Ajker Patrika

এবারও নীল জলে শেষ সূর্যাস্ত দেখার রোমাঞ্চে ছেদ, উৎসবহীন পর্যটনের শহর

তাসনীম হাসান ও মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার থেকে
এবারও নীল জলে শেষ সূর্যাস্ত দেখার রোমাঞ্চে ছেদ, উৎসবহীন পর্যটনের শহর

বালুকাবেলায় হাঁটতে হাঁটতে পশ্চিম আকাশে চোখ পেতে রাখা। অথবা নীল নোনা জলে ভাসতে ভাসতে দেখা বছরের শেষ সূর্যাস্ত। এরপর গভীর রাত পর্যন্ত সৈকতে কনসার্ট। দেশের স্বনামধন্য শিল্পীদের কণ্ঠে লাখো পর্যটকের কণ্ঠ মেলানো। সব মিলিয়ে ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’ ও ইংরেজি নতুন বছর বরণকে কেন্দ্র করে কক্সবাজার হয়ে উঠত উৎসবের শহর।

কিন্তু মহামারির কারণে দুবছর ধরে ছেদ পড়েছে সেই চেনা দৃশ্যে। এবারও কক্সবাজারে উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান আয়োজনের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কদিন আগে স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে এক নারী পর্যটককে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় এবার কড়াকড়িটা একটু বেশিই। সব উৎসব-অনুষ্ঠানই হবে হোটেলের চার দেয়ালে। তাও সীমিত পরিসরে।

নারী পর্যটককে তুলে নিয়ে ধর্ষণের পর এবার প্রশাসন বেশ সতর্ক। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বেশ প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। জেলা প্রশাসনও বিশেষ মনিটরিং সেল গঠন করেছে। স্বাস্থ্যবিধি মানা ও পর্যটকদের নিরাপত্তায় জোরালো ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে টুরিস্ট পুলিশ। তবুও সেভাবে নেই পর্যটক। যারা এসেছেন তাঁদের মধ্যেও আছে ভয়, আছে শঙ্কা। 

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সৈকতের সুগন্ধা ও লাবণী পয়েন্ট এলাকায় এক ঘণ্টা ধরে ঘুরে উল্লেখযোগ্য পর্যটকের দেখা মেলেনি। বেশিরভাগ পর্যটকই সন্ধ্যার আগে সৈকত ছেড়ে হোটেলে গেছেন।

চট্টগ্রামের রাউজান থেকে পরিবার নিয়ে এসেছেন জাহাঙ্গীর আলম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নারী পর্যটককে ধর্ষণের ঘটনাটি আসলে সবাইকে ভয় ধরিয়ে দিয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশ ভালোই দেখলাম। তারপরও সন্ধ্যার আগে স্ত্রী-কন্যাদের হোটেলে নিয়ে যাওয়া নিরাপদ মনে করছি।’

একই কথা বলেছেন ঢাকার উত্তরা থেকে আসা সানজিদা ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমরা শুনেছি হাজারো মানুষের সামনে থেকেই ওই নারী পর্যটককে তুলে নেওয়া হয়েছে। এসব শোনার পর ভয় তো করবেই।’

এবার আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা আগের চেয়ে জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (জেলা ব্র্যান্ডিং ও পর্যটন সেল) সৈয়দ মুরাদ ইসলাম। তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকেও এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় রাতে উন্মুক্ত স্থানে সব অনুষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তবে হোটেলের অভ্যন্তরে ছোট পরিসরে অনুষ্ঠান করা যাবে।’

কক্সবাজারের হোটেল-মোটেলের ব্যবসায়ীরা জানান, স্বাভাবিক সময়ে পুরোনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে দুই দিনে অন্তত দুই থেকে ৩ লাখ পর্যটক কক্সবাজারে অবস্থান করেন। এত পর্যটককে জায়গা দিতে তখন হোটেল-মোটেলগুলোকে বেশ হিমশিম খেত। অনেক পর্যটককে তাই গাড়িতে কিংবা নানা জায়গায় রাত কাটাতে হতো। তবে এবার পর্যটকের সেই চাপ নেই। প্রতিটি হোটেলকক্ষে অতিরিক্ত পর্যটক রাখতে পারার মতো বিশেষ ছাড় দিয়েও মিলছে না শতভাগ বুকিং।

সেটি জানিয়ে হোটেল ও রেস্তোরাঁ মালিকদের সমিতির সমন্বিত মোর্চা ‘ফেডারেশন অব ট্যুরিজম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’–এর সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ‘আগে এই সময়ে হোটেল-মোটেলগুলোতে শতভাগ বুকিং হতো। কিন্তু এখন ৬০-৭০ ভাগের মতো হয়েছে। আশা করছি আগামীকাল (শুক্রবার) আরও পর্যটক আসবেন। তাঁরা অনলাইনে হোটেল কক্ষ বুকিং দিলে এখানে এসে ভোগান্তিতে পড়বেন না।’

সাম্প্রতিককালে নানা ঘটনায় কক্সবাজার নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণার কাজ করেছে বলেও মনে করছেন আবুল কাশেম। 

এদিকে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে এই সময়ে ব্যানার-ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হতো সব হোটেল ও মোটেলকে। কিন্তু হোটেল-মোটেল জোন এলাকায় ঘুরে এমন কোনো দৃশ্য চোখে পড়েনি। পাঁচ তারকায় ছোটখাট আয়োজন ছাড়া  মাঝারি মানের হোটেল-মোটেলে থার্টি ফার্স্ট নাইটের আয়োজন নেই।

পাঁচ তারকা মানের হোটেল কক্স টুডের ব্যবস্থাপক (রিজার্ভেশন) লোকমান হোসেন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে আমাদের হোটেলে পর্যটকদের নিয়ে কেক কাটা, বুফে, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে।’

পর্যটকেরা যাতে নিরাপদে বছরের শেষ দিন ও নতুন বছর প্রথমদিন উদ্‌যাপন করতে পারেন সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ। সাড়ে ৪০০ আবাসিক হোটেলে সিসিটিভি ক্যামেরা নিশ্চিত করা হয়েছে। ৩৫টি পর্যটন জোনের প্রতিটিতেই টুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও পুলিশ সার্বক্ষণিক মাঠে থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ছবি এডিট করে ফেসবুকে প্রচারের ঘটনায় মামলা করলেন ঢাবি শিক্ষক মোনামি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
শাহবাগ থানায় সোমবার সকালে মামলা করেন ‎ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শেহরীন আমিন ভুইয়া ওরফে মোনামি। ছবি: সংগৃহীত
শাহবাগ থানায় সোমবার সকালে মামলা করেন ‎ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শেহরীন আমিন ভুইয়া ওরফে মোনামি। ছবি: সংগৃহীত

ছবি এডিট করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে সাইবার সুরক্ষা আইনে মামলা করেছেন ‎ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক শেহরীন আমিন ভুইয়া ওরফে মোনামি।

শাহবাগ থানায় আজ সোমবার সকালে মামলাটি করেন তিনি। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক উম্মে সালমা এবং মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক ফাতিমা তাসনিম ঝুমা।

দুপুরে আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মুনসুর। ‎

‎তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শেহরীন আমিন ভুইয়া ওরফে মোনামি সোমবার সকালে সাইবার সুরক্ষা আইনে মামলা করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর ছবি বিকৃত করে প্রচার করায় বেশ কয়েকজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলাটি হয়েছে। এটি আমরা ডিবি সাইবার ইউনিটে পাঠিয়ে দিয়েছি। তারা দ্রুতই ব্যবস্থা নেবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নোয়াখালীতে স্টেডিয়াম নির্মাণকাজে অনিয়মের অভিযোগ, দুদকের অভিযান

নোয়াখালী প্রতিনিধি
দুদকের অভিযান। ছবি: আজকের পত্রিকা
দুদকের অভিযান। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণকাজে অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে দুদক নোয়াখালী কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক জাহেদ আলম ও ইন্সপেক্টর মো. ইদ্রিসের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

দুদক জানায়, গত দেড় বছর আগে সাত কোটি টাকা ব্যয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে সোনাইমুড়ী উপজেলা মিনি স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজ শুরু করে মেসার্স সাব্বির এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

স্টেডিয়ামটির নির্মাণকাজে নিম্নমানের ইট, বালু ব্যবহার, স্ল্যাব ও সিঁড়ির দৈর্ঘ্য-প্রস্থ কমসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগের তথ্য পেয়ে অভিযান চালায় দুদক নোয়াখালীর একটি দল।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের দুজন ইঞ্জিনিয়ারকে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করার পর নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারসহ বিভিন্ন অনিয়মের সত্যতা পাওয়া যায়। এ ছাড়া পুরো স্টেডিয়ামটির নির্মাণকাজে ব্যবহৃত অন্য সামগ্রীর গুণগত মান নিয়েও অনিয়ম পাওয়া গেছে।

তবে অভিযান পরিচালনার সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বা তাঁর কোনো সহকারীকে পাওয়া যায়নি।

দুদকের ইন্সপেক্টর মো. ইদ্রিস বলেন, ‘মিনি স্টেডিয়ামটি নির্মাণকাজে ব্যাপক অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেছে। অনিয়মগুলো আমরা লিপিবদ্ধ করেছি। প্রধান কার্যালয়ে প্রেরণের পর সেখান থেকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ছুটি পায়নি অসুস্থ শ্রমিক, মৃত্যুর পর ক্ষুব্ধ সহকর্মীদের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
আজ সকাল ১০টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর অংশে অবরোধ করেন শ্রমিকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকাল ১০টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর অংশে অবরোধ করেন শ্রমিকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

অসুস্থ শ্রমিককে ছুটি না দেওয়া ও চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণের অভিযোগ তুলে এর প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে অবরোধ করেছেন শ্রমিকেরা।

এতে মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে ছয় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে মহাসড়কের মদনপুর অংশে তাঁরা এ অবরোধ করেন। পরে প্রশাসন তাঁদের বুঝিয়ে দুপুর ১২টার দিকে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে থাকে।

জানা যায়,বন্দর উপজেলার ‘লারিস ফ্যাশন’ নামক একটি গার্মেন্টসের একজন নারী শ্রমিক অসুস্থ অবস্থায় কাজ করে যাচ্ছিলেন।গতকাল তিনি বেশি অসুস্থতা বোধ করলে কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটির আবেদন করেন। তবে কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে কোনো সাড়া না দিয়ে কাজ করে যেতে বাধ্য করেন।এ অবস্থায় ওই নারী অতিরিক্ত অসুস্থ হয়ে মেঝেতে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান।তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

অবরোধকারী শ্রমিকদের দাবি, তাঁদের সহকর্মী মারা যাওয়ার জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। অসুস্থ হওয়া সত্বেও তাঁরা ছুটি না দেওয়ায় চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন বলে তাঁরা অভিযোগ করেন। মালিকপক্ষের কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁরা এ আন্দোলনে নামেন।

এ বিষয়ে লারিস ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শিমুল বলেন, ‘গতকাল আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওই খানে মৃত্যু হয়। এটা তো আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি এবং মৃত্যুর পর দাফন সম্পন্ন করতে যত কার্যক্রম ছিল সবই আমাদের কোম্পানি থেকে করা হয়েছে। মৃত্যুর পেছনে তো কারও হাত থাকে না। আমরা ওই শ্রমিকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি, আমরা তাদের কথা দিয়েছি যে সব ধরনের সাহায্য করব। আমাদের কোম্পানি থেকে তাদের জন্য অর্থনৈতিক একটা ব্যবস্থাও করা হবে। তবে আমাদের কোম্পানির শ্রমিকদের দাবি যে ওই ফ্লোরের দায়িত্বপ্রাপ্তদের চাকরিচ্যুত করা লাগবে। আমরা তাতেও রাজি হয়েছি। কিন্তু তারা তবুও সড়ক অবরোধ করেছে।’

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, ‘সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষকে দায়ী করে শ্রমিকেরা আন্দোলনে নামেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে থানা-পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও উপস্থিত হয়ে তাঁদের বুঝিয়ে সরিয়ে দিই। বর্তমান মহাসড়কের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গঙ্গাচড়ায় ১৮ মাসের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, থানায় মামলা

 গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় ১৮ মাস বয়সী এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত কিশোরের বিরুদ্ধে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

গুরুতর আহত অবস্থায় ভুক্তভোগী শিশুটিকে প্রথমে গঙ্গাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা এজাহারে উল্লেখ করেছেন, ঘটনার সময় তিনি ও তাঁর স্ত্রী ঘরের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। তাঁদের ছোট মেয়ে বাড়ির সামনে অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলা করছিল। একপর্যায়ে প্রতিবেশী কিশোর (অভিযুক্ত) গান শোনানোর কথা বলে শিশুটিকে কোলে করে নিজের শয়নকক্ষে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর শিশুটিকে তার মা-বাবা দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। একপর্যায়ে শিশুটিকে ওই কক্ষে পাওয়া যায় কিন্তু অভিযুক্ত কিশোর দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

এ সময় শিশুটির বাবার চিৎকারে প্রতিবেশীরাও ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। শিশুটিকে রক্তক্ষরণ অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে শিশুটিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়।

শিশুটির বাবা বলেন, ‘মেয়ের চিকিৎসা ও আত্মীয়দের সঙ্গে পরামর্শ করতে গিয়ে মামলা করতে কিছুটা দেরি হয়েছে। আমি দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল ইমরান আজকের পত্রিকাকে বলেন, “ঘটনাটিকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। অভিযুক্ত কিশোরকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।”

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত