রাজৈর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে বাংলাদেশি জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’-তে আটকে পড়া ২৯ নাবিকের মধ্যে রয়েছেন মাদারীপুরের রাজৈরের ফারহানা ইসলাম মৌ-ও। তাঁর পরিবার এত দিন উৎকণ্ঠা ও ভয়ে থাকলেও এখন কিছুটা স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছেন তাঁরা। জাহাজে রকেট হামলায় ১ বাংলাদেশি নাবিক নিহত হওয়ার পর পরিবারের উৎকণ্ঠা বেড়ে গিয়েছিল। পরে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টায় মৌসহ বাকিদের নিরাপদ স্থানে নেওয়া হয়েছে জেনে স্বস্তি ফিরেছে। এখন পরিবারের চাওয়া তাঁর মেয়ে সহিসালামতে যেন ফিরে আসতে পারে।
মৌয়ের পরিবার জানিয়েছে, তিনি ২০১৫ সালে মাধ্যমিক, ২০১৭ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমির ৫৪তম ব্যাচে ভর্তি হয়। পড়ালেখা শেষে ইন্টার্ন করার জন্য ১ বছর আগে ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজে কাজ শুরু করেন। সর্বশেষ তুরস্ক থেকে গত ২২ ফেব্রুয়ারি জাহাজটি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে পৌঁছায়। ২৩ ফেব্রুয়ারি হঠাৎ যুদ্ধ শুরু হওয়ায় জাহাজটি আর বন্দর ত্যাগ করতে পারেনি। সর্বশেষ ২ মার্চ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজে রকেট হামলা হয়। হামলায় জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার বরগুনার বেতাগী উপজেলার হাদিসুর রহমান নিহত হন। ৩ মার্চ সকালে মৌ নিজের ফেসবুক আইডিতে লাইভে এসে বিপদের কথা জানিয়ে তাঁদের সেখান থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার আকুতি জানান। জাহাজে ২৯ জন বাংলাদেশি নাবিক ছিলেন। তারপর রাতে একটি বোট এসে তাঁদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়।
লাইভে মৌ বলেন, ‘আমি ইঞ্জিন ক্যাডেট মৌ। বাংলার সমৃদ্ধি থেকে বলছি। আমাদের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার স্যার মারা গেছেন। আমাদের শিপে বম্বিং হইছে। আমরা এখনো শিপের মধ্যে আছি। আমরা সবাই চাচ্ছি এখান থেকে বের হতে। আপনারা প্লিজ আমাদের (জন্য) কোনো একটি উপায়ে বের করুন। আমরা এখানে থাকতে চাচ্ছি না।’
মৌয়ের বড় ভাই ফাহাদ মাহামুদ লিমন বলেন, ‘যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই আতঙ্কে ছিলাম। ঠিকমতো ছোট বোনের সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারি নাই। বৃহস্পতিবার রাতে ছোট বোনের সঙ্গে কথা হয়েছে। সে নিরাপদে আছে। তবে কোথায়, কী অবস্থায় আছে, তা জানি না।’
মৌয়ের মা মাহামুদা বিউটি, ‘ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পর মেয়ের চিন্তায় ঠিকমতো গোসল করতে পারিনি, খেতে পারিনি, রাতে ঘুমাতে পর্যন্ত পারিনি। বৃহস্পতিবার রাতে মৌয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। সে নিরাপদে আছে। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, আমার মৌ যেন নিরাপদে দেশে ফিরে আসতে পারে।’
ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে বাংলাদেশি জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’-তে আটকে পড়া ২৯ নাবিকের মধ্যে রয়েছেন মাদারীপুরের রাজৈরের ফারহানা ইসলাম মৌ-ও। তাঁর পরিবার এত দিন উৎকণ্ঠা ও ভয়ে থাকলেও এখন কিছুটা স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছেন তাঁরা। জাহাজে রকেট হামলায় ১ বাংলাদেশি নাবিক নিহত হওয়ার পর পরিবারের উৎকণ্ঠা বেড়ে গিয়েছিল। পরে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টায় মৌসহ বাকিদের নিরাপদ স্থানে নেওয়া হয়েছে জেনে স্বস্তি ফিরেছে। এখন পরিবারের চাওয়া তাঁর মেয়ে সহিসালামতে যেন ফিরে আসতে পারে।
মৌয়ের পরিবার জানিয়েছে, তিনি ২০১৫ সালে মাধ্যমিক, ২০১৭ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমির ৫৪তম ব্যাচে ভর্তি হয়। পড়ালেখা শেষে ইন্টার্ন করার জন্য ১ বছর আগে ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজে কাজ শুরু করেন। সর্বশেষ তুরস্ক থেকে গত ২২ ফেব্রুয়ারি জাহাজটি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে পৌঁছায়। ২৩ ফেব্রুয়ারি হঠাৎ যুদ্ধ শুরু হওয়ায় জাহাজটি আর বন্দর ত্যাগ করতে পারেনি। সর্বশেষ ২ মার্চ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজে রকেট হামলা হয়। হামলায় জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার বরগুনার বেতাগী উপজেলার হাদিসুর রহমান নিহত হন। ৩ মার্চ সকালে মৌ নিজের ফেসবুক আইডিতে লাইভে এসে বিপদের কথা জানিয়ে তাঁদের সেখান থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার আকুতি জানান। জাহাজে ২৯ জন বাংলাদেশি নাবিক ছিলেন। তারপর রাতে একটি বোট এসে তাঁদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়।
লাইভে মৌ বলেন, ‘আমি ইঞ্জিন ক্যাডেট মৌ। বাংলার সমৃদ্ধি থেকে বলছি। আমাদের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার স্যার মারা গেছেন। আমাদের শিপে বম্বিং হইছে। আমরা এখনো শিপের মধ্যে আছি। আমরা সবাই চাচ্ছি এখান থেকে বের হতে। আপনারা প্লিজ আমাদের (জন্য) কোনো একটি উপায়ে বের করুন। আমরা এখানে থাকতে চাচ্ছি না।’
মৌয়ের বড় ভাই ফাহাদ মাহামুদ লিমন বলেন, ‘যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই আতঙ্কে ছিলাম। ঠিকমতো ছোট বোনের সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারি নাই। বৃহস্পতিবার রাতে ছোট বোনের সঙ্গে কথা হয়েছে। সে নিরাপদে আছে। তবে কোথায়, কী অবস্থায় আছে, তা জানি না।’
মৌয়ের মা মাহামুদা বিউটি, ‘ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পর মেয়ের চিন্তায় ঠিকমতো গোসল করতে পারিনি, খেতে পারিনি, রাতে ঘুমাতে পর্যন্ত পারিনি। বৃহস্পতিবার রাতে মৌয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। সে নিরাপদে আছে। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, আমার মৌ যেন নিরাপদে দেশে ফিরে আসতে পারে।’
‘আমি ভারতীয়। আমার বাবা, দাদাজি ভারতীয়। দুই বড় ভাই—তাঁরাও ভারতীয়। সেখানে আমার পরিবার, জমি-জায়গা, বসতবাড়ি সবই আছে। আমার চারটা বাচ্চা পোলাপান আছে। আমি তাদের কাছে যেতে চাই।’ ভারতে ফেরার আকুতি জানিয়ে এসব কথা বলেন রহম আলী (৪৫)।
৪ মিনিট আগেঅবশেষে এসআই সুকান্ত কুমার দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপির) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কেএমপির মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, এসআই (নিরস্ত্র) সুকান্ত কুমার দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সরকারি কর্মচারী গ্রেপ্তার-সংক্রান্ত বিধিবিধান অনুসরণ করে
২২ মিনিট আগেরাতের অন্ধকারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অসুস্থ ছাগল জবাই করে মাংস সরবরাহ করা হতো বিভিন্ন হোটেলে। রংপুরের তারাগঞ্জের একটি বাড়িতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের পর এমন তথ্য জানা গেছে। অভিযানে পচা কলিজা, ফুসফুস, ভুঁড়িসহ প্রায় ৫৫ কেজি মাংস জব্দ করে ধ্বংস করেছে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে
২৫ মিনিট আগেসিলেটে একই রোল নম্বরের প্রবেশপত্র নিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা দিতে এসেছেন দুই ছাত্রী। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সিলেট সরকারি কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। পরে একজনকে জাল হিসেবে শনাক্ত করা হয়। তাহমিনা গণমাধ্যমকে জানান, নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষার ফি না দেওয়ায় তাঁর ভগ্নিপতি পরে এক দালালের মাধ্যমে টাকা জমা দিয়ে...
৩২ মিনিট আগে