Ajker Patrika

কুসিকে ডাস্টবিনের সংকট

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন ডাস্টবিনের সংকটে যত্রতত্র বর্জ্য, দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ

  • নগরীতে প্রতিদিন ২০০-২৫০ টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়।
  • নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে ৫ শতাধিক ডাস্টবিন প্রয়োজন।
  • বর্তমানে বিভিন্ন স্থানে রয়েছে প্রায় ১০০ ডাস্টবিন।
  • অনেক ব্যবসায়ী রাতে সড়কের পাশে ময়লা ফেলেন।
  • প্রয়োজনীয় জায়গার অভাবে বসানো যাচ্ছে না ডাস্টবিন।
দেলোয়ার হোসাইন আকাইদ, কুমিল্লা 
আপডেট : ১৪ জুলাই ২০২৫, ০৭: ৫০
প্রয়োজনীয় ডাস্টবিন না থাকায় সড়কের পাশে ফেলে রাখা হয়েছে ময়লা-আবর্জনা। এতে একদিকে সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে চলাচলের রাস্তা, অপরদিকে দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ নগরবাসী। গত শনিবার দুপুরে কুমিল্লা নগরীর চর্থা এলাকায়। আজকের পত্রিকা
প্রয়োজনীয় ডাস্টবিন না থাকায় সড়কের পাশে ফেলে রাখা হয়েছে ময়লা-আবর্জনা। এতে একদিকে সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে চলাচলের রাস্তা, অপরদিকে দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ নগরবাসী। গত শনিবার দুপুরে কুমিল্লা নগরীর চর্থা এলাকায়। আজকের পত্রিকা

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) এলাকায় প্রতিদিন বাড়ছে জনসংখ্যা ও নগরায়ণের চাপ। বাড়ছে বর্জ্যের পরিমাণও। অথচ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় এখনো ডাস্টবিনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। ফলে বাধ্য হয়ে অনেক বাসিন্দা ও দোকানি ময়লা ফেলছে সড়কের পাশে, ড্রেনে বা খোলা জায়গায়। এতে পরিবেশদূষণের পাশাপাশি উৎকট দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ নগরবাসী। হুমকির মুখে পড়ছে জনস্বাস্থ্য।

২০১১ সালে ২৭টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত এলাকায় প্রায় সাড়ে সাত লাখ মানুষের বসবাস। প্রতিদিন ২০০-২৫০ টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়। সূত্রমতে, নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে ৫ শতাধিক ডাস্টবিন প্রয়োজন। বর্তমানে নগরীর বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১০০টি স্থায়ী ও অস্থায়ী ডাস্টবিন রয়েছে। এ ছাড়া নগরীর সব ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে সদর উপজেলার জগন্নাথপুর এলাকায় খোলা আকাশের নিচে। ফলে ময়লার তীব্র গন্ধে ওই এলাকার আশপাশের মানুষ ভুগছে নানা রোগবালাইয়ে।

নগরীর যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় চলাফেরা করলে হরহামেশা চোখে পড়ে ময়লার স্তূপ। কোথাও খাবারের পচা অবশিষ্টাংশ, কোথাও প্লাস্টিক বর্জ্য, আবার কোথাও স্যানিটারি প্যাড থেকে শুরু করে বাসাবাড়ির গৃহস্থালি বর্জ্য। বাসিন্দারা বলছেন, কাছাকাছি কোনো ডাস্টবিন না থাকায় বাধ্য হয়ে তাঁরা রাস্তায় ময়লা ফেলছেন। নগরীর সংরাইশ, সুজানগর, চকবাজার, তেলিকোনা, কাটাবিল, হযরতপাড়া, নূরপুর, রেইসকোর্স, টমছমব্রিজ, চৌধুরীপাড়া, ঝাউতলা, কান্দিরপাড়, রাজগঞ্জ, শাসনগাছা, চকবাজার, চর্থা, পদুয়ারবাজার বিশ্বরোডসহ প্রায় প্রতিটি এলাকায় সরেজমিনে এমন চিত্র দেখা যায়; বিশেষ করে দোকানপাট বন্ধ হওয়ার পর রাতে অনেক ব্যবসায়ী সড়কের পাশে ময়লা ফেলেন।

নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং সুজানগর কবরস্থান উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সোহাগ বলেন, ‘আমাদের এলাকায় কোনো ডাস্টবিন নেই। মানুষ বাধ্য হয়ে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলছে। এমনকি কবরস্থানের সীমানাপ্রাচীরের ভেতরেও ময়লার স্তূপ জমেছে। বিষয়টি

সিটি করপোরেশনকে জানিয়েও কাজ হচ্ছে না।’

চর্থা এলাকার বাসিন্দা রাশেদুল ইসলাম বলেন, ইপিজেড সড়কের দেয়াল ঘেঁষে একসময় ফুলের বাগান ছিল, এখন সেখানে ময়লা ফেলা হচ্ছে। সেই ময়লা এসে পড়ছে সড়কে। ময়লা রাখার জায়গা না থাকায় সবাই যেখানে-সেখানে ফেলে। এতে পরিবেশ যেমন নোংরা হয়, তেমনি বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী নুসাইবা তাবাসসুম বলেন, সকালে ক্লাসে যাওয়ার সময় দুর্গন্ধে নাক চেপে চলতে হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘নতুন ওয়ার্ড সংযুক্ত হওয়ায় চাহিদার তুলনায় ডাস্টবিনের সংখ্যা কম। আমরা ডাস্টবিন স্থাপনের জন্য জায়গা পাচ্ছি না। স্থান নির্ধারণ করার জটিলতা রয়েছে। বর্তমানে ১০০টি ডাস্টবিন রয়েছে। নতুন করে আরও ১২০টি ডাস্টবিনের জন্য টেন্ডার করা হয়েছে।’

এদিকে, ডাস্টবিনের সংকট ও অব্যবস্থাপনার ফলে শহরের নালা-নর্দমায় জমে থাকা ময়লা বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়। নগরীর বেশির ভাগ ড্রেন এখন পলিথিন, প্লাস্টিক ও গৃহস্থালি বর্জ্যে প্রায় বন্ধ হওয়ার পথে।

এ বিষয়ে ডেপুটি সিভিল সার্জন রেজা মো. সারোয়ার আকবর বলেন, ময়লা সঠিকভাবে নিষ্পত্তি না হলে তা থেকে নানা ধরনের রোগ ছড়াতে পারে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ডাস্টবিন বসানোর পাশাপাশি নাগরিকদের সচেতনতাও জরুরি।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবাই ডাস্টবিন চায়, কিন্তু বাড়ির পাশে কেউ জায়গা দিচ্ছে না। জায়গার অভাবে আমরা স্থায়ী ডাস্টবিন করতে পারছি না। ফলে নগরীর বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ীভাবে প্লাস্টিকের ২০০ ডাস্টবিন দিয়েছি; আরও ৫০০টি দেওয়া হবে। এ ছাড়া জগন্নাথপুরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নের প্রকল্পটি মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন আছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষককে গণপিটুনি, প্রাণ বাঁচাতে পুলিশ বক্সে আশ্রয়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইবির বায়োটেকনোলজি বিভাগের রজতজয়ন্তী উদ্‌যাপন

ইবি প্রতিনিধি
ইবির বায়োটেকনোলজি বিভাগের রজতজয়ন্তী উদ্‌যাপন। ছবি: সংগৃহীত
ইবির বায়োটেকনোলজি বিভাগের রজতজয়ন্তী উদ্‌যাপন। ছবি: সংগৃহীত

বর্ণাঢ্য র‌্যালি, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পিঠা উৎসবসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের রজতজয়ন্তী ও অ্যালামনাই পুনর্মিলনী উদ্‌যাপিত হয়েছে।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) এই আয়োজন করা হয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। আয়োজনে চলমান পাঁচটি ব্যাচসহ মোট ২০টি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

অনুষ্ঠানটি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. এ কে এম নাজমুল হুদার সভাপতিত্ব করেন। প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।

বিশেষ অতিথি ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. বাবলী সাবিনা আজহার এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হোসেন আল মামুন।

অনুষ্ঠানের টাইটেল স্পনসর হিসেবে ছিল এক্সন ও ইনভেন্ট। পুরো আয়োজনে গণমাধ্যম সহযোগী হিসেবে ছিল দৈনিক আজকের পত্রিকা।

ইবির বায়োটেকনোলজি বিভাগের রজতজয়ন্তী উদ্‌যাপন। ছবি: সংগৃহীত
ইবির বায়োটেকনোলজি বিভাগের রজতজয়ন্তী উদ্‌যাপন। ছবি: সংগৃহীত

বিভাগটির ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জেসি চাকমা বলেন, ‘এমন একটি অনুষ্ঠান পাওয়া আসলেই ভাগ্যের ব্যাপার। আমরা ২৭তম ব্যাচের। আর এখানে ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজন করা হচ্ছে। আমাদের ব্যাচের এখানে থাকার কথা ছিল না। সৌভাগ্যক্রমে আমরা এখানে থাকতে পেরে আনন্দিত।’

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘বর্তমান যুগে বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সম্ভাবনাময় শাখা। শিক্ষণ, গবেষণা ও উদ্ভাবনে এখানে শিক্ষার্থীদের সুযোগ বৈশ্বিক পরিসরে বিস্তৃত।’

নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থী কখনোই বিভাগ বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিচ্ছিন্ন হয় না। একবার যে শিক্ষার্থী হয়, সে আজীবনই শিক্ষার্থী। কারণ বিভাগই তার ‘আলমা মাটার’। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই বিভাগের অ্যালামনাইরা ইতিমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন এবং দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও তাঁদের অবদান দৃশ্যমান। আমি আশা করি, এখানকার শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতেও বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম আরও উজ্জ্বল করবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষককে গণপিটুনি, প্রাণ বাঁচাতে পুলিশ বক্সে আশ্রয়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হত্যা মামলা আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সড়ক অবরোধ

বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি  
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সড়ক অবরোধ। ছবি: আজকের পত্রিকা
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সড়ক অবরোধ। ছবি: আজকের পত্রিকা

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে আবু হুরাইরা মিজান (২২) হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। আজ শনিবার সকালে বেলকুচি-এনায়েতপুর আঞ্চলিক সড়কের থানা-সংলগ্ন স্থানে আধা ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন হয়।

জানা গেছে, ৮ অক্টোবর মাগরিবের পর উত্তর চন্দনগাঁতী গ্রামের একদল নেশাগ্রস্ত ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্র ও হাতুড়ি দিয়ে মিজানকে নির্মমভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তাঁকে উত্তরা হাই কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সড়ক অবরোধ। ছবি: আজকের পত্রিকা
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সড়ক অবরোধ। ছবি: আজকের পত্রিকা

এ ঘটনায় ১৩ অক্টোবর নিহত ব্যক্তির ভাই ওয়ায়েস করনী বাদী হয়ে ২০ জনের নাম উল্লেখ্য করে বেলকুচি থানায় মামলা করেন। নিহত আবু হুরাইরা মিজান উপজেলার দেলুয়াকান্দি গ্রামের মৃত আমজাদ শেখের ছেলে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল (শুক্রবার) রাতে আবু হুরাইরা মিজান হত্যার এজাহারভুক্ত এক আসামিকে বিভিন্ন প্রযুক্তির সহায়তায় মানিকগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছি। গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষককে গণপিটুনি, প্রাণ বাঁচাতে পুলিশ বক্সে আশ্রয়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যুক্তরাষ্ট্র থেকে গমের প্রথম চালান নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাল জাহাজ

 চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
‘এমভি নর্স স্ট্রাইড’ নামের জাহাজটি গমের প্রথম চালান নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
‘এমভি নর্স স্ট্রাইড’ নামের জাহাজটি গমের প্রথম চালান নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা গমের প্রথম চালান আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) চট্টগ্রাম বন্দরের পৌঁছেছে। পানামার পতাকাবাহী ‘এমভি নর্স স্ট্রাইড’ নামের জাহাজটি দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে নোঙর করে। জাহাজটিতে ৫৭ হাজার টন গম রয়েছে, যা সরকার থেকে সরকার (জিটুজি) পদ্ধতিতে আনা হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন খাদ্য বিভাগের চট্টগ্রাম চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রক মো. সাকিব রেজওয়ান।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত গমের নমুনা সংগ্রহ ও খালাস প্রক্রিয়া মনিটরিং করতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটি উচ্চপর্যায়ের টিম চট্টগ্রামে এসেছে। টিমের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সংগ্রহ ও সরবরাহ অনুবিভাগ) এ এইচ এম কামরুজ্জামান। আজ জাহাজ থেকে গমের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। খাদ্য বিভাগের চট্টগ্রাম চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রক মো. সাকিব রেজওয়ান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রক মো. সাকিব রেজওয়ান জানান, আমদানি করা গমের ৩৪ হাজার টনের বেশি চট্টগ্রাম সাইলোতে মজুত করা হবে। বাকি গম মোংলা সাইলোতে রাখা হবে। আগামীকাল রোববার বিকেল থেকে এসব গম খালাস শুরু হতে পারে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকার দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়া, ইউক্রেন, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে গম আমদানি করে আসছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে দেশটি থেকে গম আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস হুইট অ্যাসোসিয়েশনের অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান অ্যাগ্রোক্রপ ইন্টারন্যাশনালের কাছ থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে এই গম কেনা হচ্ছে। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি টন গমের মূল্য ধরা হয়েছে ৩০২ মার্কিন ডলার। মোট ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানির প্রস্তাব গত ২৩ জুলাই ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি অনুমোদন করে। তবে চুক্তিতে ১০ শতাংশ কমবেশির শর্ত থাকায় মোট ২ লাখ ৪২ হাজার টন গম আসবে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।

বর্তমানে দেশে বছরে গড়ে ৮০ লাখ টনের বেশি গমের চাহিদা রয়েছে। দেশে উৎপাদন হয় মাত্র ১১ লাখ টন গম। বাকিটা আমদানি করতে হয়। বাংলাদেশ তার মোট গম আমদানির অর্ধেকের বেশি রাশিয়া থেকে নিয়ে থাকে। গত অর্থবছরে রাশিয়া থেকে ৫৪ শতাংশ গম আনা হয়। এরপরই রয়েছে ইউক্রেন, যেখান থেকে ১৪ শতাংশ গম আমদানি করা হয়।

চট্টগ্রাম খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আজ অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে জাহাজ থেকে গমের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে। নমুনা ‘খাওয়ার উপযোগী’ বলে প্রতিবেদন এলে খালাস প্রক্রিয়া শুরু হবে। ইতিমধ্যে কাস্টমসের কাগজপত্র প্রস্তুত করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষককে গণপিটুনি, প্রাণ বাঁচাতে পুলিশ বক্সে আশ্রয়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

র‍্যাব পরিচয়ে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ২

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
মো. জুয়েল ওরফে সানি ও লিমন মিয়া। ছবি: সংগৃহীত
মো. জুয়েল ওরফে সানি ও লিমন মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

রাজবাড়ীর পাংশায় র‍্যাব পরিচয়ে মুরগির পিকআপ ডাকাতির ঘটনায় আন্তজেলা ডাকাত দলের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঢাকার আশুলিয়া থানার পলাশবাড়ী বাজার এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে পাংশা মডেল থানায় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাপস কুমার পাল।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানার মৃত চাঁদ মিয়ার ছেলে মো. জুয়েল ওরফে সানি (৪০) ও গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুরের নওহাটার ফারুক মিয়ার ছেলে লিমন মিয়া (৩২)।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাপস কুমার পাল জানান, গত মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁওয়ের বীরগঞ্জ থেকে ফরিদপুরগামী একটি মুরগিবোঝাই পিকআপভ্যান ভোরে পাংশা মৈশালা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছায়। সে সময় রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে র‍্যাবের পোশাক পরে কয়েকজন পিকআপভ্যান গতি রোধ করে। পিকআপভ্যানের চালক ও সহকারীকে মুখ বেঁধে একটি মাইক্রোবাসে কুষ্টিয়ায় নিয়ে ভাদালিয়া মোড় এলাকায় ফেলে যায়। আর মুরগিবোঝাই পিকআপ ফরিদপুর হয়ে বরিশালের দিকে চলে যায়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাপস কুমার পাল আরও জানান, পুলিশ অভিযান চালিয়ে বরিশালের রুপাতলি থেকে পিকআপভ্যান উদ্ধার করেছে। গ্রেপ্তার মো. জুয়েল ওরফে সানি ও লিমন মিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় দুটি করে ডাকাতিসহ চারটি করে মামলা রয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) দেবব্রত সরকার ও পাংশা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষককে গণপিটুনি, প্রাণ বাঁচাতে পুলিশ বক্সে আশ্রয়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত