Ajker Patrika

তামাকজাত দ্রব্যের দাম বাড়ানোর দাবি আহছানিয়া মিশনের 

তামাকজাত দ্রব্যের দাম বাড়ানোর দাবি আহছানিয়া মিশনের 

আগামী প্রজন্মকে তামাকের করাল গ্রাস থেকে রক্ষা করতে এবং নতুন তামাকসেবী সৃষ্টি কমাতে হলে অবশ্যই মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় রেখে, তামাকজাত দ্রব্যের দাম বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে ঢাকা আহছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টর।

আজ সোমবার রাজধানীর শ্যামলীর ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের অর্কিড মিটিং রুমে ‘বাজেটোত্তর প্রতিক্রিয়া: প্রসঙ্গ তামাক মূল্য ও কর’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এমন দাবি জানানো হয়। 

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা আহছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক, ইকবাল মাসুদ। তিনি জানান, বিগত কয়েক বছরে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম যে হারে বেড়েছে, সেই অনুপাতে বাড়েনি তামাকজাতদ্রব্যের দাম। এমনকি, বাংলাদেশে তামাকজাতদ্রব্যের কর বৃদ্ধির হার পার্শ্ববর্তী দেশেরগুলোর চাইতে তুলনামূলক অনেক কম।

২০২৪-২৫ অর্থ-বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে নিম্নস্তরে ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ৪৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি শলাকার দাম বাড়ানো হয়েছে মাত্র ৫০ পয়সা।

এদিকে, বাজেটে সিগারেট, জর্দা’র দাম বাড়ানো হলেও দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে বিড়ির দাম। যেখানে দেশের নিম্নবিত্ত শ্রেণির মধ্যে বিড়ি সেবন হার বেশি। ফলে প্রস্তাবিত বাজেটে নিম্নবিত্ত মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিষয়টি উপেক্ষিত হয়েছে।
 
গত কয়েক বছর বাজেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য ৪০ শতাংশ থেকে প্রায় ৯০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ প্রস্তাবিত বাজেটে তামাকজাতদ্রব্যের দাম বাড়ানো হয়েছে ৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ থেকে ১১ দশমিক ১১ শতাংশ পর্যন্ত। এদিকে, ২০২৩-২৪ সালের তুলনায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জনগণের মাথাপিছু আয় বেড়েছে প্রায় ১২ শতাংশ। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়লেও, তামাকজাত দ্রব্য তরুণ ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সাধ্যের মধ্যেই থেকে যাচ্ছে।

তামাকজাতদ্রব্যের নামমাত্র এই মূল্যবৃদ্ধি দরিদ্র ও তরুণ জনগোষ্ঠীকে কোনোভাবেই সিগারেটে নিরুৎসাহিত করবে না। কেননা মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি এবং মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নিলে প্রকৃত অর্থে সিগারেটের দাম বিগত বছরের তুলনায় কমে গেছে। এতে করে সস্তা সিগারেটের ব্যবহার আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাবে। এবং তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি আরও বহুগুণে বাড়বে।
 
বাংলাদেশে ৩৫ ভাগের বেশি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করেন এবং তামাক ব্যবহারজনিত রোগে প্রতিবছর ১ লাখ ৬১ হাজারের অধিক মানুষ মারা যান। চূড়ান্ত বাজেটে তামাকবিরোধীদের প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হলে দীর্ঘ মেয়াদে প্রায় ৫ লাখ তরুণসহ মোট ১১ লাখের অধিক মানুষের অকাল মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে।

তাই, তামাকজাতদ্রব্যের সকল স্তরের মূল্য ও কর তামাকবিরোধী সংগঠনগুলোর প্রস্তাবিত হারে বৃদ্ধি না করা হলে সরকার বাড়তি ১০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের সুযোগ হারাবে এবং তামাক ব্যবহারজনিত রোগের স্বাস্থ্য ব্যয় বাড়বে। এমনকি বাড়বে সাধারণ জনগণের ‘আউট অফ পকেট এক্সপেনডিচার’। 
এ সময় ঢাকা আহছানিয়া মিশন, স্বাস্থ্য সেক্টরের উপপরিচালক মোখলেছুর রহমান, তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী শরিফুল ইসলামসহ অনেকেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে এনসিপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
শাহবাগে এনসিপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ। ছবি: সংগৃহীত
শাহবাগে এনসিপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলার সমন্বয় সভায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগে শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। এতে একজন আহত হয়েছেন।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, অতীতের আর্থিক লেনদেন-সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে বংশাল ও মোহাম্মদপুর থানার নেতা-কর্মীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কনভেনশন সেন্টারের তৃতীয় তলায় এনসিপি ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলার সমন্বয় সভা চলছিল। ওই সময় দ্বিতীয় তলায় এনসিপির মোহাম্মদপুর ও বংশাল থানার নেতা-কর্মীরা বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে বংশাল থানার কর্মী মোহাম্মদ ইউসুফ আহত হন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত আজকের পত্রিকাকে জানান, দুটি থানার কয়েকজনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। তাদের থামাতে গিয়েছিল অনেকে। পরে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে।

আর্থিক বিরোধকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষ কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেটা আমি নিশ্চিত না।’

এনসিপির ঢাকা মহানগরীর নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কয়েক মাস আগে বংশাল থানার কয়েকজন নেতার মোহাম্মদপুরের একটি কোম্পানির সঙ্গে আর্থিক লেনদেন নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। বিষয়টি ঢাকা মহানগর উত্তরের শোয়েব নামে এক নেতাকে জানানো হলে তিনি মোহাম্মদপুর থানার রিয়ান নামে এক নেতাকে বিষয়টি সমাধানের দায়িত্ব দেন।

অভিযোগ রয়েছে, রিয়ান বংশালের নেতাদের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা নেন। এর পর থেকে রিয়ানের কাছে টাকা ফেরত চাইতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন বংশালের নেতারা। আজ কনভেনশন হলে রিয়ানের মুখোমুখি হন বংশালের নেতারা। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও সংঘর্ষ হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অষ্টগ্রামে খেলার সময় বিলে পড়ে ৩ শিশুর মৃত্যু, পরিবারে শোকের ছায়া

অষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে বাড়ি সামনে খেলা করার সময় বিলের পানিতে পড়ে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলা দেওঘর ইউনিয়নের পশ্চিম আলীনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

মৃত শিশুরা হলেন দেওঘর ইউনিয়নের পশ্চিম আলীনগর গ্রামের মাইন্না বাড়ির আবুল কালামের ছেলে মিশকাত (৫), মাসুক মিয়ার ছেলে মাহিন (৬) ও সাত্তার মিয়ার ছেলে তানিল মিয়া (৫)।

স্থানীয়রা জানান, আজ বিকেলে আলীনগর পশ্চিমপাড়া মাইন্না বাড়ির তানিল, মাহিন ও মিশকাত—তিন শিশু মিলে বাড়ির সামনে খেলা করছিল। হঠাৎ সবার অজান্তে তিন শিশু পানিতে পড়ে ডুবে যায়।

দীর্ঘ সময় শিশুদের দেখতে না পেয়ে স্বজনেরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে বাড়িসংলগ্ন উত্তর দিকের বিলের পানিতে খোঁজতে গিয়ে মিশকাত ও মাহিনকে উদ্ধার করা হয়। পরে অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে খবর পেয়ে অষ্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অপর শিশু তানিলের মরদেহ উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে মাহিনের চাচা মোবারক হোসেন বলেন, প্রতিদিনের মতো তিন শিশু খেলাধুলা করছিল। কিন্তু, কখন যে বিলের পানিতে ডুবে গেল কেউ বোঝেনি। পরে তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে পানিতে প্রথমে দুজন, পরে অন্য জনকে পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে দেওঘর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন বলেন, ‘দুঃখজনক খবর। একই বাড়ির তিনটা শিশুর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গুলশান থেকে ঋণ জালিয়াতির মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
গ্রেপ্তার আসাদুল ইসলাম আসাদ (৫০)। ছবি: এটিইউ
গ্রেপ্তার আসাদুল ইসলাম আসাদ (৫০)। ছবি: এটিইউ

রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক থেকে ৯ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ না করা ও একাধিক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত এক পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। গতকাল বৃহস্পতিবার গুলশান-১ এলাকার একটি কফিশপে অভিযান চালিয়ে আসাদুল ইসলাম আসাদ (৫০) নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আসাদ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মছলন্দপুর গ্রামের মৃত মো. ইব্রাহিম মোল্যার ছেলে।

এটিইউর মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইংয়ের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আসামি আসাদ ২০০৮ সাল থেকে ব্যবসায়িক প্রয়োজন দেখিয়ে সোনালী ব্যাংক থেকে ৯ কোটি টাকা ঋণ নেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে ঋণ পরিশোধ না করায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অর্থঋণ আদালতে মামলা করে। ওই মামলায় আদালত তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

এর আগে তিনি ২০২২ সালে এক ব্যক্তির কাছ থেকে শিল্পকারখানার পণ্য সরবরাহের কথা বলে ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেন। কিন্তু পণ্য সরবরাহ না করে অর্থও ফেরত না দেওয়ায় ওই ব্যক্তি মামলা করেন। ওই মামলায় আদালত চলতি বছরের ২ জুলাই আসামিকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেন।

এ ছাড়া আরও একটি মামলায় তাঁকে আদালত এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৪৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন।

রায় ঘোষণার পর থেকে আসাদ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিলেন। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার অনুরোধে এটিইউর একটি দল গতকাল তাঁকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সোনারগাঁ থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

লালপুরে বিশেষ অভিযানে তিন হ্যাকার গ্রেপ্তার

লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার তিন ব্যক্তি। ছবি: সংগৃহীত
বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার তিন ব্যক্তি। ছবি: সংগৃহীত

নাটোরের লালপুরে মাদক ও সাইবার অপরাধ দমনে পুলিশের বিশেষ অভিযানে এক আওয়ামী লীগ নেতার ছেলেসহ তিন হ্যাকারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের পানসিপাড়া গ্রাম থেকে তাঁদের আটক করে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন দুড়দুড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে নওপাড়া গ্রামের মো. সাইফুল ইসলাম তুহিন (২২), পানসিপাড়া গ্রামের বাচ্চু মণ্ডলের ছেলে আব্দুল আল বায়েজিদ (২০) এবং মো. সোলেমানের ছেলে মো. নাজমুল আলী (২০)।

লালপুর থানা সূত্রে জানা যায়, নাটোর জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ওই এলাকায় মাদক ও হ্যাকিংবিরোধী অভিযান চালায়। এ সময় বাচ্চু মণ্ডলের বাড়ির পাশের একটি আমবাগানে মাদক সেবন ও হ্যাকিং কার্যক্রম পরিচালনার সময় তিনজনকে হাতেনাতে ধরা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা বিকাশ ও নগদের পিন নম্বর জালিয়াতি, ব্যাংক রিসিট প্রতারণা, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইমু আইডি হ্যাক এবং মেয়েদের কণ্ঠ নকল করে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করেছে। অভিযান চলাকালে তাঁদের কাছ থেকে ছয়টি স্মার্টফোন, চারটি বাটন ফোন, ২৩টি মোবাইল সিম কার্ড, ১৯টি ইয়াবা বড়ি ও গাঁজা জব্দ করা হয়।

এ বিষয়ে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে অনলাইন হ্যাকিং ও প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁদের কাছ থেকে হ্যাকিং সরঞ্জাম ও মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। সাইবার সুরক্ষা আইন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের পর চলতি বছর আবারও লালপুরে হ্যাকিং চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। ৮ অক্টোবর উপজেলার বিলমাড়িয়া ও দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে নয়জনকে, ২৪ মে মোহরকয়া গ্রাম থেকে তিন, ২৭ মে মোহরকয়া ও পানসিপাড়া থেকে পাঁচ এবং ৯ জুলাই বিলমাড়িয়া ইউনিয়ন থেকে আরও আটজনকে গ্রেপ্তার করেছিল যৌথ বাহিনী। তবে জামিনে মুক্ত হয়ে তাঁরা আবারও একই অপরাধে যুক্ত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত