নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ও কক্সবাজার প্রতিনিধি

ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ থেকে সারা দেশে ধর্মঘট ডেকেছে বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান ও ট্যাংক লরি-প্রাইমমুভার মালিক-শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ। তবে ঘোষণা না দিয়েও শুক্রবার সকাল থেকে যাত্রীবাহী বাস বন্ধ রেখেছেন মালিকেরা। হঠাৎ বাস ধর্মঘটে বিপাকে পড়েছে কক্সবাজারে আসা অনেক পর্যটক।
কক্সবাজারের বাস পরিবহনসেবার সঙ্গে জড়িতরা বলছেন, আজ (শুক্রবার) থেকে বাস ধর্মঘট হবে এমন গুঞ্জন গতকাল সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়েছিল। এতে বৃহস্পতিবার হওয়া সত্ত্বেও অনেক পর্যটক ফিরে গেছেন। রাতের বাসগুলোতে অনেক ভিড় ছিল। আমরা শুক্রবার দিনের টিকিটও বিক্রি করেছিলাম। কিন্তু মালিকপক্ষের নির্দেশনার পরে আজ এখন পর্যন্ত একটি বাসও ছেড়ে যায়নি। আমরা যাত্রীদের কল করে বিষয়টি জানিয়েছি। কেউ কেউ টাকা ফেরতও নিয়েছেন। আবার কেউ রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করছেন।
শুক্রবার সকালে একটি আবাসিক হোটেলের রেস্টুরেন্টে এক নারীকে মোবাইলে বলতে শোনা যায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার ট্রেনের টিকিটের ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করতে। তিনি অপর প্রান্তের ব্যক্তিকে বলছেন, `গতকাল রাতে বাস ধর্মঘটের কথা জানতে পেরেছি।স্টেশনে টিকিট পাওয়া যায়নি। রোববার অফিসে যোগ দিতেই হবে। যেভাবেই হোক টিকিটের ব্যবস্থা করতে হবে।'
পরে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় ওই নারীর। তিনি জানান, একটি সংস্থায় চাকরি করেন। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গত বুধবার কক্সবাজারে আসেন। আজই চলে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরিবহন ধর্মঘটের কারণে আটকে গেছেন। এখন চট্টগ্রামে ট্রেনের টিকিট নেওয়ার চেষ্টা করছেন, কিন্তু পাচ্ছেন না। আবার টিকিট পেলেও এখান থেকে চট্টগ্রামে কীভাবে যাবেন, সেই চিন্তা করছেন। টিকিট না পেলে মাইক্রোবাস ভাড়া করতে হবে।
শুধু ওই নারী নন, তাঁর মতো অনেক পর্যটক কক্সবাজারে আটকে আছেন। কখন পরিবহন ধর্মঘট শেষ হবে, তারা সেই চিন্তাই করছেন। পরিবারসহ এক দিন বেশি থাকলেই গুনতে হবে কয়েক হাজার টাকা।
শুক্রবার দুপুরে কক্সবাজারের কলাতলী মোড়ের হানিফ বাস কাউন্টারে কথা হয় বেসরকারি চাকরিজীবী রিফাতের সঙ্গে। তিনি জানান, অফিসের জরুরি কাজ আজ ভোরেই তিনি কক্সবাজারে এসেছিলেন। আবার সকাল ১০টায় ফিরতি টিকিটও কেটে নিয়েছিলেন। কিন্তু ৯টায় দিকে তাকে কাউন্টার থেকে কল দিয়ে বলা হয় বাস যাবে না। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বাস ছাড়া হতে পারে। `এখন অপেক্ষা করছি। দেখি কী হয়।'
পাশের শ্যামলী কাউন্টারে কথা হয় দিনাজপুরের হাজি দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর সঙ্গে। তাঁরা বলেন, `বেলা সাড়ে ৩টার বাসের টিকিট কেটেছিলাম। তাই হোটেল থেকে চেকআউট করেছি। এখন কাউন্টারে এসে শুনছি বাস না-ও যেতে পারে। একটা সংকটে পড়ে গেলাম। না যেতে পারলে আবার হোটেলে উঠতে হবে। খরচও বাড়বে।'
এনা পরিবহনের কক্সবাজারের ইনচার্জ আবু বক্কর সিদ্দিকী আজকের পত্রিকাকে বলেন, `ধর্মঘটের কারণে আজ সকাল থেকে আমাদের কোনো বাস কক্সবাজার ছেড়ে যায়নি। রাতেও যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।'
শ্যামলী বাসের ঝাউতলা কাউন্টার ম্যানেজার রাফি আজকের পত্রিকাকে বলেন, `গতকাল রাত থেকে আজকের সব বাসের শিডিউল বন্ধ করা হয়েছে আমাদের কোম্পানির নির্দেশে। যেসব যাত্রী অগ্রিম টিকিট কেটেছেন, তাঁদের আমরা ইতিমধ্যে জানিয়েছি। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত আমরা জানি না কখন বাস চলাচল করবে।'
এদিকে দিনের বেলা বাস না ছাড়লেও রাতে বাস ছাড়ার আশা করছেন কক্সবাজারের অনেক বাস কাউন্টারের ম্যানেজাররা। তাই অনেকেই টিকিটও বিক্রি করছেন।
ইউনিক বাসের ঝাউতলা কাউন্টারের ম্যানেজার জানান, দিনের বেলা তাঁদের কোনো বাস নাই। রাতেই সব বাস চলাচল করে। বাস বন্ধের নির্দেশনা এখনো মালিক পক্ষ তাঁদের জানাননি। তাই এখনো তাঁরা বাসের টিকিট বিক্রি করছেন।
হানিফ বাসের সুগন্ধা বিচের কাউন্টার ম্যানেজার পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, `আমাদের ঢাকা থেকে ফোন করে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে দিনের বেলায় বাস না চালানোর জন্য। আমরা এখনো আজকে রাতের বাসের টিকিট বিক্রি করছি। ধর্মঘট চলমান থাকলে রাতে বাস না চলার সম্ভাবনার কথা যাত্রীদের বলে দিচ্ছি। বাস না চললে আমরা তাদের কল দিয়ে জানিয়ে দেব।'
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, `বাস বন্ধের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় পর্যটকেরা আটকে পড়েছেন। আবার অনেকই বুকিং দিয়ে আসতেও পারছেন না। এতে আমাদেরও ব্যবসার ক্ষতি হবে। আশা করি দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।'

ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ থেকে সারা দেশে ধর্মঘট ডেকেছে বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান ও ট্যাংক লরি-প্রাইমমুভার মালিক-শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ। তবে ঘোষণা না দিয়েও শুক্রবার সকাল থেকে যাত্রীবাহী বাস বন্ধ রেখেছেন মালিকেরা। হঠাৎ বাস ধর্মঘটে বিপাকে পড়েছে কক্সবাজারে আসা অনেক পর্যটক।
কক্সবাজারের বাস পরিবহনসেবার সঙ্গে জড়িতরা বলছেন, আজ (শুক্রবার) থেকে বাস ধর্মঘট হবে এমন গুঞ্জন গতকাল সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়েছিল। এতে বৃহস্পতিবার হওয়া সত্ত্বেও অনেক পর্যটক ফিরে গেছেন। রাতের বাসগুলোতে অনেক ভিড় ছিল। আমরা শুক্রবার দিনের টিকিটও বিক্রি করেছিলাম। কিন্তু মালিকপক্ষের নির্দেশনার পরে আজ এখন পর্যন্ত একটি বাসও ছেড়ে যায়নি। আমরা যাত্রীদের কল করে বিষয়টি জানিয়েছি। কেউ কেউ টাকা ফেরতও নিয়েছেন। আবার কেউ রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করছেন।
শুক্রবার সকালে একটি আবাসিক হোটেলের রেস্টুরেন্টে এক নারীকে মোবাইলে বলতে শোনা যায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার ট্রেনের টিকিটের ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করতে। তিনি অপর প্রান্তের ব্যক্তিকে বলছেন, `গতকাল রাতে বাস ধর্মঘটের কথা জানতে পেরেছি।স্টেশনে টিকিট পাওয়া যায়নি। রোববার অফিসে যোগ দিতেই হবে। যেভাবেই হোক টিকিটের ব্যবস্থা করতে হবে।'
পরে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় ওই নারীর। তিনি জানান, একটি সংস্থায় চাকরি করেন। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গত বুধবার কক্সবাজারে আসেন। আজই চলে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরিবহন ধর্মঘটের কারণে আটকে গেছেন। এখন চট্টগ্রামে ট্রেনের টিকিট নেওয়ার চেষ্টা করছেন, কিন্তু পাচ্ছেন না। আবার টিকিট পেলেও এখান থেকে চট্টগ্রামে কীভাবে যাবেন, সেই চিন্তা করছেন। টিকিট না পেলে মাইক্রোবাস ভাড়া করতে হবে।
শুধু ওই নারী নন, তাঁর মতো অনেক পর্যটক কক্সবাজারে আটকে আছেন। কখন পরিবহন ধর্মঘট শেষ হবে, তারা সেই চিন্তাই করছেন। পরিবারসহ এক দিন বেশি থাকলেই গুনতে হবে কয়েক হাজার টাকা।
শুক্রবার দুপুরে কক্সবাজারের কলাতলী মোড়ের হানিফ বাস কাউন্টারে কথা হয় বেসরকারি চাকরিজীবী রিফাতের সঙ্গে। তিনি জানান, অফিসের জরুরি কাজ আজ ভোরেই তিনি কক্সবাজারে এসেছিলেন। আবার সকাল ১০টায় ফিরতি টিকিটও কেটে নিয়েছিলেন। কিন্তু ৯টায় দিকে তাকে কাউন্টার থেকে কল দিয়ে বলা হয় বাস যাবে না। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বাস ছাড়া হতে পারে। `এখন অপেক্ষা করছি। দেখি কী হয়।'
পাশের শ্যামলী কাউন্টারে কথা হয় দিনাজপুরের হাজি দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর সঙ্গে। তাঁরা বলেন, `বেলা সাড়ে ৩টার বাসের টিকিট কেটেছিলাম। তাই হোটেল থেকে চেকআউট করেছি। এখন কাউন্টারে এসে শুনছি বাস না-ও যেতে পারে। একটা সংকটে পড়ে গেলাম। না যেতে পারলে আবার হোটেলে উঠতে হবে। খরচও বাড়বে।'
এনা পরিবহনের কক্সবাজারের ইনচার্জ আবু বক্কর সিদ্দিকী আজকের পত্রিকাকে বলেন, `ধর্মঘটের কারণে আজ সকাল থেকে আমাদের কোনো বাস কক্সবাজার ছেড়ে যায়নি। রাতেও যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।'
শ্যামলী বাসের ঝাউতলা কাউন্টার ম্যানেজার রাফি আজকের পত্রিকাকে বলেন, `গতকাল রাত থেকে আজকের সব বাসের শিডিউল বন্ধ করা হয়েছে আমাদের কোম্পানির নির্দেশে। যেসব যাত্রী অগ্রিম টিকিট কেটেছেন, তাঁদের আমরা ইতিমধ্যে জানিয়েছি। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত আমরা জানি না কখন বাস চলাচল করবে।'
এদিকে দিনের বেলা বাস না ছাড়লেও রাতে বাস ছাড়ার আশা করছেন কক্সবাজারের অনেক বাস কাউন্টারের ম্যানেজাররা। তাই অনেকেই টিকিটও বিক্রি করছেন।
ইউনিক বাসের ঝাউতলা কাউন্টারের ম্যানেজার জানান, দিনের বেলা তাঁদের কোনো বাস নাই। রাতেই সব বাস চলাচল করে। বাস বন্ধের নির্দেশনা এখনো মালিক পক্ষ তাঁদের জানাননি। তাই এখনো তাঁরা বাসের টিকিট বিক্রি করছেন।
হানিফ বাসের সুগন্ধা বিচের কাউন্টার ম্যানেজার পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, `আমাদের ঢাকা থেকে ফোন করে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে দিনের বেলায় বাস না চালানোর জন্য। আমরা এখনো আজকে রাতের বাসের টিকিট বিক্রি করছি। ধর্মঘট চলমান থাকলে রাতে বাস না চলার সম্ভাবনার কথা যাত্রীদের বলে দিচ্ছি। বাস না চললে আমরা তাদের কল দিয়ে জানিয়ে দেব।'
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, `বাস বন্ধের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় পর্যটকেরা আটকে পড়েছেন। আবার অনেকই বুকিং দিয়ে আসতেও পারছেন না। এতে আমাদেরও ব্যবসার ক্ষতি হবে। আশা করি দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।'


গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে যেন প্রাণ ফিরে পেল ময়মনসিংহের নান্দাইল। হাজারো মানুষ পলো, জাল আর মাছ ধরার সরঞ্জাম নিয়ে হাজির হয় সদর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী বলদা বিলের ধারে। তারা দিনব্যাপী হইহুল্লোড়ের মাধ্যমে মাছ শিকার করে।
২ ঘণ্টা আগে
পর্যটকদের জন্য আগামীকাল শনিবার (১ নভেম্বর) থেকে উন্মুক্ত হচ্ছে দেশের একমাত্র প্রবালসমৃদ্ধ দ্বীপ কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিন। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ঘুরে বেড়ানোর জন্য পছন্দের এ দ্বীপ ৯ মাস পর উন্মুক্ত হলেও পুরো নভেম্বর মাস দিনে গিয়ে দিনে ফিরতে হবে পর্যটকদের।
২ ঘণ্টা আগে
সিরাজগঞ্জে নীরবে বাড়ছে এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা। ইনজেকশন দিয়ে মাদক গ্রহণ এখন ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠেছে। চলতি বছর জেলায় ২৫৫ জনের শরীরে এইচআইভি শনাক্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৭৩ শতাংশই ইনজেকশন ব্যবহারকারী মাদকসেবী বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
২ ঘণ্টা আগে
মাদারীপুর-শরীয়তপুর আঞ্চলিক সড়কের আড়িয়াল খাঁ নদের ওপর নির্মিত সপ্তম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর সড়কবাতি দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এ পথ দিয়ে চলাচলকারী পথচারী ও যানবাহন চালকদের।
৩ ঘণ্টা আগেনান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে যেন প্রাণ ফিরে পেল ময়মনসিংহের নান্দাইল। হাজারো মানুষ পলো, জাল আর মাছ ধরার সরঞ্জাম নিয়ে হাজির হয় সদর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী বলদা বিলের ধারে। তারা দিনব্যাপী হইহুল্লোড়ের মাধ্যমে মাছ শিকার করে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শত বছর ধরে চলছে বলদা বিলের এই ‘হাইত উৎসব’।
প্রতিবছর আশ্বিনের শেষে বা কার্তিক মাসের মধ্যে যখন বলদা বিলের খালবিল ও জলাশয়গুলোর পানি কমে হাঁটু বা কোমরসমান হয়, তখনই এলাকার মানুষ পূর্বনির্ধারিত দিনে এই হাইত উৎসবের আয়োজন করে থাকে। উৎসবের দিনক্ষণ এক সপ্তাহ আগে থেকে এলাকায় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও এ নিয়ে ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়।
আয়োজনের খবর পেয়ে মাছ শিকারিরা গত বুধবার রাতেই বলদা বিলের আশপাশের আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে অবস্থান নেয়। বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর থেকে হাজার হাজার শৌখিন মাছ শিকারি তাদের পলো, ঠেলা জাল, খড়াজাল, ডুবা ফাঁদ, চাঁইসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে মাছ ধরার এই আনন্দ আয়োজনে অংশ নেয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, মাছশিকারিরা হইহুল্লোড় করতে করতে বিলে নেমে পড়েছে। বিলের দুই পাশে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নারী-পুরুষের ভিড়। আশপাশের উপজেলা, যেমন ঈশ্বরগঞ্জ, তাড়াইল, হোসেনপুর, কেন্দুয়া থেকেও মাছশিকারিরা এতে অংশ নেয়। তবে এ বছর আগেই নিষিদ্ধ কারেন্ট ও নেট জাল দিয়ে মাছ নিধন করায় মাছশিকারিরা বেশি মাছ শিকার করতে পারেনি।
এ নিয়ে মাছশিকারিদের মধ্যে কিছুটা আক্ষেপ দেখা গেছে। পার্শ্ববর্তী ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা রাকিবুল হাসান শুভ বলেন, ‘হাইত উৎসবে মাছ শিকার করতে এসে তেমন মাছ পাইনি। তবে সবার সঙ্গে বিলে এসে মাছ ধরার আনন্দ উপভোগ করেছি।’
মোয়াজ্জেমপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. বিল্লাল মিয়া বলেন, ‘আগের মতো হাইত উৎসবের সেই জৌলুশ নেই। বর্তমানে কিছু কিছু অঞ্চলে গ্রামীণ ঐতিহ্য ধরে রাখতে মুরব্বিরা এই আয়োজন করেন। কিন্তু অংশগ্রহণকারীরা তেমন মাছ শিকার করতে পারেননি।’
স্থানীয় বাসিন্দা রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘প্রায় ১০০ বছর ধরে আমাদের বাপ-দাদারা বলদা বিলে অত্যন্ত সুন্দর পরিবেশে হাইত উৎসবের আয়োজন করে আসছেন। তবে এ বছর নিষিদ্ধ কারেন্ট ও নেট জাল দিয়ে মাছ নিধন করায় মাছশিকারিরা প্রত্যাশা অনুযায়ী মাছ শিকার করতে পারেননি।’

গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে যেন প্রাণ ফিরে পেল ময়মনসিংহের নান্দাইল। হাজারো মানুষ পলো, জাল আর মাছ ধরার সরঞ্জাম নিয়ে হাজির হয় সদর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী বলদা বিলের ধারে। তারা দিনব্যাপী হইহুল্লোড়ের মাধ্যমে মাছ শিকার করে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শত বছর ধরে চলছে বলদা বিলের এই ‘হাইত উৎসব’।
প্রতিবছর আশ্বিনের শেষে বা কার্তিক মাসের মধ্যে যখন বলদা বিলের খালবিল ও জলাশয়গুলোর পানি কমে হাঁটু বা কোমরসমান হয়, তখনই এলাকার মানুষ পূর্বনির্ধারিত দিনে এই হাইত উৎসবের আয়োজন করে থাকে। উৎসবের দিনক্ষণ এক সপ্তাহ আগে থেকে এলাকায় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও এ নিয়ে ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়।
আয়োজনের খবর পেয়ে মাছ শিকারিরা গত বুধবার রাতেই বলদা বিলের আশপাশের আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে অবস্থান নেয়। বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর থেকে হাজার হাজার শৌখিন মাছ শিকারি তাদের পলো, ঠেলা জাল, খড়াজাল, ডুবা ফাঁদ, চাঁইসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে মাছ ধরার এই আনন্দ আয়োজনে অংশ নেয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, মাছশিকারিরা হইহুল্লোড় করতে করতে বিলে নেমে পড়েছে। বিলের দুই পাশে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নারী-পুরুষের ভিড়। আশপাশের উপজেলা, যেমন ঈশ্বরগঞ্জ, তাড়াইল, হোসেনপুর, কেন্দুয়া থেকেও মাছশিকারিরা এতে অংশ নেয়। তবে এ বছর আগেই নিষিদ্ধ কারেন্ট ও নেট জাল দিয়ে মাছ নিধন করায় মাছশিকারিরা বেশি মাছ শিকার করতে পারেনি।
এ নিয়ে মাছশিকারিদের মধ্যে কিছুটা আক্ষেপ দেখা গেছে। পার্শ্ববর্তী ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা রাকিবুল হাসান শুভ বলেন, ‘হাইত উৎসবে মাছ শিকার করতে এসে তেমন মাছ পাইনি। তবে সবার সঙ্গে বিলে এসে মাছ ধরার আনন্দ উপভোগ করেছি।’
মোয়াজ্জেমপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. বিল্লাল মিয়া বলেন, ‘আগের মতো হাইত উৎসবের সেই জৌলুশ নেই। বর্তমানে কিছু কিছু অঞ্চলে গ্রামীণ ঐতিহ্য ধরে রাখতে মুরব্বিরা এই আয়োজন করেন। কিন্তু অংশগ্রহণকারীরা তেমন মাছ শিকার করতে পারেননি।’
স্থানীয় বাসিন্দা রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘প্রায় ১০০ বছর ধরে আমাদের বাপ-দাদারা বলদা বিলে অত্যন্ত সুন্দর পরিবেশে হাইত উৎসবের আয়োজন করে আসছেন। তবে এ বছর নিষিদ্ধ কারেন্ট ও নেট জাল দিয়ে মাছ নিধন করায় মাছশিকারিরা প্রত্যাশা অনুযায়ী মাছ শিকার করতে পারেননি।’


একটি সংস্থায় চাকরি করেন। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গত বুধবার কক্সবাজারে আসেন। আজই চলে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরিবহন ধর্মঘটের কারণে আটকে গেছি
০৫ নভেম্বর ২০২১
পর্যটকদের জন্য আগামীকাল শনিবার (১ নভেম্বর) থেকে উন্মুক্ত হচ্ছে দেশের একমাত্র প্রবালসমৃদ্ধ দ্বীপ কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিন। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ঘুরে বেড়ানোর জন্য পছন্দের এ দ্বীপ ৯ মাস পর উন্মুক্ত হলেও পুরো নভেম্বর মাস দিনে গিয়ে দিনে ফিরতে হবে পর্যটকদের।
২ ঘণ্টা আগে
সিরাজগঞ্জে নীরবে বাড়ছে এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা। ইনজেকশন দিয়ে মাদক গ্রহণ এখন ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠেছে। চলতি বছর জেলায় ২৫৫ জনের শরীরে এইচআইভি শনাক্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৭৩ শতাংশই ইনজেকশন ব্যবহারকারী মাদকসেবী বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
২ ঘণ্টা আগে
মাদারীপুর-শরীয়তপুর আঞ্চলিক সড়কের আড়িয়াল খাঁ নদের ওপর নির্মিত সপ্তম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর সড়কবাতি দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এ পথ দিয়ে চলাচলকারী পথচারী ও যানবাহন চালকদের।
৩ ঘণ্টা আগেমাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার

পর্যটকদের জন্য আগামীকাল শনিবার (১ নভেম্বর) থেকে উন্মুক্ত হচ্ছে দেশের একমাত্র প্রবালসমৃদ্ধ দ্বীপ কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিন। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ঘুরে বেড়ানোর জন্য পছন্দের এ দ্বীপ ৯ মাস পর উন্মুক্ত হলেও পুরো নভেম্বর মাস দিনে গিয়ে দিনে ফিরতে হবে পর্যটকদের। তবে ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে দৈনিক দুই হাজার করে পর্যটক রাতে থাকার সুযোগ পাবেন।
এদিকে নভেম্বরে সেন্ট মার্টিনে রাতে অবস্থানের সুযোগ না থাকায় পর্যটক খরার আশঙ্কায় কাল থেকে জাহাজ চালানো শুরু না করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে জাহাজমালিকদের সংগঠন সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।
বঙ্গোপসাগরের বুকে আট বর্গকিলোমিটার আয়তনের সেন্ট মার্টিনে গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে পর্যটকদের যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। সরকার দ্বীপের পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষায় গত বছর থেকে পর্যটক সীমিত করার সিদ্ধান্ত নেয়। এ সিদ্ধান্তের আলোকে নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত তিন মাস দ্বীপে পর্যটকেরা ভ্রমণের সুযোগ পাচ্ছেন।
জাহাজমালিক ও পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘাতের কারণে ২০২৩ সাল থেকে টেকনাফের দমদমিয়া ঘাট থেকে জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এরপর মেরিন ড্রাইভ সড়কের ইনানীর নৌবাহিনীর জেটিঘাট দিয়ে জাহাজ চলাচল করেছিল।
গত বছর থেকে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএর জেটিঘাট থেকে সাগরপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করে আসছিল।
চলতি বছরও এই ঘাট দিয়ে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই রুটে যাওয়া-আসায় প্রায় ১৪ ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে রাতযাপন করতে না পারলে পর্যটকদের দীর্ঘ সময় পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিন ভ্রমণে আগ্রহ থাকবে না। এ কারণে জাহাজমালিকেরা নভেম্বর মাসে জাহাজ চালাতে রাজি নয়।
জাহাজমালিকদের সংগঠন সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর বলেন, ১ নভেম্বর থেকে কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন রুটে জাহাজ চলাচলের অনুমতি রয়েছে। কিন্তু পর্যাপ্ত পর্যটক বা যাত্রী না থাকায় জাহাজ চালানো সম্ভব হচ্ছে না। গত বছরের মতো ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে জাহাজ চালানোর প্রস্তুতি চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, গত বছর দুই মাসে ১ লাখের বেশি পর্যটক সেন্ট মার্টিন ভ্রমণ করেছেন।
সেন্ট মার্টিন হোটেল-রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি শিবলুল আযম কোরেশী বলেন, দ্বীপের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসনীয়। কিন্তু দ্বীপে পর্যটন খাতের বিনিয়োগ ও স্থানীয়দের জীবন-জীবিকা ঝুঁকিতে ফেলে পরিবেশ রক্ষা ও ভালো পর্যটন আশা করা যায় না।
দীর্ঘদিন পর্যটকশূন্য সেন্ট মার্টিনে কর্মহীন হয়ে পড়া নিম্নবিত্ত ৫০০ পরিবারকে সরকার ১১ হাজার ৪০০ টাকা করে অর্থ সহায়তা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন। তিনি বলেন, দ্বীপের পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষায় সরকার এর মধ্যে আরও বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
দ্বীপের মানুষের সংকট দূর করতে সরকারের নানা উদ্যোগ দৃশ্যমান বলে জানিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন। তিনি বলেন, সেন্ট মার্টিনে বনায়ন এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, পানীয় জলের সংকট নিরসন, বেওয়ারিশ কুকুরের প্রজনন ঠেকাতে বন্ধ্যাকরণ প্রকল্প, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বর্জ্য থেকে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ উৎপাদন, নতুন জেটি নির্মাণসহ শতকোটি টাকার কয়েকটি প্রকল্পের কাজ চলছে।
মানতে হবে ১২ নির্দেশনা
নভেম্বর থেকে জানুয়ারি (তিন মাস) সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ১২টি নির্দেশনা আরোপ করেছে। এর মধ্যে বিআইডব্লিউটিএ এবং মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া সেন্ট মার্টিন দ্বীপে কোনো নৌযান চলাচল করা যাবে না। পর্যটকদের বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের স্বীকৃত ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। সেখানে প্রতিটি টিকিটে ট্রাভেল পাস এবং কিউআর কোড সংযুক্ত থাকবে।
পর্যটকদের ভ্রমণের সময় রাতে সৈকতে আলো জ্বালানো, শব্দ সৃষ্টি বা বারবিকিউ পার্টি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া কেয়াবনে প্রবেশ, কেয়া ফল সংগ্রহ বা ক্রয়-বিক্রয়, সামুদ্রিক কাছিম, পাখি, প্রবাল, রাজকাঁকড়া, শামুক-ঝিনুক ও অন্যান্য জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি করা যাবে না। একই সঙ্গে সৈকতে মোটরসাইকেল, সি-বাইকসহ যেকোনো মোটরচালিত যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে।
নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে, পর্যটকেরা ভ্রমণকালে নিষিদ্ধ পলিথিন এবং একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক বহন করতে পারবে না। ৫০০ ও ১০০০ মিলিলিটারের প্লাস্টিক বোতল ইত্যাদি বহনে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মান্নান বলেন, সেন্ট মার্টিনের পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২ নির্দেশনা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে কাজ করবে জেলা প্রশাসন।

পর্যটকদের জন্য আগামীকাল শনিবার (১ নভেম্বর) থেকে উন্মুক্ত হচ্ছে দেশের একমাত্র প্রবালসমৃদ্ধ দ্বীপ কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিন। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ঘুরে বেড়ানোর জন্য পছন্দের এ দ্বীপ ৯ মাস পর উন্মুক্ত হলেও পুরো নভেম্বর মাস দিনে গিয়ে দিনে ফিরতে হবে পর্যটকদের। তবে ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে দৈনিক দুই হাজার করে পর্যটক রাতে থাকার সুযোগ পাবেন।
এদিকে নভেম্বরে সেন্ট মার্টিনে রাতে অবস্থানের সুযোগ না থাকায় পর্যটক খরার আশঙ্কায় কাল থেকে জাহাজ চালানো শুরু না করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে জাহাজমালিকদের সংগঠন সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।
বঙ্গোপসাগরের বুকে আট বর্গকিলোমিটার আয়তনের সেন্ট মার্টিনে গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে পর্যটকদের যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। সরকার দ্বীপের পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষায় গত বছর থেকে পর্যটক সীমিত করার সিদ্ধান্ত নেয়। এ সিদ্ধান্তের আলোকে নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত তিন মাস দ্বীপে পর্যটকেরা ভ্রমণের সুযোগ পাচ্ছেন।
জাহাজমালিক ও পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘাতের কারণে ২০২৩ সাল থেকে টেকনাফের দমদমিয়া ঘাট থেকে জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এরপর মেরিন ড্রাইভ সড়কের ইনানীর নৌবাহিনীর জেটিঘাট দিয়ে জাহাজ চলাচল করেছিল।
গত বছর থেকে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএর জেটিঘাট থেকে সাগরপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করে আসছিল।
চলতি বছরও এই ঘাট দিয়ে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই রুটে যাওয়া-আসায় প্রায় ১৪ ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে রাতযাপন করতে না পারলে পর্যটকদের দীর্ঘ সময় পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিন ভ্রমণে আগ্রহ থাকবে না। এ কারণে জাহাজমালিকেরা নভেম্বর মাসে জাহাজ চালাতে রাজি নয়।
জাহাজমালিকদের সংগঠন সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর বলেন, ১ নভেম্বর থেকে কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন রুটে জাহাজ চলাচলের অনুমতি রয়েছে। কিন্তু পর্যাপ্ত পর্যটক বা যাত্রী না থাকায় জাহাজ চালানো সম্ভব হচ্ছে না। গত বছরের মতো ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে জাহাজ চালানোর প্রস্তুতি চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, গত বছর দুই মাসে ১ লাখের বেশি পর্যটক সেন্ট মার্টিন ভ্রমণ করেছেন।
সেন্ট মার্টিন হোটেল-রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি শিবলুল আযম কোরেশী বলেন, দ্বীপের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসনীয়। কিন্তু দ্বীপে পর্যটন খাতের বিনিয়োগ ও স্থানীয়দের জীবন-জীবিকা ঝুঁকিতে ফেলে পরিবেশ রক্ষা ও ভালো পর্যটন আশা করা যায় না।
দীর্ঘদিন পর্যটকশূন্য সেন্ট মার্টিনে কর্মহীন হয়ে পড়া নিম্নবিত্ত ৫০০ পরিবারকে সরকার ১১ হাজার ৪০০ টাকা করে অর্থ সহায়তা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন। তিনি বলেন, দ্বীপের পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষায় সরকার এর মধ্যে আরও বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
দ্বীপের মানুষের সংকট দূর করতে সরকারের নানা উদ্যোগ দৃশ্যমান বলে জানিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন। তিনি বলেন, সেন্ট মার্টিনে বনায়ন এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, পানীয় জলের সংকট নিরসন, বেওয়ারিশ কুকুরের প্রজনন ঠেকাতে বন্ধ্যাকরণ প্রকল্প, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বর্জ্য থেকে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ উৎপাদন, নতুন জেটি নির্মাণসহ শতকোটি টাকার কয়েকটি প্রকল্পের কাজ চলছে।
মানতে হবে ১২ নির্দেশনা
নভেম্বর থেকে জানুয়ারি (তিন মাস) সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ১২টি নির্দেশনা আরোপ করেছে। এর মধ্যে বিআইডব্লিউটিএ এবং মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া সেন্ট মার্টিন দ্বীপে কোনো নৌযান চলাচল করা যাবে না। পর্যটকদের বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের স্বীকৃত ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। সেখানে প্রতিটি টিকিটে ট্রাভেল পাস এবং কিউআর কোড সংযুক্ত থাকবে।
পর্যটকদের ভ্রমণের সময় রাতে সৈকতে আলো জ্বালানো, শব্দ সৃষ্টি বা বারবিকিউ পার্টি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া কেয়াবনে প্রবেশ, কেয়া ফল সংগ্রহ বা ক্রয়-বিক্রয়, সামুদ্রিক কাছিম, পাখি, প্রবাল, রাজকাঁকড়া, শামুক-ঝিনুক ও অন্যান্য জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি করা যাবে না। একই সঙ্গে সৈকতে মোটরসাইকেল, সি-বাইকসহ যেকোনো মোটরচালিত যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে।
নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে, পর্যটকেরা ভ্রমণকালে নিষিদ্ধ পলিথিন এবং একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক বহন করতে পারবে না। ৫০০ ও ১০০০ মিলিলিটারের প্লাস্টিক বোতল ইত্যাদি বহনে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মান্নান বলেন, সেন্ট মার্টিনের পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২ নির্দেশনা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে কাজ করবে জেলা প্রশাসন।


একটি সংস্থায় চাকরি করেন। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গত বুধবার কক্সবাজারে আসেন। আজই চলে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরিবহন ধর্মঘটের কারণে আটকে গেছি
০৫ নভেম্বর ২০২১
গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে যেন প্রাণ ফিরে পেল ময়মনসিংহের নান্দাইল। হাজারো মানুষ পলো, জাল আর মাছ ধরার সরঞ্জাম নিয়ে হাজির হয় সদর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী বলদা বিলের ধারে। তারা দিনব্যাপী হইহুল্লোড়ের মাধ্যমে মাছ শিকার করে।
২ ঘণ্টা আগে
সিরাজগঞ্জে নীরবে বাড়ছে এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা। ইনজেকশন দিয়ে মাদক গ্রহণ এখন ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠেছে। চলতি বছর জেলায় ২৫৫ জনের শরীরে এইচআইভি শনাক্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৭৩ শতাংশই ইনজেকশন ব্যবহারকারী মাদকসেবী বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
২ ঘণ্টা আগে
মাদারীপুর-শরীয়তপুর আঞ্চলিক সড়কের আড়িয়াল খাঁ নদের ওপর নির্মিত সপ্তম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর সড়কবাতি দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এ পথ দিয়ে চলাচলকারী পথচারী ও যানবাহন চালকদের।
৩ ঘণ্টা আগেআব্দুল্লাহ আল মারুফ, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জে নীরবে বাড়ছে এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা। ইনজেকশন দিয়ে মাদক গ্রহণ এখন ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠেছে। চলতি বছর জেলায় ২৫৫ জনের শরীরে এইচআইভি শনাক্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৭৩ শতাংশই ইনজেকশন ব্যবহারকারী মাদকসেবী বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
গতকাল বিকেলে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আকিকুন নাহার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একই সিরিঞ্জ দিয়ে মাদক সেবনের কারণেই রক্তের মাধ্যমে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ছে। শনাক্ত ব্যক্তিদের অধিকাংশই মাদকসেবী। আমরা আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিয়মিত চিকিৎসা ও কাউন্সেলিং সেবা দিচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ইনজেকশন ব্যবহার করে মাদক সেবন বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও কঠোর হতে হবে।
জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে সিরাজগঞ্জে এইচআইভি পরীক্ষা শুরু হয়। প্রথম বছর শনাক্ত হয় মাত্র ৪, ২০২১ সালে শনাক্ত হয় ৮, আর ২০২২ সালে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৮১ জনে। এরপর কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও চলতি বছর আক্রান্তের সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে ২৫৫-এ পৌঁছেছে।
শনাক্তদের মধ্যে ১৮৭ জন ইনজেকশন ব্যবহারকারী মাদকসেবী, ৩৫ জন সাধারণ ব্যক্তি, ২৯ জন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও ৪ জন যৌনকর্মী। এর মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ২৬ জন। বাকিরা নিয়মিত চিকিৎসা ও ওষুধ সেবা নিচ্ছে।
জানতে চাইলে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের এইচআইভি টেস্টিং অ্যান্ড কাউন্সেলিং সেন্টারের কাউন্সেলর মাসুদ রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পজিটিভ শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের নিয়মিত সেন্টারে এসে কাউন্সেলিং ও রি-টেস্ট করতে বলা হয়, যাতে তাঁরা মানসিকভাবে দৃঢ় থাকতে পারেন। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সদর উপজেলাতেই সংখ্যা বেশি। নিম্ন আয়ের মানুষ, বিশেষ করে ২০-৩৫ বছর বয়সী তরুণেরা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। একই সিরিঞ্জে মাদক সেবন ও সমকামিতার প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় তরুণদের মধ্যে সংক্রমণও বাড়ছে।’
মাসুদ রানা আরও বলেন, ‘এইচআইভি আক্রান্ত হলে শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, ওষুধ সেবন করলে কাজ হয় না, ওজন দ্রুত কমে যায়। তাই প্রাথমিক পর্যায়ে পরীক্ষা ও চিকিৎসা শুরু করা জরুরি।’ তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে অনেক সময় সন্তান প্রসব বা অস্ত্রোপচারের সময় জীবাণুমুক্ত যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয় না। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি থেকেই যায়। আমাদের সবাইকেই সচেতন হতে হবে।’
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অবৈধ ইনজেকশনজাত মাদক বিক্রির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলছে। তরুণদের মধ্যে মাদক ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় সচেতনতামূলক কার্যক্রমও চালানো হচ্ছে। অনেক তরুণ প্রথমে বন্ধুদের সঙ্গে শখ করে নেশা শুরু করে, পরে আসক্তি থেকে আর বের হতে পারে না।

সিরাজগঞ্জে নীরবে বাড়ছে এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা। ইনজেকশন দিয়ে মাদক গ্রহণ এখন ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠেছে। চলতি বছর জেলায় ২৫৫ জনের শরীরে এইচআইভি শনাক্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৭৩ শতাংশই ইনজেকশন ব্যবহারকারী মাদকসেবী বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
গতকাল বিকেলে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আকিকুন নাহার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একই সিরিঞ্জ দিয়ে মাদক সেবনের কারণেই রক্তের মাধ্যমে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ছে। শনাক্ত ব্যক্তিদের অধিকাংশই মাদকসেবী। আমরা আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিয়মিত চিকিৎসা ও কাউন্সেলিং সেবা দিচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ইনজেকশন ব্যবহার করে মাদক সেবন বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও কঠোর হতে হবে।
জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে সিরাজগঞ্জে এইচআইভি পরীক্ষা শুরু হয়। প্রথম বছর শনাক্ত হয় মাত্র ৪, ২০২১ সালে শনাক্ত হয় ৮, আর ২০২২ সালে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৮১ জনে। এরপর কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও চলতি বছর আক্রান্তের সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে ২৫৫-এ পৌঁছেছে।
শনাক্তদের মধ্যে ১৮৭ জন ইনজেকশন ব্যবহারকারী মাদকসেবী, ৩৫ জন সাধারণ ব্যক্তি, ২৯ জন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও ৪ জন যৌনকর্মী। এর মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ২৬ জন। বাকিরা নিয়মিত চিকিৎসা ও ওষুধ সেবা নিচ্ছে।
জানতে চাইলে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের এইচআইভি টেস্টিং অ্যান্ড কাউন্সেলিং সেন্টারের কাউন্সেলর মাসুদ রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পজিটিভ শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের নিয়মিত সেন্টারে এসে কাউন্সেলিং ও রি-টেস্ট করতে বলা হয়, যাতে তাঁরা মানসিকভাবে দৃঢ় থাকতে পারেন। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সদর উপজেলাতেই সংখ্যা বেশি। নিম্ন আয়ের মানুষ, বিশেষ করে ২০-৩৫ বছর বয়সী তরুণেরা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। একই সিরিঞ্জে মাদক সেবন ও সমকামিতার প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় তরুণদের মধ্যে সংক্রমণও বাড়ছে।’
মাসুদ রানা আরও বলেন, ‘এইচআইভি আক্রান্ত হলে শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, ওষুধ সেবন করলে কাজ হয় না, ওজন দ্রুত কমে যায়। তাই প্রাথমিক পর্যায়ে পরীক্ষা ও চিকিৎসা শুরু করা জরুরি।’ তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে অনেক সময় সন্তান প্রসব বা অস্ত্রোপচারের সময় জীবাণুমুক্ত যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয় না। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি থেকেই যায়। আমাদের সবাইকেই সচেতন হতে হবে।’
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অবৈধ ইনজেকশনজাত মাদক বিক্রির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলছে। তরুণদের মধ্যে মাদক ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় সচেতনতামূলক কার্যক্রমও চালানো হচ্ছে। অনেক তরুণ প্রথমে বন্ধুদের সঙ্গে শখ করে নেশা শুরু করে, পরে আসক্তি থেকে আর বের হতে পারে না।


একটি সংস্থায় চাকরি করেন। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গত বুধবার কক্সবাজারে আসেন। আজই চলে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরিবহন ধর্মঘটের কারণে আটকে গেছি
০৫ নভেম্বর ২০২১
গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে যেন প্রাণ ফিরে পেল ময়মনসিংহের নান্দাইল। হাজারো মানুষ পলো, জাল আর মাছ ধরার সরঞ্জাম নিয়ে হাজির হয় সদর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী বলদা বিলের ধারে। তারা দিনব্যাপী হইহুল্লোড়ের মাধ্যমে মাছ শিকার করে।
২ ঘণ্টা আগে
পর্যটকদের জন্য আগামীকাল শনিবার (১ নভেম্বর) থেকে উন্মুক্ত হচ্ছে দেশের একমাত্র প্রবালসমৃদ্ধ দ্বীপ কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিন। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ঘুরে বেড়ানোর জন্য পছন্দের এ দ্বীপ ৯ মাস পর উন্মুক্ত হলেও পুরো নভেম্বর মাস দিনে গিয়ে দিনে ফিরতে হবে পর্যটকদের।
২ ঘণ্টা আগে
মাদারীপুর-শরীয়তপুর আঞ্চলিক সড়কের আড়িয়াল খাঁ নদের ওপর নির্মিত সপ্তম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর সড়কবাতি দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এ পথ দিয়ে চলাচলকারী পথচারী ও যানবাহন চালকদের।
৩ ঘণ্টা আগেমাদারীপুর প্রতিনিধি

মাদারীপুর-শরীয়তপুর আঞ্চলিক সড়কের আড়িয়াল খাঁ নদের ওপর নির্মিত সপ্তম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর সড়কবাতি দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এ পথ দিয়ে চলাচলকারী পথচারী ও যানবাহন চালকদের। এদিকে অভিযোগ রয়েছে, সব বাতি অকেজো থাকায় সন্ধ্যা হলেই অন্ধকারের মধ্যে সেতুর ওপর, এমনকি নিচেও মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। ফলে পথচারীরা অনেক সময় ছিনতাইয়ের কবলে পড়েন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ও চীন সরকারের যৌথ উদ্যোগে মাদারীপুর সদর উপজেলার মহিষেরচর এলাকার আড়িয়াল খাঁ নদের ওপর নির্মাণ করা হয় সপ্তম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু। ৬৯৪ মিটার সেতুর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ২৯৪ কোটি টাকা। সেতুটি নির্মাণ শেষে ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে উদ্বোধন করা হয়। চলাচলের সুবিধার জন্য সেতুটির ওপরে শতাধিক খুঁটি বসিয়ে সৌরবাতি লাগানো হয়। এক বছরের মাথায় বাতিগুলো সব নষ্ট হয়ে যায়। এরপর সৌরবাতি বাদ দিয়ে বিদ্যুৎ-সংযোগের মাধ্যমে বাতিগুলো জ্বালানোর ব্যবস্থা করা হয়। এর কয়েক মাস যেতেই আবার বাতিগুলো নষ্ট হয়ে যায়। এরপর বছরের পর বছর সেতুর বাতিগুলো অকেজো হয়েই পড়ে রয়েছে। এদিকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে এক বছর ধরে সড়ক বিভাগই সেতুটির টোল আদায় করছে। এই সড়ক দিয়ে ঢাকা, বরিশাল, খুলনাসহ বিভিন্ন এলাকায় যাওয়ার জন্য কয়েক হাজার চলাচলকারী যানবাহন থেকে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় করার পরও সেতুটির বাতি নেই।
খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, সন্ধ্যা হলেই অন্ধকার থাকায় এ গুরুত্বপূর্ণ সেতুর ওপর প্রায় দুর্ঘটনাসহ চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। তা ছাড়া সেতুর ওপরে ও নিচে নেশার আড্ডাও বসে।
অটোরিকশাচালক দেলোয়ার হোসেন বলেন, বাতি না থাকার কারণে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের ভয়ে এখন আর আগের মতো কেউ এখানে আসে না।
মাইক্রোবাসচালক ফেরদৌস ব্যাপারী বলেন, ‘সেতুতে সড়কবাতি না থাকায় অনেক সময় ছোটখাটো দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। তাই এই সেতুতে সড়কবাতি জরুরি’
পথচারী জালালউদ্দিন বলেন, ‘আমার বাড়ি সেতুর কাছেই। সন্ধ্যার পর এখান দিয়ে হাঁটতে ভয় লাগে। কারণ এখানে প্রায়ই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদারীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হাসান বলেন, ‘ঠিকাদার নিয়োগ না থাকায় বাতিগুলো অকেজো হয়ে আছে। তাড়াতাড়ি ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হবে। তখন বাতিগুলো ঠিক করা হবে। আশা করছি দ্রুতই এর সমাধান হবে।’

মাদারীপুর-শরীয়তপুর আঞ্চলিক সড়কের আড়িয়াল খাঁ নদের ওপর নির্মিত সপ্তম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর সড়কবাতি দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এ পথ দিয়ে চলাচলকারী পথচারী ও যানবাহন চালকদের। এদিকে অভিযোগ রয়েছে, সব বাতি অকেজো থাকায় সন্ধ্যা হলেই অন্ধকারের মধ্যে সেতুর ওপর, এমনকি নিচেও মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। ফলে পথচারীরা অনেক সময় ছিনতাইয়ের কবলে পড়েন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ও চীন সরকারের যৌথ উদ্যোগে মাদারীপুর সদর উপজেলার মহিষেরচর এলাকার আড়িয়াল খাঁ নদের ওপর নির্মাণ করা হয় সপ্তম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু। ৬৯৪ মিটার সেতুর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ২৯৪ কোটি টাকা। সেতুটি নির্মাণ শেষে ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে উদ্বোধন করা হয়। চলাচলের সুবিধার জন্য সেতুটির ওপরে শতাধিক খুঁটি বসিয়ে সৌরবাতি লাগানো হয়। এক বছরের মাথায় বাতিগুলো সব নষ্ট হয়ে যায়। এরপর সৌরবাতি বাদ দিয়ে বিদ্যুৎ-সংযোগের মাধ্যমে বাতিগুলো জ্বালানোর ব্যবস্থা করা হয়। এর কয়েক মাস যেতেই আবার বাতিগুলো নষ্ট হয়ে যায়। এরপর বছরের পর বছর সেতুর বাতিগুলো অকেজো হয়েই পড়ে রয়েছে। এদিকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে এক বছর ধরে সড়ক বিভাগই সেতুটির টোল আদায় করছে। এই সড়ক দিয়ে ঢাকা, বরিশাল, খুলনাসহ বিভিন্ন এলাকায় যাওয়ার জন্য কয়েক হাজার চলাচলকারী যানবাহন থেকে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় করার পরও সেতুটির বাতি নেই।
খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, সন্ধ্যা হলেই অন্ধকার থাকায় এ গুরুত্বপূর্ণ সেতুর ওপর প্রায় দুর্ঘটনাসহ চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। তা ছাড়া সেতুর ওপরে ও নিচে নেশার আড্ডাও বসে।
অটোরিকশাচালক দেলোয়ার হোসেন বলেন, বাতি না থাকার কারণে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের ভয়ে এখন আর আগের মতো কেউ এখানে আসে না।
মাইক্রোবাসচালক ফেরদৌস ব্যাপারী বলেন, ‘সেতুতে সড়কবাতি না থাকায় অনেক সময় ছোটখাটো দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। তাই এই সেতুতে সড়কবাতি জরুরি’
পথচারী জালালউদ্দিন বলেন, ‘আমার বাড়ি সেতুর কাছেই। সন্ধ্যার পর এখান দিয়ে হাঁটতে ভয় লাগে। কারণ এখানে প্রায়ই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদারীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হাসান বলেন, ‘ঠিকাদার নিয়োগ না থাকায় বাতিগুলো অকেজো হয়ে আছে। তাড়াতাড়ি ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হবে। তখন বাতিগুলো ঠিক করা হবে। আশা করছি দ্রুতই এর সমাধান হবে।’


একটি সংস্থায় চাকরি করেন। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গত বুধবার কক্সবাজারে আসেন। আজই চলে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরিবহন ধর্মঘটের কারণে আটকে গেছি
০৫ নভেম্বর ২০২১
গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে যেন প্রাণ ফিরে পেল ময়মনসিংহের নান্দাইল। হাজারো মানুষ পলো, জাল আর মাছ ধরার সরঞ্জাম নিয়ে হাজির হয় সদর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী বলদা বিলের ধারে। তারা দিনব্যাপী হইহুল্লোড়ের মাধ্যমে মাছ শিকার করে।
২ ঘণ্টা আগে
পর্যটকদের জন্য আগামীকাল শনিবার (১ নভেম্বর) থেকে উন্মুক্ত হচ্ছে দেশের একমাত্র প্রবালসমৃদ্ধ দ্বীপ কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিন। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ঘুরে বেড়ানোর জন্য পছন্দের এ দ্বীপ ৯ মাস পর উন্মুক্ত হলেও পুরো নভেম্বর মাস দিনে গিয়ে দিনে ফিরতে হবে পর্যটকদের।
২ ঘণ্টা আগে
সিরাজগঞ্জে নীরবে বাড়ছে এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা। ইনজেকশন দিয়ে মাদক গ্রহণ এখন ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠেছে। চলতি বছর জেলায় ২৫৫ জনের শরীরে এইচআইভি শনাক্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৭৩ শতাংশই ইনজেকশন ব্যবহারকারী মাদকসেবী বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
২ ঘণ্টা আগে