ঢাবি প্রতিনিধি
সরকারি চাকরিতে কোটাপ্রথা বাতিল করে জারি করা ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল রাখার দাবিতে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীদের চলমান আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দল সমর্থক শিক্ষকেরা বিবৃতি দিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার এ বিবৃতি দেওয়া হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে জারিকৃত সরকারি পরিপত্রের অংশবিশেষ অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। একই সঙ্গে কোটাব্যবস্থা পুনর্বহালের প্রতিবাদে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীদের চলমান আন্দোলনের প্রতি আমরা সমর্থন জানাচ্ছি।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর অনগ্রসর ও পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীকে সমাজে এগিয়ে আনার জন্য কোটাব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে যখন সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা চালু হয় তখন দেশের লক্ষ লক্ষ শিক্ষিত বেকার, চাকরিপ্রত্যাশী ও শিক্ষার্থীরা কোটাব্যবস্থা সংস্কারের জন্য আন্দোলনে নামে। একপর্যায়ে সে আন্দোলন গণ–আন্দোলনে রূপান্তরিত হলে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সরকারি চাকরি (নবম-ত্রয়োদশ গ্রেড) থেকে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের ঘোষণা দিয়ে পরিপত্র জারি করে। কিন্তু গত ৫ জুন সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত বা আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনের চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে (৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড) মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগ আপাতত এ রায় বহাল রাখেন। ২০১৮ সালের পরিপত্রের অংশ বিশেষ বাতিল করে দেওয়া রায়ের প্রতিবাদে পুনরায় চাকরিপ্রত্যাশী এবং শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন শুরু করেছে, আমরা মনে করি তা ন্যায্য ও যৌক্তিক। কারণ, কোটা কখনোই মেধার বিকল্প হতে পারে না।’
‘আমরা মনে করি, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাঁদের অবদানের স্বীকৃতি এবং সম্মান জানানোর অন্য আরও অনেক বিকল্প আছে। সে বিকল্পগুলো বংশ পরম্পরায়ও চলতে পারে। কিন্তু তা না করে চাকরিতে বংশ পরম্পরায় ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখা অযৌক্তিক বলে আমরা মনে করি। কারণ, এর ফলে বেকার সমস্যা যেমন প্রবল হবে, তেমনি তুলনামূলকভাবে যোগ্য ও মেধাবীরা তাঁদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন। এটি একধরনের বৈষম্যও বটে। মুক্তিযুদ্ধের মূলচেতনা সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের সঙ্গেও তা সংগতিপূর্ণ নয়।’
‘পুনশ্চ উল্লেখ্য যে, আমাদের সংবিধানে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা রাখার কথা বলা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে সকলেই অনগ্রসর নয়। তাই ঢালাওভাবে সকলকে কোটা সুবিধা প্রদান সংবিধানের চেতনারও পরিপন্থী বলে আমরা মনে করি। আমাদের বিশ্বাস কোটাব্যবস্থা পুনর্বহালের সঙ্গে বর্তমান অগণতান্ত্রিক সরকারের যোগসাজশ রয়েছে। আদালতের রায়কে ব্যবহার করে সরকার রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টা করছে। আমরা উদ্বেগের সঙ্গে আরও লক্ষ্য করছি যে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকার সমর্থক ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা নানাভাবে নির্যাতন ও হুমকি দিয়ে নিবৃত করার চেষ্টা করছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং শিক্ষার্থীদের নির্যাতন এবং হুমকি প্রদানকারী সন্ত্রাসীদের শাস্তি দাবি করছি।’
সাদা দলের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পরিশেষে, কোটাব্যবস্থা পুনর্বহালের প্রতিবাদে চাকরিপ্রত্যাশী ও শিক্ষার্থীদের চলমান যৌক্তিক ও ন্যায্য আন্দোলনকে সম্মান জানিয়ে কোটাব্যবস্থা বাতিলসহ অবিলম্বে তাদের চার দফা দাবি পূরণের জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।’
সরকারি চাকরিতে কোটাপ্রথা বাতিল করে জারি করা ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল রাখার দাবিতে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীদের চলমান আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দল সমর্থক শিক্ষকেরা বিবৃতি দিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার এ বিবৃতি দেওয়া হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে জারিকৃত সরকারি পরিপত্রের অংশবিশেষ অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। একই সঙ্গে কোটাব্যবস্থা পুনর্বহালের প্রতিবাদে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীদের চলমান আন্দোলনের প্রতি আমরা সমর্থন জানাচ্ছি।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর অনগ্রসর ও পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীকে সমাজে এগিয়ে আনার জন্য কোটাব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে যখন সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা চালু হয় তখন দেশের লক্ষ লক্ষ শিক্ষিত বেকার, চাকরিপ্রত্যাশী ও শিক্ষার্থীরা কোটাব্যবস্থা সংস্কারের জন্য আন্দোলনে নামে। একপর্যায়ে সে আন্দোলন গণ–আন্দোলনে রূপান্তরিত হলে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সরকারি চাকরি (নবম-ত্রয়োদশ গ্রেড) থেকে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের ঘোষণা দিয়ে পরিপত্র জারি করে। কিন্তু গত ৫ জুন সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত বা আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনের চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে (৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড) মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগ আপাতত এ রায় বহাল রাখেন। ২০১৮ সালের পরিপত্রের অংশ বিশেষ বাতিল করে দেওয়া রায়ের প্রতিবাদে পুনরায় চাকরিপ্রত্যাশী এবং শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন শুরু করেছে, আমরা মনে করি তা ন্যায্য ও যৌক্তিক। কারণ, কোটা কখনোই মেধার বিকল্প হতে পারে না।’
‘আমরা মনে করি, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাঁদের অবদানের স্বীকৃতি এবং সম্মান জানানোর অন্য আরও অনেক বিকল্প আছে। সে বিকল্পগুলো বংশ পরম্পরায়ও চলতে পারে। কিন্তু তা না করে চাকরিতে বংশ পরম্পরায় ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখা অযৌক্তিক বলে আমরা মনে করি। কারণ, এর ফলে বেকার সমস্যা যেমন প্রবল হবে, তেমনি তুলনামূলকভাবে যোগ্য ও মেধাবীরা তাঁদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন। এটি একধরনের বৈষম্যও বটে। মুক্তিযুদ্ধের মূলচেতনা সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের সঙ্গেও তা সংগতিপূর্ণ নয়।’
‘পুনশ্চ উল্লেখ্য যে, আমাদের সংবিধানে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা রাখার কথা বলা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে সকলেই অনগ্রসর নয়। তাই ঢালাওভাবে সকলকে কোটা সুবিধা প্রদান সংবিধানের চেতনারও পরিপন্থী বলে আমরা মনে করি। আমাদের বিশ্বাস কোটাব্যবস্থা পুনর্বহালের সঙ্গে বর্তমান অগণতান্ত্রিক সরকারের যোগসাজশ রয়েছে। আদালতের রায়কে ব্যবহার করে সরকার রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টা করছে। আমরা উদ্বেগের সঙ্গে আরও লক্ষ্য করছি যে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকার সমর্থক ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা নানাভাবে নির্যাতন ও হুমকি দিয়ে নিবৃত করার চেষ্টা করছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং শিক্ষার্থীদের নির্যাতন এবং হুমকি প্রদানকারী সন্ত্রাসীদের শাস্তি দাবি করছি।’
সাদা দলের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পরিশেষে, কোটাব্যবস্থা পুনর্বহালের প্রতিবাদে চাকরিপ্রত্যাশী ও শিক্ষার্থীদের চলমান যৌক্তিক ও ন্যায্য আন্দোলনকে সম্মান জানিয়ে কোটাব্যবস্থা বাতিলসহ অবিলম্বে তাদের চার দফা দাবি পূরণের জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।’
নিহত তরুণীর নাম সুইটি আক্তার (২০)। তিনি ময়মনসিংহের পাগলা থানার নিগুয়ারী ইউনিয়নের চাকুয়া গ্রামের মৃত আফসারুল ইসলামের মেয়ে। তার স্বামী মো. নূরুল ইসলাম (৩৫) গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরমী মধ্যপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। গত দেড় বছর আগে সুইটির বিয়ে হয় নূরুল ইসলামের সঙ্গে।
২ মিনিট আগেহোমনা চৌরাস্তা থেকে শুরু করে মীরশিকারি, শ্রীপুর, ঘাড়মোরা, কৃষ্ণপুর, কাশিপুর, ওমরাবাদ ও রঘুনাথপুর পর্যন্ত বিভিন্ন অংশে কার্পেটিং উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় গর্তের কারণে সড়ক এতটাই সংকুচিত হয়ে গেছে যে যানবাহনের গতি অনেক কমিয়ে চলতে হচ্ছে। এতে করে প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
২২ মিনিট আগেগৌরনদী উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক বদিউজ্জামান মিন্টু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গৌরনদীতে কোনো গডফাদার নেই। স্বপন ভাই হয়তো আ.লীগ আমলে যেসব কুখ্যাত ব্যক্তিরা ছিল, তাঁদের প্রসঙ্গ টেনেছেন। আর কুদ্দুস ভাই হয়তো মনোকষ্ট থেকে এসব বলছেন। তবে মনোনয়ন চূড়ান্ত হলে এসব বিরোধ কেটে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
৩৭ মিনিট আগেবিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান বলেছেন, অনেক কষ্টের বিনিময়ে দেশে একটি রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সেই পরিবেশ থেকেই গণঅভ্যুত্থান ঘটেছে। এ অভ্যুত্থানে যাঁরা নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁদের অবদান অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তাঁদের স্মরণে রাখতে হবে।
১ ঘণ্টা আগে