ওসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় জামায়াতে ইসলামী জিএমপি কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ করে। বিষয়টি নিয়ে আজকের পত্রিকাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
গাজীপুর মহানগর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটিকে অত্যন্ত সংবেদনশীল হিসেবে বিবেচনা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ওসি আমিরুলকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়। একজন জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রশাসনের নিরপেক্ষতার প্রশ্নে কোনো আপস নেই। তাই তদন্তের স্বার্থে তাঁকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি করার অধিকার নিয়ে আছে কি না, সে বিষয়ে গণভোট চেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পোস্টে মন্তব্যের অভিযোগে গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) পুবাইল থানার সেই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম মুরাদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
জিএমপির ভারপ্রাপ্ত কমিশনার মো. জাহিদুল হাসান স্বাক্ষরিত চিঠিতে আজ মঙ্গলবারের মধ্যে একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার কাছে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে জিএমপি সদর দপ্তরে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জাহিদুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ফেসবুকে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে মন্তব্য করার পর বিতর্কের সৃষ্টি হয়। ওই ঘটনায় ২০ অক্টোবর ওসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় জামায়াতে ইসলামী জিএমপি কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ করে। বিষয়টি নিয়ে আজকের পত্রিকাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
গাজীপুর মহানগর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটিকে অত্যন্ত সংবেদনশীল হিসেবে বিবেচনা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ওসি আমিরুলকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়। একজন জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রশাসনের নিরপেক্ষতার প্রশ্নে কোনো আপস নেই। তাই তদন্তের স্বার্থে তাঁকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

কমবেশি ১৮ বছর পর রাজধানীর বনানী ৫৪ প্লট প্রকল্পের ফাইলগুলোর দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। ২০০১ সালে ক্ষমতাসীন হওয়া বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে বনানীর এ প্লটগুলো তৎকালীন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও অন্যদের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। ওই সরকারের মেয়াদ শেষের প
১০ জানুয়ারি ২০২৫
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার নিভৃতপল্লী সীট নাজিরদহ গ্রামে মাকে হত্যার পর বসতঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখার দায়ে ছেলেকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে রংপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ফজলে খোদা মো. নাজির এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন অভিযুক্ত
২ মিনিট আগে
থানা চত্বর থেকে গাড়িতে ওঠানোর আগে সাংবাদিকদের ক্যামেরা দেখে গ্রেপ্তার হওয়া এক ছিনতাইকারী হাত উঁচিয়ে বলতে থাকেন—‘আবার আসব, ভাঙ্গা শহর তছনছ করে ফেলব।’ এ সময় গ্রেপ্তার আরও এক ছিনতাইকারীকে জয়সূচক চিহ্ন দেখিয়ে বের হতে দেখা যায়।
৫ মিনিট আগে
যারা সংস্কারের বিপক্ষে এবং যাদের ইতিহাসের দায়ভার রয়েছে, তাদের সঙ্গে আগামী নির্বাচনে জোটে যেতে অনেকবার ভাবতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী পর্যটন মোটেলে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। এনসিপি এখন পর্যন্ত কোনো জোটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত
৬ মিনিট আগে