টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
মহান বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এবার বাংলা চ্যানেল সাঁতরে পাড়ি দিলেন ৫৪ জন সাঁতারু। এতে অংশ নিয়েছিলেন চতুর্থ শ্রেণির একজন শিক্ষার্থীসহ মোট ৭৯ জন সাঁতারু। গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহ্পরীর দ্বীপের পশ্চিমপাড়া সমুদ্রসৈকত থেকে সাঁতার শুরু হয়।
চতুর্থ শ্রেণির একজন শিক্ষার্থী লারিসাসহ ৭৯ জন সাঁতারু অংশ নিয়েছিলেন।
১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দূরত্বের বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়ে সাঁতার শেষ হয় সেন্ট মার্টিন দ্বীপে। টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে এই স্রোতধারার নাম ‘বাংলা চ্যানেল’। চ্যানেলটি পাড়ি দিয়ে বেলা ৩টার দিকে ৫৪ জন সাঁতারু সেন্টমার্টিনে পৌঁছান।
সর্বপ্রথম সেন্টমার্টিন ছুঁয়ে ওঠেন সাহসী ও দুর্দান্ত সাঁতারু সাইফুল ইসলাম রাসেল। এরপর সুজা মোল্লা, মো. আবু নাইম ও আরিফুর রহমান দ্বীপের বালু স্পর্শ করেন। পর্যায়ক্রমে সবাই সেন্টমার্টিনে পৌঁছান। তবে ২৫ জন সাঁতারু সেন্টমার্টিনে পৌঁছাতে পারেননি বলেও জানা গেছে।
বাংলা চ্যানেলের এই সাঁতারে অংশ নিয়েছিল রাজধানীর একটি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী সৈয়দা লারিসা রোজেন। তার বয়স ১০ বছর ৪ মাস। লারিসার সঙ্গে সাঁতারে অংশ নিয়েছিলেন তার বাবা সৈয়দ আক্তারুজ্জামান ও বড় ভাই সৈয়দ আরবিন আয়ান। রেসকিউ দলের সঙ্গে নৌকায় ছিলেন এই শিক্ষার্থীর মা। ছোট্ট লারিসা সফল হলে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়া কনিষ্ঠ সাঁতারু হতো সে। কিন্তু সেসহ ২৫ জন সাতারু সেন্ট মার্টিনে পৌঁছাতে পারেননি।
‘১৬তম ফরচুন বাংলা চ্যানেল সাঁতার-২০২১’-এর এই সাঁতারের আয়োজন করেছে ‘ষড়জ অ্যাডভেঞ্চার’ ও ‘এক্সট্রিম বাংলা’।
ষড়জ অ্যাডভেঞ্চারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লিপটন সরকার জানান, মহান বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এবারের সাঁতার হয়েছে। ৭৯ জনের মধ্যে ৫৪ জন সাতারু বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেন। এখন পর্যন্ত ১৭ বার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন তিনি। এবারসহ টানা ১৮ বার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার এককভাবে রেকর্ড গড়েন তিনি। এটি পাড়ি দিতে চার-পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগে।
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, এবার সর্বোচ্চ ৭৯ জন সাঁতারু অংশ নিয়েছেন। বিশেষ কারণে মিশু বিশ্বাস নামের একজন সাঁতারু উপস্থিত হতে পারেননি। গত বছর ৪৩ জন সাঁতারু অংশ নিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৩৯ জন সফল হয়েছিলেন।
লিপটন সরকার বলেন, ‘এই সাঁতার আন্তর্জাতিক রীতি মেনে পরিচালনা করা হচ্ছে। নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। এবারও একজন বিদেশি সাঁতারু অংশ নিয়েছেন। আমরা বাংলা চ্যানেল সাঁতারকে আন্তর্জাতিক করতে পেরেছি। গতবারের চেয়ে এবার প্রায় দ্বিগুণসংখ্যক সাঁতারুর অংশগ্রহণ বলে দিচ্ছে বাংলাদেশে দূরপাল্লার সাঁতার জনপ্রিয় হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দূরত্বের বাংলা চ্যানেল আবিষ্কার করেন প্রয়াত কাজী হামিদুল হক। ২০০৬ সালের ১৪ জানুয়ারি প্রথমবারের মতো বাংলা চ্যানেল সাঁতার অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেবার সাঁতারে অংশ নিয়েছিলেন লিপটন সরকার, ফজলুল হক সিনা ও সালমান সাইদ। সাঁতারের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আছে বাংলাদেশ এডিবল ওয়েল লিমিটেডের ব্র্যান্ড ফরচুন। রেসকিউ পার্টনার হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। অংশীদার হিসেবে আরও আছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ড, ইউনাইটেড সিকিউরিটিজ, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেড, ষড়জ, ভিসা থিং ও স্টুডিও ঢাকা।
মহান বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এবার বাংলা চ্যানেল সাঁতরে পাড়ি দিলেন ৫৪ জন সাঁতারু। এতে অংশ নিয়েছিলেন চতুর্থ শ্রেণির একজন শিক্ষার্থীসহ মোট ৭৯ জন সাঁতারু। গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহ্পরীর দ্বীপের পশ্চিমপাড়া সমুদ্রসৈকত থেকে সাঁতার শুরু হয়।
চতুর্থ শ্রেণির একজন শিক্ষার্থী লারিসাসহ ৭৯ জন সাঁতারু অংশ নিয়েছিলেন।
১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দূরত্বের বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়ে সাঁতার শেষ হয় সেন্ট মার্টিন দ্বীপে। টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে এই স্রোতধারার নাম ‘বাংলা চ্যানেল’। চ্যানেলটি পাড়ি দিয়ে বেলা ৩টার দিকে ৫৪ জন সাঁতারু সেন্টমার্টিনে পৌঁছান।
সর্বপ্রথম সেন্টমার্টিন ছুঁয়ে ওঠেন সাহসী ও দুর্দান্ত সাঁতারু সাইফুল ইসলাম রাসেল। এরপর সুজা মোল্লা, মো. আবু নাইম ও আরিফুর রহমান দ্বীপের বালু স্পর্শ করেন। পর্যায়ক্রমে সবাই সেন্টমার্টিনে পৌঁছান। তবে ২৫ জন সাঁতারু সেন্টমার্টিনে পৌঁছাতে পারেননি বলেও জানা গেছে।
বাংলা চ্যানেলের এই সাঁতারে অংশ নিয়েছিল রাজধানীর একটি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী সৈয়দা লারিসা রোজেন। তার বয়স ১০ বছর ৪ মাস। লারিসার সঙ্গে সাঁতারে অংশ নিয়েছিলেন তার বাবা সৈয়দ আক্তারুজ্জামান ও বড় ভাই সৈয়দ আরবিন আয়ান। রেসকিউ দলের সঙ্গে নৌকায় ছিলেন এই শিক্ষার্থীর মা। ছোট্ট লারিসা সফল হলে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়া কনিষ্ঠ সাঁতারু হতো সে। কিন্তু সেসহ ২৫ জন সাতারু সেন্ট মার্টিনে পৌঁছাতে পারেননি।
‘১৬তম ফরচুন বাংলা চ্যানেল সাঁতার-২০২১’-এর এই সাঁতারের আয়োজন করেছে ‘ষড়জ অ্যাডভেঞ্চার’ ও ‘এক্সট্রিম বাংলা’।
ষড়জ অ্যাডভেঞ্চারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লিপটন সরকার জানান, মহান বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এবারের সাঁতার হয়েছে। ৭৯ জনের মধ্যে ৫৪ জন সাতারু বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেন। এখন পর্যন্ত ১৭ বার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন তিনি। এবারসহ টানা ১৮ বার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার এককভাবে রেকর্ড গড়েন তিনি। এটি পাড়ি দিতে চার-পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগে।
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, এবার সর্বোচ্চ ৭৯ জন সাঁতারু অংশ নিয়েছেন। বিশেষ কারণে মিশু বিশ্বাস নামের একজন সাঁতারু উপস্থিত হতে পারেননি। গত বছর ৪৩ জন সাঁতারু অংশ নিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৩৯ জন সফল হয়েছিলেন।
লিপটন সরকার বলেন, ‘এই সাঁতার আন্তর্জাতিক রীতি মেনে পরিচালনা করা হচ্ছে। নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। এবারও একজন বিদেশি সাঁতারু অংশ নিয়েছেন। আমরা বাংলা চ্যানেল সাঁতারকে আন্তর্জাতিক করতে পেরেছি। গতবারের চেয়ে এবার প্রায় দ্বিগুণসংখ্যক সাঁতারুর অংশগ্রহণ বলে দিচ্ছে বাংলাদেশে দূরপাল্লার সাঁতার জনপ্রিয় হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দূরত্বের বাংলা চ্যানেল আবিষ্কার করেন প্রয়াত কাজী হামিদুল হক। ২০০৬ সালের ১৪ জানুয়ারি প্রথমবারের মতো বাংলা চ্যানেল সাঁতার অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেবার সাঁতারে অংশ নিয়েছিলেন লিপটন সরকার, ফজলুল হক সিনা ও সালমান সাইদ। সাঁতারের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আছে বাংলাদেশ এডিবল ওয়েল লিমিটেডের ব্র্যান্ড ফরচুন। রেসকিউ পার্টনার হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। অংশীদার হিসেবে আরও আছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ড, ইউনাইটেড সিকিউরিটিজ, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেড, ষড়জ, ভিসা থিং ও স্টুডিও ঢাকা।
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বইলর ইউনিয়নের বাঁশকুড়ি গ্রামে মা-বাবা হত্যার মর্মান্তিক ঘটনায় গ্রামজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। এই ঘটনার পর থেকে ঘাতক ছেলে রিয়াদ হোসেন রাজুর ৯ মাসের শিশুকন্যা সিদরাতুল মুনতাহা রাইসা ও তার মা এখন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে দেশের জনগণ ‘দাঁড়িপাল্লায় নীরবে ভোট দিয়ে’ এক নীরব বিপ্লব ঘটাবে। সম্প্রতি চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের নিরঙ্কুশ বিজয় সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিনটি আসনে জমে উঠেছে রাজনৈতিক তৎপরতা। জেলার সর্বত্র এখন বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থীদের প্রচার, গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক চলছে। তবে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল, বিভক্ত নেতৃত্ব ও একাধিক প্রার্থীর কারণে মাঠে তাদের অবস্থান দুর্বল।
৬ ঘণ্টা আগেহঠাৎ অস্থির হয়ে উঠেছে দেশের শিক্ষাঙ্গন। প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় স্তর পর্যন্ত আলাদা ইস্যু ঘিরে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। তৈরি হচ্ছে প্রশাসনিক জটিলতাও। শঙ্কা দেখা দিচ্ছে সেশনজটসহ নানা সংকটের।
৬ ঘণ্টা আগে