জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম

দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথের এখনো বড় বাধা কালুরঘাট সেতু। বিশেষ করে সেতু সংস্কারের মধ্যেই ১৯টি স্প্যানের নিচের মাটি সরে যাওয়ায় নতুন করে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারী ট্রেন চলাচল নিয়ে তাই সংশয় প্রকাশ করেছে খোদ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এই সেতু দিয়ে চালককে ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে ট্রেন চালাতে বারণ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কক্সবাজার রুটের ট্রেন চালু করতে অনেকটা তাড়াহুড়া করেই সেতুটিকে সংস্কার করা হয়। সেতুর পুরোপুরি কাজ শেষ হতে অন্তত আরও তিন মাস সময় লাগবে। যদিও ট্রায়াল রানে এই সেতু দিয়ে ঠিকঠাক মতোই ট্রেন গেছে।
এর আগে রেলওয়ের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ পাওয়ার পর গত বছরের ৯ অক্টোবর বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও পর্যবেক্ষক দলের প্রধান ড. এ এফ এম সাইফুল আমিন, অধ্যাপক ড. খান মাহমুদ আমানত ও ড. আব্দুল জব্বার খান কালুরঘাট সেতু পরিদর্শন করেন। ওই বছরের ৪ ডিসেম্বর রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) আহসান জাবিরের কাছে পরিদর্শনের প্রতিবেদন জমা দেন। সেখানে সেতু সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
পর্যবেক্ষকেরা পুরাতন কালুরঘাট সেতুতে সেতুর জানালিহাট অংশে আবৃত প্রাচীর এবং সুরক্ষা দেয়ালে ফাটলসহ বড় ধরনের ছয়টি ত্রুটি পান। এমন অবস্থায় কর্ণফুলী নদীতে নতুন রেলসেতু নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত কালুরঘাট সেতু দিয়েই ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেন চালাতে অনড় থাকে রেলওয়ে। সংস্কারে করে ট্রেন চালানোর জন্য পরামর্শ চাইলে বুয়েট ৭ কোটি টাকায় পরামর্শ দিতে রাজি হয়।
বুয়েটের পরামর্শ অনুযায়ী সেতুটিকে কক্সবাজার রুটের ট্রেন চলাচলের উপযোগী করা হচ্ছে। সেতু মেরামতের কাজ পায় ম্যাক্স। ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ৪৪ কোটি টাকার চুক্তি হয়। সংস্কারের মধ্যে প্রায় শতবর্ষী ও মেয়াদোত্তীর্ণ সেতুর ১৯টি স্প্যানের নিচের মাটি সরে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। ফলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলতে হচ্ছে সেতুতে। তবে শীত মৌসুমে নদীর স্রোত কমে এলেই নতুন সমীক্ষা করে জিও ব্যাগ ফেলা হবে বলে জানায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। এ ক্ষেত্রে নদী শাসনসহ সংস্কারে প্রাথমিক পরিকল্পনার চেয়ে ব্যয় বাড়বে বলে মনে করছে তারা।
শুরু থেকে এই সেতুর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আছেন কালুরঘাট সেতুর ফোকাল পারসন ও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) মো. গোলাম মোস্তফা। তিনি বলেন, বুয়েটের কাছ থেকে ২৫ এক্সেল লোডের ট্রেন চালানোর উপযোগী নকশা চাওয়া হয়। তারা যে নকশা দিয়েছে, সে অনুযায়ী কাজ করছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
তিনি বলেন, বর্তমানে শুধু ট্রেন চালানোর উপযোগী করা হয়েছে। সেতুর পুরোপুরি কাজ এখনো শেষ হয়নি। শেষ হতে আরও সময় লাগবে।
রেলওয়ে ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, বুয়েটের পরামর্শে নতুন নির্মাণ পর্যন্ত বিদ্যমান সেতু দিয়ে ভারী ট্রেন চলাচলের জন্য অন্তত ৬০ কোটি টাকার একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়। সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডকে যোগ্য দরদাতা নির্বাচিত করে চুক্তি স্বাক্ষর করে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কর্তৃপক্ষ। চুক্তি অনুযায়ী সেতুটি মেরামতে আট মাস সময় পাচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। যদিও সেতু মেরামত শুরু করতে অন্তত দেড় মাস সময়ক্ষেপণ করা হয়।
প্রথম পর্যায়ে তিন মাসের মধ্যে সেতুটি ট্রেন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার চুক্তি ছিল। কিন্তু সেতুর ১৯টি স্প্যানের নদীর তলদেশের মাটি সরে যাওয়ায় জিও ব্যাগের মাধ্যমে বালু ফেলার পরিকল্পনা রয়েছে। শুরুতে ২০-২৫ হাজার জিও ব্যাগ ফেলার কথা থাকলেও বর্তমানে অন্তত ৬০ হাজার ব্যাগ বালু দিতে হবে বলে জানিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এতে সেতু দিয়ে নিরাপদ ট্রেন চলাচলে ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়াও লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্সের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মেহেদী হাসান বলেন, কালুরঘাট সেতুর পুরোপুরি কাজ শেষ হতে আরও আড়াই থেকে তিন মাস সময় লাগবে। এখন শুধু ট্রেন চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয় ২০১০ সালে। ওই সময় কালুরঘাট সেতুর বিষয়টি প্রকল্পে অন্তভুক্ত করলে এত দিন নতুন সেতু হয়ে যেত। ফলে প্রতিবছর কালুরঘাট সেতু নিয়ে অর্থ ব্যয় হতো না। প্রকৌশল দপ্তর জানিয়েছে, ২০০২ সালে কালুরঘাট সেতুটি মেয়াদোত্তীর্ণ ঘোষণা করার পর প্রতি বছর সংস্কার করা হতো। প্রতিবছর গড়ে ৫০ লাখ টাকা সংস্কারকাজে খরচ হয়। সে হিসাবে ২০ বছরে ১০ কোটি টাকা, আর এখন মোট মিলিয়ে ৭০ কোটি টাকার মতো অপচয় হতো না।
রেলওয়ের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা এস এম সলিমুল্লাহ বাহার বলেন, মূলত ২০১৯ সালে নতুন কালুরঘাট সেতু নির্মাণের জন্য আলাদা প্রস্তাবনা আসে। এখন নতুন কালুরঘাট সেতু হবে। যেহেতু এখনই নতুন সেতু সম্ভব নয়, সে জন্য পুরাতন সেতুকে ট্রেন চালানোর উপযোগী করাই লক্ষ্য।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক আখতার কবির চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০১০ সালে হাতে নেওয়া প্রকল্পটিতে কেন কালুরঘাট সেতুর বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি? তখন বিষয়টি প্রকল্পে আনলে বাড়তি এই ব্যয় হতো না। পাশাপাশি নতুন সেতুও হতো, ঠিক সময়ে কক্সবাজার লাইনে ট্রেনও চলত। এটি মূলত তাঁরা ইচ্ছে করেই করেন, নতুন কিছু মানেই লুটপাট।’

দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথের এখনো বড় বাধা কালুরঘাট সেতু। বিশেষ করে সেতু সংস্কারের মধ্যেই ১৯টি স্প্যানের নিচের মাটি সরে যাওয়ায় নতুন করে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারী ট্রেন চলাচল নিয়ে তাই সংশয় প্রকাশ করেছে খোদ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এই সেতু দিয়ে চালককে ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে ট্রেন চালাতে বারণ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কক্সবাজার রুটের ট্রেন চালু করতে অনেকটা তাড়াহুড়া করেই সেতুটিকে সংস্কার করা হয়। সেতুর পুরোপুরি কাজ শেষ হতে অন্তত আরও তিন মাস সময় লাগবে। যদিও ট্রায়াল রানে এই সেতু দিয়ে ঠিকঠাক মতোই ট্রেন গেছে।
এর আগে রেলওয়ের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ পাওয়ার পর গত বছরের ৯ অক্টোবর বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও পর্যবেক্ষক দলের প্রধান ড. এ এফ এম সাইফুল আমিন, অধ্যাপক ড. খান মাহমুদ আমানত ও ড. আব্দুল জব্বার খান কালুরঘাট সেতু পরিদর্শন করেন। ওই বছরের ৪ ডিসেম্বর রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) আহসান জাবিরের কাছে পরিদর্শনের প্রতিবেদন জমা দেন। সেখানে সেতু সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
পর্যবেক্ষকেরা পুরাতন কালুরঘাট সেতুতে সেতুর জানালিহাট অংশে আবৃত প্রাচীর এবং সুরক্ষা দেয়ালে ফাটলসহ বড় ধরনের ছয়টি ত্রুটি পান। এমন অবস্থায় কর্ণফুলী নদীতে নতুন রেলসেতু নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত কালুরঘাট সেতু দিয়েই ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেন চালাতে অনড় থাকে রেলওয়ে। সংস্কারে করে ট্রেন চালানোর জন্য পরামর্শ চাইলে বুয়েট ৭ কোটি টাকায় পরামর্শ দিতে রাজি হয়।
বুয়েটের পরামর্শ অনুযায়ী সেতুটিকে কক্সবাজার রুটের ট্রেন চলাচলের উপযোগী করা হচ্ছে। সেতু মেরামতের কাজ পায় ম্যাক্স। ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ৪৪ কোটি টাকার চুক্তি হয়। সংস্কারের মধ্যে প্রায় শতবর্ষী ও মেয়াদোত্তীর্ণ সেতুর ১৯টি স্প্যানের নিচের মাটি সরে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। ফলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলতে হচ্ছে সেতুতে। তবে শীত মৌসুমে নদীর স্রোত কমে এলেই নতুন সমীক্ষা করে জিও ব্যাগ ফেলা হবে বলে জানায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। এ ক্ষেত্রে নদী শাসনসহ সংস্কারে প্রাথমিক পরিকল্পনার চেয়ে ব্যয় বাড়বে বলে মনে করছে তারা।
শুরু থেকে এই সেতুর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আছেন কালুরঘাট সেতুর ফোকাল পারসন ও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) মো. গোলাম মোস্তফা। তিনি বলেন, বুয়েটের কাছ থেকে ২৫ এক্সেল লোডের ট্রেন চালানোর উপযোগী নকশা চাওয়া হয়। তারা যে নকশা দিয়েছে, সে অনুযায়ী কাজ করছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
তিনি বলেন, বর্তমানে শুধু ট্রেন চালানোর উপযোগী করা হয়েছে। সেতুর পুরোপুরি কাজ এখনো শেষ হয়নি। শেষ হতে আরও সময় লাগবে।
রেলওয়ে ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, বুয়েটের পরামর্শে নতুন নির্মাণ পর্যন্ত বিদ্যমান সেতু দিয়ে ভারী ট্রেন চলাচলের জন্য অন্তত ৬০ কোটি টাকার একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়। সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডকে যোগ্য দরদাতা নির্বাচিত করে চুক্তি স্বাক্ষর করে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কর্তৃপক্ষ। চুক্তি অনুযায়ী সেতুটি মেরামতে আট মাস সময় পাচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। যদিও সেতু মেরামত শুরু করতে অন্তত দেড় মাস সময়ক্ষেপণ করা হয়।
প্রথম পর্যায়ে তিন মাসের মধ্যে সেতুটি ট্রেন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার চুক্তি ছিল। কিন্তু সেতুর ১৯টি স্প্যানের নদীর তলদেশের মাটি সরে যাওয়ায় জিও ব্যাগের মাধ্যমে বালু ফেলার পরিকল্পনা রয়েছে। শুরুতে ২০-২৫ হাজার জিও ব্যাগ ফেলার কথা থাকলেও বর্তমানে অন্তত ৬০ হাজার ব্যাগ বালু দিতে হবে বলে জানিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এতে সেতু দিয়ে নিরাপদ ট্রেন চলাচলে ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়াও লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্সের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মেহেদী হাসান বলেন, কালুরঘাট সেতুর পুরোপুরি কাজ শেষ হতে আরও আড়াই থেকে তিন মাস সময় লাগবে। এখন শুধু ট্রেন চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয় ২০১০ সালে। ওই সময় কালুরঘাট সেতুর বিষয়টি প্রকল্পে অন্তভুক্ত করলে এত দিন নতুন সেতু হয়ে যেত। ফলে প্রতিবছর কালুরঘাট সেতু নিয়ে অর্থ ব্যয় হতো না। প্রকৌশল দপ্তর জানিয়েছে, ২০০২ সালে কালুরঘাট সেতুটি মেয়াদোত্তীর্ণ ঘোষণা করার পর প্রতি বছর সংস্কার করা হতো। প্রতিবছর গড়ে ৫০ লাখ টাকা সংস্কারকাজে খরচ হয়। সে হিসাবে ২০ বছরে ১০ কোটি টাকা, আর এখন মোট মিলিয়ে ৭০ কোটি টাকার মতো অপচয় হতো না।
রেলওয়ের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা এস এম সলিমুল্লাহ বাহার বলেন, মূলত ২০১৯ সালে নতুন কালুরঘাট সেতু নির্মাণের জন্য আলাদা প্রস্তাবনা আসে। এখন নতুন কালুরঘাট সেতু হবে। যেহেতু এখনই নতুন সেতু সম্ভব নয়, সে জন্য পুরাতন সেতুকে ট্রেন চালানোর উপযোগী করাই লক্ষ্য।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক আখতার কবির চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০১০ সালে হাতে নেওয়া প্রকল্পটিতে কেন কালুরঘাট সেতুর বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি? তখন বিষয়টি প্রকল্পে আনলে বাড়তি এই ব্যয় হতো না। পাশাপাশি নতুন সেতুও হতো, ঠিক সময়ে কক্সবাজার লাইনে ট্রেনও চলত। এটি মূলত তাঁরা ইচ্ছে করেই করেন, নতুন কিছু মানেই লুটপাট।’
জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম

দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথের এখনো বড় বাধা কালুরঘাট সেতু। বিশেষ করে সেতু সংস্কারের মধ্যেই ১৯টি স্প্যানের নিচের মাটি সরে যাওয়ায় নতুন করে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারী ট্রেন চলাচল নিয়ে তাই সংশয় প্রকাশ করেছে খোদ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এই সেতু দিয়ে চালককে ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে ট্রেন চালাতে বারণ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কক্সবাজার রুটের ট্রেন চালু করতে অনেকটা তাড়াহুড়া করেই সেতুটিকে সংস্কার করা হয়। সেতুর পুরোপুরি কাজ শেষ হতে অন্তত আরও তিন মাস সময় লাগবে। যদিও ট্রায়াল রানে এই সেতু দিয়ে ঠিকঠাক মতোই ট্রেন গেছে।
এর আগে রেলওয়ের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ পাওয়ার পর গত বছরের ৯ অক্টোবর বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও পর্যবেক্ষক দলের প্রধান ড. এ এফ এম সাইফুল আমিন, অধ্যাপক ড. খান মাহমুদ আমানত ও ড. আব্দুল জব্বার খান কালুরঘাট সেতু পরিদর্শন করেন। ওই বছরের ৪ ডিসেম্বর রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) আহসান জাবিরের কাছে পরিদর্শনের প্রতিবেদন জমা দেন। সেখানে সেতু সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
পর্যবেক্ষকেরা পুরাতন কালুরঘাট সেতুতে সেতুর জানালিহাট অংশে আবৃত প্রাচীর এবং সুরক্ষা দেয়ালে ফাটলসহ বড় ধরনের ছয়টি ত্রুটি পান। এমন অবস্থায় কর্ণফুলী নদীতে নতুন রেলসেতু নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত কালুরঘাট সেতু দিয়েই ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেন চালাতে অনড় থাকে রেলওয়ে। সংস্কারে করে ট্রেন চালানোর জন্য পরামর্শ চাইলে বুয়েট ৭ কোটি টাকায় পরামর্শ দিতে রাজি হয়।
বুয়েটের পরামর্শ অনুযায়ী সেতুটিকে কক্সবাজার রুটের ট্রেন চলাচলের উপযোগী করা হচ্ছে। সেতু মেরামতের কাজ পায় ম্যাক্স। ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ৪৪ কোটি টাকার চুক্তি হয়। সংস্কারের মধ্যে প্রায় শতবর্ষী ও মেয়াদোত্তীর্ণ সেতুর ১৯টি স্প্যানের নিচের মাটি সরে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। ফলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলতে হচ্ছে সেতুতে। তবে শীত মৌসুমে নদীর স্রোত কমে এলেই নতুন সমীক্ষা করে জিও ব্যাগ ফেলা হবে বলে জানায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। এ ক্ষেত্রে নদী শাসনসহ সংস্কারে প্রাথমিক পরিকল্পনার চেয়ে ব্যয় বাড়বে বলে মনে করছে তারা।
শুরু থেকে এই সেতুর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আছেন কালুরঘাট সেতুর ফোকাল পারসন ও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) মো. গোলাম মোস্তফা। তিনি বলেন, বুয়েটের কাছ থেকে ২৫ এক্সেল লোডের ট্রেন চালানোর উপযোগী নকশা চাওয়া হয়। তারা যে নকশা দিয়েছে, সে অনুযায়ী কাজ করছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
তিনি বলেন, বর্তমানে শুধু ট্রেন চালানোর উপযোগী করা হয়েছে। সেতুর পুরোপুরি কাজ এখনো শেষ হয়নি। শেষ হতে আরও সময় লাগবে।
রেলওয়ে ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, বুয়েটের পরামর্শে নতুন নির্মাণ পর্যন্ত বিদ্যমান সেতু দিয়ে ভারী ট্রেন চলাচলের জন্য অন্তত ৬০ কোটি টাকার একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়। সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডকে যোগ্য দরদাতা নির্বাচিত করে চুক্তি স্বাক্ষর করে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কর্তৃপক্ষ। চুক্তি অনুযায়ী সেতুটি মেরামতে আট মাস সময় পাচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। যদিও সেতু মেরামত শুরু করতে অন্তত দেড় মাস সময়ক্ষেপণ করা হয়।
প্রথম পর্যায়ে তিন মাসের মধ্যে সেতুটি ট্রেন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার চুক্তি ছিল। কিন্তু সেতুর ১৯টি স্প্যানের নদীর তলদেশের মাটি সরে যাওয়ায় জিও ব্যাগের মাধ্যমে বালু ফেলার পরিকল্পনা রয়েছে। শুরুতে ২০-২৫ হাজার জিও ব্যাগ ফেলার কথা থাকলেও বর্তমানে অন্তত ৬০ হাজার ব্যাগ বালু দিতে হবে বলে জানিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এতে সেতু দিয়ে নিরাপদ ট্রেন চলাচলে ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়াও লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্সের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মেহেদী হাসান বলেন, কালুরঘাট সেতুর পুরোপুরি কাজ শেষ হতে আরও আড়াই থেকে তিন মাস সময় লাগবে। এখন শুধু ট্রেন চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয় ২০১০ সালে। ওই সময় কালুরঘাট সেতুর বিষয়টি প্রকল্পে অন্তভুক্ত করলে এত দিন নতুন সেতু হয়ে যেত। ফলে প্রতিবছর কালুরঘাট সেতু নিয়ে অর্থ ব্যয় হতো না। প্রকৌশল দপ্তর জানিয়েছে, ২০০২ সালে কালুরঘাট সেতুটি মেয়াদোত্তীর্ণ ঘোষণা করার পর প্রতি বছর সংস্কার করা হতো। প্রতিবছর গড়ে ৫০ লাখ টাকা সংস্কারকাজে খরচ হয়। সে হিসাবে ২০ বছরে ১০ কোটি টাকা, আর এখন মোট মিলিয়ে ৭০ কোটি টাকার মতো অপচয় হতো না।
রেলওয়ের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা এস এম সলিমুল্লাহ বাহার বলেন, মূলত ২০১৯ সালে নতুন কালুরঘাট সেতু নির্মাণের জন্য আলাদা প্রস্তাবনা আসে। এখন নতুন কালুরঘাট সেতু হবে। যেহেতু এখনই নতুন সেতু সম্ভব নয়, সে জন্য পুরাতন সেতুকে ট্রেন চালানোর উপযোগী করাই লক্ষ্য।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক আখতার কবির চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০১০ সালে হাতে নেওয়া প্রকল্পটিতে কেন কালুরঘাট সেতুর বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি? তখন বিষয়টি প্রকল্পে আনলে বাড়তি এই ব্যয় হতো না। পাশাপাশি নতুন সেতুও হতো, ঠিক সময়ে কক্সবাজার লাইনে ট্রেনও চলত। এটি মূলত তাঁরা ইচ্ছে করেই করেন, নতুন কিছু মানেই লুটপাট।’

দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথের এখনো বড় বাধা কালুরঘাট সেতু। বিশেষ করে সেতু সংস্কারের মধ্যেই ১৯টি স্প্যানের নিচের মাটি সরে যাওয়ায় নতুন করে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারী ট্রেন চলাচল নিয়ে তাই সংশয় প্রকাশ করেছে খোদ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এই সেতু দিয়ে চালককে ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে ট্রেন চালাতে বারণ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কক্সবাজার রুটের ট্রেন চালু করতে অনেকটা তাড়াহুড়া করেই সেতুটিকে সংস্কার করা হয়। সেতুর পুরোপুরি কাজ শেষ হতে অন্তত আরও তিন মাস সময় লাগবে। যদিও ট্রায়াল রানে এই সেতু দিয়ে ঠিকঠাক মতোই ট্রেন গেছে।
এর আগে রেলওয়ের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ পাওয়ার পর গত বছরের ৯ অক্টোবর বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও পর্যবেক্ষক দলের প্রধান ড. এ এফ এম সাইফুল আমিন, অধ্যাপক ড. খান মাহমুদ আমানত ও ড. আব্দুল জব্বার খান কালুরঘাট সেতু পরিদর্শন করেন। ওই বছরের ৪ ডিসেম্বর রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) আহসান জাবিরের কাছে পরিদর্শনের প্রতিবেদন জমা দেন। সেখানে সেতু সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
পর্যবেক্ষকেরা পুরাতন কালুরঘাট সেতুতে সেতুর জানালিহাট অংশে আবৃত প্রাচীর এবং সুরক্ষা দেয়ালে ফাটলসহ বড় ধরনের ছয়টি ত্রুটি পান। এমন অবস্থায় কর্ণফুলী নদীতে নতুন রেলসেতু নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত কালুরঘাট সেতু দিয়েই ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেন চালাতে অনড় থাকে রেলওয়ে। সংস্কারে করে ট্রেন চালানোর জন্য পরামর্শ চাইলে বুয়েট ৭ কোটি টাকায় পরামর্শ দিতে রাজি হয়।
বুয়েটের পরামর্শ অনুযায়ী সেতুটিকে কক্সবাজার রুটের ট্রেন চলাচলের উপযোগী করা হচ্ছে। সেতু মেরামতের কাজ পায় ম্যাক্স। ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ৪৪ কোটি টাকার চুক্তি হয়। সংস্কারের মধ্যে প্রায় শতবর্ষী ও মেয়াদোত্তীর্ণ সেতুর ১৯টি স্প্যানের নিচের মাটি সরে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। ফলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলতে হচ্ছে সেতুতে। তবে শীত মৌসুমে নদীর স্রোত কমে এলেই নতুন সমীক্ষা করে জিও ব্যাগ ফেলা হবে বলে জানায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। এ ক্ষেত্রে নদী শাসনসহ সংস্কারে প্রাথমিক পরিকল্পনার চেয়ে ব্যয় বাড়বে বলে মনে করছে তারা।
শুরু থেকে এই সেতুর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আছেন কালুরঘাট সেতুর ফোকাল পারসন ও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) মো. গোলাম মোস্তফা। তিনি বলেন, বুয়েটের কাছ থেকে ২৫ এক্সেল লোডের ট্রেন চালানোর উপযোগী নকশা চাওয়া হয়। তারা যে নকশা দিয়েছে, সে অনুযায়ী কাজ করছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
তিনি বলেন, বর্তমানে শুধু ট্রেন চালানোর উপযোগী করা হয়েছে। সেতুর পুরোপুরি কাজ এখনো শেষ হয়নি। শেষ হতে আরও সময় লাগবে।
রেলওয়ে ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, বুয়েটের পরামর্শে নতুন নির্মাণ পর্যন্ত বিদ্যমান সেতু দিয়ে ভারী ট্রেন চলাচলের জন্য অন্তত ৬০ কোটি টাকার একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়। সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডকে যোগ্য দরদাতা নির্বাচিত করে চুক্তি স্বাক্ষর করে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কর্তৃপক্ষ। চুক্তি অনুযায়ী সেতুটি মেরামতে আট মাস সময় পাচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। যদিও সেতু মেরামত শুরু করতে অন্তত দেড় মাস সময়ক্ষেপণ করা হয়।
প্রথম পর্যায়ে তিন মাসের মধ্যে সেতুটি ট্রেন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার চুক্তি ছিল। কিন্তু সেতুর ১৯টি স্প্যানের নদীর তলদেশের মাটি সরে যাওয়ায় জিও ব্যাগের মাধ্যমে বালু ফেলার পরিকল্পনা রয়েছে। শুরুতে ২০-২৫ হাজার জিও ব্যাগ ফেলার কথা থাকলেও বর্তমানে অন্তত ৬০ হাজার ব্যাগ বালু দিতে হবে বলে জানিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এতে সেতু দিয়ে নিরাপদ ট্রেন চলাচলে ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়াও লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্সের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মেহেদী হাসান বলেন, কালুরঘাট সেতুর পুরোপুরি কাজ শেষ হতে আরও আড়াই থেকে তিন মাস সময় লাগবে। এখন শুধু ট্রেন চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয় ২০১০ সালে। ওই সময় কালুরঘাট সেতুর বিষয়টি প্রকল্পে অন্তভুক্ত করলে এত দিন নতুন সেতু হয়ে যেত। ফলে প্রতিবছর কালুরঘাট সেতু নিয়ে অর্থ ব্যয় হতো না। প্রকৌশল দপ্তর জানিয়েছে, ২০০২ সালে কালুরঘাট সেতুটি মেয়াদোত্তীর্ণ ঘোষণা করার পর প্রতি বছর সংস্কার করা হতো। প্রতিবছর গড়ে ৫০ লাখ টাকা সংস্কারকাজে খরচ হয়। সে হিসাবে ২০ বছরে ১০ কোটি টাকা, আর এখন মোট মিলিয়ে ৭০ কোটি টাকার মতো অপচয় হতো না।
রেলওয়ের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা এস এম সলিমুল্লাহ বাহার বলেন, মূলত ২০১৯ সালে নতুন কালুরঘাট সেতু নির্মাণের জন্য আলাদা প্রস্তাবনা আসে। এখন নতুন কালুরঘাট সেতু হবে। যেহেতু এখনই নতুন সেতু সম্ভব নয়, সে জন্য পুরাতন সেতুকে ট্রেন চালানোর উপযোগী করাই লক্ষ্য।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক আখতার কবির চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০১০ সালে হাতে নেওয়া প্রকল্পটিতে কেন কালুরঘাট সেতুর বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি? তখন বিষয়টি প্রকল্পে আনলে বাড়তি এই ব্যয় হতো না। পাশাপাশি নতুন সেতুও হতো, ঠিক সময়ে কক্সবাজার লাইনে ট্রেনও চলত। এটি মূলত তাঁরা ইচ্ছে করেই করেন, নতুন কিছু মানেই লুটপাট।’

শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল থেকে সরকারি ওষুধ ময়লার গাড়িতে করে পাচারের ঘটনায় সাত সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) হাসপাতালের চিকিৎসক মিজানুর রহমানকে প্রধান করে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
১৮ মিনিট আগে
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে কুশিয়ারা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হাসিনা আক্তার বুলুর (২২) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
২৫ মিনিট আগে
সাবিনা আক্তারকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হলে তাঁকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর মিরপুরে মোক্তাকিন বিল্লাহ ও আশরাফুল ইসলাম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তারা।
২৭ মিনিট আগে
ভোলার বোরহানউদ্দিনে ইটভাটায় কৃষিজমির মাটি ব্যবহারের জন্য এক ব্যক্তিকে এক লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার সাচড়া ইউনিয়নের রামকেশব গ্রামে এই অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রণজিৎ চন্দ্র দাস।
২৯ মিনিট আগেশরীয়তপুর প্রতিনিধি

শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল থেকে সরকারি ওষুধ ময়লার গাড়িতে করে পাচারের ঘটনায় সাত সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) হাসপাতালের চিকিৎসক মিজানুর রহমানকে প্রধান করে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে হাসপাতালের প্রধান ফটকে তল্লাশি চালিয়ে ওষুধসহ হাসপাতালটির দুই কর্মচারীকে আটক করেন আনসার সদস্যরা। পরে তাঁদের পুলিশে দেওয়া হয়। আটক কর্মচারীরা হলেন হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতাকর্মী টুবেল হরিজন (৩৫) ও ডোম সহকারী ইবাদুল মিয়া (৫৫)।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেলে হাসপাতালের প্রধান ফটকে দায়িত্ব পালন করছিলেন আনসার সদস্য আব্দুর রাজ্জাক। এ সময় টুবেল ও ইবাদুলকে একটি ময়লার ভ্যানগাড়িতে হাসপাতালের বিভিন্ন ব্যবহৃত সরঞ্জাম বহন করতে দেখে তাঁর সন্দেহ হয়। আনসার সদস্য আব্দুর রাজ্জাক ময়লার ভ্যানটি তল্লাশি করেন। তল্লাশিকালে ভ্যান থেকে সলবিয়ন ভিটামিন ওষুধের ১৮০টি বক্স উদ্ধার করা হয়। প্রতিটি বক্সে ৫০ পিস করে মোট ৯ হাজার পিস সরকারি ওষুধ পাওয়া যায়। উদ্ধার হওয়া ওষুধের মেয়াদ ২০২৭ সালের এপ্রিল পর্যন্ত উল্লেখ রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক দুজন আনসার সদস্যকে জানান, তাঁরা ওষুধগুলো হাসপাতালের বাইরে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ঘটনাটি তাৎক্ষণিকভাবে ক্যাম্প কমান্ডারকে জানান আনসার সদস্য আব্দুর রাজ্জাক। পরে পালং থানা-পুলিশে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পালং মডেল থানার মোবাইল ডিউটি টিম ঘটনাস্থলে এসে ওষুধসহ দুজনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়। পরে মুচলেকা নিয়ে পুলিশ তাঁদের ছেড়ে দেয়।
এ বিষয়ে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, মিজানুর রহমানকে সভাপতি করে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জন অফিসের প্রতিনিধি রয়েছেন। সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল থেকে সরকারি ওষুধ ময়লার গাড়িতে করে পাচারের ঘটনায় সাত সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) হাসপাতালের চিকিৎসক মিজানুর রহমানকে প্রধান করে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে হাসপাতালের প্রধান ফটকে তল্লাশি চালিয়ে ওষুধসহ হাসপাতালটির দুই কর্মচারীকে আটক করেন আনসার সদস্যরা। পরে তাঁদের পুলিশে দেওয়া হয়। আটক কর্মচারীরা হলেন হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতাকর্মী টুবেল হরিজন (৩৫) ও ডোম সহকারী ইবাদুল মিয়া (৫৫)।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেলে হাসপাতালের প্রধান ফটকে দায়িত্ব পালন করছিলেন আনসার সদস্য আব্দুর রাজ্জাক। এ সময় টুবেল ও ইবাদুলকে একটি ময়লার ভ্যানগাড়িতে হাসপাতালের বিভিন্ন ব্যবহৃত সরঞ্জাম বহন করতে দেখে তাঁর সন্দেহ হয়। আনসার সদস্য আব্দুর রাজ্জাক ময়লার ভ্যানটি তল্লাশি করেন। তল্লাশিকালে ভ্যান থেকে সলবিয়ন ভিটামিন ওষুধের ১৮০টি বক্স উদ্ধার করা হয়। প্রতিটি বক্সে ৫০ পিস করে মোট ৯ হাজার পিস সরকারি ওষুধ পাওয়া যায়। উদ্ধার হওয়া ওষুধের মেয়াদ ২০২৭ সালের এপ্রিল পর্যন্ত উল্লেখ রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক দুজন আনসার সদস্যকে জানান, তাঁরা ওষুধগুলো হাসপাতালের বাইরে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ঘটনাটি তাৎক্ষণিকভাবে ক্যাম্প কমান্ডারকে জানান আনসার সদস্য আব্দুর রাজ্জাক। পরে পালং থানা-পুলিশে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পালং মডেল থানার মোবাইল ডিউটি টিম ঘটনাস্থলে এসে ওষুধসহ দুজনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়। পরে মুচলেকা নিয়ে পুলিশ তাঁদের ছেড়ে দেয়।
এ বিষয়ে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, মিজানুর রহমানকে সভাপতি করে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জন অফিসের প্রতিনিধি রয়েছেন। সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথের এখনো বড় বাধা কালুরঘাট সেতু। বিশেষ করে সেতু সংস্কারের মধ্যেই ১৯টি স্প্যানের নিচের মাটি সরে যাওয়ায় নতুন করে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারী ট্রেন চলাচল নিয়ে তাই সংশয় প্রকাশ করেছে খোদ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এই সেতু দিয়ে চালককে ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে ট্রেন চালাতে বারণ কর
১১ নভেম্বর ২০২৩
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে কুশিয়ারা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হাসিনা আক্তার বুলুর (২২) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
২৫ মিনিট আগে
সাবিনা আক্তারকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হলে তাঁকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর মিরপুরে মোক্তাকিন বিল্লাহ ও আশরাফুল ইসলাম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তারা।
২৭ মিনিট আগে
ভোলার বোরহানউদ্দিনে ইটভাটায় কৃষিজমির মাটি ব্যবহারের জন্য এক ব্যক্তিকে এক লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার সাচড়া ইউনিয়নের রামকেশব গ্রামে এই অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রণজিৎ চন্দ্র দাস।
২৯ মিনিট আগেজগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে কুশিয়ারা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হাসিনা আক্তার বুলুর (২২) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের রানীনগর এলাকার কুশিয়ারা নদীতে ওই গৃহবধূর লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা।
নিখোঁজ ওই গৃহবধূ রানীনগর গ্রামের তামিম মিয়ার স্ত্রী। তিনি দুই সন্তানের জননী। বিষয়টি নিশ্চিত করে রানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ ছদরুল ইসলাম বলেন, থানায় খবর দেওয়া হয়েছে। পুলিশ আসার পর লাশটি নদী থেকে তোলা হবে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার বেলা ১টার দিকে ওই গৃহবধূ বসতবাড়ির পাশে কুশিয়ারা নদীতে গোসল করতে নেমে নদীতে ডুবে যান। খবর পেয়ে সুনামগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে এসে ওই গৃহবধূকে উদ্ধারের চেষ্টা করেও খুঁজে পায়নি।

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে কুশিয়ারা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হাসিনা আক্তার বুলুর (২২) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের রানীনগর এলাকার কুশিয়ারা নদীতে ওই গৃহবধূর লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা।
নিখোঁজ ওই গৃহবধূ রানীনগর গ্রামের তামিম মিয়ার স্ত্রী। তিনি দুই সন্তানের জননী। বিষয়টি নিশ্চিত করে রানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ ছদরুল ইসলাম বলেন, থানায় খবর দেওয়া হয়েছে। পুলিশ আসার পর লাশটি নদী থেকে তোলা হবে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার বেলা ১টার দিকে ওই গৃহবধূ বসতবাড়ির পাশে কুশিয়ারা নদীতে গোসল করতে নেমে নদীতে ডুবে যান। খবর পেয়ে সুনামগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে এসে ওই গৃহবধূকে উদ্ধারের চেষ্টা করেও খুঁজে পায়নি।

দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথের এখনো বড় বাধা কালুরঘাট সেতু। বিশেষ করে সেতু সংস্কারের মধ্যেই ১৯টি স্প্যানের নিচের মাটি সরে যাওয়ায় নতুন করে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারী ট্রেন চলাচল নিয়ে তাই সংশয় প্রকাশ করেছে খোদ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এই সেতু দিয়ে চালককে ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে ট্রেন চালাতে বারণ কর
১১ নভেম্বর ২০২৩
শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল থেকে সরকারি ওষুধ ময়লার গাড়িতে করে পাচারের ঘটনায় সাত সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) হাসপাতালের চিকিৎসক মিজানুর রহমানকে প্রধান করে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
১৮ মিনিট আগে
সাবিনা আক্তারকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হলে তাঁকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর মিরপুরে মোক্তাকিন বিল্লাহ ও আশরাফুল ইসলাম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তারা।
২৭ মিনিট আগে
ভোলার বোরহানউদ্দিনে ইটভাটায় কৃষিজমির মাটি ব্যবহারের জন্য এক ব্যক্তিকে এক লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার সাচড়া ইউনিয়নের রামকেশব গ্রামে এই অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রণজিৎ চন্দ্র দাস।
২৯ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিনকে আরও দুটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম আজ বুধবার এ নির্দেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের উপপরিদর্শক রফিকুল ইসলাম।
সাবিনা আক্তারকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হলে তাঁকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর মিরপুরে মোক্তাকিন বিল্লাহ ও আশরাফুল ইসলাম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তারা।
শুনানি শেষে সাবেক সংসদ সদস্যকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেন আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই মিরপুর ১০-এ ফায়ার সার্ভিসের সামনে আন্দোলনে অংশ নেন মোক্তাকিন বিল্লাহ। বিকেল ৪টার দিকে তাঁর মাথায় গুলি লাগে। পরদিন ভোর সাড়ে ৪টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর মিরপুর থানায় মামলা হয়। সাবিনা আক্তার মামলার ৮ নম্বর আসামি।
অপর মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, গত বছরের ৪ আগস্ট মিরপুর এলাকায় আন্দোলনে অংশ নেন আশরাফুল ইসলাম। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর মিরপুর থানায় হওয়া মামলায় সাবিনা আক্তার ১৮ নম্বর আসামি।
চলতি বছরের ২২ জুন ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় বাবার বাড়ি থেকে সাবিনা আক্তার তুহিনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। পরদিন তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাঁকে।

সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিনকে আরও দুটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম আজ বুধবার এ নির্দেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের উপপরিদর্শক রফিকুল ইসলাম।
সাবিনা আক্তারকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হলে তাঁকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর মিরপুরে মোক্তাকিন বিল্লাহ ও আশরাফুল ইসলাম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তারা।
শুনানি শেষে সাবেক সংসদ সদস্যকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেন আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই মিরপুর ১০-এ ফায়ার সার্ভিসের সামনে আন্দোলনে অংশ নেন মোক্তাকিন বিল্লাহ। বিকেল ৪টার দিকে তাঁর মাথায় গুলি লাগে। পরদিন ভোর সাড়ে ৪টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর মিরপুর থানায় মামলা হয়। সাবিনা আক্তার মামলার ৮ নম্বর আসামি।
অপর মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, গত বছরের ৪ আগস্ট মিরপুর এলাকায় আন্দোলনে অংশ নেন আশরাফুল ইসলাম। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর মিরপুর থানায় হওয়া মামলায় সাবিনা আক্তার ১৮ নম্বর আসামি।
চলতি বছরের ২২ জুন ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় বাবার বাড়ি থেকে সাবিনা আক্তার তুহিনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। পরদিন তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাঁকে।

দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথের এখনো বড় বাধা কালুরঘাট সেতু। বিশেষ করে সেতু সংস্কারের মধ্যেই ১৯টি স্প্যানের নিচের মাটি সরে যাওয়ায় নতুন করে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারী ট্রেন চলাচল নিয়ে তাই সংশয় প্রকাশ করেছে খোদ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এই সেতু দিয়ে চালককে ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে ট্রেন চালাতে বারণ কর
১১ নভেম্বর ২০২৩
শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল থেকে সরকারি ওষুধ ময়লার গাড়িতে করে পাচারের ঘটনায় সাত সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) হাসপাতালের চিকিৎসক মিজানুর রহমানকে প্রধান করে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
১৮ মিনিট আগে
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে কুশিয়ারা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হাসিনা আক্তার বুলুর (২২) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
২৫ মিনিট আগে
ভোলার বোরহানউদ্দিনে ইটভাটায় কৃষিজমির মাটি ব্যবহারের জন্য এক ব্যক্তিকে এক লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার সাচড়া ইউনিয়নের রামকেশব গ্রামে এই অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রণজিৎ চন্দ্র দাস।
২৯ মিনিট আগেভোলা প্রতিনিধি

ভোলার বোরহানউদ্দিনে ইটভাটায় কৃষিজমির মাটি ব্যবহারের জন্য এক ব্যক্তিকে এক লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার সাচড়া ইউনিয়নের রামকেশব গ্রামে এই অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রণজিৎ চন্দ্র দাস।
রণজিৎ চন্দ্র দাস আজকের পত্রিকাকে জানান, আজ বেলা ১১টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বোরহানউদ্দিন উপজেলার সাচড়া ইউনিয়নের রামকেশব এলাকায় অভিযান চালান। অভিযানকালে কৃষিজমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার অপরাধে ঘটনাস্থল থেকে মো. লিমনকে (২২) হাতেনাতে আটক করা হয়।
এ সময় আসামিকে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০-এর সংশ্লিষ্ট ধারায় এক লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। আটক লিমন কুতুবা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মো. রুহুল আমিনের ছেলে।
সহকারী কমিশনার আরও জানান, আটক মো. লিমন নিজের দোষ স্বীকার করেছেন এবং ভবিষ্যতে এমন অপরাধ করবেন না মর্মে অঙ্গীকারনামাও দিয়েছেন।
আগামী দিনে কৃষিজমি রক্ষায় জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান সহকারী কমিশনার (ভূমি) রণজিৎ চন্দ্র দাস। অভিযানে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ভোলার বোরহানউদ্দিনে ইটভাটায় কৃষিজমির মাটি ব্যবহারের জন্য এক ব্যক্তিকে এক লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার সাচড়া ইউনিয়নের রামকেশব গ্রামে এই অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রণজিৎ চন্দ্র দাস।
রণজিৎ চন্দ্র দাস আজকের পত্রিকাকে জানান, আজ বেলা ১১টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বোরহানউদ্দিন উপজেলার সাচড়া ইউনিয়নের রামকেশব এলাকায় অভিযান চালান। অভিযানকালে কৃষিজমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার অপরাধে ঘটনাস্থল থেকে মো. লিমনকে (২২) হাতেনাতে আটক করা হয়।
এ সময় আসামিকে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০-এর সংশ্লিষ্ট ধারায় এক লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। আটক লিমন কুতুবা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মো. রুহুল আমিনের ছেলে।
সহকারী কমিশনার আরও জানান, আটক মো. লিমন নিজের দোষ স্বীকার করেছেন এবং ভবিষ্যতে এমন অপরাধ করবেন না মর্মে অঙ্গীকারনামাও দিয়েছেন।
আগামী দিনে কৃষিজমি রক্ষায় জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান সহকারী কমিশনার (ভূমি) রণজিৎ চন্দ্র দাস। অভিযানে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথের এখনো বড় বাধা কালুরঘাট সেতু। বিশেষ করে সেতু সংস্কারের মধ্যেই ১৯টি স্প্যানের নিচের মাটি সরে যাওয়ায় নতুন করে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারী ট্রেন চলাচল নিয়ে তাই সংশয় প্রকাশ করেছে খোদ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এই সেতু দিয়ে চালককে ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে ট্রেন চালাতে বারণ কর
১১ নভেম্বর ২০২৩
শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল থেকে সরকারি ওষুধ ময়লার গাড়িতে করে পাচারের ঘটনায় সাত সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) হাসপাতালের চিকিৎসক মিজানুর রহমানকে প্রধান করে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
১৮ মিনিট আগে
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে কুশিয়ারা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হাসিনা আক্তার বুলুর (২২) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
২৫ মিনিট আগে
সাবিনা আক্তারকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হলে তাঁকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর মিরপুরে মোক্তাকিন বিল্লাহ ও আশরাফুল ইসলাম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তারা।
২৭ মিনিট আগে