Ajker Patrika

অতিরিক্ত আইজিপির বাসায় পাওয়া মরদেহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০২ জুন ২০২২, ১৬: ৪৭
অতিরিক্ত আইজিপির বাসায় পাওয়া মরদেহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর 

রাজধানীর রমনা অফিসার্স কোয়ার্টারে অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শকের বাসা থেকে উদ্ধার গৃহকর্মী মৌসুমির (১৪) মৃতদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার কিছু পরে ময়নাতদন্ত শেষ হলে পুলিশ সদস্যদের কাছে তার মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. ফজলুল হক মৌসুমির মরদেহ গ্রহণ করেন।

ময়নাতদন্ত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (ঢামেক) ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. শারমিন আফরোজ।

এর আগে মৌসুমির মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমেনা খানম। তিনি সুরতহাল রিপোর্টে উল্লেখ করেন, ‘মারা যাওয়া মৌসুমির শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। গলায় অর্ধচন্দ্রাকৃতির দাগ আছে।’ 

প্রাথমিকভাবে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, মৃত মৌসুমি অজ্ঞাত কারণে ১৪/এ নম্বর শিমুল বিল্ডিংয়ের ১৩ তলার ছাদের বারান্দায় ফ্যানের হুকের সঙ্গে রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। 

গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর রমনায় পুলিশ কর্মকর্তাদের আবাসিক ভবন শিমুল থেকে মৌসুমির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে থানার পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।

রমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইউনুছ আলী বলেন, ‘বিকেলে খবর পেয়ে অফিসার্স কোয়ার্টারের বাসা থেকে ওই গৃহকর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার করি। এ সময় বাসার বেলকুনিতে লোহার অ্যাঙ্গেলের সঙ্গে রাশি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল।’

জানা যায়, মৃত মৌসুমির বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার বাইচাইল গ্রামে। রমনা অফিসার্স কোয়ার্টারে অতিরিক্ত আইজিপি আবু হাসান মোহাম্মদ তারিকের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করত সে। তারিক বর্তমানে রাজশাহীর সারদায় অবস্থিতি পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ। 

মৌসুমির বাবা অনেক আগেই মারা গেছেন। মা ফরিদা অন্য একজনকে বিয়ে করে সেখানেই সংসার পেতেছেন। এরপর থেকে নানির কাছেই বড় হয়েছে সে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত