Ajker Patrika

আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস আজ

মিয়ানমার সীমান্তের ৩৩ স্থান দিয়ে ঢুকছে ইয়াবা-আইস

টেকনাফ (কক্সবাজার) সংবাদদাতাকক্সবাজার প্রতিনিধি
আপডেট : ২৬ জুন ২০২৫, ০৭: ৩৯
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সে দেশে স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির চলমান সংঘাতের মধ্যেও সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পাচার হচ্ছে ইয়াবা বড়ি, ক্রিস্টাল মেথ আইসসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য। কক্সবাজারের টেকনাফ, উখিয়া ও কক্সবাজার লাগোয়া বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের অন্তত ৩৩টি পয়েন্ট দিয়ে এসব ইয়াবা ও আইস ঢুকছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের এক প্রতিবেদন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতের জন্য মিয়ানমারে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর অস্ত্র কেনার জন্য টাকা দরকার। সেই টাকা জোগাড় করতে এপারে বাংলাদেশ সীমান্তে থাকা রোহিঙ্গা ও দেশি মাদক কারবারিদের কাছে অল্প দামে বিভিন্ন ধরনের মাদক বিক্রি করছে তারা। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা বাড়ার সঙ্গে দেশে মাদকের চালান পাচারও বাড়ছে। পাশাপাশি সক্রিয় হয়ে উঠেছে টেকনাফ-উখিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকাকেন্দ্রিক মাদকের শীর্ষ কারবারিরা।

মাদক কারবারিদের নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে তালিকা করেছে, তাতে কক্সবাজার জেলার ১ হাজার ১৫১ জনের নাম রয়েছে। তার মধ্যে ৯১২ জনই টেকনাফের বাসিন্দা এবং দুই দফায় আত্মসমর্পণকারী মাদক কারবারির সংখ্যা ১২৩ জন। তালিকার শীর্ষ ৭৩ জন ইয়াবা কারবারির ৬৫ জনই টেকনাফের। এই তালিকার হালনাগাদ করা হচ্ছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

স্বাভাবিক জীবনে ফেরার কথা বলে অনেকেই আত্মসমর্পণ করেছিলেন। কারাগার থেকে বের হয়ে আবার জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ার জনশ্রুতি রয়েছে।  

অনুসন্ধানে জানা গেছে, নাফ নদীতে মাছ শিকার বন্ধ ৭ বছর ৯ মাস ধরে। এতে করে প্রায় ১০ হাজার জেলে পরিবার, পাঁচ শতাধিক নৌকা ও জাল নষ্ট হয়ে পড়েছে।

২০১৭ সালের এপ্রিলে নাফ নদীতে মাছ ধরা বন্ধ করে সরকার। অভিযোগ ছিল, পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে মাদক ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ রোধ করতে এই সিদ্ধান্ত। এর মধ্যে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর নাফ নদী ও বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে অবৈধভাবে সাড়ে ৮ লাখ রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশের পাশাপাশি প্রতিনিয়ত নাফ নদী দিয়ে বড় বড় ইয়াবা, আইসের চালান পাচার হয়ে আসছিল।

এরপর চলতি বছরে ১৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের এক আদেশে নাফ নদীর টেকনাফ থেকে শাহপরীর দ্বীপ জেটি পর্যন্ত মাছ ধরার অনুমতি দেওয়া হয়। দীর্ঘ প্রায় ৭ বছর ৯ মাস পরে জেলেরা নাফ নদীতে মাছ ধরা শুরু করেন। এই সুযোগে আবার মাদক কারবারিরা নাফ নদীর বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে মাদকের বড় বড় চালান পাচারের সময় বিজিবি ও কোস্টগার্ডের হাতে ধরা পড়ছেন।

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাতের মধ্যেও নাফ নদীর বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে চোরাই পথে বাংলাদেশে ইয়াবা, আইসসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক পাচার হচ্ছে।  

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ, নাফ নদের খুরের মুখ, ঘোলারপাড়া, দক্ষিণপাড়া, মাঝেরপাড়া সৈকত, সাবরাং কচুবনিয়া, হারিয়াখালী, কাটাবনিয়া, আলীরডেইল, মুণ্ডারডেইল, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মহেষখালীয়াপাড়া সৈকত, নোয়াখালীয়াপাড়া, খোনকারপাড়া, বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর, শীলখালী, মাথাভাঙ্গা, বড়ডেইল, উখিয়ার ইনানী, হিমছড়ি, দরিয়ানগর পয়েন্ট দিয়ে আসছে ইয়াবা ও আইসের চালান। এ ছাড়া নাফ নদীতে ইয়াবা খালাসের পয়েন্টগুলোর মধ্যে রয়েছে শাহপরীর দ্বীপের মিস্ত্রিপাড়া, জেটিঘাট, জালিয়াপাড়া, নোয়াপাড়া, সাবরাং; টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাজিরপাড়া, মৌলভীপাড়া, টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়া, কায়ুকখালীয়াপাড়া, নাইট্যংপাড়া ঘাট, বরইতলী, কেরুনতলী, হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা, জাদিমোরা, আলীখালী, দমদমিয়া, চৌধুরীপাড়া, হ্নীলা, মৌলভীবাজার; হোয়াইক্যং ইউনিয়নের খারাংখালী, কাঞ্চনপাড়া, লম্বাবিল, উনচিপ্রাং; উখিয়ার থাইংখালী, পালংখালী, বালুখালী, ঘুমধুম, রেজুপাড়া, তমব্রু, আছাড়তলী ও ঢালারমুখ।

জানা গেছে,  মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর টেকনাফ বিশেষ জোন চলতি বছরে ১ জানুয়ারি থেকে  ২৫ জুন পর্যন্ত ২ লাখ ২১ হাজার ১৪০ ইয়াবা ও ১ কেজি ২০ গ্রাম আইস জব্দ করে। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের মাদক জব্দ করা হয়। এই সময় র‍্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন ২৮ লাখ ৫৪ হাজার ৬৯৫ ইয়াবা ও ১ কেজি ৫৫৭ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস জব্দ করে।

উখিয়া-৬৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, ‘নতুন এই ব্যাটালিয়ন চালু করা হয়েছে। এর মধ্যেই সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে মাদক পাচারের সময় সফলতা পেতে শুরু করেছে।’

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত টেকনাফ মডেল থানায় মাদক জব্দসংক্রান্ত ১৭৫টি মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২১৯ জন আসামিকে। উদ্ধার হয়েছে ৪৯ লাখ ১৮ হাজার ইয়াবা ও ২ কেজি ১৩৮ গ্রাম আইস।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কক্সবাজার বিশেষ জোনের সহকারী পরিচালক মো. সিরাজুল মোস্তফা বলেন, ‘মিয়ানমারের অভ্যন্তরের সংঘাতের কারণে সীমান্ত দিয়ে মাদক পাচার অনেক বেড়ে গেছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠী মাদক পাচার করে অর্থ সংগ্রহ করছে।’

কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের সভাপতি আ ন ম হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘মাদক ও চোরাচালান ঠেকাতে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া জরুরি।’

উখিয়া ও টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য এবং কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী বলেন, কক্সবাজারে মাদকের ভয়ংকর বিস্তার ঘটেছে। এ জন্য সীমান্তে আরও নজরদারি বাড়াতে বিভিন্ন সভায় সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করা হয়েছে।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. সাইফউদ্দিন শাহীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২২-২৩টি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে মাদক পাচারের ঘটনা ঘটছে। এসব সীমান্ত পয়েন্টে সিসিটিভি বসিয়ে পাচারকারী শনাক্তের চিন্তা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে মাদক ও চোরাচালানে জড়িত হোতাদের চিহ্নিত করতে ডেটাবেইস করা হচ্ছে।

বিজিবি কক্সবাজার অঞ্চলের (রিজিয়ন) কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম এম ইমরুল হাসান বলেন, সীমান্তে মাদক চোরাচালান ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ রোধের পাশাপাশি মিয়ানমার পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বিজিবি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাগেরহাটে ডেঙ্গুতে যুবকের মৃত্যু

বাগেরহাট প্রতিনিধি
হানিফ হাওলাদার
হানিফ হাওলাদার

বাগেরহাটে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হানিফ হাওলাদার (২৫) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) ভোরে ঢাকার নিউ লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

মৃত হানিফ হাওলাদার বাগেরহাট পৌরসভার পূর্ব বাসাপাটি এলাকার স্টেডিয়াম সড়কের বাসিন্দা আলম হাওলাদারের ছেলে।

হানিফের স্ত্রী সোনামণি আক্তার জানান, কয়েক দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন হানিফ। প্রথমে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিলেও জ্বর না কমায় গত বুধবার বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষা করান। পরীক্ষায় ডেঙ্গু শনাক্ত হয়। পরে প্লাটিলেট কমে ২৬ হাজারে নেমে আসায় জেলা হাসপাতালে ভর্তি না নিয়ে দ্রুত ঢাকায় পাঠানো হয়। নিউ লাইফ হাসপাতালে দুই দিন আইসিইউতে থাকার পর আজ ভোরে তিনি মারা যান।

বাগেরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার সমাদ্দার বলেন, হানিফ হাওলাদার জ্বর নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন। প্লাটিলেটের সংখ্যা খুব কম থাকায় তাঁকে দ্রুত ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।

আজ দুপুরে জানাজা শেষে হানিফ হাওলাদারকে বাগেরহাটের মদিনা মসজিদ কবরস্থানে দাফন করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৬২০ টাকায় গরুর মাংস, মাইকিং করেও মিলছে না ক্রেতা

মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

‘ভাই সব, চিকিৎসক দ্বারা পরীক্ষা করা গরুর মাংস প্রতি কেজি মাত্র ৬২০ টাকা! এখনই চলে আসুন মিঠাপুকুর বাজারে তহিদুল ভাইয়ের দোকানে!’ —কয়েক দিন ধরে মাইকে এমন প্রচারণা চলছে মিঠাপুকুর বাজারে। তবু মিলছে না ক্রেতা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সদর বাজার ও গড়েরমাথা এলাকায় গরুর মাংস বিক্রি হয়। ব্যবসায়ী লিটন জানান, ১৫-২০ দিন আগেও প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭০০ টাকায় বিক্রি হতো। তবে মাংস খেয়ে অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ায় এখন বেচাকেনা প্রায় বন্ধ। দাম কমিয়ে প্রচারণা চালানো হলেও ক্রেতা আসছে না। বর্তমানে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আজ শনিবার উপজেলা সদর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সকাল সাড়ে ৮টার দিকেও কোনো কসাই গরু জবাই করছেন না। সাড়ে ৯টার দিকে দুজন বিক্রেতাকে কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা মাংস নিয়ে বসে থাকতে দেখা যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাশের এক সবজি বিক্রেতা বলেন, ‘আজ গরু জবাই হয়নি। মনে হয় গতকালের অবিক্রীত মাংস আজ বিক্রি করা হচ্ছে।’

কসাই নাজমুল বলেন, ‘পীরগাছায় অ্যানথ্রাক্সে দুজনের মৃত্যু আর ইমাদপুরে ছয়জন আক্রান্ত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর মানুষ গরুর মাংস খাওয়া প্রায় বন্ধ করে দিয়েছেন।’ উপজেলার কৃষক হারুন অর রশীদ বলেন, ‘গরুর মাংস কিনছি না, অ্যানথ্রাক্সের ভয় আছে।’ শিক্ষক আইনুল কবির বলেন, ‘আমার স্ত্রী গরুর মাংস খুব পছন্দ করেন, কিন্তু এখন কিনি না।’

জানতে চাইলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহকারী কর্মকর্তা গোলাম ফারুক ডিয়ার বলেন, জবাইয়ের আগে গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। মাংস বিক্রেতাদেরও নিয়ম মেনে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর গরু জবাইয়ের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রোগনিয়ন্ত্রণ চিকিৎসক এম এ হালিম লাভলু বলেন, আগের তুলনায় এখন মানুষ গরুর মাংস কম খান। চর্বিজাত খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর—এ সচেতনতার পাশাপাশি অ্যানথ্রাক্সের ভয়ও বিক্রিতে প্রভাব ফেলছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়া জবাই করা মাংস খাওয়া উচিত নয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাউজানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে যুবদল কর্মী নিহত

রাউজান প্রতিনিধি
আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৮: ৫৩
আলমগীর ওরফে আলম। ছবি: সংগৃহীত
আলমগীর ওরফে আলম। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের রাউজানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে আলমগীর ওরফে আলম (৫৫) নামে এক যুবদল কর্মী নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভটভটি ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, চালক ও গরু ব্যবসায়ী নিহত

ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি 
দুর্ঘটনার পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধানখেতে উল্টে থাকা ভটভটি। ছবি: আজকের পত্রিকা
দুর্ঘটনার পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধানখেতে উল্টে থাকা ভটভটি। ছবি: আজকের পত্রিকা

নওগাঁর ধামইরহাটে গরুবোঝাই ভটভটির সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে ভটভটিচালক ও এক গরু ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মোটরসাইকেলচালকসহ আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার বিহারীনগর পিড়লডাঙ্গা বাইপাস সড়কের তালঝাড়িসংলগ্ন ব্রিজের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত দুজন হলেন উপজেলার আড়ানগর ইউনিয়নের বাসিন্দাপাড়া এলাকার জয়দুল ইসলামের ছেলে মাসুদুর রহমান (৩৫) এবং আড়ানগর গ্রামের নজিম উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ ভুট্টু (৪০)।

আহতদের মধ্যে মোটরসাইকেলচালক দিনাজপুরের জহুরুলের ছেলে সেলিম (৪৫) এবং লক্ষণপাড়া এলাকার মুকুলের ছেলে জিহাদ (২৩) রয়েছেন। গুরুতর আহত জিহাদকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া মহেশপুরের কফিল উদ্দিনের ছেলে জাইদুল (৫৫), লক্ষণপাড়ার আসির আলীর ছেলে নজিমুদ্দিন (৭০) ও পলাশবাড়ীর মমতাজের ছেলে ফারুক (৫০) ধামইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। তাঁরা সবাই গরুর ব্যবসায়ী।

প্রত্যক্ষদর্শী বাবুল হোসেন বলেন, ‘গরুবোঝাই একটি ভটভটি জয়পুরহাটের দিকে যাচ্ছিল। হঠাৎ বিকট শব্দ শুনে দেখি ভটভটি ও মোটরসাইকেল ধানখেতে পড়ে গেছে। দুজন ঘটনাস্থলেই মারা যান, বাকি আহতরা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে ছিলেন।’

এ বিষয়ে ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাফর ইমাম বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভটভটি খাদে উল্টে পড়ে। দুজন নিহত হয়েছেন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ভটভটি ও মোটরসাইকেল থানায় জব্দ রাখা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত