ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

বড় ভাই মামলা করেছেন। আসামি করা হয়েছে সাবেক সংসদ সদস্য ও সাংবাদিকসহ ১২৯ জনের নামে। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে আরও শতাধিক অজ্ঞাত ব্যক্তি। হুমকি দেওয়া হচ্ছে ওই মামলায় আরও নাম ঢুকিয়ে দেওয়ার। আর ছোট ভাই কন্ট্রাক্ট নিচ্ছেন নাম কাটানোর। বিনিময়ে দাবি করা হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। চাঁদাবাজির এমনই এক নয়া মডেল দাঁড় করিয়েছেন মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শাহীন আলমের ছোট ভাই শহীদুল আলাম। মামলা দিয়ে দুই ভাইয়ের চলছে অনেকটা ওপেন চাঁদাবাজি।
সূত্র বলছে, বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও নাশকতায় একটি মামলা দায়ের করেছেন মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শাহীন আলম। আর এই মামলাকে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজির দোকান খুলে বসেছেন মামলার বাদী ওই যুবদল নেতার ছোট ভাই শহীদুল ইসলাম।
তিনি মামলার এজাহার থেকে নাম কাটাতে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করছেন। এই মামলার ৬২ নম্বর আসামি জাকিরের কাছে চাঁদা দাবির একটি অডিও কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে, যা রীতিমতো নেট জগতে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।
অডিও রেকর্ডের কথোপকথন হুবহু তুলে ধরা হলো—শহীদুল: আমরা ডিসি অফিসে আসছিলাম, বাবলুর সঙ্গে বসছি। এজাহার কমপ্লিট। আমরা এখন মানিকগঞ্জ কোর্টে আছি। এখান থেকে সব কমপ্লিট করে দৌলতপুর থানায় ঢুকে সবকিছু এন্ট্রি কইরা থুইয়া আসুম। ভালোমন্দ আর তো ফোন দিলা না। ফাঁকে চাকরি করতেছ, ফাঁকেই চাকরি করো। মামলার মতো মামলা থাকবেনে, বাড়ি আসার দরকার নাই। চাকরি-বাকরি কইরা খাইও। এইড্যা জানাইয়া দিলাম তোমারে।
জাকির: এখন কী করা লাগবে সেইটা কও।
শহীদুল: আমি এখান থেকে যামু থানায়। এই কয় মিনিট, সময় লাগতে পারে এক-দেড় ঘণ্টা। এর মধ্যে তুমি কিছু করলে করতে পারো, না করলে নাই, তোমার ইচ্ছা। আমি তোমাকে তেলও মারতেছি না, আর কিছুই না।
জাকির: না, না। এখন কি টাকা লাগব? কতডি লাগব?
শহীদুল: ওই দিন কইলাম না তোমারে।
জাকির: ট্যাকার আলাপ করো নাই তো। ফোন দিয়ে কইল্যা আমি অমুক জায়গায় আছি। পরে কথা কমুনি। আর তো তুমিও ফোন দেও নাই, আমিও দেই নাই।
শহীদুল: তুমি আমারে কইল্যা ভাঙ্গা মাসে চাকরিতে ঢুকছি। বেতন-টেতন পাই নাই।
জাকির: তাইল্যা কত ক্যামনে লাগব কও শুনি।
শহীদুল: ১৫ হাজার ট্যাকা দিও।
জাকির: ১৫ হাজার দেওয়া লাগব ন্যা?
শহীদুল: হ। এই দৌলতপুর থানায় রাজনীতি করতেছে আমার বড় ভাই। তুমি মনে হয় জানো। যদি শাহীন ভাইরে আল্লায় একটা পদে দেয়, তারপরে তার আপন ভাই হিসেবে কিন্তু আমি...।
জাকির: হু, ওইডাই।
শহীদুল: আর আমার সার্কেল হইলো খলিলরা, উজ্জ্বলরা, সাইফুলরা। আর ঠাণ্ডু, রাসেল-মাসেল এগুলা বালের বন্ধু। এখন আমি তোমাকে ফোন দিছি, খোলামেলা সত্যি কথা। সার্জেন্ট রাজ্জাক সকালে আমাকে ফোন দিয়ে কইতেছে, তোরে আমি এক লাখ টাকা দিমানি, তোরা আমারে ঝামেলায় ফালাইস না। আমি কইছি কাম হইবো না। আমারে কইছে, তোরা রাজনীতি করোস। যা ছোটখাটো একটি গাড়ি হোন্ডা কিন্যা দিমুনি। আমি কইছি, না কাকা হইবো না। কিছু কিছু জিনিস হইতেছে আমার জায়গা থেকে ক্ষমতার বাইরে। এই জায়গায় ট্যাকা খাইয়্যা আমি দুর্নাম করতে পারুম না। আর যেইটা ক্ষমতায় আছে, সেইটা আমি কইরা দিতে পারি। এই আমি তোমারে বলছি। তোমার নাম মনে করো এজাহারেই থাকব না। খোলামেলা কথা। খিচ খাইয়্যা থাকবা। কোনো সমস্যা হইলে তুমি আমারে জানাইবা।... এখন আমি তোরে একটা কথা কই। বিশ্বাস কইরা তুমি এই কথাডা রাইখো ভেতরে। ময়নাল-টয়নালরা আমার সঙ্গে ফাইজলামি করছে তো। ওগো কপালে শাস্তি আছে। আরও যারা কয়েকজন আছে, ওগো ওপরে আমার রাগ হইয়া গেছে। আমরা তো সিদ্ধান্ত নিছি, এই ব্যাপারে আর কারও সঙ্গে কথা বলব না। অ্যাকশন হবে থানায়, অ্যাকশন হবে প্রশাসনে। এখন তোমারে আমি দুই দিন আগে ফোন দিছিলাম। আর তোমার আত্মীয় আছে কবির, ওর সঙ্গে আমার ভালো একটা সম্পর্ক। সানোয়ার আছে। সানোয়ার আমারে কইছে, মামলায় ফালাইসনা, ট্যাকা-পয়সা মাইনষে কামায়। ২০ হাজার টাকার কথা কইছিল, ২০ হাজার টাকা না, তুমি হাজার পাঁচেক টাকা কম নিও। এইডা সানোয়ার আমারে কবিরের সামনে বইল্যা দিছে। আমি আর কোনো দাবি করি নাই।...এখন জাকির ভাই, এক কথা হইলো টাকা। কী করবা? যা করার এখন আমারে তুমি কও। এরপরে আমার হাতে আর সময় থাকব না।
জাকির: টাকার কথা ভাই মুখ দিয়ে সারা যায় না। তোমার সঙ্গে কথা কমানি আমি।
শহীদুল: জাকির, আমি একটা কথা কই ভাই।
জাকির: হু কও।
শহীদুল: আমরা এখন এজাহার লেখতেছি। পরে কইয়্যা লাভ নাই। তোমারে তো বিশ্বাস করছি। মুখ দিয়ে একটা কথা কও। তোমার নাম থাকব না। তখন তুমি তোমার কথাটা ঠিকমতো রাখবা। ব্যস।
জাকির: টাকা তো ব্যবস্থা করা লাগব নাকি? এখন আমার কাছে নাই। আমি যা পারি ব্যবস্থা কইরা একটা কিছু সিস্টেম করা যাইবনে। যেহেতু তুমি কইছাও ছোট ভাই। তোমার ভাইয়ের সঙ্গে কিন্তু আমি একসাথে লেখাপড়া করছি। শাহীনের সঙ্গে। শাহীনের সঙ্গে আসার কথা হইছে।
শহীদুল: না, না, না। ট্যাকার কথা আমরা জানি। এখানে মাথাপিছু আমাদের ইনচার্জকে ট্যাকা দিতে হয়। একেবারে খোলামেলা কথা। জাকির, তুমি বুঝছ না? তোমারে একটা খোলামেলা কথা কই। ১০ হাজার টাকা আমার ইনচার্জকে দেওয়া লাগব। এইডা তুমি কেইরে কইয়ো না। আর পাঁচ হাজার টাকা আমরা অফিস করতেছি, এখানে খরচ লাগতেছে। খরচ লাগতেছে এ জন্য তোমার কাছে আমরা দাবি করতেছি, একেবারে খোলামেলা কথা।
জাকির: না, ঠিক আছে। খোলামেলা বলাই ভালো।
শহীদুল: তুমি যদি আমারে বিশ্বাস না করো বা কিছু করবার যাও শফিকের সঙ্গে... রাজনৈতিক প্যানেলডা তো বুঝোই। শিক্ষিত মানুষরে এত বুঝান লাগে না। বুইজচ্ছ্যাও।
দুই নম্বর আসামি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম আইজুল হক ও ৫৫ নম্বর মহিদুর রহমানের কাছে অনুরূপ টাকা দাবি করা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগী ওই মামলার একাধিক আসামি জানান, চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত খলিল কোভিদসহ ওই চক্রটি কমপক্ষে ৩০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে বলে।
এ বিষয়ে নিয়ে শহীদুলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ওটা আমার ভয়েস না। আপনি জাকিরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তার সঙ্গে আমার এ রকম কথা হয়েছে কি না, এটা আমার ভয়েস কি না যাচাই করে দেখেন। এটা একটা ভুয়া নিউজ ছড়াইছে।’
তবে অডিও রেকর্ডের ভয়েসটি ছোট ভাইয়ের শহীদুল ইসলামের কণ্ঠস্বর স্বীকার করে যুবদল নেতা শাহীন আলম বলেন, ‘শহীদুলের কোনো পদবি নেই। ও রাজনীতির বাইরে। চাকরি করে ও। আপনি যে রেকর্ডিং পেয়েছেন, সেটা ৭ আগস্টের। দুই মাস আগের রেকর্ডিংয়ের সঙ্গে মামলার কোনো সম্পর্ক নেই। শহীদুল গ্রেপ্তার হয়েছিল। ৬ আগস্টে জামিন পেয়েছে। জামিনের পর ৭ তারিখে ওকে ডেকে নিয়ে ওরা কথা বলেছে। এটা সে সময়ের রেকর্ড। রেকর্ডিংটা আমার কাছে আসেনি। ওটা শুনলে বুঝতে পারব শহীদুল কীভাবে টাকাটা চেয়েছে।’
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জে ও এম তৌফিক আজম বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ না পেলে এ বিষয়ে আমি কোনো কথা বলতে পারব না।’
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাতে দৌলতপুর থানায় ১২৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা করে মামলাটি দায়ের করেন যুবদল নেতা মো. শাহীন আলম। এতে মানিকগঞ্জ-১ আসনের সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয়, দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল হক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মোশারফ হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিদুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, দৌলতপুর প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক সাংবাদিক এ বি খান বাবুসহ জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীদের আসামি করা হয়।

বড় ভাই মামলা করেছেন। আসামি করা হয়েছে সাবেক সংসদ সদস্য ও সাংবাদিকসহ ১২৯ জনের নামে। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে আরও শতাধিক অজ্ঞাত ব্যক্তি। হুমকি দেওয়া হচ্ছে ওই মামলায় আরও নাম ঢুকিয়ে দেওয়ার। আর ছোট ভাই কন্ট্রাক্ট নিচ্ছেন নাম কাটানোর। বিনিময়ে দাবি করা হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। চাঁদাবাজির এমনই এক নয়া মডেল দাঁড় করিয়েছেন মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শাহীন আলমের ছোট ভাই শহীদুল আলাম। মামলা দিয়ে দুই ভাইয়ের চলছে অনেকটা ওপেন চাঁদাবাজি।
সূত্র বলছে, বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও নাশকতায় একটি মামলা দায়ের করেছেন মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শাহীন আলম। আর এই মামলাকে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজির দোকান খুলে বসেছেন মামলার বাদী ওই যুবদল নেতার ছোট ভাই শহীদুল ইসলাম।
তিনি মামলার এজাহার থেকে নাম কাটাতে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করছেন। এই মামলার ৬২ নম্বর আসামি জাকিরের কাছে চাঁদা দাবির একটি অডিও কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে, যা রীতিমতো নেট জগতে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।
অডিও রেকর্ডের কথোপকথন হুবহু তুলে ধরা হলো—শহীদুল: আমরা ডিসি অফিসে আসছিলাম, বাবলুর সঙ্গে বসছি। এজাহার কমপ্লিট। আমরা এখন মানিকগঞ্জ কোর্টে আছি। এখান থেকে সব কমপ্লিট করে দৌলতপুর থানায় ঢুকে সবকিছু এন্ট্রি কইরা থুইয়া আসুম। ভালোমন্দ আর তো ফোন দিলা না। ফাঁকে চাকরি করতেছ, ফাঁকেই চাকরি করো। মামলার মতো মামলা থাকবেনে, বাড়ি আসার দরকার নাই। চাকরি-বাকরি কইরা খাইও। এইড্যা জানাইয়া দিলাম তোমারে।
জাকির: এখন কী করা লাগবে সেইটা কও।
শহীদুল: আমি এখান থেকে যামু থানায়। এই কয় মিনিট, সময় লাগতে পারে এক-দেড় ঘণ্টা। এর মধ্যে তুমি কিছু করলে করতে পারো, না করলে নাই, তোমার ইচ্ছা। আমি তোমাকে তেলও মারতেছি না, আর কিছুই না।
জাকির: না, না। এখন কি টাকা লাগব? কতডি লাগব?
শহীদুল: ওই দিন কইলাম না তোমারে।
জাকির: ট্যাকার আলাপ করো নাই তো। ফোন দিয়ে কইল্যা আমি অমুক জায়গায় আছি। পরে কথা কমুনি। আর তো তুমিও ফোন দেও নাই, আমিও দেই নাই।
শহীদুল: তুমি আমারে কইল্যা ভাঙ্গা মাসে চাকরিতে ঢুকছি। বেতন-টেতন পাই নাই।
জাকির: তাইল্যা কত ক্যামনে লাগব কও শুনি।
শহীদুল: ১৫ হাজার ট্যাকা দিও।
জাকির: ১৫ হাজার দেওয়া লাগব ন্যা?
শহীদুল: হ। এই দৌলতপুর থানায় রাজনীতি করতেছে আমার বড় ভাই। তুমি মনে হয় জানো। যদি শাহীন ভাইরে আল্লায় একটা পদে দেয়, তারপরে তার আপন ভাই হিসেবে কিন্তু আমি...।
জাকির: হু, ওইডাই।
শহীদুল: আর আমার সার্কেল হইলো খলিলরা, উজ্জ্বলরা, সাইফুলরা। আর ঠাণ্ডু, রাসেল-মাসেল এগুলা বালের বন্ধু। এখন আমি তোমাকে ফোন দিছি, খোলামেলা সত্যি কথা। সার্জেন্ট রাজ্জাক সকালে আমাকে ফোন দিয়ে কইতেছে, তোরে আমি এক লাখ টাকা দিমানি, তোরা আমারে ঝামেলায় ফালাইস না। আমি কইছি কাম হইবো না। আমারে কইছে, তোরা রাজনীতি করোস। যা ছোটখাটো একটি গাড়ি হোন্ডা কিন্যা দিমুনি। আমি কইছি, না কাকা হইবো না। কিছু কিছু জিনিস হইতেছে আমার জায়গা থেকে ক্ষমতার বাইরে। এই জায়গায় ট্যাকা খাইয়্যা আমি দুর্নাম করতে পারুম না। আর যেইটা ক্ষমতায় আছে, সেইটা আমি কইরা দিতে পারি। এই আমি তোমারে বলছি। তোমার নাম মনে করো এজাহারেই থাকব না। খোলামেলা কথা। খিচ খাইয়্যা থাকবা। কোনো সমস্যা হইলে তুমি আমারে জানাইবা।... এখন আমি তোরে একটা কথা কই। বিশ্বাস কইরা তুমি এই কথাডা রাইখো ভেতরে। ময়নাল-টয়নালরা আমার সঙ্গে ফাইজলামি করছে তো। ওগো কপালে শাস্তি আছে। আরও যারা কয়েকজন আছে, ওগো ওপরে আমার রাগ হইয়া গেছে। আমরা তো সিদ্ধান্ত নিছি, এই ব্যাপারে আর কারও সঙ্গে কথা বলব না। অ্যাকশন হবে থানায়, অ্যাকশন হবে প্রশাসনে। এখন তোমারে আমি দুই দিন আগে ফোন দিছিলাম। আর তোমার আত্মীয় আছে কবির, ওর সঙ্গে আমার ভালো একটা সম্পর্ক। সানোয়ার আছে। সানোয়ার আমারে কইছে, মামলায় ফালাইসনা, ট্যাকা-পয়সা মাইনষে কামায়। ২০ হাজার টাকার কথা কইছিল, ২০ হাজার টাকা না, তুমি হাজার পাঁচেক টাকা কম নিও। এইডা সানোয়ার আমারে কবিরের সামনে বইল্যা দিছে। আমি আর কোনো দাবি করি নাই।...এখন জাকির ভাই, এক কথা হইলো টাকা। কী করবা? যা করার এখন আমারে তুমি কও। এরপরে আমার হাতে আর সময় থাকব না।
জাকির: টাকার কথা ভাই মুখ দিয়ে সারা যায় না। তোমার সঙ্গে কথা কমানি আমি।
শহীদুল: জাকির, আমি একটা কথা কই ভাই।
জাকির: হু কও।
শহীদুল: আমরা এখন এজাহার লেখতেছি। পরে কইয়্যা লাভ নাই। তোমারে তো বিশ্বাস করছি। মুখ দিয়ে একটা কথা কও। তোমার নাম থাকব না। তখন তুমি তোমার কথাটা ঠিকমতো রাখবা। ব্যস।
জাকির: টাকা তো ব্যবস্থা করা লাগব নাকি? এখন আমার কাছে নাই। আমি যা পারি ব্যবস্থা কইরা একটা কিছু সিস্টেম করা যাইবনে। যেহেতু তুমি কইছাও ছোট ভাই। তোমার ভাইয়ের সঙ্গে কিন্তু আমি একসাথে লেখাপড়া করছি। শাহীনের সঙ্গে। শাহীনের সঙ্গে আসার কথা হইছে।
শহীদুল: না, না, না। ট্যাকার কথা আমরা জানি। এখানে মাথাপিছু আমাদের ইনচার্জকে ট্যাকা দিতে হয়। একেবারে খোলামেলা কথা। জাকির, তুমি বুঝছ না? তোমারে একটা খোলামেলা কথা কই। ১০ হাজার টাকা আমার ইনচার্জকে দেওয়া লাগব। এইডা তুমি কেইরে কইয়ো না। আর পাঁচ হাজার টাকা আমরা অফিস করতেছি, এখানে খরচ লাগতেছে। খরচ লাগতেছে এ জন্য তোমার কাছে আমরা দাবি করতেছি, একেবারে খোলামেলা কথা।
জাকির: না, ঠিক আছে। খোলামেলা বলাই ভালো।
শহীদুল: তুমি যদি আমারে বিশ্বাস না করো বা কিছু করবার যাও শফিকের সঙ্গে... রাজনৈতিক প্যানেলডা তো বুঝোই। শিক্ষিত মানুষরে এত বুঝান লাগে না। বুইজচ্ছ্যাও।
দুই নম্বর আসামি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম আইজুল হক ও ৫৫ নম্বর মহিদুর রহমানের কাছে অনুরূপ টাকা দাবি করা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগী ওই মামলার একাধিক আসামি জানান, চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত খলিল কোভিদসহ ওই চক্রটি কমপক্ষে ৩০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে বলে।
এ বিষয়ে নিয়ে শহীদুলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ওটা আমার ভয়েস না। আপনি জাকিরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তার সঙ্গে আমার এ রকম কথা হয়েছে কি না, এটা আমার ভয়েস কি না যাচাই করে দেখেন। এটা একটা ভুয়া নিউজ ছড়াইছে।’
তবে অডিও রেকর্ডের ভয়েসটি ছোট ভাইয়ের শহীদুল ইসলামের কণ্ঠস্বর স্বীকার করে যুবদল নেতা শাহীন আলম বলেন, ‘শহীদুলের কোনো পদবি নেই। ও রাজনীতির বাইরে। চাকরি করে ও। আপনি যে রেকর্ডিং পেয়েছেন, সেটা ৭ আগস্টের। দুই মাস আগের রেকর্ডিংয়ের সঙ্গে মামলার কোনো সম্পর্ক নেই। শহীদুল গ্রেপ্তার হয়েছিল। ৬ আগস্টে জামিন পেয়েছে। জামিনের পর ৭ তারিখে ওকে ডেকে নিয়ে ওরা কথা বলেছে। এটা সে সময়ের রেকর্ড। রেকর্ডিংটা আমার কাছে আসেনি। ওটা শুনলে বুঝতে পারব শহীদুল কীভাবে টাকাটা চেয়েছে।’
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জে ও এম তৌফিক আজম বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ না পেলে এ বিষয়ে আমি কোনো কথা বলতে পারব না।’
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাতে দৌলতপুর থানায় ১২৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা করে মামলাটি দায়ের করেন যুবদল নেতা মো. শাহীন আলম। এতে মানিকগঞ্জ-১ আসনের সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয়, দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল হক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মোশারফ হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিদুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, দৌলতপুর প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক সাংবাদিক এ বি খান বাবুসহ জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীদের আসামি করা হয়।
ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

বড় ভাই মামলা করেছেন। আসামি করা হয়েছে সাবেক সংসদ সদস্য ও সাংবাদিকসহ ১২৯ জনের নামে। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে আরও শতাধিক অজ্ঞাত ব্যক্তি। হুমকি দেওয়া হচ্ছে ওই মামলায় আরও নাম ঢুকিয়ে দেওয়ার। আর ছোট ভাই কন্ট্রাক্ট নিচ্ছেন নাম কাটানোর। বিনিময়ে দাবি করা হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। চাঁদাবাজির এমনই এক নয়া মডেল দাঁড় করিয়েছেন মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শাহীন আলমের ছোট ভাই শহীদুল আলাম। মামলা দিয়ে দুই ভাইয়ের চলছে অনেকটা ওপেন চাঁদাবাজি।
সূত্র বলছে, বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও নাশকতায় একটি মামলা দায়ের করেছেন মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শাহীন আলম। আর এই মামলাকে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজির দোকান খুলে বসেছেন মামলার বাদী ওই যুবদল নেতার ছোট ভাই শহীদুল ইসলাম।
তিনি মামলার এজাহার থেকে নাম কাটাতে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করছেন। এই মামলার ৬২ নম্বর আসামি জাকিরের কাছে চাঁদা দাবির একটি অডিও কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে, যা রীতিমতো নেট জগতে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।
অডিও রেকর্ডের কথোপকথন হুবহু তুলে ধরা হলো—শহীদুল: আমরা ডিসি অফিসে আসছিলাম, বাবলুর সঙ্গে বসছি। এজাহার কমপ্লিট। আমরা এখন মানিকগঞ্জ কোর্টে আছি। এখান থেকে সব কমপ্লিট করে দৌলতপুর থানায় ঢুকে সবকিছু এন্ট্রি কইরা থুইয়া আসুম। ভালোমন্দ আর তো ফোন দিলা না। ফাঁকে চাকরি করতেছ, ফাঁকেই চাকরি করো। মামলার মতো মামলা থাকবেনে, বাড়ি আসার দরকার নাই। চাকরি-বাকরি কইরা খাইও। এইড্যা জানাইয়া দিলাম তোমারে।
জাকির: এখন কী করা লাগবে সেইটা কও।
শহীদুল: আমি এখান থেকে যামু থানায়। এই কয় মিনিট, সময় লাগতে পারে এক-দেড় ঘণ্টা। এর মধ্যে তুমি কিছু করলে করতে পারো, না করলে নাই, তোমার ইচ্ছা। আমি তোমাকে তেলও মারতেছি না, আর কিছুই না।
জাকির: না, না। এখন কি টাকা লাগব? কতডি লাগব?
শহীদুল: ওই দিন কইলাম না তোমারে।
জাকির: ট্যাকার আলাপ করো নাই তো। ফোন দিয়ে কইল্যা আমি অমুক জায়গায় আছি। পরে কথা কমুনি। আর তো তুমিও ফোন দেও নাই, আমিও দেই নাই।
শহীদুল: তুমি আমারে কইল্যা ভাঙ্গা মাসে চাকরিতে ঢুকছি। বেতন-টেতন পাই নাই।
জাকির: তাইল্যা কত ক্যামনে লাগব কও শুনি।
শহীদুল: ১৫ হাজার ট্যাকা দিও।
জাকির: ১৫ হাজার দেওয়া লাগব ন্যা?
শহীদুল: হ। এই দৌলতপুর থানায় রাজনীতি করতেছে আমার বড় ভাই। তুমি মনে হয় জানো। যদি শাহীন ভাইরে আল্লায় একটা পদে দেয়, তারপরে তার আপন ভাই হিসেবে কিন্তু আমি...।
জাকির: হু, ওইডাই।
শহীদুল: আর আমার সার্কেল হইলো খলিলরা, উজ্জ্বলরা, সাইফুলরা। আর ঠাণ্ডু, রাসেল-মাসেল এগুলা বালের বন্ধু। এখন আমি তোমাকে ফোন দিছি, খোলামেলা সত্যি কথা। সার্জেন্ট রাজ্জাক সকালে আমাকে ফোন দিয়ে কইতেছে, তোরে আমি এক লাখ টাকা দিমানি, তোরা আমারে ঝামেলায় ফালাইস না। আমি কইছি কাম হইবো না। আমারে কইছে, তোরা রাজনীতি করোস। যা ছোটখাটো একটি গাড়ি হোন্ডা কিন্যা দিমুনি। আমি কইছি, না কাকা হইবো না। কিছু কিছু জিনিস হইতেছে আমার জায়গা থেকে ক্ষমতার বাইরে। এই জায়গায় ট্যাকা খাইয়্যা আমি দুর্নাম করতে পারুম না। আর যেইটা ক্ষমতায় আছে, সেইটা আমি কইরা দিতে পারি। এই আমি তোমারে বলছি। তোমার নাম মনে করো এজাহারেই থাকব না। খোলামেলা কথা। খিচ খাইয়্যা থাকবা। কোনো সমস্যা হইলে তুমি আমারে জানাইবা।... এখন আমি তোরে একটা কথা কই। বিশ্বাস কইরা তুমি এই কথাডা রাইখো ভেতরে। ময়নাল-টয়নালরা আমার সঙ্গে ফাইজলামি করছে তো। ওগো কপালে শাস্তি আছে। আরও যারা কয়েকজন আছে, ওগো ওপরে আমার রাগ হইয়া গেছে। আমরা তো সিদ্ধান্ত নিছি, এই ব্যাপারে আর কারও সঙ্গে কথা বলব না। অ্যাকশন হবে থানায়, অ্যাকশন হবে প্রশাসনে। এখন তোমারে আমি দুই দিন আগে ফোন দিছিলাম। আর তোমার আত্মীয় আছে কবির, ওর সঙ্গে আমার ভালো একটা সম্পর্ক। সানোয়ার আছে। সানোয়ার আমারে কইছে, মামলায় ফালাইসনা, ট্যাকা-পয়সা মাইনষে কামায়। ২০ হাজার টাকার কথা কইছিল, ২০ হাজার টাকা না, তুমি হাজার পাঁচেক টাকা কম নিও। এইডা সানোয়ার আমারে কবিরের সামনে বইল্যা দিছে। আমি আর কোনো দাবি করি নাই।...এখন জাকির ভাই, এক কথা হইলো টাকা। কী করবা? যা করার এখন আমারে তুমি কও। এরপরে আমার হাতে আর সময় থাকব না।
জাকির: টাকার কথা ভাই মুখ দিয়ে সারা যায় না। তোমার সঙ্গে কথা কমানি আমি।
শহীদুল: জাকির, আমি একটা কথা কই ভাই।
জাকির: হু কও।
শহীদুল: আমরা এখন এজাহার লেখতেছি। পরে কইয়্যা লাভ নাই। তোমারে তো বিশ্বাস করছি। মুখ দিয়ে একটা কথা কও। তোমার নাম থাকব না। তখন তুমি তোমার কথাটা ঠিকমতো রাখবা। ব্যস।
জাকির: টাকা তো ব্যবস্থা করা লাগব নাকি? এখন আমার কাছে নাই। আমি যা পারি ব্যবস্থা কইরা একটা কিছু সিস্টেম করা যাইবনে। যেহেতু তুমি কইছাও ছোট ভাই। তোমার ভাইয়ের সঙ্গে কিন্তু আমি একসাথে লেখাপড়া করছি। শাহীনের সঙ্গে। শাহীনের সঙ্গে আসার কথা হইছে।
শহীদুল: না, না, না। ট্যাকার কথা আমরা জানি। এখানে মাথাপিছু আমাদের ইনচার্জকে ট্যাকা দিতে হয়। একেবারে খোলামেলা কথা। জাকির, তুমি বুঝছ না? তোমারে একটা খোলামেলা কথা কই। ১০ হাজার টাকা আমার ইনচার্জকে দেওয়া লাগব। এইডা তুমি কেইরে কইয়ো না। আর পাঁচ হাজার টাকা আমরা অফিস করতেছি, এখানে খরচ লাগতেছে। খরচ লাগতেছে এ জন্য তোমার কাছে আমরা দাবি করতেছি, একেবারে খোলামেলা কথা।
জাকির: না, ঠিক আছে। খোলামেলা বলাই ভালো।
শহীদুল: তুমি যদি আমারে বিশ্বাস না করো বা কিছু করবার যাও শফিকের সঙ্গে... রাজনৈতিক প্যানেলডা তো বুঝোই। শিক্ষিত মানুষরে এত বুঝান লাগে না। বুইজচ্ছ্যাও।
দুই নম্বর আসামি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম আইজুল হক ও ৫৫ নম্বর মহিদুর রহমানের কাছে অনুরূপ টাকা দাবি করা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগী ওই মামলার একাধিক আসামি জানান, চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত খলিল কোভিদসহ ওই চক্রটি কমপক্ষে ৩০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে বলে।
এ বিষয়ে নিয়ে শহীদুলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ওটা আমার ভয়েস না। আপনি জাকিরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তার সঙ্গে আমার এ রকম কথা হয়েছে কি না, এটা আমার ভয়েস কি না যাচাই করে দেখেন। এটা একটা ভুয়া নিউজ ছড়াইছে।’
তবে অডিও রেকর্ডের ভয়েসটি ছোট ভাইয়ের শহীদুল ইসলামের কণ্ঠস্বর স্বীকার করে যুবদল নেতা শাহীন আলম বলেন, ‘শহীদুলের কোনো পদবি নেই। ও রাজনীতির বাইরে। চাকরি করে ও। আপনি যে রেকর্ডিং পেয়েছেন, সেটা ৭ আগস্টের। দুই মাস আগের রেকর্ডিংয়ের সঙ্গে মামলার কোনো সম্পর্ক নেই। শহীদুল গ্রেপ্তার হয়েছিল। ৬ আগস্টে জামিন পেয়েছে। জামিনের পর ৭ তারিখে ওকে ডেকে নিয়ে ওরা কথা বলেছে। এটা সে সময়ের রেকর্ড। রেকর্ডিংটা আমার কাছে আসেনি। ওটা শুনলে বুঝতে পারব শহীদুল কীভাবে টাকাটা চেয়েছে।’
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জে ও এম তৌফিক আজম বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ না পেলে এ বিষয়ে আমি কোনো কথা বলতে পারব না।’
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাতে দৌলতপুর থানায় ১২৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা করে মামলাটি দায়ের করেন যুবদল নেতা মো. শাহীন আলম। এতে মানিকগঞ্জ-১ আসনের সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয়, দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল হক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মোশারফ হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিদুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, দৌলতপুর প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক সাংবাদিক এ বি খান বাবুসহ জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীদের আসামি করা হয়।

বড় ভাই মামলা করেছেন। আসামি করা হয়েছে সাবেক সংসদ সদস্য ও সাংবাদিকসহ ১২৯ জনের নামে। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে আরও শতাধিক অজ্ঞাত ব্যক্তি। হুমকি দেওয়া হচ্ছে ওই মামলায় আরও নাম ঢুকিয়ে দেওয়ার। আর ছোট ভাই কন্ট্রাক্ট নিচ্ছেন নাম কাটানোর। বিনিময়ে দাবি করা হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। চাঁদাবাজির এমনই এক নয়া মডেল দাঁড় করিয়েছেন মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শাহীন আলমের ছোট ভাই শহীদুল আলাম। মামলা দিয়ে দুই ভাইয়ের চলছে অনেকটা ওপেন চাঁদাবাজি।
সূত্র বলছে, বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও নাশকতায় একটি মামলা দায়ের করেছেন মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শাহীন আলম। আর এই মামলাকে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজির দোকান খুলে বসেছেন মামলার বাদী ওই যুবদল নেতার ছোট ভাই শহীদুল ইসলাম।
তিনি মামলার এজাহার থেকে নাম কাটাতে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করছেন। এই মামলার ৬২ নম্বর আসামি জাকিরের কাছে চাঁদা দাবির একটি অডিও কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে, যা রীতিমতো নেট জগতে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।
অডিও রেকর্ডের কথোপকথন হুবহু তুলে ধরা হলো—শহীদুল: আমরা ডিসি অফিসে আসছিলাম, বাবলুর সঙ্গে বসছি। এজাহার কমপ্লিট। আমরা এখন মানিকগঞ্জ কোর্টে আছি। এখান থেকে সব কমপ্লিট করে দৌলতপুর থানায় ঢুকে সবকিছু এন্ট্রি কইরা থুইয়া আসুম। ভালোমন্দ আর তো ফোন দিলা না। ফাঁকে চাকরি করতেছ, ফাঁকেই চাকরি করো। মামলার মতো মামলা থাকবেনে, বাড়ি আসার দরকার নাই। চাকরি-বাকরি কইরা খাইও। এইড্যা জানাইয়া দিলাম তোমারে।
জাকির: এখন কী করা লাগবে সেইটা কও।
শহীদুল: আমি এখান থেকে যামু থানায়। এই কয় মিনিট, সময় লাগতে পারে এক-দেড় ঘণ্টা। এর মধ্যে তুমি কিছু করলে করতে পারো, না করলে নাই, তোমার ইচ্ছা। আমি তোমাকে তেলও মারতেছি না, আর কিছুই না।
জাকির: না, না। এখন কি টাকা লাগব? কতডি লাগব?
শহীদুল: ওই দিন কইলাম না তোমারে।
জাকির: ট্যাকার আলাপ করো নাই তো। ফোন দিয়ে কইল্যা আমি অমুক জায়গায় আছি। পরে কথা কমুনি। আর তো তুমিও ফোন দেও নাই, আমিও দেই নাই।
শহীদুল: তুমি আমারে কইল্যা ভাঙ্গা মাসে চাকরিতে ঢুকছি। বেতন-টেতন পাই নাই।
জাকির: তাইল্যা কত ক্যামনে লাগব কও শুনি।
শহীদুল: ১৫ হাজার ট্যাকা দিও।
জাকির: ১৫ হাজার দেওয়া লাগব ন্যা?
শহীদুল: হ। এই দৌলতপুর থানায় রাজনীতি করতেছে আমার বড় ভাই। তুমি মনে হয় জানো। যদি শাহীন ভাইরে আল্লায় একটা পদে দেয়, তারপরে তার আপন ভাই হিসেবে কিন্তু আমি...।
জাকির: হু, ওইডাই।
শহীদুল: আর আমার সার্কেল হইলো খলিলরা, উজ্জ্বলরা, সাইফুলরা। আর ঠাণ্ডু, রাসেল-মাসেল এগুলা বালের বন্ধু। এখন আমি তোমাকে ফোন দিছি, খোলামেলা সত্যি কথা। সার্জেন্ট রাজ্জাক সকালে আমাকে ফোন দিয়ে কইতেছে, তোরে আমি এক লাখ টাকা দিমানি, তোরা আমারে ঝামেলায় ফালাইস না। আমি কইছি কাম হইবো না। আমারে কইছে, তোরা রাজনীতি করোস। যা ছোটখাটো একটি গাড়ি হোন্ডা কিন্যা দিমুনি। আমি কইছি, না কাকা হইবো না। কিছু কিছু জিনিস হইতেছে আমার জায়গা থেকে ক্ষমতার বাইরে। এই জায়গায় ট্যাকা খাইয়্যা আমি দুর্নাম করতে পারুম না। আর যেইটা ক্ষমতায় আছে, সেইটা আমি কইরা দিতে পারি। এই আমি তোমারে বলছি। তোমার নাম মনে করো এজাহারেই থাকব না। খোলামেলা কথা। খিচ খাইয়্যা থাকবা। কোনো সমস্যা হইলে তুমি আমারে জানাইবা।... এখন আমি তোরে একটা কথা কই। বিশ্বাস কইরা তুমি এই কথাডা রাইখো ভেতরে। ময়নাল-টয়নালরা আমার সঙ্গে ফাইজলামি করছে তো। ওগো কপালে শাস্তি আছে। আরও যারা কয়েকজন আছে, ওগো ওপরে আমার রাগ হইয়া গেছে। আমরা তো সিদ্ধান্ত নিছি, এই ব্যাপারে আর কারও সঙ্গে কথা বলব না। অ্যাকশন হবে থানায়, অ্যাকশন হবে প্রশাসনে। এখন তোমারে আমি দুই দিন আগে ফোন দিছিলাম। আর তোমার আত্মীয় আছে কবির, ওর সঙ্গে আমার ভালো একটা সম্পর্ক। সানোয়ার আছে। সানোয়ার আমারে কইছে, মামলায় ফালাইসনা, ট্যাকা-পয়সা মাইনষে কামায়। ২০ হাজার টাকার কথা কইছিল, ২০ হাজার টাকা না, তুমি হাজার পাঁচেক টাকা কম নিও। এইডা সানোয়ার আমারে কবিরের সামনে বইল্যা দিছে। আমি আর কোনো দাবি করি নাই।...এখন জাকির ভাই, এক কথা হইলো টাকা। কী করবা? যা করার এখন আমারে তুমি কও। এরপরে আমার হাতে আর সময় থাকব না।
জাকির: টাকার কথা ভাই মুখ দিয়ে সারা যায় না। তোমার সঙ্গে কথা কমানি আমি।
শহীদুল: জাকির, আমি একটা কথা কই ভাই।
জাকির: হু কও।
শহীদুল: আমরা এখন এজাহার লেখতেছি। পরে কইয়্যা লাভ নাই। তোমারে তো বিশ্বাস করছি। মুখ দিয়ে একটা কথা কও। তোমার নাম থাকব না। তখন তুমি তোমার কথাটা ঠিকমতো রাখবা। ব্যস।
জাকির: টাকা তো ব্যবস্থা করা লাগব নাকি? এখন আমার কাছে নাই। আমি যা পারি ব্যবস্থা কইরা একটা কিছু সিস্টেম করা যাইবনে। যেহেতু তুমি কইছাও ছোট ভাই। তোমার ভাইয়ের সঙ্গে কিন্তু আমি একসাথে লেখাপড়া করছি। শাহীনের সঙ্গে। শাহীনের সঙ্গে আসার কথা হইছে।
শহীদুল: না, না, না। ট্যাকার কথা আমরা জানি। এখানে মাথাপিছু আমাদের ইনচার্জকে ট্যাকা দিতে হয়। একেবারে খোলামেলা কথা। জাকির, তুমি বুঝছ না? তোমারে একটা খোলামেলা কথা কই। ১০ হাজার টাকা আমার ইনচার্জকে দেওয়া লাগব। এইডা তুমি কেইরে কইয়ো না। আর পাঁচ হাজার টাকা আমরা অফিস করতেছি, এখানে খরচ লাগতেছে। খরচ লাগতেছে এ জন্য তোমার কাছে আমরা দাবি করতেছি, একেবারে খোলামেলা কথা।
জাকির: না, ঠিক আছে। খোলামেলা বলাই ভালো।
শহীদুল: তুমি যদি আমারে বিশ্বাস না করো বা কিছু করবার যাও শফিকের সঙ্গে... রাজনৈতিক প্যানেলডা তো বুঝোই। শিক্ষিত মানুষরে এত বুঝান লাগে না। বুইজচ্ছ্যাও।
দুই নম্বর আসামি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম আইজুল হক ও ৫৫ নম্বর মহিদুর রহমানের কাছে অনুরূপ টাকা দাবি করা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগী ওই মামলার একাধিক আসামি জানান, চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত খলিল কোভিদসহ ওই চক্রটি কমপক্ষে ৩০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে বলে।
এ বিষয়ে নিয়ে শহীদুলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ওটা আমার ভয়েস না। আপনি জাকিরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তার সঙ্গে আমার এ রকম কথা হয়েছে কি না, এটা আমার ভয়েস কি না যাচাই করে দেখেন। এটা একটা ভুয়া নিউজ ছড়াইছে।’
তবে অডিও রেকর্ডের ভয়েসটি ছোট ভাইয়ের শহীদুল ইসলামের কণ্ঠস্বর স্বীকার করে যুবদল নেতা শাহীন আলম বলেন, ‘শহীদুলের কোনো পদবি নেই। ও রাজনীতির বাইরে। চাকরি করে ও। আপনি যে রেকর্ডিং পেয়েছেন, সেটা ৭ আগস্টের। দুই মাস আগের রেকর্ডিংয়ের সঙ্গে মামলার কোনো সম্পর্ক নেই। শহীদুল গ্রেপ্তার হয়েছিল। ৬ আগস্টে জামিন পেয়েছে। জামিনের পর ৭ তারিখে ওকে ডেকে নিয়ে ওরা কথা বলেছে। এটা সে সময়ের রেকর্ড। রেকর্ডিংটা আমার কাছে আসেনি। ওটা শুনলে বুঝতে পারব শহীদুল কীভাবে টাকাটা চেয়েছে।’
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জে ও এম তৌফিক আজম বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ না পেলে এ বিষয়ে আমি কোনো কথা বলতে পারব না।’
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাতে দৌলতপুর থানায় ১২৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা করে মামলাটি দায়ের করেন যুবদল নেতা মো. শাহীন আলম। এতে মানিকগঞ্জ-১ আসনের সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয়, দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল হক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মোশারফ হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিদুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, দৌলতপুর প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক সাংবাদিক এ বি খান বাবুসহ জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীদের আসামি করা হয়।

বেলা ২টার দিকে বকশীগঞ্জ নূর মোহাম্মদ উচ্চবিদ্যালয় মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে বটতলা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে নেতা-কর্মীরা সড়কের ওপর অবস্থান নিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন। দুই ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধের ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।
৬ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালট ছাপানোর জন্য বাংলাদেশ স্টেশনারি অফিসের (বিএসও) মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন কেপিএম থেকে ৯১৫ টন বাদামি, গোলাপি ও সবুজ রঙের কাগজের চাহিদা দিয়েছে। এর মধ্যে কেপিএম থেকে ৫৩৭ টন কাগজ সরবরাহ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৩৭৮ টন কাগজ পর্যায়ক্রমে সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
২৯ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় জড়িতরা যেন সীমান্ত অতিক্রম করে পালাতে না পারে, সে জন্য মৌলভীবাজারে সীমান্ত এলাকায় বিশেষ চেকপোস্ট ও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে বিজিবি।
৩৩ মিনিট আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতের হামলায় ছুরিকাহত হয়েছেন দুই পথচারী। এ ছাড়া তাঁদের কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায় ডাকাত দল। গতকাল শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে রহনপুর-আড্ডা সড়কের নজরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেবকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে জুলাই ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
বেলা ২টার দিকে বকশীগঞ্জ নূর মোহাম্মদ উচ্চবিদ্যালয় মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে বটতলা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে নেতা-কর্মীরা সড়কের ওপর অবস্থান নিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন। দুই ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধের ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন বকশীগঞ্জ উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক প্রকৌশলী শাহরিয়ার আহম্মেদ সুমন, সদস্যসচিব আমির হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব বায়েজিদ আলামিন, জামালপুর জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সা’আদ আহমেদ রাজু, জুলাই যোদ্ধা শহিদুল হক সানি, ঢাকা মহানগর উত্তরের সহসভাপতি তামিম মোল্লা, উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিশির আহমেদ নিশান প্রমুখ।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের ভাই শরিফ ওসমান বিন হাদি গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। আমরা তাঁর দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। একই সঙ্গে হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।’
খবর পেয়ে বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন ঘটনাস্থলে এসে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তিনি আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করে বলেন, আইনগত প্রক্রিয়ায় হামলার সঙ্গে জড়িত আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে। ওসির আশ্বাসের পর আন্দোলনকারীরা অবরোধ প্রত্যাহার করলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে জুলাই ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
বেলা ২টার দিকে বকশীগঞ্জ নূর মোহাম্মদ উচ্চবিদ্যালয় মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে বটতলা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে নেতা-কর্মীরা সড়কের ওপর অবস্থান নিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন। দুই ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধের ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন বকশীগঞ্জ উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক প্রকৌশলী শাহরিয়ার আহম্মেদ সুমন, সদস্যসচিব আমির হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব বায়েজিদ আলামিন, জামালপুর জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সা’আদ আহমেদ রাজু, জুলাই যোদ্ধা শহিদুল হক সানি, ঢাকা মহানগর উত্তরের সহসভাপতি তামিম মোল্লা, উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিশির আহমেদ নিশান প্রমুখ।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের ভাই শরিফ ওসমান বিন হাদি গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। আমরা তাঁর দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। একই সঙ্গে হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।’
খবর পেয়ে বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন ঘটনাস্থলে এসে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তিনি আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করে বলেন, আইনগত প্রক্রিয়ায় হামলার সঙ্গে জড়িত আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে। ওসির আশ্বাসের পর আন্দোলনকারীরা অবরোধ প্রত্যাহার করলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

বড় ভাই মামলা করেছেন। আসামি করা হয়েছে সাবেক সংসদ সদস্য ও সাংবাদিকসহ ১২৯ জনের নামে। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে আরও শতাধিক অজ্ঞাত ব্যক্তি। হুমকি দেওয়া হচ্ছে ওই মামলায় আরও নাম ঢুকিয়ে দেওয়ার। আর ছোট ভাই কন্ট্রাক্ট নিচ্ছেন নাম কাটানোর। বিনিময়ে দাবি করা হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। চাঁদাবাজির এমনই এক নয়া...
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালট ছাপানোর জন্য বাংলাদেশ স্টেশনারি অফিসের (বিএসও) মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন কেপিএম থেকে ৯১৫ টন বাদামি, গোলাপি ও সবুজ রঙের কাগজের চাহিদা দিয়েছে। এর মধ্যে কেপিএম থেকে ৫৩৭ টন কাগজ সরবরাহ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৩৭৮ টন কাগজ পর্যায়ক্রমে সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
২৯ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় জড়িতরা যেন সীমান্ত অতিক্রম করে পালাতে না পারে, সে জন্য মৌলভীবাজারে সীমান্ত এলাকায় বিশেষ চেকপোস্ট ও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে বিজিবি।
৩৩ মিনিট আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতের হামলায় ছুরিকাহত হয়েছেন দুই পথচারী। এ ছাড়া তাঁদের কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায় ডাকাত দল। গতকাল শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে রহনপুর-আড্ডা সড়কের নজরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেকাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনায় অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিল (কেপিএম) চার দিন পর উৎপাদনে ফিরেছে। ওয়াগ্গা পানির পাম্প হাউসের কারিগরি ত্রুটির কারণে চার দিন উৎপাদন সাময়িক বন্ধ থাকে। আজ শনিবার সকালে পুনরায় কাগজ উৎপাদনে শুরু হয়।
কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শহীদ উল্লাহ জানান, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালট ছাপানোর জন্য বাংলাদেশ স্টেশনারি অফিসের (বিএসও) মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন কেপিএম থেকে ৯১৫ টন বাদামি, গোলাপি ও সবুজ রঙের কাগজের চাহিদা দিয়েছে। এর মধ্যে কেপিএম থেকে ৫৩৭ টন কাগজ সরবরাহ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৩৭৮ টন কাগজ পর্যায়ক্রমে সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
শহীদ উল্লাহ বলেন, ‘কারখানার কর্ণফুলী নদীসংলগ্ন ওয়াগ্গা পানি উত্তোলন পাম্প হাউসের কারিগরি সমস্যার কারণে চার দিন ধরে উৎপাদন সাময়িক বন্ধ ছিল।’
শহীদ উল্লাহ আরও বলেন, ‘কেপিএমের কাগজ উৎপাদনে প্রচুর পানির প্রয়োজন হয়। এর পুরোটাই কর্ণফুলী নদী থেকে তোলা হয়। শুষ্ক মৌসুম শুরু হওয়ায় ভাটার সময় নদীর পানির স্তর অনেক নিচে নেমে যায়। এতে পর্যাপ্ত পানি উত্তোলন বাধাপ্রাপ্ত হয়। বর্তমানে পানি প্রবেশপথ ম্যানুয়ালি খননের মাধ্যমে এবং বালু উত্তোলন পাইপলাইন ব্যবহার করে আরও গভীর করে উৎপাদন সচল করা হয়েছে।’

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনায় অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিল (কেপিএম) চার দিন পর উৎপাদনে ফিরেছে। ওয়াগ্গা পানির পাম্প হাউসের কারিগরি ত্রুটির কারণে চার দিন উৎপাদন সাময়িক বন্ধ থাকে। আজ শনিবার সকালে পুনরায় কাগজ উৎপাদনে শুরু হয়।
কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শহীদ উল্লাহ জানান, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালট ছাপানোর জন্য বাংলাদেশ স্টেশনারি অফিসের (বিএসও) মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন কেপিএম থেকে ৯১৫ টন বাদামি, গোলাপি ও সবুজ রঙের কাগজের চাহিদা দিয়েছে। এর মধ্যে কেপিএম থেকে ৫৩৭ টন কাগজ সরবরাহ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৩৭৮ টন কাগজ পর্যায়ক্রমে সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
শহীদ উল্লাহ বলেন, ‘কারখানার কর্ণফুলী নদীসংলগ্ন ওয়াগ্গা পানি উত্তোলন পাম্প হাউসের কারিগরি সমস্যার কারণে চার দিন ধরে উৎপাদন সাময়িক বন্ধ ছিল।’
শহীদ উল্লাহ আরও বলেন, ‘কেপিএমের কাগজ উৎপাদনে প্রচুর পানির প্রয়োজন হয়। এর পুরোটাই কর্ণফুলী নদী থেকে তোলা হয়। শুষ্ক মৌসুম শুরু হওয়ায় ভাটার সময় নদীর পানির স্তর অনেক নিচে নেমে যায়। এতে পর্যাপ্ত পানি উত্তোলন বাধাপ্রাপ্ত হয়। বর্তমানে পানি প্রবেশপথ ম্যানুয়ালি খননের মাধ্যমে এবং বালু উত্তোলন পাইপলাইন ব্যবহার করে আরও গভীর করে উৎপাদন সচল করা হয়েছে।’

বড় ভাই মামলা করেছেন। আসামি করা হয়েছে সাবেক সংসদ সদস্য ও সাংবাদিকসহ ১২৯ জনের নামে। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে আরও শতাধিক অজ্ঞাত ব্যক্তি। হুমকি দেওয়া হচ্ছে ওই মামলায় আরও নাম ঢুকিয়ে দেওয়ার। আর ছোট ভাই কন্ট্রাক্ট নিচ্ছেন নাম কাটানোর। বিনিময়ে দাবি করা হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। চাঁদাবাজির এমনই এক নয়া...
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
বেলা ২টার দিকে বকশীগঞ্জ নূর মোহাম্মদ উচ্চবিদ্যালয় মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে বটতলা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে নেতা-কর্মীরা সড়কের ওপর অবস্থান নিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন। দুই ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধের ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।
৬ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় জড়িতরা যেন সীমান্ত অতিক্রম করে পালাতে না পারে, সে জন্য মৌলভীবাজারে সীমান্ত এলাকায় বিশেষ চেকপোস্ট ও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে বিজিবি।
৩৩ মিনিট আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতের হামলায় ছুরিকাহত হয়েছেন দুই পথচারী। এ ছাড়া তাঁদের কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায় ডাকাত দল। গতকাল শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে রহনপুর-আড্ডা সড়কের নজরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেমৌলভীবাজার, প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় জড়িতরা যেন সীমান্ত অতিক্রম করে পালাতে না পারে, সে জন্য মৌলভীবাজারে সীমান্ত এলাকায় বিশেষ চেকপোস্ট ও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে বিজিবি। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ, জুড়ী, বড়লেখা, কুলাউড়া ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার ২৭১ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকায় বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, জেলার পাঁচটি উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় একাধিক বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে এবং তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। একই সঙ্গে গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে এবং সীমান্ত এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সাধারণ জনগণের মাঝে হাদিকে গুলির ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত সন্দেহভাজনদের ছবি প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে, যাতে দুষ্কৃতকারীকে আটক এবং যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিয়ানীবাজার ব্যাটালিয়ন (৫২ বিজিবি) পরিচালক (অধিনায়ক) লে. কর্নেল মোহাম্মদ আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সীমান্ত এলাকায় বিশেষ চেকপোস্ট ও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে বিজিবি।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় জড়িতরা যেন সীমান্ত অতিক্রম করে পালাতে না পারে, সে জন্য মৌলভীবাজারে সীমান্ত এলাকায় বিশেষ চেকপোস্ট ও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে বিজিবি। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ, জুড়ী, বড়লেখা, কুলাউড়া ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার ২৭১ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকায় বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, জেলার পাঁচটি উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় একাধিক বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে এবং তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। একই সঙ্গে গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে এবং সীমান্ত এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সাধারণ জনগণের মাঝে হাদিকে গুলির ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত সন্দেহভাজনদের ছবি প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে, যাতে দুষ্কৃতকারীকে আটক এবং যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিয়ানীবাজার ব্যাটালিয়ন (৫২ বিজিবি) পরিচালক (অধিনায়ক) লে. কর্নেল মোহাম্মদ আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সীমান্ত এলাকায় বিশেষ চেকপোস্ট ও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে বিজিবি।

বড় ভাই মামলা করেছেন। আসামি করা হয়েছে সাবেক সংসদ সদস্য ও সাংবাদিকসহ ১২৯ জনের নামে। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে আরও শতাধিক অজ্ঞাত ব্যক্তি। হুমকি দেওয়া হচ্ছে ওই মামলায় আরও নাম ঢুকিয়ে দেওয়ার। আর ছোট ভাই কন্ট্রাক্ট নিচ্ছেন নাম কাটানোর। বিনিময়ে দাবি করা হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। চাঁদাবাজির এমনই এক নয়া...
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
বেলা ২টার দিকে বকশীগঞ্জ নূর মোহাম্মদ উচ্চবিদ্যালয় মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে বটতলা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে নেতা-কর্মীরা সড়কের ওপর অবস্থান নিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন। দুই ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধের ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।
৬ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালট ছাপানোর জন্য বাংলাদেশ স্টেশনারি অফিসের (বিএসও) মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন কেপিএম থেকে ৯১৫ টন বাদামি, গোলাপি ও সবুজ রঙের কাগজের চাহিদা দিয়েছে। এর মধ্যে কেপিএম থেকে ৫৩৭ টন কাগজ সরবরাহ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৩৭৮ টন কাগজ পর্যায়ক্রমে সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
২৯ মিনিট আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতের হামলায় ছুরিকাহত হয়েছেন দুই পথচারী। এ ছাড়া তাঁদের কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায় ডাকাত দল। গতকাল শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে রহনপুর-আড্ডা সড়কের নজরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতের হামলায় ছুরিকাহত হয়েছেন দুই পথচারী। এ ছাড়া তাঁদের কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায় ডাকাত দল।
গতকাল শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে রহনপুর-আড্ডা সড়কের নজরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত দুই পথচারী হলেন রুবেল ও নাজিম উদ্দীন। তাঁদেরকে উদ্ধার করে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসক।
এ বিষয়ে গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বারিক বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ পেয়েছি। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতের হামলায় ছুরিকাহত হয়েছেন দুই পথচারী। এ ছাড়া তাঁদের কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায় ডাকাত দল।
গতকাল শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে রহনপুর-আড্ডা সড়কের নজরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত দুই পথচারী হলেন রুবেল ও নাজিম উদ্দীন। তাঁদেরকে উদ্ধার করে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসক।
এ বিষয়ে গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বারিক বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ পেয়েছি। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

বড় ভাই মামলা করেছেন। আসামি করা হয়েছে সাবেক সংসদ সদস্য ও সাংবাদিকসহ ১২৯ জনের নামে। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে আরও শতাধিক অজ্ঞাত ব্যক্তি। হুমকি দেওয়া হচ্ছে ওই মামলায় আরও নাম ঢুকিয়ে দেওয়ার। আর ছোট ভাই কন্ট্রাক্ট নিচ্ছেন নাম কাটানোর। বিনিময়ে দাবি করা হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। চাঁদাবাজির এমনই এক নয়া...
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
বেলা ২টার দিকে বকশীগঞ্জ নূর মোহাম্মদ উচ্চবিদ্যালয় মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে বটতলা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে নেতা-কর্মীরা সড়কের ওপর অবস্থান নিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন। দুই ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধের ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।
৬ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালট ছাপানোর জন্য বাংলাদেশ স্টেশনারি অফিসের (বিএসও) মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন কেপিএম থেকে ৯১৫ টন বাদামি, গোলাপি ও সবুজ রঙের কাগজের চাহিদা দিয়েছে। এর মধ্যে কেপিএম থেকে ৫৩৭ টন কাগজ সরবরাহ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৩৭৮ টন কাগজ পর্যায়ক্রমে সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
২৯ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় জড়িতরা যেন সীমান্ত অতিক্রম করে পালাতে না পারে, সে জন্য মৌলভীবাজারে সীমান্ত এলাকায় বিশেষ চেকপোস্ট ও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে বিজিবি।
৩৩ মিনিট আগে