Ajker Patrika

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যা: সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গ্রেপ্তার ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাহিদুল ইসলাম পারভেজ (২৪)। ছবি: সংগৃহীত
জাহিদুল ইসলাম পারভেজ (২৪)। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে (২৪) হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—আল কামাল শেখ ওরফে কামাল (১৯), আলভী হোসেন জুনায়েদ (১৯) ও আল আমিন সানি (১৯)। তাঁরা কেউই মামলার এজাহারনামীয় আসামি নন।

গতকাল রোববার দিবাগত রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে বনানী থানা–পুলিশ। পুলিশ বলছে, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, হত্যার সময় ঘটনাস্থলে তাঁরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া এজাহারভুক্ত আসামিদের সঙ্গে মোবাইল যোগাযোগ ও মেসেজের মাধ্যমেও তাঁরা সংশ্লিষ্ট ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল সারোয়ার বলেন, ‘সিসিটিভি ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্যে হত্যাকাণ্ডে এ তিনজনের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহাখালীর ওয়ারলেস গেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।’

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে কামালের বাড়ি খুলনার তেরখাদা উপজেলার বিলদুড়িয়ার শেখপাড়ায়; আলভীর গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইল দক্ষিণ জাহাঙ্গীরপুরে; আর আল আমিনের বাড়ি জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে। তাঁরা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করতেন।

ওসি আরও বলেন, ‘গ্রেপ্তার তিনজন এজাহারভুক্ত আসামিদের পরিচিত। তাঁদের মাধ্যমে হত্যায় জড়িত পলাতক আসামিদের অবস্থান শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

কীভাবে খুন হলেন পারভেজ?

প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী পারভেজ শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে পরীক্ষা শেষে বন্ধুদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপরীতে র‍্যানকন বিল্ডিংয়ের সামনে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দুই ছাত্রীকে নিয়ে হাসাহাসির অভিযোগে তিন যুবক—মেহেরাজ ইসলাম, আবু জহর গিফফারি পিয়াস ও মাহাথির হাসান—তাঁদের সঙ্গে তর্কে জড়ান। বিষয়টি পরে প্রক্টর অফিসে গড়ালে শিক্ষকেরা মীমাংসা করে দেন।

তবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হওয়ার পরপরই গেটের সামনে পারভেজের ওপর হামলা হয়। ছুরিকাঘাতে তিনি গুরুতর আহত হন এবং পরে মারা যান।

ঘটনার পরদিন রাতেই পারভেজের মামাতো ভাই হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে বনানী থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে—মেহেরাজ ইসলাম, আবু জহর গিফফারি পিয়াস, মাহাথির হাসান, সোবহান নিয়াজ তুষার, হৃদয় মিয়াজি, রিফাত, আলী ও ফাহিম। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত