Ajker Patrika

সহকারী প্রক্টরকে মারতে তেড়ে গেলেন কুবি ছাত্রলীগের দুই নেতা

কুবি প্রতিনিধি
আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ১৬: ৩৮
সহকারী প্রক্টরকে মারতে তেড়ে গেলেন কুবি ছাত্রলীগের দুই নেতা

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) সহকারী প্রক্টরকে মারতে তেড়ে গেলেন ছাত্রলীগের দুই নেতা। গতকাল সোমবার রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে প্রাধ্যক্ষের কক্ষে হল প্রাধ্যক্ষ ও প্রক্টরের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কুবির (রেজা গ্রুপ) কয়েকজন নেতা-কর্মীর উঠতে চাওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তীব্র দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। ছাত্রলীগের দাবি অনুযায়ী তাঁরা অছাত্র। এ নিয়ে দ্বন্দ্ব নিরসনে দুই পক্ষকে নিয়ে হলের প্রাধ্যক্ষের কক্ষে আলোচনায় বসেন প্রক্টরিয়াল বডি ও হল প্রাধ্যক্ষ।

আলোচনার একপর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতারা উত্তেজিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতা-কর্মীদের কক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। তখন ঘটনা সামাল দিতে এগিয়ে যায় প্রক্টরিয়াল বডি। এ সময় নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ও সহকারী প্রক্টর অমিত দত্তকে মারতে তেড়ে যান শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালমান চৌধুরী।

তখন উপস্থিত প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী, সহকারী প্রক্টর কাজী এম আনিছুল ইসলামসহ অন্য শিক্ষকেরা পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলে তাঁদের লাঞ্ছিত করা হয়।

কাজী নজরুল ইসলাম হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হাসান পলাশ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাহারাতবির হোসেন পাপন মিয়াজী, একই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রিফাত আহমেদসহ কয়েকজন শিক্ষকদের সঙ্গে উদ্ধত আচরণ করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হেনস্তার শিকার সহকারী প্রক্টর অমিত দত্ত বলেন, ‘এখানে আমরা প্রক্টরিয়াল টিম দায়িত্ব পালনকালে বাধার সম্মুখীন হয়েছি। দুই পক্ষের উত্তেজনা থামাতে গেলে আমাকে লাঞ্ছিত করা হয়।’

শিক্ষকদের সঙ্গে উদ্ধত আচরণ করছেন ছাত্রলীগের নেতারাতবে শিক্ষককে লাঞ্ছনার অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগ নেতা এনায়েত উল্লাহ বলেন, ‘আমি এ রকম কিছুই করি নাই। স্যার আমাদের দুই পক্ষকেই শান্ত করার চেষ্টা করছিলেন। সেখানে অনেকেই ধাক্কাধাক্কি ও আওয়াজ করছিল। স্যার হয়তো ভুল বুঝে অভিযোগ করেছেন। স্যারের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক রয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে স্যারের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেব।’

অভিযুক্ত আরেকজন সালমান চৌধুরী বলেন, ‘এগ্রেসিভ মুডে স্যারের সঙ্গে কথা বলা যাবে না? আমি যদি বলি, স্যার আমাদের মারতে আসছেন? সবকিছু পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। আর স্যার যদি বলে থাকেন, আমরা মারতে গিয়েছি, এটা ওনার ব্যক্তিগত ব্যাপার।’

অভিযুক্ত নেতাদের দিয়ে শিক্ষকের কাছে ‘স্যরি’ বলাবেন জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, সহকারী প্রক্টর হিসেবে যেকোনো জায়গায় ভূমিকা রাখার জন্য তিনি ধমক দেওয়াটাই স্বাভাবিক। এটা তাঁর রাইট ছিল। পোলাপান না বুঝতে পেরে চিৎকার চেঁচামেচি করছে। মারতে যাওয়াটা ভিত্তিহীন। তারপরও যারা স্যারের সঙ্গে উচ্চবাচ্য করেছে, আমরা ব্যক্তিগতভাবে স্যারের সঙ্গে এদের স্যরি বলার ব্যবস্থা করব।’

ছাত্রলীগ নেতা এনায়েত উল্লাহ ও সালমান চৌধুরীএ বিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষ মো. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম বলেন, ‘আজকের ঘটনা আসলেই দুঃখজনক। আমরা আগামীকাল সব হলের প্রভোস্ট এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মিলে বসব। তারপর আমরা তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব। আর অছাত্র কেউ হলে থাকার কোনো সুযোগ নেই। যারা হলে থাকবে তাদের প্রত্যেককে ছাত্র এবং এলটেড হতে হবে।’

দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানিয়ে প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘এ ঘটনা আমাদের সবার সামনেই ঘটেছে। অনেক ভিডিও রয়েছে। আমরা তথ্যপ্রমাণ সব যাচাই করে ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে এক দিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল: রাজধানীতে সারা দিনে ১৩১ জন গ্রেপ্তার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল: রাজধানীতে সারা দিনে ১৩১ জন গ্রেপ্তার

রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়ার অভিযোগে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ১৩১ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

ডিএমপির ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, আজ সারা দিন রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণকারী কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ১৩১ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা ডিএমপির বিভিন্ন থানা-পুলিশ।

এর মধ্যে উত্তরা পূর্ব থানা-পুলিশ ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণকারী ছয়, উত্তরা পশ্চিম থানা-পুলিশ দুই, গুলশান থানা-পুলিশ ২৪, খিলক্ষেত থানা-পুলিশ চার, ক্যান্টনমেন্ট থানা-পুলিশ তিন, ধানমন্ডি থানা-পুলিশ ছয়, নিউমার্কেট থানা-পুলিশ ছয়, শাহবাগ থানা-পুলিশ তিন, মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ আট, হাতিরঝিল থানা-পুলিশ এক, পল্টন থানা-পুলিশ ছয়, মতিঝিল থানা-পুলিশ ৪০ ও ডিবি, ওয়ারী ২২ জনকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া প্রক্রিয়াধীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে এক দিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফরিদপুর নয়, ঢাকা বিভাগে থাকার দাবিতে মাদারীপুরে সড়ক অবরোধ

মাদারীপুর প্রতিনিধি
মাদারীপুরে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
মাদারীপুরে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

প্রস্তাবিত ফরিদপুর বিভাগে মাদারীপুরকে যেন অন্তর্ভুক্ত না করা হয়, সে দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। আজ মঙ্গলবার সদর উপজেলার মস্তফাপুরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে এ বিক্ষোভ করেন তাঁরা। এ সময় যান চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা।

খবর পেয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। প্রায় এক ঘণ্টা পর প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।

মাদারীপুরে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
মাদারীপুরে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

আন্দোলনকারীরা জানান, বৃহত্তর ফরিদপুরের পাঁচ জেলা নিয়ে ঘোষণা হতে পারে ফরিদপুর বিভাগ। এই বিভাগে অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে মাদারীপুর জেলাকে। সেই আশঙ্কায় আন্দোলনে নেমেছেন জেলাবাসী।

তাঁদের দাবি, পদ্মা সেতু চালুর পর ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। তাই ফরিদপুর বিভাগে নয়, ঢাকা বিভাগেই থাকতে চান মাদারীপুর জেলাবাসী।

এ সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির মাদারীপুর জেলা শাখার সদস্য রুবেল মৃধা, জহিরুল ইসলাম সানি, আশিকুল ইসলাম, নেয়ামুল হক, কিরণ আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে এক দিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জমি নিয়ে বিরোধ, ভাতিজাদের হাতে চাচা খুন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজশাহীর চারঘাটে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজাদের হাতে চাচা খুন হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার নিমপাড়া ইউনিয়নের বালাদিয়াড় মোল্লাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম মোস্তফা শেখ (৪৭)। তিনি ওই গ্রামের মৃত সমেতউল্লাহ শেখের ছেলে।

অভিযুক্ত ভাতিজারা হলেন শফিক শেখ, রফিক শেখ, ফরহাদ শেখ ও কদু শেখ। তাঁদের বাবার নাম রহমতউল্লাহ শেখ। নিহতের আরেক ভাতিজা রমজান শেখ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্বজন ও পুলিশ জানায়, সমেতউল্লাহ শেখের দুই স্ত্রী ছিলেন। এক স্ত্রীর সন্তান রহমতউল্লাহ শেখ এবং অন্য স্ত্রীর সন্তান মোস্তফা শেখ, মুনজিল শেখ, ফজেল শেখ ও এন্দা শেখ। সমেতউল্লাহ শেখ মারা গেলেও তাঁর জমি এখনো সঠিকভাবে ভাগ-বণ্টন হয়নি। জমি নিয়ে বিরোধে উভয় পক্ষের মামলা আদালতে চলমান রয়েছে। এর মধ্যে দেড় বিঘা আয়তনের একটি পুকুরে মোস্তফারা চার ভাই মাছ চাষ করলেও রহমতউল্লাহ শেখকে ভাগ দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে কয়েক দিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রহমতউল্লাহর ছেলেরা পুকুরের ভাগ বুঝে নিতে মোস্তফার কাছে গেলে তিনি শুক্রবার বসার কথা বলেন। পরবর্তী সময়ে মোস্তফার ভাই মুনজিল বালাদিয়াড় বাজারের দিকে গেলে রহমতউল্লাহর ছেলেরা তাকে পিটিয়ে আহত করেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দিতে যান মোস্তফার স্বজনেরা। অভিযোগ দেওয়ার খবর শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন রহমতউল্লাহর ছেলেরা।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দাওয়াত খাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন মোস্তফা শেখ। এ সময় তাঁর ভাতিজা শফিক শেখ, রফিক শেখ, ফরহাদ শেখ ও কদু শেখসহ কয়েকজন তাঁকে বাড়ির পাশের রাস্তায় ঘিরে ধরেন। তর্কাতর্কির একপর্যায়ে ধারালো হাঁসুয়া দিয়ে মোস্তফাকে এলোপাতাড়ি কোপানো শুরু করেন। তাঁকে বাঁচাতে ছুটে আসা অন্য ভাতিজারাও হামলার শিকার হন।

স্থানীয়রা গুরুতর আহত মোস্তফা শেখকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ছাড়া লিটন শেখ, জাদু শেখ ও এনামুল শেখকে গুরুতর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনার পর বালাদিয়াড় গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, মোস্তফা শেখের বাড়ির সামনে ছোপ ছোপ রক্ত পড়ে রয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পলাতক। তাঁদের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। স্থানীয় নারী বিনা বেগম বলেন, ‘জমি নিয়ে আগেও ঝামেলা হতো, পুলিশ আসত। কিন্তু আজ এভাবে কুপিয়ে মেরে ফেলবে, তা কেউ ভাবেনি।’

এ বিষয়ে চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা ও জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে এক দিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ধলেশ্বরী সেতুতে গাড়িচাপায় প্রাণ গেল ২ বন্ধুর

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
ইমন ভূঁইয়া ও সামিউল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
ইমন ভূঁইয়া ও সামিউল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

বাড়ি ফেরার পথে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে অজ্ঞাতনামা গাড়ির চাপায় দুই বন্ধুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার কুচিয়ামোড়া ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস সড়কের ধলেশ্বরী সেতুর ওপর এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন ইমন ভূঁইয়া (২৬) ও সামিউল ইসলাম (২৭)। ইমন ভূঁইয়া সিরাজদিখান উপজেলার শেখরনগর ইউনিয়নের ঘনশ্যামপুর গ্রামের সেন্টু মিয়ার ছেলে আর সামিউল ইসলাম ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার কলাকোপা এলাকার লিয়াকত মিয়ার ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৫ থেকে ২০টি মোটরসাইকেল নিয়ে প্রায় ৩০ জন তরুণের একটি দল ১৫ অক্টোবর কক্সবাজার ও বান্দরবানে ভ্রমণে যায়। তাঁদের মধ্যে ছিলেন ইমন ও সামিউল। ফেরার পথে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ধলেশ্বরী সেতুর ওপর পৌঁছালে তাঁদের মোটরসাইকেলটি অজ্ঞাতনামা একটি গাড়ি চাপা দিয়ে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই বন্ধু নিহত হন।

খবর পেয়ে হাসাড়া হাইওয়ে থানা-পুলিশ লাশ উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে। দুই তরুণ বন্ধুর এমন মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। পরিবারে চলছে আহাজারি।শেখরনগর ইউনিয়ন (ইউপি) পরিষদের চেয়ারম্যান দেবব্রত সরকার টুটুল বলেন, ‘নবাবগঞ্জের সামিউল আর আমাদের এলাকার ইমন দুজন ভালো বন্ধু ছিল। তারা একসঙ্গে ঘুরতে গিয়েছিল। ফেরার পথে দুর্ঘটনায় দুজনই মারা যায়। ইমন ভালো ফুটবল খেলোয়াড় ছিল।’

এ বিষয়ে হাসাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ টি এম মাহমুদুল হক বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ফেরার পথে অজ্ঞাতনামা গাড়ির চাপায় দুই বন্ধু নিহত হয়। লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন, ঘাতক গাড়ি শনাক্তের চেষ্টা চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে এক দিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত