নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ফেসবুকে চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে জন্ম-মৃত্যু সনদ তৈরি করে আসছিল একটি অসাধু চক্র। চক্রটি জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন অধিদপ্তরের সার্ভার হ্যাক করে। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এই কাজে তাঁদের সহায়তা করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) অঞ্চল-৪ এর দুজন কর্মচারী। অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গ্রেপ্তারেরা হলেন—ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন অঞ্চল-৪ এর স্প্রেম্যান মো. হাসান তারেক (৪৭), ভ্যাকসিনেটর কোহিনুর সুলতানা (৪৫), মো. মাহবুব আলী (২৪), মো. শাহ আলম (২৫) ও মো. ফয়সাল (১৯)।
আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে সিআইডি।
অভিযানে গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে বেশ কিছু জন্ম সনদ, জন্ম সনদ তৈরির ভুয়া কাগজপত্রসহ ৮টি ফাইল, ৩টি হার্ডডিস্ক ও ৪টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারেরা নিজেদের অপরাধের বিষয়ের স্বীকারোক্তি দিয়েছেন বলে সিআইডি জানিয়েছে।
সিআইডি জানায়, ‘জন্ম নিবন্ধন হেল্প ডেস্ক’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে এক দিনেই জন্ম-মৃত্যু সনদ তৈরির প্রতিশ্রুতিতে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিত মো. মাহবুব আলী ও মো. শাহ আলম। ক্লায়েন্টের থেকে সনদ তৈরির জন্য তথ্য ও কাগজ নিয়ে সেগুলো সরবরাহ করা হতো মো. ফয়সালের কাছে। ফয়সাল ক্লায়েন্টদের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে ভুয়া তথ্য সংযোজন করে জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট তৈরির ফাইল তৈরি করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন অঞ্চল-৪ এর কর্মচারীর হাসান তারেক ও কোহিনুর সুলতানাকে জমা দিত।
প্রতিটি ফাইলের জন্য ৫৫০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা করে নিত এই দুই কর্মচারী। যদিও জন্ম নিবন্ধনের সরকারি ফি-মাত্র ৫০ টাকা। এই কাজে তারা দেশের সব জেলার ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে যে তথ্য সংগ্রহ করত তার সঙ্গে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন অঞ্চল-৪ এর আওতাধীন এলাকার একটিমাত্র বিদ্যুৎ বিলের কাগজ সব আবেদনের সঙ্গে যুক্ত করে দিত। অনেক ক্ষেত্রে মিরপুরের একটি স্কুলের ট্রান্সক্রিপ্ট এডিট করে সেখানে শুধুমাত্র ছাত্র/ছাত্রীর নাম, বাবার নাম পরিবর্তন করে একই রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বরে ট্রান্সক্রিপ্ট একাধিক আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত করে দিত এই চক্র। এই কাগজ কোনো রকম যাচাই-বাছাই ছাড়াই চক্রটিকে জন্ম সনদ দেওয়া হতো বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন সিআইডির মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান।
জিজ্ঞাসাবাদে চক্রের সদস্যরা জানান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের দুই কর্মচারী অবৈধভাবে আর্থিক সুবিধা নিয়ে নিবন্ধনের দায়িত্বে থাকা অফিসারদের সহযোগিতায় আইডি পাসওয়ার্ড নিয়ে সার্ভারে ঢুকে ভুয়া তথ্য সংবলিত আবেদনপত্রে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন সার্টিফিকেট ইস্যু করে মো. মাহবুব আলী ও মো. ফয়সালকে সরবরাহ করত। বিগত ৬ মাস ধরে তারা সার্ভারে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে অন্তত তিন হাজার ভুয়া সনদ ইস্যু করেছে। এ কাজে তাঁদের অফিসের আরও কর্মচারী এবং সিটি করপোরেশনের উত্তর দক্ষিণসহ অন্যান্য অফিসেও এ রকম অসাধু কর্মচারী সক্রিয়ভাবে জড়িত আছে।
সিটি করপোরেশনের এসব কর্মকর্তা ও কর্মীদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
ফেসবুকে চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে জন্ম-মৃত্যু সনদ তৈরি করে আসছিল একটি অসাধু চক্র। চক্রটি জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন অধিদপ্তরের সার্ভার হ্যাক করে। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এই কাজে তাঁদের সহায়তা করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) অঞ্চল-৪ এর দুজন কর্মচারী। অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গ্রেপ্তারেরা হলেন—ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন অঞ্চল-৪ এর স্প্রেম্যান মো. হাসান তারেক (৪৭), ভ্যাকসিনেটর কোহিনুর সুলতানা (৪৫), মো. মাহবুব আলী (২৪), মো. শাহ আলম (২৫) ও মো. ফয়সাল (১৯)।
আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে সিআইডি।
অভিযানে গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে বেশ কিছু জন্ম সনদ, জন্ম সনদ তৈরির ভুয়া কাগজপত্রসহ ৮টি ফাইল, ৩টি হার্ডডিস্ক ও ৪টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারেরা নিজেদের অপরাধের বিষয়ের স্বীকারোক্তি দিয়েছেন বলে সিআইডি জানিয়েছে।
সিআইডি জানায়, ‘জন্ম নিবন্ধন হেল্প ডেস্ক’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে এক দিনেই জন্ম-মৃত্যু সনদ তৈরির প্রতিশ্রুতিতে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিত মো. মাহবুব আলী ও মো. শাহ আলম। ক্লায়েন্টের থেকে সনদ তৈরির জন্য তথ্য ও কাগজ নিয়ে সেগুলো সরবরাহ করা হতো মো. ফয়সালের কাছে। ফয়সাল ক্লায়েন্টদের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে ভুয়া তথ্য সংযোজন করে জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট তৈরির ফাইল তৈরি করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন অঞ্চল-৪ এর কর্মচারীর হাসান তারেক ও কোহিনুর সুলতানাকে জমা দিত।
প্রতিটি ফাইলের জন্য ৫৫০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা করে নিত এই দুই কর্মচারী। যদিও জন্ম নিবন্ধনের সরকারি ফি-মাত্র ৫০ টাকা। এই কাজে তারা দেশের সব জেলার ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে যে তথ্য সংগ্রহ করত তার সঙ্গে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন অঞ্চল-৪ এর আওতাধীন এলাকার একটিমাত্র বিদ্যুৎ বিলের কাগজ সব আবেদনের সঙ্গে যুক্ত করে দিত। অনেক ক্ষেত্রে মিরপুরের একটি স্কুলের ট্রান্সক্রিপ্ট এডিট করে সেখানে শুধুমাত্র ছাত্র/ছাত্রীর নাম, বাবার নাম পরিবর্তন করে একই রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বরে ট্রান্সক্রিপ্ট একাধিক আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত করে দিত এই চক্র। এই কাগজ কোনো রকম যাচাই-বাছাই ছাড়াই চক্রটিকে জন্ম সনদ দেওয়া হতো বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন সিআইডির মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান।
জিজ্ঞাসাবাদে চক্রের সদস্যরা জানান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের দুই কর্মচারী অবৈধভাবে আর্থিক সুবিধা নিয়ে নিবন্ধনের দায়িত্বে থাকা অফিসারদের সহযোগিতায় আইডি পাসওয়ার্ড নিয়ে সার্ভারে ঢুকে ভুয়া তথ্য সংবলিত আবেদনপত্রে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন সার্টিফিকেট ইস্যু করে মো. মাহবুব আলী ও মো. ফয়সালকে সরবরাহ করত। বিগত ৬ মাস ধরে তারা সার্ভারে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে অন্তত তিন হাজার ভুয়া সনদ ইস্যু করেছে। এ কাজে তাঁদের অফিসের আরও কর্মচারী এবং সিটি করপোরেশনের উত্তর দক্ষিণসহ অন্যান্য অফিসেও এ রকম অসাধু কর্মচারী সক্রিয়ভাবে জড়িত আছে।
সিটি করপোরেশনের এসব কর্মকর্তা ও কর্মীদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার সুলতানগঞ্জ নদীবন্দর পরিদর্শন শেষে নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, নৌবন্দরের কার্যক্রম শুরু করার জন্য এনবিআরের অনুমোদনসহ অবকাঠামো উন্নয়ন ও রাস্তাঘাট প্রয়োজন। এই কার্যক্রমের সঙ্গে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা জড়িত। কাজেই সব পক্ষের ইতিবাচক সাড়া
৩ মিনিট আগেকমলগঞ্জের শমশেরনগর চা-বাগানের লেক (হ্রদ) থেকে রামলাল রবিদাস (৭৫) নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার উপজেলার শমশেরনগর চা-বাগানের ১২ নম্বর সেকশন থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
৬ মিনিট আগেসোনামসজিদ স্থলবন্দরকে আন্তদেশীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে এর সম্প্রসারণে কাজ করার কথা জানালেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। আজ শুক্রবার দুপুরে সোনামসজিদ স্থলবন্দরের অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন তিনি।
১৮ মিনিট আগে২০২৩ সালের ১৪ জুন রাতে পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে হামলার শিকার হন সাংবাদিক গোলাম রব্বানি নাদিম। পরদিন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এই ঘটনায় নিহত সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদুল আলম বাবু
২১ মিনিট আগে