Ajker Patrika

ঢাকা শহরে ব্যবসা করতে হলে করপোরেশনের বাণিজ্যিক অনুমতি লাগবে: মেয়র তাপস 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৭ নভেম্বর ২০২৩, ১৮: ২১
ঢাকা শহরে ব্যবসা করতে হলে করপোরেশনের বাণিজ্যিক অনুমতি লাগবে: মেয়র তাপস 

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় ব্যবসা করতে হলে অবশ্যই বাণিজ্যিক অনুমতি (ট্রেড লাইসেন্স) নিতে হবে। বাণিজ্যিক অনুমতি ছাড়া কাউকে ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না বলে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। 

আজ মঙ্গলবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটরিয়ামে রাজস্ব আদায়ের সার্বিক পর্যালোচনা সভা রাজস্ব সম্মেলনে মেয়র এমন মন্তব্য করেন। 

মেয়র বলেন, ‘আমাদের রাজস্ব মেলাগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া রাজস্ব আদায়ে আমাদের অভিযানগুলো আরও কঠোর করতে হবে। ব্যক্তি বিশেষের প্রতিষ্ঠান, নামকরা মার্কেট বা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা—যেই হোক না, কেউ যদি ট্রেড লাইসেন্স না করে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন, তাহলে প্রয়োজনে সেসব স্থাপনা-মার্কেট সিলগালা করে দিতে হবে, ক্রোক করতে হবে। এ ধরনের কিছু উদাহরণ সৃষ্টির করা হলে বাকিরাও নড়েচড়ে বসবে। সে জন্য আমাদের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের আরও কঠোরতা প্রদর্শনের নির্দেশ দিচ্ছি। বাণিজ্যিক অনুমতি ছাড়া আমরা কাউকে ঢাকা শহরে ব্যবসা পরিচালনা করতে দেব না।’

করসংশ্লিষ্ট সেবা প্রদানে জড়িত সবার আচরণগত পরিবর্তনের ওপর গুরুত্বারোপ করে মেয়র তাপস বলেন, ‘রাজস্ব আদায়ে একটি বড় বিষয় হলো, আপনার আচরণ, আপনার ব্যবহার। এ ক্ষেত্রে আপনার দপ্তরে যাঁরা সেবাটা নিতে আসছেন তাঁদের সঙ্গে ভালো আচরণ করবেন, সুন্দর ব্যবহার করবেন। সেবা নিতে এসে একজন ব্যক্তির যেন আপনার দপ্তরে তিনবার, চারবার আসা না লাগে। সেটা কাম্য নয়। যেদিন এসেছেন সেদিনই তাঁকে সেবাটা দেবেন। প্রয়োজনে একটু বিলম্ব হলেও সেদিনই সেবাটা দেবেন। তাঁকে কালকে আসেন, পরশু আসেন, তিন দিন পর আসেন, দশ দিন পরে আসেন এসব বলা যাবে না। এতে করে সে ব্যক্তি কর দেওয়ার মানসিকতা হারিয়ে ফেলেন। আপনার আচরণগত কারণে বা তাঁকে যথাযথ সেবা দেওয়া থেকে বঞ্চিত করার কারণে একজন আগ্রহী করদাতাও করখেলাপি হয়ে যেতে পারেন। সুতরাং কোনো আগ্রহী করদাতাকে করখেলাপি বানাবেন না।’

এ সময় হয়রানি ছাড়া জনগণকে সেবা দিতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন মেয়র তাপস। তিনি বলেন, ‘আমরা কিন্তু ঝুড়িতে একটাও পচা আম রাখতে চাই না। আপনারা জানেন যে, আমরা পচা আম ফেলে দিচ্ছি এবং আরও পচা আম আমরা ফেলতে থাকব। এটা চলমান প্রক্রিয়া। আমার দাদি বলতেন, একটা ঝুড়িতে একটা পচা আম থাকলে বাকি আমগুলোতেও পচন ধরে। আমের ঝুড়ি থেকে প্রথমে আমগুলো নিয়ে নিচে রাখতে হয়। তারপর যেগুলো ভালো সেগুলোকে ঝুড়িতে রাখতে হয়। যেগুলো পচা আম সেগুলো ফেলে দিতে হয়। সুতরাং এখনো যে কটা পচা আম আছে বা এখনো যাঁরা অন্যভাবে চিন্তা করেন তাঁরা এখানে থাকতে পারবেন না। এখানে থেকে কোনো ধরনের গাফিলতি, অবহেলার সুযোগ নেই।’

আজকের রাজস্ব সম্মেলনে উপপ্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. শাহজাহান আলীসহ করপোরেশনের কর কর্মকর্তা, উপ-কর কর্মকর্তা, বাজার সুপারভাইজার, লাইসেন্স ও বিজ্ঞাপন সুপারভাইজার, রেভিনিউ সুপারভাইজার, রেন্ট অ্যাসিট্যান্স, হিসাব সহকারীসহ রাজস্ব বিভাগের সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের বিপক্ষে সেমির আগেই ধাক্কা খেল অস্ট্রেলিয়া

পরমাণু শক্তিধর হতে চেয়েছিল তাইওয়ান, সিআইএ এজেন্টের বিশ্বাসঘাতকতায় স্বপ্নভঙ্গ

এলপি গ্যাস, তেল, আটাসহ বেশ কিছু পণ্যে ভ্যাট তুলে দিল এনবিআর

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি: রিজার্ভ-ডেতেও সেমিফাইনাল না হলে হৃদয়বিদারক সমীকরণ

অমর্ত্য সেনের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় যা বললেন জামায়াতের আমির

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত