Ajker Patrika

সিনহা হত্যা মামলায় বিচার শুরু

প্রতিনিধি, কক্সবাজার
সিনহা হত্যা মামলায় বিচার শুরু

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় বিচার শুরু হয়েছে। সোমবার সকাল সোয়া ১০টায় কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে দেশের আলোচিত এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে বিচার কার্যক্রম শুরু করা হয়। টানা তিন দিন এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে বলে আদালত সূত্র জানা যায়।

এই তিন দিনে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আদালতে ৮৩ সাক্ষীর মধ্যে বাদীসহ ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য সমন জারি করেছে। কক্সবাজার আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম জানান, জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈলের আদালতে এ মামলায় আগামী ২৫ আগস্ট পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণ চলবে। সকাল সোয়া ১০টায় মামলার বাদী ও সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌসের সাক্ষ্যদানের মধ্য দিয়ে বিচারকাজ শুরু করা হয়েছে। আজ তাঁর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে, যা আগামীকাল সকাল ১০টায় পুনরায় শুরু হবে।

এর আগে এ মামলার ১৫ জন আসামিকে কড়া পুলিশ পাহারায় সকাল ১০টায় কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়।

আদালতের পিপি জানান, গত ২৬,২৭ ও ২৮ জুলাই সাক্ষ্যদানের দিন ধার্য থাকলেও করোনা ভাইরাসের মহামারির কারণে আদালতের কার্যক্রম স্থগিত থাকায় তা পিছিয়ে যায়। পরে গত ১৬ আগস্ট আদালত ২৩,২৪ ও ২৫ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করে আদেশ দেন।

পিপি ফরিদুল আলম আরও জানান, গত ২৭ জুন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এ মামলার অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ২৬ থেকে ২৮ জুলাই দিন ধার্য করেছিলেন।

প্রথম দফায় তিন দিনের এ মামলার মোট ৮৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনকে আদালতে উপস্থিত থাকতে সমন জারি করা হয়েছে। এদের মধ্যে মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস আজ সোমবার সাক্ষ্য দিয়েছেন। আগামীকাল মঙ্গলবারও তার সাক্ষ্যগ্রহণ মধ্য দিয়ে আদালতের কার্যক্রম শুরু করা হবে।

মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বলেন, আমি আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছি। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা আমাকে জেরা করেছেন। আমাদের একটাই দাবি, এ মামলায় যারা আসামি তাদের যেন সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হয়।

উল্লেখ্য, গত বছর ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় সেই সময় সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় লিয়াকত আলীকে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে র্যাবকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় একটি এবং রামু থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করে। সিনহা নিহতের ৬ দিন পর সাবেক পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও সাবেক ওসি প্রদীপসহ সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার অভিযোগে টেকনাফ থানায় পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষী এবং শামলাপুর চেকপোস্টে ঘটনার সময় দায়িত্ব পালনকারী আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। একপর্যায়ে পলাতক থাকা অবস্থায় টেকনাফ থানার সাবেক কনস্টেবল রুবেল শর্মাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

সর্বশেষ গত ২৪ জুন মামলার একমাত্র পলাতক থাকা আসামি টেকনাফ থানার সাবেক এএসআই সাগর দেব আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আত্মসমর্পণকারী সাবেক এএসআই সাগর দেব ছাড়া র‍্যাব ১৪ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালায়। এদের মধ্যে ওসি প্রদীপ ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা ছাড়া অন্য ১২ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তদন্ত শেষে গত বছর ১৩ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন র‍্যাব ১৫-তে দায়িত্বরত সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

মামলার আসামিরা হলেন, বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের সাবেক পরিদর্শক লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল-মামুন, মোহাম্মদ মোস্তফা, এপিবিএনের তিন সদস্য এসআই মোহাম্মদ শাহজাহান, কনস্টেবল মোহাম্মদ রাজীব, মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, পুলিশের মামলার তিন সাক্ষী নুরুল আমিন, নেজাম উদ্দিন, মোহাম্মদ আয়াজ, টেকনাফ থানার সাবেক কনস্টেবল রুবেল শর্মা ও সাবেক এএসআই সাগর দেব।

গত ২৭ জুন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ইসমাইল এ মামলার অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য গত ২৬ থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত দিন ধার্য করেন। এতে সাক্ষী করা হয় ৮৩ জনকে। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে ওই ধার্য দিনগুলোতে সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে যায়। এ দিকে সকাল সাড়ে ৯টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সিনহা হত্যায় জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে অসহায় নির্যাতিত জনগণের ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কেসিসির অভিযান

খুলনা প্রতিনিধি
খুলনা মহানগরীর খালিশপুরে উচ্ছেদ অভিযান। ছবি: সংগৃহীত
খুলনা মহানগরীর খালিশপুরে উচ্ছেদ অভিযান। ছবি: সংগৃহীত

খুলনা মহানগরীর খালিশপুরস্থ (১২ নম্বর ওয়ার্ডের) হাউসিং এস্টেটের ১৬৪ নম্বর সড়ক ও সড়কসংলগ্ন ড্রেনের জমির ওপর অবৈধভাবে নির্মিত ভবন ও স্থাপনাসমূহের অংশবিশেষ অপসারণ করা হয়েছে।

খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কোহিনুর জাহানের নেতৃত্বে আজ বুধবার দিনব্যাপী এই অপসারণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

কেসিসির এস্টেট অফিসার গাজী সালাউদ্দিন জানান, ইতিপূর্বে কেসিসির পক্ষ থেকে সড়কের ওপর নির্মিত স্থাপনাসমূহ অপসারণের জন্য বলা হলেও অধিকাংশ মালিক অবৈধ অংশ নিজ উদ্যোগে অপসারণ করেন। কিন্তু যে মালিকেরা নিজ উদ্যোগে অপসারণ করেননি, আজ কেসিসির উদ্যোগে তাঁদের স্থাপনাসমূহের অবৈধ অংশ অপসারণ করা হয়।

এ ছাড়া অপসারণ কার্যক্রম পরিচালনাকালে হাউসিং এস্টেটের ১৮ নম্বর সড়কের ফুটপাতের ওপর ফ্রিজসহ অন্যান্য মালামাল রেখে জনসাধারণের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার অপরাধে শাম্মী স্টোরের স্বত্বাধিকারী আমিনুল ইসলাম ও ডিপার্টমেন্টাল স্টোর হাটবাজারের স্বত্বাধিকারী ইমরান খানকে এক হাজার টাকা করে জরিমানা করে তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়।

কেসিসি ও মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যরা অপসারণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। জনস্বার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শ্রমিক-কর্মচারীদের আন্দোলনে রাসিকে অচলাবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহীর নগর ভবনের সামনে আন্দোলনরত শ্রমিক-কর্মচারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজশাহীর নগর ভবনের সামনে আন্দোলনরত শ্রমিক-কর্মচারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

দৈনিক মজুরিভিত্তিক শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনের কারণে রাজশাহী সিটি করপোরেশনে (রাসিক) অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁরা নগর ভবনের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে আন্দোলন করেন। আজ বুধবার সকাল থেকেও সারা দিন প্রধান ফটক অবরোধ করে আন্দোলন করেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিক-কর্মচারীরা। এর ফলে কোনো সেবাগ্রহীতা কিংবা রাসিকের শীর্ষ কর্মকর্তারা নগর ভবনে প্রবেশ করতে পারেননি।

আজ সকালের দিকে বিক্ষোভকারীরা নগর ভবনের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এতে প্রতিটি বিভাগের দাপ্তরিক কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের বড় অংশই পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মচারী। তাঁরা কর্মবিরতি শুরু করায় ইতিমধ্যে ‘পরিচ্ছন্ন নগরী’ হিসেবে পরিচিত রাজশাহীতে ময়লা-আবর্জনা অপসারণে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।

দৈনিক মজুরিভিত্তিক শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিভিন্ন বিভাগে অস্থায়ীভাবে প্রায় আড়াই হাজার শ্রমিক-কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। এর মধ্যে পরিচ্ছন্নতা বিভাগের বেশি। এসব শ্রমিকের প্রতিদিনের নির্ধারিত মজুরি ৬০০ টাকা হলেও বাস্তবে পাচ্ছেন ৪৮৪ টাকা করে। এ ছাড়া কোনো দিন কাজে অনুপস্থিত থাকলে তাঁরা বেতন-ভাতার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন।

তাঁরা বলছেন, গত জানুয়ারিতে সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীদের মজুরি বাড়ানো হয়েছে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, দক্ষ শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৭৫০ টাকা ও অদক্ষ শ্রমিকদের ৭০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু রাসিক এখনো সেটি বাস্তবায়ন করেনি।

প্রধান ফটক অবরোধ রেখে সমাবেশ চলাকালে বক্তারা বলেন, সব শ্রমিক-কর্মচারীর মাসিক বেতন ন্যূনতম ২২ হাজার ৫০০ টাকা করতে হবে। মাসের তিন তারিখের মধ্যে বেতন প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত উৎসব ভাতাও চালু করতে হবে। কোনো শ্রমিককে বিনা কারণে চাকরিচ্যুত করা যাবে না; যদি কোনো অনিয়ম ঘটে, তবে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে হবে। চাকরি স্থায়ী করতে হবে এবং চাকরি শেষ হলে পাঁচ লাখ টাকা দিতে হবে।

পরিবহন শাখার গাড়িচালক ইসমাইল হোসেন বলেন, সরকারি প্রজ্ঞাপন জারির পর রাসিক প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার খন্দকার আজিম আহমেদ একটি কমিটি গঠন করেছিলেন। রাসিকের সচিব ছিলেন ওই কমিটির প্রধান। কমিটির শ্রমিক-কর্মচারীদের মজুরি নির্ধারণ করে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা থাকলেও গত তিন মাসে কোনো বৈঠক হয়নি। ফলে বেতনও বাড়েনি।

পরিচ্ছন্নতা বিভাগের ভ্যানচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘চার মাস আগে ভ্যানে আবর্জনা তুলতে গিয়ে ইনজেকশনের সিরিঞ্জ পায়ে ঢুকে যায়। তিন মাস চিকিৎসা নিতে হয়েছে। কিন্তু সিটি করপোরেশন চিকিৎসা ব্যয় দেয়নি, বরং কাজ করতে না পারায় বেতন বন্ধ করে দিয়েছে। এখন পরিবার নিয়ে আমি চরম অসহায় অবস্থায় আছি।’

করপোরেশনের প্রবেশদ্বারে শ্রমিক-কর্মচারীদের আন্দোলনের কারণে আজ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম, প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) আহমদ আল মঈন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ মো. নূর ঈ সাঈদ, প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা শেখ মো. মামুন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এফ এ এম আঞ্জুমান আরা বেগমসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা সিটি ভবনে প্রবেশ করতে পারেননি। ফলে দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সেবাগ্রহীতারা। আগের দিন শীর্ষ কর্মকর্তারা নগর ভবনের বাইরে একটি সভায় যোগ দিতে গিয়েছিলেন। শ্রমিক-কর্মচারীদের বিক্ষোভের খবর পেয়ে এ দিন তাঁরা অফিসেই আসেননি।

এ বিষয়ে রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, ‘দৈনিক মজুরিভিত্তিক শ্রমিক-কর্মচারীদের দাবি আমরা পর্যালোচনা করছি। তবে তাঁরা বেশ কিছু বেআইনি দাবি তুলেছেন। সবকিছু আইনের মধ্যেই করা হবে। তাঁদের আন্দোলনে কারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, সেটা স্পষ্ট নয়। তাঁদের নেতা পাওয়া যাচ্ছে না। এর পেছনে কারও ইন্ধন রয়েছে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জাতীয়করণের দাবিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশত মাদ্রাসাশিক্ষক আহত

ঢামেক প্রতিবেদক
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত আহত মাদ্রাসাশিক্ষকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত আহত মাদ্রাসাশিক্ষকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশত মাদ্রাসাশিক্ষক আহত হয়েছেন। আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে আহত অবস্থায় তাঁদের চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

আহত শিক্ষকেরা হলেন নজরুল ইসলাম (৫৫), ওসমান গনি (৩৫), আব্দুল জলিল (৪৫), মাসুদ আলম (৬০), আহমদ আলী (৪৫), রুহুল আমিন (৪৫), আব্দুল হাদী (৩২), রেজাউল ইসলাম (৩৫), শাহ আলম (৫৫), নুরুল ইসলাম (৫০), মো. শাহাবুদ্দিন (৩০), মোরশেদ আলম (৪৫), রুবিনা আক্তার (৩৮), আরিফুর রহমান(৩৫), আজিজুলহক (৩৫), কুলসুম আক্তার (৩৫), শাহ আলম (৪৫), আব্দুস সালামসহ (৪১) অনেকে।

ঢামেকে আহত কয়েকজন শিক্ষক জানান, তাঁরা ১৭ দিন ধরে প্রেসক্লাবে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট করছিলেন। আজকে দুপুরে বিক্ষোভ-মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে দিয়ে সচিবালয়ের দিকে যাচ্ছিলেন তাঁরা। এ সময় পুলিশ সদস্যরা তাঁদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড, জলকামান ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেন। এতে প্রায় অর্ধশত শিক্ষক আহত হন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক বলেন, প্রেসক্লাব এলাকা থেকে প্রায় অর্ধশত শিক্ষক আহত হয়ে হাসপাতালে এসেছেন। জরুরি বিভাগে তাঁদের চিকিৎসা চলছে।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মুনসুর বলেন, দুপরের দিকে শিক্ষকেরা বিক্ষোভ-মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাবের পাশে সচিবালয়ের ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ সদস্যরা বাধা দিলে তাঁদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। পরে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস, জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

স্বামী হত্যার অভিযোগে স্ত্রী আটক

শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার নন্দলালপুর গ্রামে স্বামী হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত গৃহবধূকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ। নিহত আব্দুল করীম (২৫) উপজেলার নন্দলালপুর গ্রামের নবী মণ্ডলের ছেলে।

সরেজমিনে জানা যায়, এক মাস আগে নন্দলালপুর গ্রামের নবী মণ্ডলের ছেলে আব্দুল করীম সাঁথিয়া উপজেলার বাঐটোলা গ্রামের হাচেন আলীর মেয়ে তানজিলা খাতুনকে বিয়ে করেন। গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) দিবাগত রাতে তানজিলা তাঁর স্বামীকে ওষুধ খাওয়ান। এর কিছুক্ষণ পরেই পেটে জালাপোড়া শুরু হলে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হয়। পরে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে প্রথমে স্থানীয় নূরজাহান হাসপাতাল, পরে এনায়েতপুর খাজা ইউনুস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের বাবা নবী মণ্ডল বলেন, ‘রাতে আমার ছেলেকে কৃমির ওষুধ খাওয়ানোর কথা বলে গ্যাস ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়েছে। এরপর পেটে ব্যথা শুরু হয়। নুরজাহান হাসপাতালের ডাক্তার দেখার পরে খাজা ইউনুস হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেয়। সেখানে নিয়ে গেলে আমার ছেলে মারা যায়।’

শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আছলাম আলী বলেন, এখনো কোনো মামলা হয়নি। গৃহবধূকে এখনো জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত