উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি
বিদেশগামী যাত্রীদের টার্গেট করে করোনা জাল সার্টিফিকেট দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১। উত্তরার র্যাব-১ কার্যালয়ে আজ রোববার দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন।
র্যাব-১ এর অধিনায়ক বলেন, মহাখালীর কোভিড-১৯ হাসপাতালের সামনে থেকে আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে করোনার জাল সার্টিফিকেট দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—সুনামগঞ্জ জেলার ফজলুল করিমের ছেলে চক্রটির মূল হোতা জসিম উদ্দিন (২৮), নোয়াখালীর মৃত আবদুল কাশেমের তারেকুল ইসলাম (২৬), মৌলভীবাজারের শরীফ মিয়ার ছেলে আলমগীর হোসেন (২০), কুড়িগ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে রিপন মিয়া (২৮), বান্দরবানের শহিদুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম (২০), মৌলভীবাজারের রফিকুল ইসলামের ছেলে আহম্মেদ হোসেন শাহাদাৎ (১৮) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ফরিদ মিয়ার ছেলে শামীম হোসেন (৩০)।
তাঁদের কাছ থেকে কোভিড টেস্টের পজিটিভ এবং নেগেটিভ সার্টিফিকেটের ছয় পাতা ফটোকপি, বিকাশের মাধ্যমে টাকা আদায়ের কাজে ব্যবহৃত দুটি সিম কার্ড, তিনটি প্রবাসীদের মোবাইল নম্বর সংবলিত টোকেন, একটি পেনড্রাইভ, প্রতারণা করে আদায় করা ৪১ হাজার ৮৬৯ টাকা, একটি ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম কার্ড,৮টি মোবাইল ফোন, দুটি হাতঘড়ি ও দুটি চশমা জব্দ করা হয়েছে। পেনড্রাইভটিতে আসামিরা ডাক্তার, নার্স ও হাসপাতালের স্টাফ সেজে প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের অডিও রেকর্ড রয়েছে।
তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের বরাত দিয়ে র্যাব-১ এর অধিনায়ক আজকের পত্রিকাকে বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তাঁরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কোভিড হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার জন্য আসা বিদেশগামীদের সঙ্গে মিশে যেতেন। নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করতেন। নিজেদের ডাক্তার, নার্স ও হাসপাতালের স্টাফ পরিচয় দিয়েও তথ্য সংগ্রহ করতেন। পরে রাতের বেলায় বিদেশগামীদের ফোন করে করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে বলে আতঙ্ক সৃষ্টি করতেন। কেউ বিশ্বাস করলে আগে সংগ্রহ করা নাম-ঠিকানা দিয়ে জাল করোনা সার্টিফিকেট বানিয়ে তাঁদের মোবাইলে পাঠিয়ে দিতেন। এরপর নেগেটিভ সার্টিফিকেট করে দেওয়ার কথা বলে অর্থ হাতিয়ে নিতেন। চক্রটি সাধারণত বিদেশগামীদের কাছ থেকে সর্বনিম্ন ১০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিকাশের মাধ্যমে হাতিয়ে নিত।
র্যাব-১ এর অধিনায়ক আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, ‘এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত প্রতারকদের বিরুদ্ধে বনানী থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। চক্রটির চার সদস্যের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেও মামলা রয়েছে।’
আব্দুল্লাহ আল মোমেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়া চক্রটি মূলত রাজধানীর গুলশান, বনানী ও মহাখালী এলাকায় প্রতারণা করত। তাঁরা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে দুই-তিন দিনের জন্য ঢাকায় আসতেন। পরে প্রতারণা করে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার পর আবার গ্রামের বাড়ি চলে যেতেন। টাকা শেষ হলে আবার আসতেন।’
এ চক্রের সঙ্গে সরকারি দপ্তরের কেউ জড়িত রয়েছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, ‘এরা সাত-আট মাস ধরে করোনার জাল সার্টিফিকেট প্রতারণার সঙ্গে জড়িত। প্রকৃতপক্ষে তাঁরা যাত্রীদের সার্টিফিকেট দিতেন না, কিন্তু হাসপাতালে পরীক্ষার পর পাঠানো সার্টিফিকেটটি যাত্রীদের কাছে চক্রটির বলেই মনে হতো। চক্রটির সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে কিংবা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কারও কোনো সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’
র্যাবের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, চক্রটির সদস্যরা ভিআইপি স্টাইলে জীবনযাপন করতেন। ঢাকায় এলে নামীদামি হোটেলে থাকতেন। বিলাসবহুল গাড়িতে চলাফেরা করতেন।
বিদেশগামী যাত্রীদের টার্গেট করে করোনা জাল সার্টিফিকেট দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১। উত্তরার র্যাব-১ কার্যালয়ে আজ রোববার দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন।
র্যাব-১ এর অধিনায়ক বলেন, মহাখালীর কোভিড-১৯ হাসপাতালের সামনে থেকে আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে করোনার জাল সার্টিফিকেট দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—সুনামগঞ্জ জেলার ফজলুল করিমের ছেলে চক্রটির মূল হোতা জসিম উদ্দিন (২৮), নোয়াখালীর মৃত আবদুল কাশেমের তারেকুল ইসলাম (২৬), মৌলভীবাজারের শরীফ মিয়ার ছেলে আলমগীর হোসেন (২০), কুড়িগ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে রিপন মিয়া (২৮), বান্দরবানের শহিদুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম (২০), মৌলভীবাজারের রফিকুল ইসলামের ছেলে আহম্মেদ হোসেন শাহাদাৎ (১৮) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ফরিদ মিয়ার ছেলে শামীম হোসেন (৩০)।
তাঁদের কাছ থেকে কোভিড টেস্টের পজিটিভ এবং নেগেটিভ সার্টিফিকেটের ছয় পাতা ফটোকপি, বিকাশের মাধ্যমে টাকা আদায়ের কাজে ব্যবহৃত দুটি সিম কার্ড, তিনটি প্রবাসীদের মোবাইল নম্বর সংবলিত টোকেন, একটি পেনড্রাইভ, প্রতারণা করে আদায় করা ৪১ হাজার ৮৬৯ টাকা, একটি ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম কার্ড,৮টি মোবাইল ফোন, দুটি হাতঘড়ি ও দুটি চশমা জব্দ করা হয়েছে। পেনড্রাইভটিতে আসামিরা ডাক্তার, নার্স ও হাসপাতালের স্টাফ সেজে প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের অডিও রেকর্ড রয়েছে।
তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের বরাত দিয়ে র্যাব-১ এর অধিনায়ক আজকের পত্রিকাকে বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তাঁরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কোভিড হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার জন্য আসা বিদেশগামীদের সঙ্গে মিশে যেতেন। নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করতেন। নিজেদের ডাক্তার, নার্স ও হাসপাতালের স্টাফ পরিচয় দিয়েও তথ্য সংগ্রহ করতেন। পরে রাতের বেলায় বিদেশগামীদের ফোন করে করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে বলে আতঙ্ক সৃষ্টি করতেন। কেউ বিশ্বাস করলে আগে সংগ্রহ করা নাম-ঠিকানা দিয়ে জাল করোনা সার্টিফিকেট বানিয়ে তাঁদের মোবাইলে পাঠিয়ে দিতেন। এরপর নেগেটিভ সার্টিফিকেট করে দেওয়ার কথা বলে অর্থ হাতিয়ে নিতেন। চক্রটি সাধারণত বিদেশগামীদের কাছ থেকে সর্বনিম্ন ১০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিকাশের মাধ্যমে হাতিয়ে নিত।
র্যাব-১ এর অধিনায়ক আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, ‘এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত প্রতারকদের বিরুদ্ধে বনানী থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। চক্রটির চার সদস্যের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেও মামলা রয়েছে।’
আব্দুল্লাহ আল মোমেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়া চক্রটি মূলত রাজধানীর গুলশান, বনানী ও মহাখালী এলাকায় প্রতারণা করত। তাঁরা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে দুই-তিন দিনের জন্য ঢাকায় আসতেন। পরে প্রতারণা করে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার পর আবার গ্রামের বাড়ি চলে যেতেন। টাকা শেষ হলে আবার আসতেন।’
এ চক্রের সঙ্গে সরকারি দপ্তরের কেউ জড়িত রয়েছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, ‘এরা সাত-আট মাস ধরে করোনার জাল সার্টিফিকেট প্রতারণার সঙ্গে জড়িত। প্রকৃতপক্ষে তাঁরা যাত্রীদের সার্টিফিকেট দিতেন না, কিন্তু হাসপাতালে পরীক্ষার পর পাঠানো সার্টিফিকেটটি যাত্রীদের কাছে চক্রটির বলেই মনে হতো। চক্রটির সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে কিংবা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কারও কোনো সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’
র্যাবের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, চক্রটির সদস্যরা ভিআইপি স্টাইলে জীবনযাপন করতেন। ঢাকায় এলে নামীদামি হোটেলে থাকতেন। বিলাসবহুল গাড়িতে চলাফেরা করতেন।
রাজধানীতে অপরাধ দমন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে সহায়তার জন্য অক্সিলিয়ারি ফোর্স হিসেবে ৪২৬ জন ‘সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা’ নিয়োগ দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। প্রশিক্ষণ ছাড়াই তড়িঘড়ি করে নিয়োগ দেওয়ায় তাঁদের অনেকে নিজেদের দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে জানেন না।
৫ ঘণ্টা আগেনতুন করে অচলাবস্থা দেখা দিল খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট)। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদকে অপসারণের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি পূরণ না হলে আজ সোমবার বেলা ৩টা থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
৫ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম নগরের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করার জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) ৩৬টি খাল ঘিরে বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা বরাদ্দে শুরু করা এ প্রকল্পের আকার এখন ৮ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা।
৫ ঘণ্টা আগেসরকার পতনের পর কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) মেয়রকে অপসারণ ও কাউন্সিলদের বরখাস্ত করা হয়। এরপর জরুরি সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন করপোরেশনের কর্মকর্তারা। তবে তাঁদের দৈনন্দিন কার্যক্রমের পর এই বাড়তি দায়িত্ব পালন করে থাকেন। নাগরিক সনদ, জন্ম-মৃত্যুনিবন্ধন, রাস্তা মেরামত, পরিচ্ছন্নতা, মশক নিয়ন্ত্রণসহ
৫ ঘণ্টা আগে