কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও নাগরিক সেবা পৌঁছায়নি কাঙ্ক্ষিত মানে। জনবলের তীব্র সংকটে স্থবির হয়ে পড়েছে সেবা কার্যক্রম। ২৪২টি অনুমোদিত পদের বিপরীতে বর্তমানে কর্মরত মাত্র ৬৭ জন। ফলে নগরীর ১২ লাখ বাসিন্দা প্রতিদিন ভোগান্তির মুখে পড়ছে। তিন মেয়রের আমল ও প্রশাসকদের দায়িত্বকালেও এই সংকটের স্থায়ী সমাধান হয়নি। নগরবাসী এখনো অপেক্ষায় রয়েছে একটি আধুনিক ও সেবামুখী মহানগরের।
২০১১ সালে সদর ও সদর দক্ষিণ পৌরসভা একত্র হয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন গঠিত হয়। প্রথম দিকে ২২০ জনবল নিয়ে কার্যক্রম শুরু হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পদগুলো শূন্য হতে থাকে। বর্তমানে চাহিদার এক-তৃতীয়াংশ জনবলও নেই। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রধান প্রকৌশলী, রাজস্ব কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নগর পরিকল্পনাবিদের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। ফলে কর্মকর্তাদের একাধিক দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে, যার কারণে সেবার মান চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সায়েম ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি পাঁচ বছর ধরে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার দায়িত্বও পালন করছি। একজন চিকিৎসক থাকলে ভালো হতো। চাহিদা জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি।’
এই পরিস্থিতি শুধু নাগরিকদের জন্য নয়, কর্মকর্তাদের জন্যও চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। আরেক নির্বাহী প্রকৌশলী মাঈন উদ্দিন চিশতী বলেন, ‘শুধু লোক দেওয়া যথেষ্ট নয়, দক্ষ লোকবল দরকার। সংকটের কারণে আমাদের কাজের চাপ কয়েক গুণ বেড়েছে। সবার আগে জরুরি ভিত্তিতে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়োজন।’
নগরীতে গত ১৪ বছরে তিনজন মেয়র দায়িত্ব পালন করেছেন। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে সেবা খাত উন্নয়নের কথা থাকলেও বাস্তবে জনবলের সংকট কাটেনি; বরং শূন্য পদ বেড়েছে। মেয়রদের সময় কিছু অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্য ও নগর-পরিকল্পনার মতো খাতগুলো স্থবির হয়ে পড়েছে। প্রশাসক দায়িত্ব পালন করলেও সংকটের সমাধান হয়নি। কর্মকর্তাদের ওপর বাড়তি চাপ ও নাগরিকদের ভোগান্তি দিনে দিনে বেড়েছে।
নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে যানজট, জলাবদ্ধতা, বর্জ্য অপসারণ ও দখলদারত্ব নিত্যদিনের সমস্যা। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোবারক হোসেন বলেন, ‘মহল্লায় ডাস্টবিন নেই, ল্যাম্পপোস্টে বাতি নেই। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে পাওয়া যায় না। কাউন্সিলর না থাকায় সিটি করপোরেশনে যেতে হয়। সেখানেও সহজে সেবা পাওয়া যায় না। আমরা নিয়মিত ট্যাক্স দিচ্ছি। তবু নাগরিক সুবিধা নেই। সাধারণ সমস্যা সমাধানে স্থানীয় কর্মকর্তার অভাব সরাসরি নগরবাসীর দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করছে।’
৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শামস তাজরীজ বলেন, সিটি করপোরেশনে মেয়র-কাউন্সিলর নেই। জনবলের সংকট তীব্র। যানজটের কারণে জীবনযাপন কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঠাকুরপাড়া এলাকার গৃহবধূ শারমিন আক্তার বলেন, প্রতিদিন বর্জ্য পড়ে থাকে। সময়মতো সংগ্রহ করা হয় না। বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা ও যানজট বেড়ে যায়। কর্তৃপক্ষের অবহেলায় নগরী বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। রানীরবাজার এলাকার ব্যবসায়ী মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, অবৈধ দখল উচ্ছেদে কার্যকর পদক্ষেপ নেই। ম্যাজিস্ট্রেট না থাকায় সিটি করপোরেশনের কোনো অভিযান সফল হয় না।
এ ধরনের অভিযোগ নগরীর বিভিন্ন এলাকার নাগরিকদের জীবনযাত্রার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। যানজট, জলাবদ্ধতা ও বর্জ্য অপসারণের সমস্যা নগরবাসীর দৈনন্দিন জীবনে বিরূপ প্রভাব ফেলছে।
কুমিল্লায় সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সাবেক সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন শাহ মো. আলমগীর খান। তাঁর মতে, একজন কর্মকর্তাকে ১০টি খাতের দায়িত্ব দিলে কোনো খাতেই যথাযথ সেবা দেওয়া সম্ভব নয়। আর নাগরিক সমস্যার মূলে রয়েছে সিটি করপোরেশনের জনবলসংকট। শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মো. আনোয়ারুল হক বলেন, নগর পরিকল্পনাবিদের পদ খালি থাকায় শহর অপরিকল্পিতভাবে বেড়ে উঠছে। সঠিক পরিকল্পনা ছাড়া আধুনিক নগরী গড়ে তোলা সম্ভব নয়।
নবনিযুক্ত প্রশাসক মো. শাহ আলম বলেন, ‘২৪২ পদের জন্য মন্ত্রণালয়ে চাহিদা পাঠানো হয়েছে। সরকারের সদিচ্ছা থাকলে দ্রুত সংকট কাটিয়ে সেবার মান বাড়ানো সম্ভব। দুই মাসের মধ্যে জনবলের ঘাটতি কমানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।’
নাগরিকেরা বলছেন, ১৪ বছর ধরে চলা জনবলসংকটে কুমিল্লা সিটি পূর্ণাঙ্গ সেবা সংস্থা হিসেবে দাঁড়াতে পারেনি। তিন মেয়রের সময় পার হয়েছে, কিন্তু কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আসেনি। এখন প্রতিশ্রুতিই শেষ ভরসা। ১২ লাখ নাগরিকের প্রত্যাশা, সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে জনবলসংকটের সমাধান করবে। এতে সেবার মান উন্নত হবে এবং কুমিল্লা সত্যিকার অর্থে আধুনিক, বসবাসযোগ্য নগরীতে রূপ নেবে।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও নাগরিক সেবা পৌঁছায়নি কাঙ্ক্ষিত মানে। জনবলের তীব্র সংকটে স্থবির হয়ে পড়েছে সেবা কার্যক্রম। ২৪২টি অনুমোদিত পদের বিপরীতে বর্তমানে কর্মরত মাত্র ৬৭ জন। ফলে নগরীর ১২ লাখ বাসিন্দা প্রতিদিন ভোগান্তির মুখে পড়ছে। তিন মেয়রের আমল ও প্রশাসকদের দায়িত্বকালেও এই সংকটের স্থায়ী সমাধান হয়নি। নগরবাসী এখনো অপেক্ষায় রয়েছে একটি আধুনিক ও সেবামুখী মহানগরের।
২০১১ সালে সদর ও সদর দক্ষিণ পৌরসভা একত্র হয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন গঠিত হয়। প্রথম দিকে ২২০ জনবল নিয়ে কার্যক্রম শুরু হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পদগুলো শূন্য হতে থাকে। বর্তমানে চাহিদার এক-তৃতীয়াংশ জনবলও নেই। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রধান প্রকৌশলী, রাজস্ব কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নগর পরিকল্পনাবিদের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। ফলে কর্মকর্তাদের একাধিক দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে, যার কারণে সেবার মান চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সায়েম ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি পাঁচ বছর ধরে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার দায়িত্বও পালন করছি। একজন চিকিৎসক থাকলে ভালো হতো। চাহিদা জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি।’
এই পরিস্থিতি শুধু নাগরিকদের জন্য নয়, কর্মকর্তাদের জন্যও চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। আরেক নির্বাহী প্রকৌশলী মাঈন উদ্দিন চিশতী বলেন, ‘শুধু লোক দেওয়া যথেষ্ট নয়, দক্ষ লোকবল দরকার। সংকটের কারণে আমাদের কাজের চাপ কয়েক গুণ বেড়েছে। সবার আগে জরুরি ভিত্তিতে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়োজন।’
নগরীতে গত ১৪ বছরে তিনজন মেয়র দায়িত্ব পালন করেছেন। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে সেবা খাত উন্নয়নের কথা থাকলেও বাস্তবে জনবলের সংকট কাটেনি; বরং শূন্য পদ বেড়েছে। মেয়রদের সময় কিছু অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্য ও নগর-পরিকল্পনার মতো খাতগুলো স্থবির হয়ে পড়েছে। প্রশাসক দায়িত্ব পালন করলেও সংকটের সমাধান হয়নি। কর্মকর্তাদের ওপর বাড়তি চাপ ও নাগরিকদের ভোগান্তি দিনে দিনে বেড়েছে।
নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে যানজট, জলাবদ্ধতা, বর্জ্য অপসারণ ও দখলদারত্ব নিত্যদিনের সমস্যা। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোবারক হোসেন বলেন, ‘মহল্লায় ডাস্টবিন নেই, ল্যাম্পপোস্টে বাতি নেই। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে পাওয়া যায় না। কাউন্সিলর না থাকায় সিটি করপোরেশনে যেতে হয়। সেখানেও সহজে সেবা পাওয়া যায় না। আমরা নিয়মিত ট্যাক্স দিচ্ছি। তবু নাগরিক সুবিধা নেই। সাধারণ সমস্যা সমাধানে স্থানীয় কর্মকর্তার অভাব সরাসরি নগরবাসীর দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করছে।’
৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শামস তাজরীজ বলেন, সিটি করপোরেশনে মেয়র-কাউন্সিলর নেই। জনবলের সংকট তীব্র। যানজটের কারণে জীবনযাপন কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঠাকুরপাড়া এলাকার গৃহবধূ শারমিন আক্তার বলেন, প্রতিদিন বর্জ্য পড়ে থাকে। সময়মতো সংগ্রহ করা হয় না। বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা ও যানজট বেড়ে যায়। কর্তৃপক্ষের অবহেলায় নগরী বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। রানীরবাজার এলাকার ব্যবসায়ী মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, অবৈধ দখল উচ্ছেদে কার্যকর পদক্ষেপ নেই। ম্যাজিস্ট্রেট না থাকায় সিটি করপোরেশনের কোনো অভিযান সফল হয় না।
এ ধরনের অভিযোগ নগরীর বিভিন্ন এলাকার নাগরিকদের জীবনযাত্রার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। যানজট, জলাবদ্ধতা ও বর্জ্য অপসারণের সমস্যা নগরবাসীর দৈনন্দিন জীবনে বিরূপ প্রভাব ফেলছে।
কুমিল্লায় সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সাবেক সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন শাহ মো. আলমগীর খান। তাঁর মতে, একজন কর্মকর্তাকে ১০টি খাতের দায়িত্ব দিলে কোনো খাতেই যথাযথ সেবা দেওয়া সম্ভব নয়। আর নাগরিক সমস্যার মূলে রয়েছে সিটি করপোরেশনের জনবলসংকট। শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মো. আনোয়ারুল হক বলেন, নগর পরিকল্পনাবিদের পদ খালি থাকায় শহর অপরিকল্পিতভাবে বেড়ে উঠছে। সঠিক পরিকল্পনা ছাড়া আধুনিক নগরী গড়ে তোলা সম্ভব নয়।
নবনিযুক্ত প্রশাসক মো. শাহ আলম বলেন, ‘২৪২ পদের জন্য মন্ত্রণালয়ে চাহিদা পাঠানো হয়েছে। সরকারের সদিচ্ছা থাকলে দ্রুত সংকট কাটিয়ে সেবার মান বাড়ানো সম্ভব। দুই মাসের মধ্যে জনবলের ঘাটতি কমানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।’
নাগরিকেরা বলছেন, ১৪ বছর ধরে চলা জনবলসংকটে কুমিল্লা সিটি পূর্ণাঙ্গ সেবা সংস্থা হিসেবে দাঁড়াতে পারেনি। তিন মেয়রের সময় পার হয়েছে, কিন্তু কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আসেনি। এখন প্রতিশ্রুতিই শেষ ভরসা। ১২ লাখ নাগরিকের প্রত্যাশা, সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে জনবলসংকটের সমাধান করবে। এতে সেবার মান উন্নত হবে এবং কুমিল্লা সত্যিকার অর্থে আধুনিক, বসবাসযোগ্য নগরীতে রূপ নেবে।
কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও নাগরিক সেবা পৌঁছায়নি কাঙ্ক্ষিত মানে। জনবলের তীব্র সংকটে স্থবির হয়ে পড়েছে সেবা কার্যক্রম। ২৪২টি অনুমোদিত পদের বিপরীতে বর্তমানে কর্মরত মাত্র ৬৭ জন। ফলে নগরীর ১২ লাখ বাসিন্দা প্রতিদিন ভোগান্তির মুখে পড়ছে। তিন মেয়রের আমল ও প্রশাসকদের দায়িত্বকালেও এই সংকটের স্থায়ী সমাধান হয়নি। নগরবাসী এখনো অপেক্ষায় রয়েছে একটি আধুনিক ও সেবামুখী মহানগরের।
২০১১ সালে সদর ও সদর দক্ষিণ পৌরসভা একত্র হয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন গঠিত হয়। প্রথম দিকে ২২০ জনবল নিয়ে কার্যক্রম শুরু হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পদগুলো শূন্য হতে থাকে। বর্তমানে চাহিদার এক-তৃতীয়াংশ জনবলও নেই। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রধান প্রকৌশলী, রাজস্ব কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নগর পরিকল্পনাবিদের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। ফলে কর্মকর্তাদের একাধিক দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে, যার কারণে সেবার মান চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সায়েম ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি পাঁচ বছর ধরে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার দায়িত্বও পালন করছি। একজন চিকিৎসক থাকলে ভালো হতো। চাহিদা জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি।’
এই পরিস্থিতি শুধু নাগরিকদের জন্য নয়, কর্মকর্তাদের জন্যও চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। আরেক নির্বাহী প্রকৌশলী মাঈন উদ্দিন চিশতী বলেন, ‘শুধু লোক দেওয়া যথেষ্ট নয়, দক্ষ লোকবল দরকার। সংকটের কারণে আমাদের কাজের চাপ কয়েক গুণ বেড়েছে। সবার আগে জরুরি ভিত্তিতে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়োজন।’
নগরীতে গত ১৪ বছরে তিনজন মেয়র দায়িত্ব পালন করেছেন। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে সেবা খাত উন্নয়নের কথা থাকলেও বাস্তবে জনবলের সংকট কাটেনি; বরং শূন্য পদ বেড়েছে। মেয়রদের সময় কিছু অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্য ও নগর-পরিকল্পনার মতো খাতগুলো স্থবির হয়ে পড়েছে। প্রশাসক দায়িত্ব পালন করলেও সংকটের সমাধান হয়নি। কর্মকর্তাদের ওপর বাড়তি চাপ ও নাগরিকদের ভোগান্তি দিনে দিনে বেড়েছে।
নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে যানজট, জলাবদ্ধতা, বর্জ্য অপসারণ ও দখলদারত্ব নিত্যদিনের সমস্যা। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোবারক হোসেন বলেন, ‘মহল্লায় ডাস্টবিন নেই, ল্যাম্পপোস্টে বাতি নেই। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে পাওয়া যায় না। কাউন্সিলর না থাকায় সিটি করপোরেশনে যেতে হয়। সেখানেও সহজে সেবা পাওয়া যায় না। আমরা নিয়মিত ট্যাক্স দিচ্ছি। তবু নাগরিক সুবিধা নেই। সাধারণ সমস্যা সমাধানে স্থানীয় কর্মকর্তার অভাব সরাসরি নগরবাসীর দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করছে।’
৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শামস তাজরীজ বলেন, সিটি করপোরেশনে মেয়র-কাউন্সিলর নেই। জনবলের সংকট তীব্র। যানজটের কারণে জীবনযাপন কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঠাকুরপাড়া এলাকার গৃহবধূ শারমিন আক্তার বলেন, প্রতিদিন বর্জ্য পড়ে থাকে। সময়মতো সংগ্রহ করা হয় না। বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা ও যানজট বেড়ে যায়। কর্তৃপক্ষের অবহেলায় নগরী বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। রানীরবাজার এলাকার ব্যবসায়ী মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, অবৈধ দখল উচ্ছেদে কার্যকর পদক্ষেপ নেই। ম্যাজিস্ট্রেট না থাকায় সিটি করপোরেশনের কোনো অভিযান সফল হয় না।
এ ধরনের অভিযোগ নগরীর বিভিন্ন এলাকার নাগরিকদের জীবনযাত্রার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। যানজট, জলাবদ্ধতা ও বর্জ্য অপসারণের সমস্যা নগরবাসীর দৈনন্দিন জীবনে বিরূপ প্রভাব ফেলছে।
কুমিল্লায় সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সাবেক সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন শাহ মো. আলমগীর খান। তাঁর মতে, একজন কর্মকর্তাকে ১০টি খাতের দায়িত্ব দিলে কোনো খাতেই যথাযথ সেবা দেওয়া সম্ভব নয়। আর নাগরিক সমস্যার মূলে রয়েছে সিটি করপোরেশনের জনবলসংকট। শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মো. আনোয়ারুল হক বলেন, নগর পরিকল্পনাবিদের পদ খালি থাকায় শহর অপরিকল্পিতভাবে বেড়ে উঠছে। সঠিক পরিকল্পনা ছাড়া আধুনিক নগরী গড়ে তোলা সম্ভব নয়।
নবনিযুক্ত প্রশাসক মো. শাহ আলম বলেন, ‘২৪২ পদের জন্য মন্ত্রণালয়ে চাহিদা পাঠানো হয়েছে। সরকারের সদিচ্ছা থাকলে দ্রুত সংকট কাটিয়ে সেবার মান বাড়ানো সম্ভব। দুই মাসের মধ্যে জনবলের ঘাটতি কমানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।’
নাগরিকেরা বলছেন, ১৪ বছর ধরে চলা জনবলসংকটে কুমিল্লা সিটি পূর্ণাঙ্গ সেবা সংস্থা হিসেবে দাঁড়াতে পারেনি। তিন মেয়রের সময় পার হয়েছে, কিন্তু কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আসেনি। এখন প্রতিশ্রুতিই শেষ ভরসা। ১২ লাখ নাগরিকের প্রত্যাশা, সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে জনবলসংকটের সমাধান করবে। এতে সেবার মান উন্নত হবে এবং কুমিল্লা সত্যিকার অর্থে আধুনিক, বসবাসযোগ্য নগরীতে রূপ নেবে।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও নাগরিক সেবা পৌঁছায়নি কাঙ্ক্ষিত মানে। জনবলের তীব্র সংকটে স্থবির হয়ে পড়েছে সেবা কার্যক্রম। ২৪২টি অনুমোদিত পদের বিপরীতে বর্তমানে কর্মরত মাত্র ৬৭ জন। ফলে নগরীর ১২ লাখ বাসিন্দা প্রতিদিন ভোগান্তির মুখে পড়ছে। তিন মেয়রের আমল ও প্রশাসকদের দায়িত্বকালেও এই সংকটের স্থায়ী সমাধান হয়নি। নগরবাসী এখনো অপেক্ষায় রয়েছে একটি আধুনিক ও সেবামুখী মহানগরের।
২০১১ সালে সদর ও সদর দক্ষিণ পৌরসভা একত্র হয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন গঠিত হয়। প্রথম দিকে ২২০ জনবল নিয়ে কার্যক্রম শুরু হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পদগুলো শূন্য হতে থাকে। বর্তমানে চাহিদার এক-তৃতীয়াংশ জনবলও নেই। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রধান প্রকৌশলী, রাজস্ব কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নগর পরিকল্পনাবিদের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। ফলে কর্মকর্তাদের একাধিক দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে, যার কারণে সেবার মান চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সায়েম ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি পাঁচ বছর ধরে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার দায়িত্বও পালন করছি। একজন চিকিৎসক থাকলে ভালো হতো। চাহিদা জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি।’
এই পরিস্থিতি শুধু নাগরিকদের জন্য নয়, কর্মকর্তাদের জন্যও চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। আরেক নির্বাহী প্রকৌশলী মাঈন উদ্দিন চিশতী বলেন, ‘শুধু লোক দেওয়া যথেষ্ট নয়, দক্ষ লোকবল দরকার। সংকটের কারণে আমাদের কাজের চাপ কয়েক গুণ বেড়েছে। সবার আগে জরুরি ভিত্তিতে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়োজন।’
নগরীতে গত ১৪ বছরে তিনজন মেয়র দায়িত্ব পালন করেছেন। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে সেবা খাত উন্নয়নের কথা থাকলেও বাস্তবে জনবলের সংকট কাটেনি; বরং শূন্য পদ বেড়েছে। মেয়রদের সময় কিছু অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্য ও নগর-পরিকল্পনার মতো খাতগুলো স্থবির হয়ে পড়েছে। প্রশাসক দায়িত্ব পালন করলেও সংকটের সমাধান হয়নি। কর্মকর্তাদের ওপর বাড়তি চাপ ও নাগরিকদের ভোগান্তি দিনে দিনে বেড়েছে।
নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে যানজট, জলাবদ্ধতা, বর্জ্য অপসারণ ও দখলদারত্ব নিত্যদিনের সমস্যা। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোবারক হোসেন বলেন, ‘মহল্লায় ডাস্টবিন নেই, ল্যাম্পপোস্টে বাতি নেই। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে পাওয়া যায় না। কাউন্সিলর না থাকায় সিটি করপোরেশনে যেতে হয়। সেখানেও সহজে সেবা পাওয়া যায় না। আমরা নিয়মিত ট্যাক্স দিচ্ছি। তবু নাগরিক সুবিধা নেই। সাধারণ সমস্যা সমাধানে স্থানীয় কর্মকর্তার অভাব সরাসরি নগরবাসীর দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করছে।’
৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শামস তাজরীজ বলেন, সিটি করপোরেশনে মেয়র-কাউন্সিলর নেই। জনবলের সংকট তীব্র। যানজটের কারণে জীবনযাপন কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঠাকুরপাড়া এলাকার গৃহবধূ শারমিন আক্তার বলেন, প্রতিদিন বর্জ্য পড়ে থাকে। সময়মতো সংগ্রহ করা হয় না। বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা ও যানজট বেড়ে যায়। কর্তৃপক্ষের অবহেলায় নগরী বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। রানীরবাজার এলাকার ব্যবসায়ী মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, অবৈধ দখল উচ্ছেদে কার্যকর পদক্ষেপ নেই। ম্যাজিস্ট্রেট না থাকায় সিটি করপোরেশনের কোনো অভিযান সফল হয় না।
এ ধরনের অভিযোগ নগরীর বিভিন্ন এলাকার নাগরিকদের জীবনযাত্রার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। যানজট, জলাবদ্ধতা ও বর্জ্য অপসারণের সমস্যা নগরবাসীর দৈনন্দিন জীবনে বিরূপ প্রভাব ফেলছে।
কুমিল্লায় সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সাবেক সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন শাহ মো. আলমগীর খান। তাঁর মতে, একজন কর্মকর্তাকে ১০টি খাতের দায়িত্ব দিলে কোনো খাতেই যথাযথ সেবা দেওয়া সম্ভব নয়। আর নাগরিক সমস্যার মূলে রয়েছে সিটি করপোরেশনের জনবলসংকট। শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মো. আনোয়ারুল হক বলেন, নগর পরিকল্পনাবিদের পদ খালি থাকায় শহর অপরিকল্পিতভাবে বেড়ে উঠছে। সঠিক পরিকল্পনা ছাড়া আধুনিক নগরী গড়ে তোলা সম্ভব নয়।
নবনিযুক্ত প্রশাসক মো. শাহ আলম বলেন, ‘২৪২ পদের জন্য মন্ত্রণালয়ে চাহিদা পাঠানো হয়েছে। সরকারের সদিচ্ছা থাকলে দ্রুত সংকট কাটিয়ে সেবার মান বাড়ানো সম্ভব। দুই মাসের মধ্যে জনবলের ঘাটতি কমানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।’
নাগরিকেরা বলছেন, ১৪ বছর ধরে চলা জনবলসংকটে কুমিল্লা সিটি পূর্ণাঙ্গ সেবা সংস্থা হিসেবে দাঁড়াতে পারেনি। তিন মেয়রের সময় পার হয়েছে, কিন্তু কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আসেনি। এখন প্রতিশ্রুতিই শেষ ভরসা। ১২ লাখ নাগরিকের প্রত্যাশা, সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে জনবলসংকটের সমাধান করবে। এতে সেবার মান উন্নত হবে এবং কুমিল্লা সত্যিকার অর্থে আধুনিক, বসবাসযোগ্য নগরীতে রূপ নেবে।

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১৯ মিনিট আগে
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।
১ ঘণ্টা আগে
জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর
২ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে
২ ঘণ্টা আগেকুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
শাহবাব মন্ডল উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর নতুন গ্রামের শাহজাহান মন্ডলের ছেলে এবং আবু তোহা মন্ডল একই গ্রামের আবু তালেবের ছেলে। এই দুই শিশু সম্পর্কে মামা-ভাগনে।
পরিবারের বরাত দিয়ে যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরবেশ আলী জানান, বুধবার সকালে ওই দুই শিশু তালেব মন্ডলের বাড়িতে খেলা করছিল। এ সময় সবার অজান্তে তারা বাড়ির পাশে পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। স্বজনেরা পুকুর থেকে দুই শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক একই এলাকার বাসিন্দা ও কুড়িগ্রাম-৪ আসনের বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী আজিজুর রহমান ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনি শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
রৌমারী থানার উপপরিদর্শক শাহনেওয়াজ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
শাহবাব মন্ডল উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর নতুন গ্রামের শাহজাহান মন্ডলের ছেলে এবং আবু তোহা মন্ডল একই গ্রামের আবু তালেবের ছেলে। এই দুই শিশু সম্পর্কে মামা-ভাগনে।
পরিবারের বরাত দিয়ে যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরবেশ আলী জানান, বুধবার সকালে ওই দুই শিশু তালেব মন্ডলের বাড়িতে খেলা করছিল। এ সময় সবার অজান্তে তারা বাড়ির পাশে পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। স্বজনেরা পুকুর থেকে দুই শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক একই এলাকার বাসিন্দা ও কুড়িগ্রাম-৪ আসনের বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী আজিজুর রহমান ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনি শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
রৌমারী থানার উপপরিদর্শক শাহনেওয়াজ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও নাগরিক সেবা পৌঁছায়নি কাঙ্ক্ষিত মানে। তীব্র জনবলসংকটে স্থবির হয়ে পড়েছে সেবা কার্যক্রম। ২৪২টি অনুমোদিত পদের বিপরীতে বর্তমানে কর্মরত মাত্র ৬৭ জন। ফলে নগরীর ১২ লাখ বাসিন্দা প্রতিদিন ভোগান্তির মুখে পড়ছেন। তিন মেয়রের আমল ও প্রশাসকদের দায়িত্বকালেও
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।
১ ঘণ্টা আগে
জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর
২ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
মামুন বলেন, গৃহকর্মী আয়েশাকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত সোমবার সকালে শাহজাহান রোডের ১৪ তলা একটি আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তাঁর মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে (১৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।

গতকাল তাঁদের মরদেহ নাটোরে দাফন করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বাসা থেকে মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র খোয়া যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
মামুন বলেন, গৃহকর্মী আয়েশাকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত সোমবার সকালে শাহজাহান রোডের ১৪ তলা একটি আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তাঁর মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে (১৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।

গতকাল তাঁদের মরদেহ নাটোরে দাফন করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বাসা থেকে মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র খোয়া যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও নাগরিক সেবা পৌঁছায়নি কাঙ্ক্ষিত মানে। তীব্র জনবলসংকটে স্থবির হয়ে পড়েছে সেবা কার্যক্রম। ২৪২টি অনুমোদিত পদের বিপরীতে বর্তমানে কর্মরত মাত্র ৬৭ জন। ফলে নগরীর ১২ লাখ বাসিন্দা প্রতিদিন ভোগান্তির মুখে পড়ছেন। তিন মেয়রের আমল ও প্রশাসকদের দায়িত্বকালেও
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১৯ মিনিট আগে
জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর
২ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে
২ ঘণ্টা আগেগাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি

জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় তাঁরা করে থাকেন এই কাজ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গোরখোদকেরা কোনো পারিশ্রমিক নেন না। গ্রামের যে কেউ মারা যাক, নিজেদের ব্যস্ততা ফেলে তাঁরা ছুটে আসেন কবর খুঁড়তে। তাঁদের এই মানবিক কাজের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে গ্রামের লোকেরা দোয়া করেন—আল্লাহ যেন তাদের সুস্থ ও ভালো রাখেন।
দেবীপুর গ্রামের বাসিন্দা গোরখোদক মজিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ৫৫ বছর ধরে কবর খুঁড়ছি। যত দিন সুস্থ থাকব, এই কাজ চালিয়ে যাব। আমাদের গ্রাম ছাড়াও অন্য গ্রাম থেকে কেউ ডাকলে সেখানেও যাই। ছোটবেলায় ওস্তাদের কাছে ডালি ধরেই শিখেছি। গরিব মানুষ, মাঠে কাজ করি; কিন্তু কেউ মারা গেলে দ্বিধা করি না—এই কাজ আমার নেশায় পরিণত হয়েছে।’
মজিরুল আরও জানান, এখন তিনি তরুণদেরও এই কাজ শেখাচ্ছেন।

গোরখোদক শাকের আলী বলেন, ‘আমরা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করি। কখনো কোনো টাকা নিই না। যেখানেই থাকি, গ্রামের কারও মৃত্যুর সংবাদ শুনলে দ্রুত কবর খুঁড়তে চলে আসি।’
গোরখোদক ফুয়াদ হোসেন বলেন, ‘অন্য গ্রাম থেকে ডাক এলেও আমরা যাই। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই করি এই কাজ। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
স্থানীয় বাসিন্দা শাজাহান আলী বলেন, ‘কবর খোঁড়া বড় দায়িত্বের কাজ। গ্রামের এসব মানুষ খবর পেলেই দৌড়ে আসে। আমরা তাদের জন্য দোয়া করি।’
মাওলানা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘মৃত ব্যক্তির জন্য কবর খোঁড়া নিঃসন্দেহে সওয়াবের কাজ। হাদিসে এসেছে—যাঁরা কবর খোঁড়েন, আল্লাহ তাদের জন্য জান্নাতে ঘর নির্মাণ করবেন।’

জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় তাঁরা করে থাকেন এই কাজ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গোরখোদকেরা কোনো পারিশ্রমিক নেন না। গ্রামের যে কেউ মারা যাক, নিজেদের ব্যস্ততা ফেলে তাঁরা ছুটে আসেন কবর খুঁড়তে। তাঁদের এই মানবিক কাজের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে গ্রামের লোকেরা দোয়া করেন—আল্লাহ যেন তাদের সুস্থ ও ভালো রাখেন।
দেবীপুর গ্রামের বাসিন্দা গোরখোদক মজিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ৫৫ বছর ধরে কবর খুঁড়ছি। যত দিন সুস্থ থাকব, এই কাজ চালিয়ে যাব। আমাদের গ্রাম ছাড়াও অন্য গ্রাম থেকে কেউ ডাকলে সেখানেও যাই। ছোটবেলায় ওস্তাদের কাছে ডালি ধরেই শিখেছি। গরিব মানুষ, মাঠে কাজ করি; কিন্তু কেউ মারা গেলে দ্বিধা করি না—এই কাজ আমার নেশায় পরিণত হয়েছে।’
মজিরুল আরও জানান, এখন তিনি তরুণদেরও এই কাজ শেখাচ্ছেন।

গোরখোদক শাকের আলী বলেন, ‘আমরা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করি। কখনো কোনো টাকা নিই না। যেখানেই থাকি, গ্রামের কারও মৃত্যুর সংবাদ শুনলে দ্রুত কবর খুঁড়তে চলে আসি।’
গোরখোদক ফুয়াদ হোসেন বলেন, ‘অন্য গ্রাম থেকে ডাক এলেও আমরা যাই। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই করি এই কাজ। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
স্থানীয় বাসিন্দা শাজাহান আলী বলেন, ‘কবর খোঁড়া বড় দায়িত্বের কাজ। গ্রামের এসব মানুষ খবর পেলেই দৌড়ে আসে। আমরা তাদের জন্য দোয়া করি।’
মাওলানা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘মৃত ব্যক্তির জন্য কবর খোঁড়া নিঃসন্দেহে সওয়াবের কাজ। হাদিসে এসেছে—যাঁরা কবর খোঁড়েন, আল্লাহ তাদের জন্য জান্নাতে ঘর নির্মাণ করবেন।’

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও নাগরিক সেবা পৌঁছায়নি কাঙ্ক্ষিত মানে। তীব্র জনবলসংকটে স্থবির হয়ে পড়েছে সেবা কার্যক্রম। ২৪২টি অনুমোদিত পদের বিপরীতে বর্তমানে কর্মরত মাত্র ৬৭ জন। ফলে নগরীর ১২ লাখ বাসিন্দা প্রতিদিন ভোগান্তির মুখে পড়ছেন। তিন মেয়রের আমল ও প্রশাসকদের দায়িত্বকালেও
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১৯ মিনিট আগে
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।
১ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে
২ ঘণ্টা আগেশ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে ক্যাটেক্স ফ্যাশন ক্লোথিং লিমিটেড কারখানায় এই ঘটনা ঘটে।
কারখানার নারী শ্রমিক মিনারা আক্তার বলেন, ‘অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করে নাই। এক মাসের বেতন না পেলে আমাদের চলা খুবই কঠিন হয়। আমাদের নাওয়া-খাওয়া বন্ধ হয়। আর সেখানে কারখানা কর্তৃপক্ষ দুই মাসের বেতনভাতা বকেয়া রেখেছে। আজ সকালে শ্রমিকেরা জড়ো হলে তারা পালিয়ে যায়।’
মিন্টু নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘এই কারখানায় আমরা তিন বছর ধরে চাকরি করছি। আমাদের বেতনের বাইরে কোনো সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে না। তবু পেটের দায়ে চাকরি করি। দুই মাসের বেতন বকেয়া। আমাদের তো পেট আছে, সন্তান-সংসার আছে। এক মাস দোকান বাকি পরিশোধ করতে না পারলে পরের মাসে আর দোকানি বাকি দেয় না। আমরা কী অবস্থায় আছি, একবার ভাবুন। বেতন পরিশোধ না করে তারা পালিয়ে গেছে।’

মেহেদী হাসান বলেন, ‘এত দিন ধরে ঋণ করে বলে-কয়ে দোকান থেকে বাকি নিয়ে চলছি। আর পারছি না। এখন দোকান বাকি দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতন নিয়ে কমপক্ষে ১০টি তারিখ দিছে। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ বেতন পরিশোধ করেনি। শেষে আজ বেতন পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু তারা কারখানা ফটকে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে গেছে।’
কারখানার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. বুলবুল হাসান বলেন, ‘ব্যাংকের সমস্যার কারণে বেতন-ভাতা পরিশোধ করা যাচ্ছে না। আশা করি, আজকের মধ্যে নভেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করতে পারব।’ বিনা নোটিশে কারখানার ফটক কেন তালাবদ্ধ? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমি বলতে পারব না।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে ক্যাটেক্স ফ্যাশন ক্লোথিং লিমিটেড কারখানায় এই ঘটনা ঘটে।
কারখানার নারী শ্রমিক মিনারা আক্তার বলেন, ‘অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করে নাই। এক মাসের বেতন না পেলে আমাদের চলা খুবই কঠিন হয়। আমাদের নাওয়া-খাওয়া বন্ধ হয়। আর সেখানে কারখানা কর্তৃপক্ষ দুই মাসের বেতনভাতা বকেয়া রেখেছে। আজ সকালে শ্রমিকেরা জড়ো হলে তারা পালিয়ে যায়।’
মিন্টু নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘এই কারখানায় আমরা তিন বছর ধরে চাকরি করছি। আমাদের বেতনের বাইরে কোনো সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে না। তবু পেটের দায়ে চাকরি করি। দুই মাসের বেতন বকেয়া। আমাদের তো পেট আছে, সন্তান-সংসার আছে। এক মাস দোকান বাকি পরিশোধ করতে না পারলে পরের মাসে আর দোকানি বাকি দেয় না। আমরা কী অবস্থায় আছি, একবার ভাবুন। বেতন পরিশোধ না করে তারা পালিয়ে গেছে।’

মেহেদী হাসান বলেন, ‘এত দিন ধরে ঋণ করে বলে-কয়ে দোকান থেকে বাকি নিয়ে চলছি। আর পারছি না। এখন দোকান বাকি দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতন নিয়ে কমপক্ষে ১০টি তারিখ দিছে। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ বেতন পরিশোধ করেনি। শেষে আজ বেতন পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু তারা কারখানা ফটকে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে গেছে।’
কারখানার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. বুলবুল হাসান বলেন, ‘ব্যাংকের সমস্যার কারণে বেতন-ভাতা পরিশোধ করা যাচ্ছে না। আশা করি, আজকের মধ্যে নভেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করতে পারব।’ বিনা নোটিশে কারখানার ফটক কেন তালাবদ্ধ? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমি বলতে পারব না।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও নাগরিক সেবা পৌঁছায়নি কাঙ্ক্ষিত মানে। তীব্র জনবলসংকটে স্থবির হয়ে পড়েছে সেবা কার্যক্রম। ২৪২টি অনুমোদিত পদের বিপরীতে বর্তমানে কর্মরত মাত্র ৬৭ জন। ফলে নগরীর ১২ লাখ বাসিন্দা প্রতিদিন ভোগান্তির মুখে পড়ছেন। তিন মেয়রের আমল ও প্রশাসকদের দায়িত্বকালেও
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১৯ মিনিট আগে
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।
১ ঘণ্টা আগে
জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর
২ ঘণ্টা আগে