Ajker Patrika

হেভিওয়েট প্রার্থী মিডিয়ার সৃষ্টি বললেন, ঢাকা-১৯ এর নতুন এমপি

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
Thumbnail image

ঢাকা-১৯ (সাভার-আশুলিয়া) আসনের ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান ও সাবেক সংসদ সদস্য মুরাদ জংকে হারিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। হেভিওয়েট প্রার্থীদের বিরুদ্ধে নির্বাচনে জিততে কেমন চ্যালেঞ্জ ছিল সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য বলেন, হেভিওয়েট প্রার্থী আপনাদের মিডিয়ার সৃষ্টি। আপনারা মিডিয়ারা বিভিন্ন সময় প্রচার করেছেন ওই দুজন প্রার্থীকে নিয়ে। আমাকে নিয়ে সেরকম প্রচারণা হয়ইনি।’ 

আজ সোমবার দুপুরে আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন সাইফুল ইসলাম। এদিন সাভার-আশুলিয়ার হাজারো সমর্থক তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। 

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ভোটারগণের ভটে আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। ভোটারদের কাছে আমি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি। হেভিওয়েট প্রার্থী আপনাদের মিডিয়ার সৃষ্টি। মিডিয়ারা বিভিন্ন সময় প্রচার করেছেন ওই দুজন প্রার্থীকে নিয়ে। আমাকে নিয়ে সেরকম প্রচারণা হয়ইনি। আমি মনে মনে হেসেছি, যেই সংসদ সদস্য হোক, আমাকে টপকিয়ে হতে হবে। তবে আমার হাইট অনেক বেশি, আমাকে টপকানো অনেক কঠিন কাজ।’ 

নবনির্বাচিত এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘ভোটাররা সন্ত্রাস চায় না, চাঁদাবাজ চায় না, ভূমিদস্যু চায় না। এ জন্য আমাকে তাঁরা ভোট দেবে, এই বিশ্বাস আমার ছিল। এ জন্যই এই বাংলাদেশের মধ্যে আমার মনে হয় সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন ঢাকা-১৯ আসনে হয়েছে। সেই আসনে ভোটাররা বিপুল ভোটে আমাকে বিজয়ী করেছেন। আমি যেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছি সেই প্রতিশ্রুতি আমি অক্ষরে অক্ষরে পালন করব।’ 

চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘সাভার ও আশুলিয়ায় কোনো চাঁদাবাজ রাখব না। যাঁরা ফুটপাত ও বিভিন্ন যানবাহন থেকে চাঁদা আদায় করেন তাদের ভালো হয়ে যাওয়ার অনুরোধ করছি। সেই সঙ্গে সন্ত্রাসীদের প্রয়োজনে সাভার ছাড়া হতে হবে। সে যে কেউ হোক না কেন। আমি চাই সাভারকে উন্নয়নের রোল মডেল করার।’ 

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-১৯ আসনে মোট ৮৪ হাজার ৪১২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ট্রাক মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক সংসদ সদস্য ঈগল মার্কার মুরাদ জং পেয়েছেন ৭৬ হাজার ২০২ ভোট। নৌকা প্রতীক নিয়ে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী পেয়েছেন ৫৬ হাজার ৩৬১ ভোট। এই আসনে ভোটার সংখ্যা ৭ লাখ ৫৬ হাজার ৪১৬ জন আর এবারে মোট ভোট সংগ্রহ হয়েছে ২ লাখ ২২ হাজার ৬৫০ টি। 

গত ৮ নভেম্বর আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। পরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কাছে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশা করেছিলেন তিনি। নৌকা না পেয়ে স্বতন্ত্র ভাবে ট্রাক মার্কায় নির্বাচনে অংশ নেন এই আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত