Ajker Patrika

রিমান্ড শেষে আরও ১০ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হলো বিএসবির বাশারকে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৭: ২৮
এম কে খায়রুল বাশার বাহার। ছবি: সংগৃহীত
এম কে খায়রুল বাশার বাহার। ছবি: সংগৃহীত

অর্থ পাচারের অভিযোগে গুলশান থানার মামলায় বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান এম কে খায়রুল বাশারকে ১০ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমান তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ সময় বাশারকে আরও ১০ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

এর আগে দুপুরের দিকে বাশারকে আদালতে হাজির করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির এসআই খালিদ সাইফুল্লাহ তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ সময় তাঁকে ১০ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলা সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তারা।

বিদেশে উচ্চ শিক্ষার প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা এসব মামলার মধ্যে গুলশান থানায় দায়ের করা ৮টি মামলায় ও শাহ আলী থানায় দায়ের করা দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

আদালতে গুলশান থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার পুলিশের এসআই মোক্তার হোসেন এসব বিষয় নিশ্চিত করেন।

এর আগে গত ১৪ জুলাই সকালে বাশারকে আটক করে সিআইডি। পরে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়। ১৫ জুলাই আদালত তাঁর ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামি বাশার ও তাঁর স্ত্রী খন্দকার সেলিমা রওশন এবং ছেলে আরশ ইবনে বাশার চটকদার বিজ্ঞাপনের ফাঁদে ফেলে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীর কাছ থেকে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। উচ্চশিক্ষার জন্য ১৪১ শিক্ষার্থীকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে ১৮ কোটি ২৯ লাখ ৫৭ হাজার ৬৮০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। আরও অনেক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে যেগুলো তদন্তে পাওয়া যাবে।

এ ঘটনায় গত ৪ মে সিআইডির এসআই রুহুল আমিন বাদী হয়ে মানি লন্ডারিং আইনে গুলশান মামলা করেন।

এদিকে বিদেশে উচ্চশিক্ষার নামে কোটি কোটি টাকা প্রতারণার বিচার চেয়ে এবং টাকা ফেরত দেওয়ার দাবিতে বাশারের বিরুদ্ধে আজ বুধবার আদালতের সামনে মানববন্ধন করে বিক্ষোভ করেছেন ভুক্তভোগীরা। বাশারকে রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হচ্ছে খবর পেয়ে সকাল ৯টার দিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত ভবনের সামনে জড়ো হতে থাকেন ভুক্তভোগীরা। কয়েকশ ভুক্তভোগী এই মানববন্ধনে অংশ নেন।

মানববন্ধনে বাশারের প্রতারণার প্রতিবাদ করা হয় এবং প্রত্যেকে বাশারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত