মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার

কক্সবাজারের উপকূলীয় সাতটি উপজেলা এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও পটিয়ায় চলতি মৌসুমে পুরোদমে লবণ উৎপাদন শুরু হয়েছে। গত ২০ ও ২১ মার্চ হালকা বৃষ্টিপাতের কারণে দুই-তিন দিন লবণ উৎপাদন ব্যাহত হয়। তবে গত রোববার থেকে চাষিরা পুনরায় লবণ উৎপাদনে মাঠে নেমেছেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর লবণ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে। গত মৌসুমে দেশে ৬২ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদন হয়েছিল। তবে চাষিরা লবণের বাজারদর নিয়ে হতাশার কথা জানিয়েছেন।
দেশে নভেম্বর থেকে মে মাস পর্যন্ত লবণ উৎপাদনের মৌসুম ধরা হয়। সাগরের লোনাপানি শুকিয়ে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, মহেশখালী, পেকুয়া, চকরিয়া, ঈদগাঁও, সদর ও টেকনাফ এবং পাশের চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও পটিয়া উপকূলে লবণের চাষ হয়। গত তিন বছরের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, প্রতিবছরই লবণের চাষ বাড়ছে। গত বছরের হিসাবমতে, ৩৯ হাজার ৪৬৭ জন চাষি সরাসরি লবণ উৎপাদনে জড়িত। গত মৌসুমে পটিয়া উপজেলায় মাত্র ৫৫ একর জমিতে লবণের চাষ হয়েছিল। চলতি মৌসুমে মহেশখালী ছাড়া অন্যান্য এলাকায়ও লবণ চাষের জমির পরিমাণ বেড়েছে বলে জানায় বিসিক।
পেকুয়া উপজেলার করিয়ারদিয়ার লবণচাষি সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সিরাজুল মোস্তফা বলেন, গত বছর লবণের মণপ্রতি দাম যেখানে ৫০০ টাকা ছিল, তা এ বছর ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। সব পণ্যের দাম বাড়লেও একমাত্র লবণের ক্ষেত্রে কমেছে।
ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুরে রয়েছে ৭০টি লবণ মিল। হীরা ভ্যাকুয়াম ইভাপোরেশন সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাফফর হোসেন পল্টু বলেন, মিল পর্যায়ে মণপ্রতি দর রয়েছে ৪৫০ থেকে ৪৬০ টাকা।
দুই বছর ধরে কুতুবদিয়া উপজেলার লেমশীখালী ও ধুরং ইউনিয়নে ভূগর্ভস্থ পানির সহায়তায় লবণ উৎপাদন করা হচ্ছে। গত সোমবার সরেজমিনে দেখা গেছে, নলকূপের সাহায্যে ভূগর্ভস্থ পানি তুলে লেমশীখালী ও ধুরং ইউনিয়নে অন্তত এক হাজার একর জমিতে চাষ হচ্ছে।
লবণচাষি ওসমান গনি ও আজিজুল হক জানান, নলকূপের পানিতে লবণ উৎপাদন সহজ ও খরচ কম। লবণও পরিষ্কার হয়।
বিসিক কক্সবাজার লবণশিল্পের উন্নয়ন প্রকল্পের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল ভূঁইয়া বলেন, গত মৌসুমে দেশে লবণ উৎপাদন ৬২ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। এ বছরও আবহাওয়া অনুকূল থাকলে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে। এ বছর এখনো কী পরিমাণ জমিতে লবণের চাষ হয়েছে, তা জরিপ হয়নি।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) কক্সবাজার লবণশিল্পের উন্নয়ন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২৩ মৌসুমে দেশে ২৩ লাখ ৮৫ হাজার টন চাহিদার বিপরীতে লবণ উৎপাদন হয়েছে ২২ লাখ ৩২ হাজার ৮৯০ টন। চাষ হয়েছে ৬৬ হাজার ৪২৪ একর জমিতে। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৬৩ হাজার ২৯১ একর জমিতে লবণের চাষ হয়। ওই বছর দেশে লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৩ লাখ ৩৫ হাজার টন। সে বছর উৎপাদন হয়েছে ১৮ লাখ ৩২ হাজার টন।
কয়েকটি মিলের মালিক জানান, মাঠপর্যায়ে দর নিয়ন্ত্রণ করেন দালালেরা।

কক্সবাজারের উপকূলীয় সাতটি উপজেলা এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও পটিয়ায় চলতি মৌসুমে পুরোদমে লবণ উৎপাদন শুরু হয়েছে। গত ২০ ও ২১ মার্চ হালকা বৃষ্টিপাতের কারণে দুই-তিন দিন লবণ উৎপাদন ব্যাহত হয়। তবে গত রোববার থেকে চাষিরা পুনরায় লবণ উৎপাদনে মাঠে নেমেছেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর লবণ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে। গত মৌসুমে দেশে ৬২ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদন হয়েছিল। তবে চাষিরা লবণের বাজারদর নিয়ে হতাশার কথা জানিয়েছেন।
দেশে নভেম্বর থেকে মে মাস পর্যন্ত লবণ উৎপাদনের মৌসুম ধরা হয়। সাগরের লোনাপানি শুকিয়ে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, মহেশখালী, পেকুয়া, চকরিয়া, ঈদগাঁও, সদর ও টেকনাফ এবং পাশের চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও পটিয়া উপকূলে লবণের চাষ হয়। গত তিন বছরের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, প্রতিবছরই লবণের চাষ বাড়ছে। গত বছরের হিসাবমতে, ৩৯ হাজার ৪৬৭ জন চাষি সরাসরি লবণ উৎপাদনে জড়িত। গত মৌসুমে পটিয়া উপজেলায় মাত্র ৫৫ একর জমিতে লবণের চাষ হয়েছিল। চলতি মৌসুমে মহেশখালী ছাড়া অন্যান্য এলাকায়ও লবণ চাষের জমির পরিমাণ বেড়েছে বলে জানায় বিসিক।
পেকুয়া উপজেলার করিয়ারদিয়ার লবণচাষি সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সিরাজুল মোস্তফা বলেন, গত বছর লবণের মণপ্রতি দাম যেখানে ৫০০ টাকা ছিল, তা এ বছর ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। সব পণ্যের দাম বাড়লেও একমাত্র লবণের ক্ষেত্রে কমেছে।
ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুরে রয়েছে ৭০টি লবণ মিল। হীরা ভ্যাকুয়াম ইভাপোরেশন সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাফফর হোসেন পল্টু বলেন, মিল পর্যায়ে মণপ্রতি দর রয়েছে ৪৫০ থেকে ৪৬০ টাকা।
দুই বছর ধরে কুতুবদিয়া উপজেলার লেমশীখালী ও ধুরং ইউনিয়নে ভূগর্ভস্থ পানির সহায়তায় লবণ উৎপাদন করা হচ্ছে। গত সোমবার সরেজমিনে দেখা গেছে, নলকূপের সাহায্যে ভূগর্ভস্থ পানি তুলে লেমশীখালী ও ধুরং ইউনিয়নে অন্তত এক হাজার একর জমিতে চাষ হচ্ছে।
লবণচাষি ওসমান গনি ও আজিজুল হক জানান, নলকূপের পানিতে লবণ উৎপাদন সহজ ও খরচ কম। লবণও পরিষ্কার হয়।
বিসিক কক্সবাজার লবণশিল্পের উন্নয়ন প্রকল্পের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল ভূঁইয়া বলেন, গত মৌসুমে দেশে লবণ উৎপাদন ৬২ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। এ বছরও আবহাওয়া অনুকূল থাকলে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে। এ বছর এখনো কী পরিমাণ জমিতে লবণের চাষ হয়েছে, তা জরিপ হয়নি।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) কক্সবাজার লবণশিল্পের উন্নয়ন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২৩ মৌসুমে দেশে ২৩ লাখ ৮৫ হাজার টন চাহিদার বিপরীতে লবণ উৎপাদন হয়েছে ২২ লাখ ৩২ হাজার ৮৯০ টন। চাষ হয়েছে ৬৬ হাজার ৪২৪ একর জমিতে। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৬৩ হাজার ২৯১ একর জমিতে লবণের চাষ হয়। ওই বছর দেশে লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৩ লাখ ৩৫ হাজার টন। সে বছর উৎপাদন হয়েছে ১৮ লাখ ৩২ হাজার টন।
কয়েকটি মিলের মালিক জানান, মাঠপর্যায়ে দর নিয়ন্ত্রণ করেন দালালেরা।
মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার

কক্সবাজারের উপকূলীয় সাতটি উপজেলা এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও পটিয়ায় চলতি মৌসুমে পুরোদমে লবণ উৎপাদন শুরু হয়েছে। গত ২০ ও ২১ মার্চ হালকা বৃষ্টিপাতের কারণে দুই-তিন দিন লবণ উৎপাদন ব্যাহত হয়। তবে গত রোববার থেকে চাষিরা পুনরায় লবণ উৎপাদনে মাঠে নেমেছেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর লবণ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে। গত মৌসুমে দেশে ৬২ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদন হয়েছিল। তবে চাষিরা লবণের বাজারদর নিয়ে হতাশার কথা জানিয়েছেন।
দেশে নভেম্বর থেকে মে মাস পর্যন্ত লবণ উৎপাদনের মৌসুম ধরা হয়। সাগরের লোনাপানি শুকিয়ে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, মহেশখালী, পেকুয়া, চকরিয়া, ঈদগাঁও, সদর ও টেকনাফ এবং পাশের চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও পটিয়া উপকূলে লবণের চাষ হয়। গত তিন বছরের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, প্রতিবছরই লবণের চাষ বাড়ছে। গত বছরের হিসাবমতে, ৩৯ হাজার ৪৬৭ জন চাষি সরাসরি লবণ উৎপাদনে জড়িত। গত মৌসুমে পটিয়া উপজেলায় মাত্র ৫৫ একর জমিতে লবণের চাষ হয়েছিল। চলতি মৌসুমে মহেশখালী ছাড়া অন্যান্য এলাকায়ও লবণ চাষের জমির পরিমাণ বেড়েছে বলে জানায় বিসিক।
পেকুয়া উপজেলার করিয়ারদিয়ার লবণচাষি সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সিরাজুল মোস্তফা বলেন, গত বছর লবণের মণপ্রতি দাম যেখানে ৫০০ টাকা ছিল, তা এ বছর ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। সব পণ্যের দাম বাড়লেও একমাত্র লবণের ক্ষেত্রে কমেছে।
ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুরে রয়েছে ৭০টি লবণ মিল। হীরা ভ্যাকুয়াম ইভাপোরেশন সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাফফর হোসেন পল্টু বলেন, মিল পর্যায়ে মণপ্রতি দর রয়েছে ৪৫০ থেকে ৪৬০ টাকা।
দুই বছর ধরে কুতুবদিয়া উপজেলার লেমশীখালী ও ধুরং ইউনিয়নে ভূগর্ভস্থ পানির সহায়তায় লবণ উৎপাদন করা হচ্ছে। গত সোমবার সরেজমিনে দেখা গেছে, নলকূপের সাহায্যে ভূগর্ভস্থ পানি তুলে লেমশীখালী ও ধুরং ইউনিয়নে অন্তত এক হাজার একর জমিতে চাষ হচ্ছে।
লবণচাষি ওসমান গনি ও আজিজুল হক জানান, নলকূপের পানিতে লবণ উৎপাদন সহজ ও খরচ কম। লবণও পরিষ্কার হয়।
বিসিক কক্সবাজার লবণশিল্পের উন্নয়ন প্রকল্পের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল ভূঁইয়া বলেন, গত মৌসুমে দেশে লবণ উৎপাদন ৬২ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। এ বছরও আবহাওয়া অনুকূল থাকলে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে। এ বছর এখনো কী পরিমাণ জমিতে লবণের চাষ হয়েছে, তা জরিপ হয়নি।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) কক্সবাজার লবণশিল্পের উন্নয়ন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২৩ মৌসুমে দেশে ২৩ লাখ ৮৫ হাজার টন চাহিদার বিপরীতে লবণ উৎপাদন হয়েছে ২২ লাখ ৩২ হাজার ৮৯০ টন। চাষ হয়েছে ৬৬ হাজার ৪২৪ একর জমিতে। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৬৩ হাজার ২৯১ একর জমিতে লবণের চাষ হয়। ওই বছর দেশে লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৩ লাখ ৩৫ হাজার টন। সে বছর উৎপাদন হয়েছে ১৮ লাখ ৩২ হাজার টন।
কয়েকটি মিলের মালিক জানান, মাঠপর্যায়ে দর নিয়ন্ত্রণ করেন দালালেরা।

কক্সবাজারের উপকূলীয় সাতটি উপজেলা এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও পটিয়ায় চলতি মৌসুমে পুরোদমে লবণ উৎপাদন শুরু হয়েছে। গত ২০ ও ২১ মার্চ হালকা বৃষ্টিপাতের কারণে দুই-তিন দিন লবণ উৎপাদন ব্যাহত হয়। তবে গত রোববার থেকে চাষিরা পুনরায় লবণ উৎপাদনে মাঠে নেমেছেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর লবণ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে। গত মৌসুমে দেশে ৬২ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদন হয়েছিল। তবে চাষিরা লবণের বাজারদর নিয়ে হতাশার কথা জানিয়েছেন।
দেশে নভেম্বর থেকে মে মাস পর্যন্ত লবণ উৎপাদনের মৌসুম ধরা হয়। সাগরের লোনাপানি শুকিয়ে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, মহেশখালী, পেকুয়া, চকরিয়া, ঈদগাঁও, সদর ও টেকনাফ এবং পাশের চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও পটিয়া উপকূলে লবণের চাষ হয়। গত তিন বছরের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, প্রতিবছরই লবণের চাষ বাড়ছে। গত বছরের হিসাবমতে, ৩৯ হাজার ৪৬৭ জন চাষি সরাসরি লবণ উৎপাদনে জড়িত। গত মৌসুমে পটিয়া উপজেলায় মাত্র ৫৫ একর জমিতে লবণের চাষ হয়েছিল। চলতি মৌসুমে মহেশখালী ছাড়া অন্যান্য এলাকায়ও লবণ চাষের জমির পরিমাণ বেড়েছে বলে জানায় বিসিক।
পেকুয়া উপজেলার করিয়ারদিয়ার লবণচাষি সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সিরাজুল মোস্তফা বলেন, গত বছর লবণের মণপ্রতি দাম যেখানে ৫০০ টাকা ছিল, তা এ বছর ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। সব পণ্যের দাম বাড়লেও একমাত্র লবণের ক্ষেত্রে কমেছে।
ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুরে রয়েছে ৭০টি লবণ মিল। হীরা ভ্যাকুয়াম ইভাপোরেশন সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাফফর হোসেন পল্টু বলেন, মিল পর্যায়ে মণপ্রতি দর রয়েছে ৪৫০ থেকে ৪৬০ টাকা।
দুই বছর ধরে কুতুবদিয়া উপজেলার লেমশীখালী ও ধুরং ইউনিয়নে ভূগর্ভস্থ পানির সহায়তায় লবণ উৎপাদন করা হচ্ছে। গত সোমবার সরেজমিনে দেখা গেছে, নলকূপের সাহায্যে ভূগর্ভস্থ পানি তুলে লেমশীখালী ও ধুরং ইউনিয়নে অন্তত এক হাজার একর জমিতে চাষ হচ্ছে।
লবণচাষি ওসমান গনি ও আজিজুল হক জানান, নলকূপের পানিতে লবণ উৎপাদন সহজ ও খরচ কম। লবণও পরিষ্কার হয়।
বিসিক কক্সবাজার লবণশিল্পের উন্নয়ন প্রকল্পের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল ভূঁইয়া বলেন, গত মৌসুমে দেশে লবণ উৎপাদন ৬২ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। এ বছরও আবহাওয়া অনুকূল থাকলে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে। এ বছর এখনো কী পরিমাণ জমিতে লবণের চাষ হয়েছে, তা জরিপ হয়নি।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) কক্সবাজার লবণশিল্পের উন্নয়ন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২৩ মৌসুমে দেশে ২৩ লাখ ৮৫ হাজার টন চাহিদার বিপরীতে লবণ উৎপাদন হয়েছে ২২ লাখ ৩২ হাজার ৮৯০ টন। চাষ হয়েছে ৬৬ হাজার ৪২৪ একর জমিতে। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৬৩ হাজার ২৯১ একর জমিতে লবণের চাষ হয়। ওই বছর দেশে লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৩ লাখ ৩৫ হাজার টন। সে বছর উৎপাদন হয়েছে ১৮ লাখ ৩২ হাজার টন।
কয়েকটি মিলের মালিক জানান, মাঠপর্যায়ে দর নিয়ন্ত্রণ করেন দালালেরা।

সরকার নির্ধারিত দাম অগ্রাহ্য করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও অতিরিক্ত দামে সার-কীটনাশক বিক্রির প্রতিবাদে লালমনিরহাট–বুড়িমারী মহাসড়ক অবরোধ করেছেন কৃষকেরা। আপ বৃহস্পতিবার দুপুরে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী ইউনিয়নের ভুল্যারহাট বাজার এলাকায় ডিলারের কাছ থেকে সার না পেয়ে ক্ষুব্ধ কৃষকেরা....
৩৩ মিনিট আগে
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বরখাস্তকৃত অতিরিক্ত কর কমিশনার মির্জা আশিক রানা ও সিটি ব্যাংক পিএলসির জনসন রোড শাখার অ্যাসোসিয়েট রিলেশনশিপ ম্যানেজার সারোয়ার হোসেনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের অবকাশকালীন বেঞ্চের বিচারক আব্দুল্লাহ আল
১ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সেন্ট মার্টিনসংলগ্ন সমুদ্র এলাকায় মিয়ানমারে পাচারের সময় বিপুল পরিমাণ সিমেন্টসহ ১১ জন পাচারকারীকে আটক করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক।
১ ঘণ্টা আগে
জামায়াতে যোগ দেওয়ায় হিন্দুদের মনে শান্তি নেমে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন খুলনা-১ আসনে দলটির মনোনীত প্রার্থী ও সনাতন শাখার ডুমুরিয়া উপজেলা সভাপতি কৃষ্ণ নন্দী।
১ ঘণ্টা আগেলালমনিরহাট প্রতিনিধি

সরকার নির্ধারিত দাম অগ্রাহ্য করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও অতিরিক্ত দামে সার-কীটনাশক বিক্রির প্রতিবাদে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়ক অবরোধ করেছেন কৃষকেরা। আপ বৃহস্পতিবার দুপুরে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী ইউনিয়নের ভুল্যারহাট বাজার এলাকায় ডিলারের কাছ থেকে সার না পেয়ে ক্ষুব্ধ কৃষকেরা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন।
অবরোধ চলাকালে কৃষকেরা ডিলারদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলে ডিলারকে আটক করে বিক্ষোভ মিছিল করেন। তাঁদের অভিযোগ, ডিলাররা যোগসাজশ করে বাজারে সারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করছেন এবং পরে তা সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করছেন, যা সাধারণ কৃষকের পক্ষে বহন করা কঠিন।
খেতের মালিক আব্দুল মজিদ বলেন, ‘আমরা জমিতে সময়মতো সার দিতে পারছি না। সরকার যে দাম ঠিক করে দিয়েছে, ডিলাররা সেই দামে বিক্রি করেন না। বস্তাপ্রতি কমপক্ষে ৬০০-৭০০ টাকা বেশি নিচ্ছেন। এত বেশি দামে সার কিনতে গেলে আমাদের আর লাভ থাকে কী?’
কৃষক রমিজ উদ্দিন বলেন, ‘একদিকে সারের কৃত্রিম অভাব, অন্যদিকে অতিরিক্ত দাম। সময়মতো সার দিতে না পারলে ফসলই নষ্ট হয়ে যাবে। ডিলাররা আমাদের নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন। আমরা সরকারের কাছে বিচার চাই।’ আরেক কৃষক আব্দুস সোবাহান অভিযোগ করেন, ‘বলে সার নেই। অথচ বাইরে বেশি দামে ঠিকই বিক্রি করছেন। কৃষকের পেটে লাথি মারা হচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থা দরকার।’
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীমা আক্তার জাহান এবং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তুষার কান্তি রায় ঘটনাস্থলে গিয়ে কৃষকদের অভিযোগ শোনেন। দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর সার-সংকট নিরসনের আশ্বাস দিলে কৃষকেরা অবরোধ তুলে নেন।
জানতে চাইলে ভোটমারী ইউনিয়নের বিসিআইসি ডিলার মেসার্স সাইফুল ইসলামের মালিক সাইফুল ইসলাম দাবি করেন, কৃষি অফিসের উপস্থিতি ছাড়া সার বিক্রি করা হয় না এবং কোনো সার কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে না।
ঘটনাস্থলে থাকা কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তুষার কান্তি রায় বলেন, ‘বাজারে সারের কোনো সংকট নেই, সরকারিভাবে পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। যারা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বেশি দামে বিক্রি করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি জানান, ডিলারদের গুদাম পরিদর্শন করা হয়েছে এবং প্রতিটি বস্তার বিক্রয়মূল্য যাচাই করা হবে, যাতে কৃষকেরা নির্ধারিত মূল্যে সার পেতে পারেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা বীজ-সার মনিটরিং কমিটির সভাপতি ও ইউএনও শামীমা আক্তার জাহান বলেন, ভুট্টার মৌসুম হওয়ায় একই সময়ে কৃষকের চাপ বেড়েছে। এতে সাময়িক সমস্যা তৈরি হয়েছে। কৃষকেরা মজুত না করে প্রয়োজন অনুযায়ী সার কিনলে সমস্যা কম হতো। আগামী সপ্তাহে চাহিদা কমে গেলে চাপও কমবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

সরকার নির্ধারিত দাম অগ্রাহ্য করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও অতিরিক্ত দামে সার-কীটনাশক বিক্রির প্রতিবাদে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়ক অবরোধ করেছেন কৃষকেরা। আপ বৃহস্পতিবার দুপুরে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী ইউনিয়নের ভুল্যারহাট বাজার এলাকায় ডিলারের কাছ থেকে সার না পেয়ে ক্ষুব্ধ কৃষকেরা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন।
অবরোধ চলাকালে কৃষকেরা ডিলারদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলে ডিলারকে আটক করে বিক্ষোভ মিছিল করেন। তাঁদের অভিযোগ, ডিলাররা যোগসাজশ করে বাজারে সারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করছেন এবং পরে তা সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করছেন, যা সাধারণ কৃষকের পক্ষে বহন করা কঠিন।
খেতের মালিক আব্দুল মজিদ বলেন, ‘আমরা জমিতে সময়মতো সার দিতে পারছি না। সরকার যে দাম ঠিক করে দিয়েছে, ডিলাররা সেই দামে বিক্রি করেন না। বস্তাপ্রতি কমপক্ষে ৬০০-৭০০ টাকা বেশি নিচ্ছেন। এত বেশি দামে সার কিনতে গেলে আমাদের আর লাভ থাকে কী?’
কৃষক রমিজ উদ্দিন বলেন, ‘একদিকে সারের কৃত্রিম অভাব, অন্যদিকে অতিরিক্ত দাম। সময়মতো সার দিতে না পারলে ফসলই নষ্ট হয়ে যাবে। ডিলাররা আমাদের নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন। আমরা সরকারের কাছে বিচার চাই।’ আরেক কৃষক আব্দুস সোবাহান অভিযোগ করেন, ‘বলে সার নেই। অথচ বাইরে বেশি দামে ঠিকই বিক্রি করছেন। কৃষকের পেটে লাথি মারা হচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থা দরকার।’
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীমা আক্তার জাহান এবং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তুষার কান্তি রায় ঘটনাস্থলে গিয়ে কৃষকদের অভিযোগ শোনেন। দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর সার-সংকট নিরসনের আশ্বাস দিলে কৃষকেরা অবরোধ তুলে নেন।
জানতে চাইলে ভোটমারী ইউনিয়নের বিসিআইসি ডিলার মেসার্স সাইফুল ইসলামের মালিক সাইফুল ইসলাম দাবি করেন, কৃষি অফিসের উপস্থিতি ছাড়া সার বিক্রি করা হয় না এবং কোনো সার কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে না।
ঘটনাস্থলে থাকা কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তুষার কান্তি রায় বলেন, ‘বাজারে সারের কোনো সংকট নেই, সরকারিভাবে পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। যারা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বেশি দামে বিক্রি করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি জানান, ডিলারদের গুদাম পরিদর্শন করা হয়েছে এবং প্রতিটি বস্তার বিক্রয়মূল্য যাচাই করা হবে, যাতে কৃষকেরা নির্ধারিত মূল্যে সার পেতে পারেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা বীজ-সার মনিটরিং কমিটির সভাপতি ও ইউএনও শামীমা আক্তার জাহান বলেন, ভুট্টার মৌসুম হওয়ায় একই সময়ে কৃষকের চাপ বেড়েছে। এতে সাময়িক সমস্যা তৈরি হয়েছে। কৃষকেরা মজুত না করে প্রয়োজন অনুযায়ী সার কিনলে সমস্যা কম হতো। আগামী সপ্তাহে চাহিদা কমে গেলে চাপও কমবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

কক্সবাজারের উপকূলীয় সাতটি উপজেলা এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও পটিয়ায় চলতি মৌসুমে পুরোদমে লবণ উৎপাদন শুরু হয়েছে। গত ২০ ও ২১ মার্চ হালকা বৃষ্টিপাতের কারণে দুই-তিন দিন লবণ উৎপাদন ব্যাহত হয়। তবে গত রোববার থেকে চাষিরা পুনরায় লবণ উৎপাদনে মাঠে নেমেছেন।
২৮ মার্চ ২০২৪
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বরখাস্তকৃত অতিরিক্ত কর কমিশনার মির্জা আশিক রানা ও সিটি ব্যাংক পিএলসির জনসন রোড শাখার অ্যাসোসিয়েট রিলেশনশিপ ম্যানেজার সারোয়ার হোসেনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের অবকাশকালীন বেঞ্চের বিচারক আব্দুল্লাহ আল
১ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সেন্ট মার্টিনসংলগ্ন সমুদ্র এলাকায় মিয়ানমারে পাচারের সময় বিপুল পরিমাণ সিমেন্টসহ ১১ জন পাচারকারীকে আটক করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক।
১ ঘণ্টা আগে
জামায়াতে যোগ দেওয়ায় হিন্দুদের মনে শান্তি নেমে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন খুলনা-১ আসনে দলটির মনোনীত প্রার্থী ও সনাতন শাখার ডুমুরিয়া উপজেলা সভাপতি কৃষ্ণ নন্দী।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বরখাস্তকৃত অতিরিক্ত কর কমিশনার মির্জা আশিক রানা ও সিটি ব্যাংক পিএলসির জনসন রোড শাখার অ্যাসোসিয়েট রিলেশনশিপ ম্যানেজার সারোয়ার হোসেনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের অবকাশকালীন বেঞ্চের বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত পৃথকভাবে এই নিষেধাজ্ঞা জারির নির্দেশ দেন বলে জানান দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।
মির্জা আশিক রানার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক আবু মোহাম্মদ আনোয়ারুল মাসুদ।
আবেদনে বলা হয়েছে, মির্জা আশিক রানার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী যাচাইয়ের জন্য অনুসন্ধান কার্যক্রম চলছে। অনুসন্ধান চলাকালে দুদক বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছে, আশিক রানা যেকোনো সময়ে দেশত্যাগ করতে পারেন। দেশ থেকে বিদেশে গেলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের অনুসন্ধান কার্যক্রম ব্যাহত হবে। এ কারণে তাঁর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা প্রয়োজন।
অপর দিকে ব্যাংক কর্মকর্তা সারোয়ার হোসেনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি চেয়ে আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক আজিজুল হক।
আবেদনে বলা হয়েছে, ‘জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ ও অর্থ পাচারের অভিযোগ ওঠার পর দুদক অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করে সারোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে। প্রাথমিকভাবে তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও অর্থ পাচারের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। দুদক বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছে, সারোয়ার হোসেন যেকোনো সময় দেশত্যাগ করতে পারেন। যেহেতু তিনি অর্থ আত্মসাৎ ও অর্থ পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত, সেহেতু তাঁর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা প্রয়োজন।’

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বরখাস্তকৃত অতিরিক্ত কর কমিশনার মির্জা আশিক রানা ও সিটি ব্যাংক পিএলসির জনসন রোড শাখার অ্যাসোসিয়েট রিলেশনশিপ ম্যানেজার সারোয়ার হোসেনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের অবকাশকালীন বেঞ্চের বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত পৃথকভাবে এই নিষেধাজ্ঞা জারির নির্দেশ দেন বলে জানান দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।
মির্জা আশিক রানার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক আবু মোহাম্মদ আনোয়ারুল মাসুদ।
আবেদনে বলা হয়েছে, মির্জা আশিক রানার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী যাচাইয়ের জন্য অনুসন্ধান কার্যক্রম চলছে। অনুসন্ধান চলাকালে দুদক বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছে, আশিক রানা যেকোনো সময়ে দেশত্যাগ করতে পারেন। দেশ থেকে বিদেশে গেলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের অনুসন্ধান কার্যক্রম ব্যাহত হবে। এ কারণে তাঁর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা প্রয়োজন।
অপর দিকে ব্যাংক কর্মকর্তা সারোয়ার হোসেনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি চেয়ে আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক আজিজুল হক।
আবেদনে বলা হয়েছে, ‘জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ ও অর্থ পাচারের অভিযোগ ওঠার পর দুদক অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করে সারোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে। প্রাথমিকভাবে তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও অর্থ পাচারের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। দুদক বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছে, সারোয়ার হোসেন যেকোনো সময় দেশত্যাগ করতে পারেন। যেহেতু তিনি অর্থ আত্মসাৎ ও অর্থ পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত, সেহেতু তাঁর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা প্রয়োজন।’

কক্সবাজারের উপকূলীয় সাতটি উপজেলা এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও পটিয়ায় চলতি মৌসুমে পুরোদমে লবণ উৎপাদন শুরু হয়েছে। গত ২০ ও ২১ মার্চ হালকা বৃষ্টিপাতের কারণে দুই-তিন দিন লবণ উৎপাদন ব্যাহত হয়। তবে গত রোববার থেকে চাষিরা পুনরায় লবণ উৎপাদনে মাঠে নেমেছেন।
২৮ মার্চ ২০২৪
সরকার নির্ধারিত দাম অগ্রাহ্য করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও অতিরিক্ত দামে সার-কীটনাশক বিক্রির প্রতিবাদে লালমনিরহাট–বুড়িমারী মহাসড়ক অবরোধ করেছেন কৃষকেরা। আপ বৃহস্পতিবার দুপুরে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী ইউনিয়নের ভুল্যারহাট বাজার এলাকায় ডিলারের কাছ থেকে সার না পেয়ে ক্ষুব্ধ কৃষকেরা....
৩৩ মিনিট আগে
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সেন্ট মার্টিনসংলগ্ন সমুদ্র এলাকায় মিয়ানমারে পাচারের সময় বিপুল পরিমাণ সিমেন্টসহ ১১ জন পাচারকারীকে আটক করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক।
১ ঘণ্টা আগে
জামায়াতে যোগ দেওয়ায় হিন্দুদের মনে শান্তি নেমে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন খুলনা-১ আসনে দলটির মনোনীত প্রার্থী ও সনাতন শাখার ডুমুরিয়া উপজেলা সভাপতি কৃষ্ণ নন্দী।
১ ঘণ্টা আগেটেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সেন্ট মার্টিনসংলগ্ন সমুদ্র এলাকায় মিয়ানমারে পাচারের সময় বিপুল পরিমাণ সিমেন্টসহ ১১ জন পাচারকারীকে আটক করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার ১০ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে কোস্ট গার্ড সেন্ট মার্টিনের ছেঁড়াদ্বীপ-সংলগ্ন সমুদ্র এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।
ওই অভিযানে একটি সন্দেহজনক ফিশিং বোটে তল্লাশি চালিয়ে শুল্ক-কর ফাঁকি দিয়ে মিয়ানমারে পাচারের উদ্দেশে বহন করা প্রায় ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা মূল্যের ৬০০ বস্তা সিমেন্ট জব্দ করা হয়। এ সময় পাচারকাজে ব্যবহৃত বোটসহ ১১ জনকে আটক করা হয়।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, আটককৃতরা দীর্ঘদিন ধরে নৌপথে চোরাচালান কার্যক্রমে জড়িত ছিল বলে কোস্ট গার্ড জানায়।
জব্দকৃত মালামাল, বোট এবং আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সেন্ট মার্টিনসংলগ্ন সমুদ্র এলাকায় মিয়ানমারে পাচারের সময় বিপুল পরিমাণ সিমেন্টসহ ১১ জন পাচারকারীকে আটক করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার ১০ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে কোস্ট গার্ড সেন্ট মার্টিনের ছেঁড়াদ্বীপ-সংলগ্ন সমুদ্র এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।
ওই অভিযানে একটি সন্দেহজনক ফিশিং বোটে তল্লাশি চালিয়ে শুল্ক-কর ফাঁকি দিয়ে মিয়ানমারে পাচারের উদ্দেশে বহন করা প্রায় ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা মূল্যের ৬০০ বস্তা সিমেন্ট জব্দ করা হয়। এ সময় পাচারকাজে ব্যবহৃত বোটসহ ১১ জনকে আটক করা হয়।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, আটককৃতরা দীর্ঘদিন ধরে নৌপথে চোরাচালান কার্যক্রমে জড়িত ছিল বলে কোস্ট গার্ড জানায়।
জব্দকৃত মালামাল, বোট এবং আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

কক্সবাজারের উপকূলীয় সাতটি উপজেলা এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও পটিয়ায় চলতি মৌসুমে পুরোদমে লবণ উৎপাদন শুরু হয়েছে। গত ২০ ও ২১ মার্চ হালকা বৃষ্টিপাতের কারণে দুই-তিন দিন লবণ উৎপাদন ব্যাহত হয়। তবে গত রোববার থেকে চাষিরা পুনরায় লবণ উৎপাদনে মাঠে নেমেছেন।
২৮ মার্চ ২০২৪
সরকার নির্ধারিত দাম অগ্রাহ্য করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও অতিরিক্ত দামে সার-কীটনাশক বিক্রির প্রতিবাদে লালমনিরহাট–বুড়িমারী মহাসড়ক অবরোধ করেছেন কৃষকেরা। আপ বৃহস্পতিবার দুপুরে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী ইউনিয়নের ভুল্যারহাট বাজার এলাকায় ডিলারের কাছ থেকে সার না পেয়ে ক্ষুব্ধ কৃষকেরা....
৩৩ মিনিট আগে
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বরখাস্তকৃত অতিরিক্ত কর কমিশনার মির্জা আশিক রানা ও সিটি ব্যাংক পিএলসির জনসন রোড শাখার অ্যাসোসিয়েট রিলেশনশিপ ম্যানেজার সারোয়ার হোসেনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের অবকাশকালীন বেঞ্চের বিচারক আব্দুল্লাহ আল
১ ঘণ্টা আগে
জামায়াতে যোগ দেওয়ায় হিন্দুদের মনে শান্তি নেমে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন খুলনা-১ আসনে দলটির মনোনীত প্রার্থী ও সনাতন শাখার ডুমুরিয়া উপজেলা সভাপতি কৃষ্ণ নন্দী।
১ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রতিনিধি

জামায়াতে যোগ দেওয়ায় হিন্দুদের মনে শান্তি নেমে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন খুলনা-১ আসনে দলটির মনোনীত প্রার্থী ও সনাতন শাখার ডুমুরিয়া উপজেলা সভাপতি কৃষ্ণ নন্দী। তিনি বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দেওয়ায় হিন্দু সম্প্রদায় অপমানিত হয়েছে বলে আমি মনে করি না। বরং হিন্দুদের মনে শান্তি নেমে এসেছে। আমি নির্বাচিত হলে হিন্দুদের প্রতিনিধিত্ব করব।’
আজ বৃহস্পতিবার খুলনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচারের অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
কৃষ্ণ নদী বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) খুলনা-১ আসনের দাঁড়িপাল্লার প্রার্থী হিসেবে কাজ শুরু করেছি। এ অবস্থায় জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে ভারতে অবস্থানরত ওয়ার্ল্ড হিন্দু স্ট্রাইগল কমিটির নেতা শিপন কুমার বসু আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও অপপ্রচার করছে।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘শিপন বসু একজন ব্লাকমেইলার ও আন্তর্জাতিক চাঁদাবাজ। তিনি আমার মোবাইল নম্বর ম্যানেজ করে বিভিন্ন কৌশলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও জীবননাশের হুমকি দেন এবং আমি হিন্দু হয়ে কেন জামায়াতে যোগদান করে হিন্দুধর্মকে বিতর্কিত করছি।’
কৃষ্ণ নদী বলেন, ‘আমাকে দাঁড়িপাল্লার প্রার্থী হিসেবে ঘোষণার মাধ্যমে স্পষ্টভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে প্রমাণিত হয় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটা অসাম্প্রদায়িক দল। আমাকে প্রার্থী করায় সারা দেশে হিন্দুদের দাঁড়িপাল্লার পক্ষে ব্যাপক গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
‘জামায়াত আমাকে মনোনয়ন দেওয়ার পরই একটি মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার, মিথ্যা প্রোপাগান্ডা শুরু করেছে। যা প্রমাণ করে এটা গভীর ষড়যন্ত্রেরই একটি অংশ।’
জামায়াতের সনাতন শাখার এই নেতা বলেন, ‘আমাকে খুলনা-১ আসনে মনোনয়ন দেওয়ার আগে সেখানে জামায়াতের প্রার্থী ছিলেন দলের বটিয়াঘাটা উপজেলা আমির মাওলানা শেখ মোহাম্মদ আবু ইউসুফ। তাঁকে পরিবর্তন করে আমাকে প্রার্থী ঘোষণা দেওয়ার পরপরই মাওলানা শেখ মোহাম্মদ আবু ইউসুফ আমাকে সমর্থন করেন এবং আমরা একসঙ্গে নির্বাচনী প্রচারণার কাজ করি। আমাদের ভেতরে কোনো ভুল-বোঝাবুঝি নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওয়ার্ল্ড হিন্দু স্ট্রাইগল কমিটির নেতা শিপন কুমার বসুর সঙ্গে আমার টেলিফোনে পরিচয় হয়। ব্যবসার স্বার্থে তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। ভারতে গিয়ে তার বাসায় খেয়েছি। কিন্তু সে এভাবে (ফেসবুকে ছড়াবে) করবে বুঝতে পারিনি।’
এক প্রশ্নের জবাবে কৃষ্ণ নন্দী বলেন, ‘বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগ নেই। ইসরায়েলের গুপ্তচর মোসাদের মেনদি সাফাদিকে চিনি না।’ ৫ আগস্ট তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দুষ্কৃতকারীরা আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আমি জিডি করে রেখেছি। পরে পুলিশ তদন্ত করে বের করবে কারা জড়িত।’
এ সময় জামায়াতের সনাতন কমিটি ডুমুরিয়া উপজেলা সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) ডা. হরিদাস মণ্ডল, সেক্রেটারি অধ্যক্ষ দেবপ্রসাদ মণ্ডল, কোষাধ্যক্ষ গৌতম মণ্ডল, জলমা ইউনিয়ন শাখার সভাপতি বাদল রায়, জামায়াতে ইসলামীর বটিয়াঘাটা উপজেলা আমির মোহাম্মদ শেখ আবু ইউসুফসহ বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

জামায়াতে যোগ দেওয়ায় হিন্দুদের মনে শান্তি নেমে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন খুলনা-১ আসনে দলটির মনোনীত প্রার্থী ও সনাতন শাখার ডুমুরিয়া উপজেলা সভাপতি কৃষ্ণ নন্দী। তিনি বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দেওয়ায় হিন্দু সম্প্রদায় অপমানিত হয়েছে বলে আমি মনে করি না। বরং হিন্দুদের মনে শান্তি নেমে এসেছে। আমি নির্বাচিত হলে হিন্দুদের প্রতিনিধিত্ব করব।’
আজ বৃহস্পতিবার খুলনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচারের অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
কৃষ্ণ নদী বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) খুলনা-১ আসনের দাঁড়িপাল্লার প্রার্থী হিসেবে কাজ শুরু করেছি। এ অবস্থায় জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে ভারতে অবস্থানরত ওয়ার্ল্ড হিন্দু স্ট্রাইগল কমিটির নেতা শিপন কুমার বসু আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও অপপ্রচার করছে।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘শিপন বসু একজন ব্লাকমেইলার ও আন্তর্জাতিক চাঁদাবাজ। তিনি আমার মোবাইল নম্বর ম্যানেজ করে বিভিন্ন কৌশলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও জীবননাশের হুমকি দেন এবং আমি হিন্দু হয়ে কেন জামায়াতে যোগদান করে হিন্দুধর্মকে বিতর্কিত করছি।’
কৃষ্ণ নদী বলেন, ‘আমাকে দাঁড়িপাল্লার প্রার্থী হিসেবে ঘোষণার মাধ্যমে স্পষ্টভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে প্রমাণিত হয় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটা অসাম্প্রদায়িক দল। আমাকে প্রার্থী করায় সারা দেশে হিন্দুদের দাঁড়িপাল্লার পক্ষে ব্যাপক গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
‘জামায়াত আমাকে মনোনয়ন দেওয়ার পরই একটি মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার, মিথ্যা প্রোপাগান্ডা শুরু করেছে। যা প্রমাণ করে এটা গভীর ষড়যন্ত্রেরই একটি অংশ।’
জামায়াতের সনাতন শাখার এই নেতা বলেন, ‘আমাকে খুলনা-১ আসনে মনোনয়ন দেওয়ার আগে সেখানে জামায়াতের প্রার্থী ছিলেন দলের বটিয়াঘাটা উপজেলা আমির মাওলানা শেখ মোহাম্মদ আবু ইউসুফ। তাঁকে পরিবর্তন করে আমাকে প্রার্থী ঘোষণা দেওয়ার পরপরই মাওলানা শেখ মোহাম্মদ আবু ইউসুফ আমাকে সমর্থন করেন এবং আমরা একসঙ্গে নির্বাচনী প্রচারণার কাজ করি। আমাদের ভেতরে কোনো ভুল-বোঝাবুঝি নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওয়ার্ল্ড হিন্দু স্ট্রাইগল কমিটির নেতা শিপন কুমার বসুর সঙ্গে আমার টেলিফোনে পরিচয় হয়। ব্যবসার স্বার্থে তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। ভারতে গিয়ে তার বাসায় খেয়েছি। কিন্তু সে এভাবে (ফেসবুকে ছড়াবে) করবে বুঝতে পারিনি।’
এক প্রশ্নের জবাবে কৃষ্ণ নন্দী বলেন, ‘বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগ নেই। ইসরায়েলের গুপ্তচর মোসাদের মেনদি সাফাদিকে চিনি না।’ ৫ আগস্ট তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দুষ্কৃতকারীরা আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আমি জিডি করে রেখেছি। পরে পুলিশ তদন্ত করে বের করবে কারা জড়িত।’
এ সময় জামায়াতের সনাতন কমিটি ডুমুরিয়া উপজেলা সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) ডা. হরিদাস মণ্ডল, সেক্রেটারি অধ্যক্ষ দেবপ্রসাদ মণ্ডল, কোষাধ্যক্ষ গৌতম মণ্ডল, জলমা ইউনিয়ন শাখার সভাপতি বাদল রায়, জামায়াতে ইসলামীর বটিয়াঘাটা উপজেলা আমির মোহাম্মদ শেখ আবু ইউসুফসহ বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

কক্সবাজারের উপকূলীয় সাতটি উপজেলা এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও পটিয়ায় চলতি মৌসুমে পুরোদমে লবণ উৎপাদন শুরু হয়েছে। গত ২০ ও ২১ মার্চ হালকা বৃষ্টিপাতের কারণে দুই-তিন দিন লবণ উৎপাদন ব্যাহত হয়। তবে গত রোববার থেকে চাষিরা পুনরায় লবণ উৎপাদনে মাঠে নেমেছেন।
২৮ মার্চ ২০২৪
সরকার নির্ধারিত দাম অগ্রাহ্য করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও অতিরিক্ত দামে সার-কীটনাশক বিক্রির প্রতিবাদে লালমনিরহাট–বুড়িমারী মহাসড়ক অবরোধ করেছেন কৃষকেরা। আপ বৃহস্পতিবার দুপুরে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী ইউনিয়নের ভুল্যারহাট বাজার এলাকায় ডিলারের কাছ থেকে সার না পেয়ে ক্ষুব্ধ কৃষকেরা....
৩৩ মিনিট আগে
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বরখাস্তকৃত অতিরিক্ত কর কমিশনার মির্জা আশিক রানা ও সিটি ব্যাংক পিএলসির জনসন রোড শাখার অ্যাসোসিয়েট রিলেশনশিপ ম্যানেজার সারোয়ার হোসেনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের অবকাশকালীন বেঞ্চের বিচারক আব্দুল্লাহ আল
১ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সেন্ট মার্টিনসংলগ্ন সমুদ্র এলাকায় মিয়ানমারে পাচারের সময় বিপুল পরিমাণ সিমেন্টসহ ১১ জন পাচারকারীকে আটক করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক।
১ ঘণ্টা আগে