Ajker Patrika

কাউন্টারে হাতে লিখে টিকিট দিতে সময় লাগছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কাউন্টারে হাতে লিখে টিকিট দিতে সময় লাগছে

নতুন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব গ্রহণের সুবিধার্থে আজ থেকে ২৫ মার্চ—পাঁচ দিন অনলাইনে টিকিট বিক্রি বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ফলে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে স্টেশনের কাউন্টার থেকে শতভাগ টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। কিন্তু স্টেশনের কাউন্টার থেকে টিকিট দিতে অনেক সময় লাগছে। ফলে কাউন্টারের সামনে দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়ে যাচ্ছে। একটা টিকিটের জন্য যাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হচ্ছে কাউন্টারের সামনে। 

আজ সোমবার কমলাপুর রেলস্টেশন এমন চিত্র দেখা যায়। অনলাইনে টিকিট বিক্রি বন্ধ থাকায় স্টেশনের সবগুলো কাউন্টার থেকে বিভিন্ন ট্রেনের টিকিট বিক্রি করছে রেল কর্তৃপক্ষ। 

কমলাপুর রেলস্টেশনে সরেজমিনে দেখা যায়, টিকিট কাউন্টার সকাল ৮টায় খোলা হলেও সাধারণ মানুষ টিকিটের জন্য লাইন ধরেছে সকাল ৫ টা-৬টা থেকে। বর্তমানে ট্রেনের টিকিট কাউন্টার থেকে হাতে লিখে দেওয়া হচ্ছে। ফলে যাত্রীদের টিকিট পেতে খানিকটা সময় লাগছে। টিকিট দিতে দেরি হওয়ায় টিকিট প্রত্যাশীদের লাইন দীর্ঘ হচ্ছে। আজ স্টেশন থেকে ২২ তারিখের অগ্রিম টিকিট দেওয়া হচ্ছে। 

প্লাবন হালদার ঢাকা থেকে যশোর যাওয়ার জন্য অগ্রিম টিকিট কাটতে কমলাপুর রেলস্টেশনে এসেছে। তাঁর সঙ্গে কথা হলে তিনি অভিযোগ করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকাল ৬টার সময় কমলাপুর রেলস্টেশনে এসেছি। প্রায় তিন ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর সকাল ৯টার সময় ৩টি টিকিট পেয়েছি। একটা টিকিট দিতেই অনেক সময় নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। অনলাইনে টিকিট দেওয়া হচ্ছে না, তাহলে কাউন্টার থেকে ব্যবস্থাপনাটা আরও দ্রুত করা উচিত যাতে যাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে না হয়।’ 

মো. মশিউর রহমান নামের আরেক টিকিট প্রত্যাশী বলেন, ‘অনলাইনে আগে ৫ দিন আগের অগ্রিম টিকিট পাওয়া যেত। কিন্ত কাউন্টারে ২৪ তারিখের অগ্রিম টিকিটের জন্য এসেছিলাম। কিন্তু কাউন্টার থেকে শুধু একদিন আগের অগ্রিম টিকিট দেওয়া হচ্ছে। ফলে আমাদের কিছুটা ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।’ 

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে কমলাপুর রেলস্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেহেতু সব টিকিট কাউন্টারে দেওয়া হচ্ছে ফলে যাত্রীদের কিছুটা চাপ রয়েছে। তা ছাড়া টিকিট ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে হাতে লিখে দেওয়ার কারণে খানিকটা সময় লাগছে। তবে টিকিট থাকলে সবাই পাবেন। সে ক্ষেত্রে যাত্রীদের ধৈর্য সহকারে অপেক্ষা করতে হবে।’ 

উল্লেখ্য, এর আগে রেলের টিকিটিং কার্যক্রম পরিচালনা করেছে সিএনএস লিমিটেড। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সহজের সঙ্গে রেলওয়ে টিকিটিং সিস্টেম পরিচালনার জন্য পাঁচ বছরের চুক্তি হয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষরের পরবর্তী ২১ কর্মদিবসের মধ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ের কাছ থেকে গত ১৫ বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসা সলিউশন সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সকল প্রযুক্তিগত তথ্য বুঝে পরিচালনা শুরু করার কথা থাকলেও, দেশের সার্বিক কল্যাণে এবং রেলওয়ে টিকিট পরিচালনার কাজ চলমান রাখতে একই ধরনের সলিউশন তৈরি করেছে সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি। তারা আগামী ২৬ মার্চ থেকে সহজ জেভি-এর পরিচালনায় দেশের মানুষ বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিট কাটতে পারবেন এবং পরবর্তী ১৮ মাসের মধ্যে প্রয়োজন অনুযায়ী নতুন ইন্টিগ্রেটেড টিকিটিং সিস্টেম চালু করে তা দিয়ে আরও উন্নত ও সহজ উপায়ে টিকিট পরিচালনা করবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত