
মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার শুনানি শেষ হয়েছে গত ১২ জানুয়ারি। কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈল ৩১ জানুয়ারি রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন। সিনহা হত্যা মামলায় টেকনাফের ত্রাস ওসি প্রদীপসহ ১৫ আসামির সাজা শোনার অপেক্ষায় দেশবাসী।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে সিনহা হত্যার ঘটনা ঘটে। পুলিশের গুলিতে নিহত হন তিনি। পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী তাঁকে গুলি করেন বলে মামলার তদন্তে উঠে এসেছে।
হত্যাকাণ্ডের চার দিন পর ৫ আগস্ট সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে হত্যা মামলা করেন। মামলায় টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ নয়জনকে আসামি করা হয়। প্রদীপকে পরে বরখাস্ত করা হয়। বর্তমান তিনি কারাগারে।
মামলায় প্রধান আসামি বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক লিয়াকত আলী। প্রদীপ কুমার দাশকে করা হয় দুই নম্বর আসামি। মামলার তিন নম্বর আসামি বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত। মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় কক্সবাজারের র্যাব-১৫।
২০২০ সালের ৭ আগস্ট এজাহারভুক্ত আসামি সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তদন্তে নেমে স্থানীয় তিন বাসিন্দা, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্য ও ওসি প্রদীপের দেহরক্ষীসহ আরও সাতজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
২০২১ সালের ২৪ জুন মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি কনস্টেবল সাগর দেবের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এর মাধ্যমে মামলার ১৫ আসামির সবাই গ্রেপ্তার হন।
চার মাসের বেশি সময় তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এতে ৮৩ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-১৫-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম। তিনি ১৫ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেন। অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকাণ্ডকে একটি পরিকল্পিত ঘটনা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
কারাগারে থাকা ১৫ আসামি হলেন—বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, প্রদীপের দেহরক্ষী রুবেল শর্মা, বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিত, বরখাস্ত কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আব্দুল্লাহ আল মামুন, বরখাস্ত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, বরখাস্ত কনস্টেবল সাগর দেব, বরখাস্ত এপিবিএনের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহজাহান, বরখাস্ত কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ। এ ছাড়া রয়েছেন টেকনাফ থানায় পুলিশের দায়ের করা মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।
সিনহা নিহত হওয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি তদন্ত শেষে একটি প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়। তবে ওই তদন্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়নি। তবে কক্সবাজারের পুলিশ সুপারসহ একযোগে দেড় সহস্রাধিক পুলিশ সদস্যকে অন্যত্র বদলি করে তদন্তস্থলে নতুন পুলিশ সদস্যদের পদায়ন করা হয়।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাত সোয়া ৯টা
কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএনের চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান।
২০২০ সালের ১ আগস্ট
পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি এবং রামু থানায় একটি মামলা করে। সরকারি কাজে বাধা প্রদান এবং মাদক আইনে মামলা দুটি করে পুলিশ। টেকনাফ থানায় করা দুই মামলায় সিনহার সঙ্গী সাইদুল ইসলাম সিফাতকে আসামি করা হয়। রামু থানায় মাদক আইনে করা মামলাটিতে আসামি করা হয় সিনহার অন্য সঙ্গী শিপ্রা দেবনাথকে।
২০২০ সালের ৫ আগস্ট
সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে কক্সবাজার আদালতে মামলা করেন। এতে প্রধান আসামি করা হয় টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে। মামলার অন্য আসামিরা হলেন—টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, উপ-পরিদর্শক (এসআই) টুটুল ও কনস্টেবল মোহাম্মদ মোস্তফা। মামলাটি টেকনাফ থানায় নথিভুক্ত করার পর আদালত তদন্তভার দেন র্যাবকে। একই সঙ্গে পুলিশের দায়ের করা মামলা তিনটিও র্যাবকে তদন্ত করার আদেশ দেন আদালত।
২০২০ সালের ৬ আগস্ট
সকালে মামলাটি টেকনাফ থানায় নথিভুক্ত করে তদন্তের জন্য র্যাবে হস্তান্তর করা হয়। ওই দিন বিকেলে মামলায় আসামি সাতজনের মধ্যে সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এসআই টুটুল ও কনস্টেবল মোহাম্মদ মোস্তফা নামের কোনো পুলিশ সদস্য জেলা পুলিশে কর্মরত ছিলেন না। ওই দিনই আত্মসমর্পণকারী আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
২০২০ সালের ১১ আগস্ট
পুলিশের মামলার তিন সাক্ষী টেকনাফের মারিশবুনিয়া এলাকার মো. নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আয়াজ ও নিজাম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। ওই দিনই তাঁদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
২০২০ সালের ১৮ আগস্ট
এপিবিএনের তিন সদস্য সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শাহজাহান মিয়া, কনস্টেবল মো. রাজীব ও কনস্টেবল মো. আব্দুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। ওই দিনই তাঁদের রিমান্ড আবেদন করে র্যাব।
২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর
কনস্টেবল রুবেল শর্মাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে র্যাব। ওই দিনই তাঁর বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
পরে কারাগারে থাকা ১৪ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। তাঁদের মধ্যে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা ছাড়া অন্য ১২ আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর
র্যাব-১৫-এর কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) খাইরুল ইসলাম ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযুক্তদের মধ্যে ১৪ জন কারাগারে থাকলেও টেকনাফ থানার কনস্টেবল সাগর দেব পলাতক ছিলেন। অভিযোগপত্রে সাক্ষী করা হয় ৮৩ জনকে। একই দিন পুলিশের করা মামলা তিনটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর
আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে পলাতক আসামি কনস্টেবল সাগর দেবের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। একই সঙ্গে পুলিশের করা তিনটি মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে সাইদুল ইসলাম সিফাত ও শিপ্রা দেবনাথকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এরপর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তামান্না ফারাহর আদালত থেকে মামলাটির কার্যক্রম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেনের আদালতে স্থানান্তর করা হয়।
২০২১ সালের ২৪ জুন
পলাতক আসামি কনস্টেবল সাগর দেব আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত ওই দিনই তাঁকে কারাগারে পাঠান।
২০২১ সালের ২৭ জুন
আদালত ১৫ আসামির বিচার শুরুর আদেশ দেন। একই সঙ্গে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২৬ থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত দিন ধার্য করেন। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে আদালতের বিচার কার্যক্রম স্থগিত থাকায় ধার্য দিনগুলোতে সাক্ষ্যগ্রহণ সম্ভব হয়নি।
২০২১ সালের ২৩ আগস্ট থেকে ১ ডিসেম্বর
আট দফায় ৮৩ জনের মধ্যে ৬৫ জন সাক্ষ্য দেন। প্রথম দফায় ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত তিন দিনে দুজনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়। দ্বিতীয় দফায় ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চার দিনে সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয় চারজনের। তৃতীয় দফায় ২০ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দিনে সম্পন্ন হয় আটজনের সাক্ষ্যগ্রহণ। চতুর্থ দফায় ২৮ ও ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দুই দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা করা হয় ছয়জনের। পঞ্চম দফায় ১০ থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত তিন দিনে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়।
ষষ্ঠ দফায় ২৫ থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত তিন দিনে সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয় ২৪ জনের। সপ্তম দফায় ১৫ থেকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত তিন দিনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ছয়জন সাক্ষ্য দেন। এদের মধ্যে পাঁচজনের জেরা সম্পন্ন হলেও তদন্তকারী কর্মকর্তার জেরা অসম্পন্ন ছিল। সর্বশেষ অষ্টম দফায় ২৯ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন দিনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়।
২০২১ সালের ৬ ও ৭ ডিসেম্বর
আসামিরা ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন।
২০২২ সালের ৯ থেকে ১২ জানুয়ারি
মামলায় উভয় পক্ষের আইনজীবীরা যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করেন।
২০২২ সালের ১২ জানুয়ারি
যুক্তি-তর্ক উপস্থাপনের শেষ দিন আদালত ৩১ জানুয়ারি মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।
মেজর সিনহা মামলা সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার শুনানি শেষ হয়েছে গত ১২ জানুয়ারি। কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈল ৩১ জানুয়ারি রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন। সিনহা হত্যা মামলায় টেকনাফের ত্রাস ওসি প্রদীপসহ ১৫ আসামির সাজা শোনার অপেক্ষায় দেশবাসী।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে সিনহা হত্যার ঘটনা ঘটে। পুলিশের গুলিতে নিহত হন তিনি। পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী তাঁকে গুলি করেন বলে মামলার তদন্তে উঠে এসেছে।
হত্যাকাণ্ডের চার দিন পর ৫ আগস্ট সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে হত্যা মামলা করেন। মামলায় টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ নয়জনকে আসামি করা হয়। প্রদীপকে পরে বরখাস্ত করা হয়। বর্তমান তিনি কারাগারে।
মামলায় প্রধান আসামি বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক লিয়াকত আলী। প্রদীপ কুমার দাশকে করা হয় দুই নম্বর আসামি। মামলার তিন নম্বর আসামি বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত। মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় কক্সবাজারের র্যাব-১৫।
২০২০ সালের ৭ আগস্ট এজাহারভুক্ত আসামি সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তদন্তে নেমে স্থানীয় তিন বাসিন্দা, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্য ও ওসি প্রদীপের দেহরক্ষীসহ আরও সাতজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
২০২১ সালের ২৪ জুন মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি কনস্টেবল সাগর দেবের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এর মাধ্যমে মামলার ১৫ আসামির সবাই গ্রেপ্তার হন।
চার মাসের বেশি সময় তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এতে ৮৩ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-১৫-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম। তিনি ১৫ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেন। অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকাণ্ডকে একটি পরিকল্পিত ঘটনা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
কারাগারে থাকা ১৫ আসামি হলেন—বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, প্রদীপের দেহরক্ষী রুবেল শর্মা, বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিত, বরখাস্ত কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আব্দুল্লাহ আল মামুন, বরখাস্ত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, বরখাস্ত কনস্টেবল সাগর দেব, বরখাস্ত এপিবিএনের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহজাহান, বরখাস্ত কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ। এ ছাড়া রয়েছেন টেকনাফ থানায় পুলিশের দায়ের করা মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।
সিনহা নিহত হওয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি তদন্ত শেষে একটি প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়। তবে ওই তদন্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়নি। তবে কক্সবাজারের পুলিশ সুপারসহ একযোগে দেড় সহস্রাধিক পুলিশ সদস্যকে অন্যত্র বদলি করে তদন্তস্থলে নতুন পুলিশ সদস্যদের পদায়ন করা হয়।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাত সোয়া ৯টা
কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএনের চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান।
২০২০ সালের ১ আগস্ট
পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি এবং রামু থানায় একটি মামলা করে। সরকারি কাজে বাধা প্রদান এবং মাদক আইনে মামলা দুটি করে পুলিশ। টেকনাফ থানায় করা দুই মামলায় সিনহার সঙ্গী সাইদুল ইসলাম সিফাতকে আসামি করা হয়। রামু থানায় মাদক আইনে করা মামলাটিতে আসামি করা হয় সিনহার অন্য সঙ্গী শিপ্রা দেবনাথকে।
২০২০ সালের ৫ আগস্ট
সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে কক্সবাজার আদালতে মামলা করেন। এতে প্রধান আসামি করা হয় টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে। মামলার অন্য আসামিরা হলেন—টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, উপ-পরিদর্শক (এসআই) টুটুল ও কনস্টেবল মোহাম্মদ মোস্তফা। মামলাটি টেকনাফ থানায় নথিভুক্ত করার পর আদালত তদন্তভার দেন র্যাবকে। একই সঙ্গে পুলিশের দায়ের করা মামলা তিনটিও র্যাবকে তদন্ত করার আদেশ দেন আদালত।
২০২০ সালের ৬ আগস্ট
সকালে মামলাটি টেকনাফ থানায় নথিভুক্ত করে তদন্তের জন্য র্যাবে হস্তান্তর করা হয়। ওই দিন বিকেলে মামলায় আসামি সাতজনের মধ্যে সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এসআই টুটুল ও কনস্টেবল মোহাম্মদ মোস্তফা নামের কোনো পুলিশ সদস্য জেলা পুলিশে কর্মরত ছিলেন না। ওই দিনই আত্মসমর্পণকারী আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
২০২০ সালের ১১ আগস্ট
পুলিশের মামলার তিন সাক্ষী টেকনাফের মারিশবুনিয়া এলাকার মো. নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আয়াজ ও নিজাম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। ওই দিনই তাঁদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
২০২০ সালের ১৮ আগস্ট
এপিবিএনের তিন সদস্য সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শাহজাহান মিয়া, কনস্টেবল মো. রাজীব ও কনস্টেবল মো. আব্দুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। ওই দিনই তাঁদের রিমান্ড আবেদন করে র্যাব।
২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর
কনস্টেবল রুবেল শর্মাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে র্যাব। ওই দিনই তাঁর বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
পরে কারাগারে থাকা ১৪ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। তাঁদের মধ্যে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা ছাড়া অন্য ১২ আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর
র্যাব-১৫-এর কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) খাইরুল ইসলাম ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযুক্তদের মধ্যে ১৪ জন কারাগারে থাকলেও টেকনাফ থানার কনস্টেবল সাগর দেব পলাতক ছিলেন। অভিযোগপত্রে সাক্ষী করা হয় ৮৩ জনকে। একই দিন পুলিশের করা মামলা তিনটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর
আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে পলাতক আসামি কনস্টেবল সাগর দেবের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। একই সঙ্গে পুলিশের করা তিনটি মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে সাইদুল ইসলাম সিফাত ও শিপ্রা দেবনাথকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এরপর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তামান্না ফারাহর আদালত থেকে মামলাটির কার্যক্রম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেনের আদালতে স্থানান্তর করা হয়।
২০২১ সালের ২৪ জুন
পলাতক আসামি কনস্টেবল সাগর দেব আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত ওই দিনই তাঁকে কারাগারে পাঠান।
২০২১ সালের ২৭ জুন
আদালত ১৫ আসামির বিচার শুরুর আদেশ দেন। একই সঙ্গে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২৬ থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত দিন ধার্য করেন। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে আদালতের বিচার কার্যক্রম স্থগিত থাকায় ধার্য দিনগুলোতে সাক্ষ্যগ্রহণ সম্ভব হয়নি।
২০২১ সালের ২৩ আগস্ট থেকে ১ ডিসেম্বর
আট দফায় ৮৩ জনের মধ্যে ৬৫ জন সাক্ষ্য দেন। প্রথম দফায় ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত তিন দিনে দুজনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়। দ্বিতীয় দফায় ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চার দিনে সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয় চারজনের। তৃতীয় দফায় ২০ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দিনে সম্পন্ন হয় আটজনের সাক্ষ্যগ্রহণ। চতুর্থ দফায় ২৮ ও ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দুই দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা করা হয় ছয়জনের। পঞ্চম দফায় ১০ থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত তিন দিনে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়।
ষষ্ঠ দফায় ২৫ থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত তিন দিনে সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয় ২৪ জনের। সপ্তম দফায় ১৫ থেকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত তিন দিনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ছয়জন সাক্ষ্য দেন। এদের মধ্যে পাঁচজনের জেরা সম্পন্ন হলেও তদন্তকারী কর্মকর্তার জেরা অসম্পন্ন ছিল। সর্বশেষ অষ্টম দফায় ২৯ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন দিনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়।
২০২১ সালের ৬ ও ৭ ডিসেম্বর
আসামিরা ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন।
২০২২ সালের ৯ থেকে ১২ জানুয়ারি
মামলায় উভয় পক্ষের আইনজীবীরা যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করেন।
২০২২ সালের ১২ জানুয়ারি
যুক্তি-তর্ক উপস্থাপনের শেষ দিন আদালত ৩১ জানুয়ারি মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।
মেজর সিনহা মামলা সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার শুনানি শেষ হয়েছে গত ১২ জানুয়ারি। কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈল ৩১ জানুয়ারি রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন। সিনহা হত্যা মামলায় টেকনাফের ত্রাস ওসি প্রদীপসহ ১৫ আসামির সাজা শোনার অপেক্ষায় দেশবাসী।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে সিনহা হত্যার ঘটনা ঘটে। পুলিশের গুলিতে নিহত হন তিনি। পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী তাঁকে গুলি করেন বলে মামলার তদন্তে উঠে এসেছে।
হত্যাকাণ্ডের চার দিন পর ৫ আগস্ট সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে হত্যা মামলা করেন। মামলায় টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ নয়জনকে আসামি করা হয়। প্রদীপকে পরে বরখাস্ত করা হয়। বর্তমান তিনি কারাগারে।
মামলায় প্রধান আসামি বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক লিয়াকত আলী। প্রদীপ কুমার দাশকে করা হয় দুই নম্বর আসামি। মামলার তিন নম্বর আসামি বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত। মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় কক্সবাজারের র্যাব-১৫।
২০২০ সালের ৭ আগস্ট এজাহারভুক্ত আসামি সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তদন্তে নেমে স্থানীয় তিন বাসিন্দা, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্য ও ওসি প্রদীপের দেহরক্ষীসহ আরও সাতজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
২০২১ সালের ২৪ জুন মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি কনস্টেবল সাগর দেবের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এর মাধ্যমে মামলার ১৫ আসামির সবাই গ্রেপ্তার হন।
চার মাসের বেশি সময় তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এতে ৮৩ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-১৫-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম। তিনি ১৫ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেন। অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকাণ্ডকে একটি পরিকল্পিত ঘটনা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
কারাগারে থাকা ১৫ আসামি হলেন—বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, প্রদীপের দেহরক্ষী রুবেল শর্মা, বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিত, বরখাস্ত কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আব্দুল্লাহ আল মামুন, বরখাস্ত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, বরখাস্ত কনস্টেবল সাগর দেব, বরখাস্ত এপিবিএনের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহজাহান, বরখাস্ত কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ। এ ছাড়া রয়েছেন টেকনাফ থানায় পুলিশের দায়ের করা মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।
সিনহা নিহত হওয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি তদন্ত শেষে একটি প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়। তবে ওই তদন্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়নি। তবে কক্সবাজারের পুলিশ সুপারসহ একযোগে দেড় সহস্রাধিক পুলিশ সদস্যকে অন্যত্র বদলি করে তদন্তস্থলে নতুন পুলিশ সদস্যদের পদায়ন করা হয়।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাত সোয়া ৯টা
কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএনের চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান।
২০২০ সালের ১ আগস্ট
পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি এবং রামু থানায় একটি মামলা করে। সরকারি কাজে বাধা প্রদান এবং মাদক আইনে মামলা দুটি করে পুলিশ। টেকনাফ থানায় করা দুই মামলায় সিনহার সঙ্গী সাইদুল ইসলাম সিফাতকে আসামি করা হয়। রামু থানায় মাদক আইনে করা মামলাটিতে আসামি করা হয় সিনহার অন্য সঙ্গী শিপ্রা দেবনাথকে।
২০২০ সালের ৫ আগস্ট
সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে কক্সবাজার আদালতে মামলা করেন। এতে প্রধান আসামি করা হয় টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে। মামলার অন্য আসামিরা হলেন—টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, উপ-পরিদর্শক (এসআই) টুটুল ও কনস্টেবল মোহাম্মদ মোস্তফা। মামলাটি টেকনাফ থানায় নথিভুক্ত করার পর আদালত তদন্তভার দেন র্যাবকে। একই সঙ্গে পুলিশের দায়ের করা মামলা তিনটিও র্যাবকে তদন্ত করার আদেশ দেন আদালত।
২০২০ সালের ৬ আগস্ট
সকালে মামলাটি টেকনাফ থানায় নথিভুক্ত করে তদন্তের জন্য র্যাবে হস্তান্তর করা হয়। ওই দিন বিকেলে মামলায় আসামি সাতজনের মধ্যে সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এসআই টুটুল ও কনস্টেবল মোহাম্মদ মোস্তফা নামের কোনো পুলিশ সদস্য জেলা পুলিশে কর্মরত ছিলেন না। ওই দিনই আত্মসমর্পণকারী আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
২০২০ সালের ১১ আগস্ট
পুলিশের মামলার তিন সাক্ষী টেকনাফের মারিশবুনিয়া এলাকার মো. নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আয়াজ ও নিজাম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। ওই দিনই তাঁদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
২০২০ সালের ১৮ আগস্ট
এপিবিএনের তিন সদস্য সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শাহজাহান মিয়া, কনস্টেবল মো. রাজীব ও কনস্টেবল মো. আব্দুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। ওই দিনই তাঁদের রিমান্ড আবেদন করে র্যাব।
২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর
কনস্টেবল রুবেল শর্মাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে র্যাব। ওই দিনই তাঁর বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
পরে কারাগারে থাকা ১৪ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। তাঁদের মধ্যে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা ছাড়া অন্য ১২ আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর
র্যাব-১৫-এর কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) খাইরুল ইসলাম ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযুক্তদের মধ্যে ১৪ জন কারাগারে থাকলেও টেকনাফ থানার কনস্টেবল সাগর দেব পলাতক ছিলেন। অভিযোগপত্রে সাক্ষী করা হয় ৮৩ জনকে। একই দিন পুলিশের করা মামলা তিনটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর
আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে পলাতক আসামি কনস্টেবল সাগর দেবের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। একই সঙ্গে পুলিশের করা তিনটি মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে সাইদুল ইসলাম সিফাত ও শিপ্রা দেবনাথকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এরপর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তামান্না ফারাহর আদালত থেকে মামলাটির কার্যক্রম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেনের আদালতে স্থানান্তর করা হয়।
২০২১ সালের ২৪ জুন
পলাতক আসামি কনস্টেবল সাগর দেব আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত ওই দিনই তাঁকে কারাগারে পাঠান।
২০২১ সালের ২৭ জুন
আদালত ১৫ আসামির বিচার শুরুর আদেশ দেন। একই সঙ্গে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২৬ থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত দিন ধার্য করেন। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে আদালতের বিচার কার্যক্রম স্থগিত থাকায় ধার্য দিনগুলোতে সাক্ষ্যগ্রহণ সম্ভব হয়নি।
২০২১ সালের ২৩ আগস্ট থেকে ১ ডিসেম্বর
আট দফায় ৮৩ জনের মধ্যে ৬৫ জন সাক্ষ্য দেন। প্রথম দফায় ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত তিন দিনে দুজনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়। দ্বিতীয় দফায় ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চার দিনে সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয় চারজনের। তৃতীয় দফায় ২০ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দিনে সম্পন্ন হয় আটজনের সাক্ষ্যগ্রহণ। চতুর্থ দফায় ২৮ ও ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দুই দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা করা হয় ছয়জনের। পঞ্চম দফায় ১০ থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত তিন দিনে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়।
ষষ্ঠ দফায় ২৫ থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত তিন দিনে সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয় ২৪ জনের। সপ্তম দফায় ১৫ থেকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত তিন দিনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ছয়জন সাক্ষ্য দেন। এদের মধ্যে পাঁচজনের জেরা সম্পন্ন হলেও তদন্তকারী কর্মকর্তার জেরা অসম্পন্ন ছিল। সর্বশেষ অষ্টম দফায় ২৯ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন দিনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়।
২০২১ সালের ৬ ও ৭ ডিসেম্বর
আসামিরা ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন।
২০২২ সালের ৯ থেকে ১২ জানুয়ারি
মামলায় উভয় পক্ষের আইনজীবীরা যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করেন।
২০২২ সালের ১২ জানুয়ারি
যুক্তি-তর্ক উপস্থাপনের শেষ দিন আদালত ৩১ জানুয়ারি মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।
মেজর সিনহা মামলা সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার শুনানি শেষ হয়েছে গত ১২ জানুয়ারি। কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈল ৩১ জানুয়ারি রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন। সিনহা হত্যা মামলায় টেকনাফের ত্রাস ওসি প্রদীপসহ ১৫ আসামির সাজা শোনার অপেক্ষায় দেশবাসী।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে সিনহা হত্যার ঘটনা ঘটে। পুলিশের গুলিতে নিহত হন তিনি। পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী তাঁকে গুলি করেন বলে মামলার তদন্তে উঠে এসেছে।
হত্যাকাণ্ডের চার দিন পর ৫ আগস্ট সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে হত্যা মামলা করেন। মামলায় টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ নয়জনকে আসামি করা হয়। প্রদীপকে পরে বরখাস্ত করা হয়। বর্তমান তিনি কারাগারে।
মামলায় প্রধান আসামি বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক লিয়াকত আলী। প্রদীপ কুমার দাশকে করা হয় দুই নম্বর আসামি। মামলার তিন নম্বর আসামি বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত। মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় কক্সবাজারের র্যাব-১৫।
২০২০ সালের ৭ আগস্ট এজাহারভুক্ত আসামি সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তদন্তে নেমে স্থানীয় তিন বাসিন্দা, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্য ও ওসি প্রদীপের দেহরক্ষীসহ আরও সাতজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
২০২১ সালের ২৪ জুন মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি কনস্টেবল সাগর দেবের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এর মাধ্যমে মামলার ১৫ আসামির সবাই গ্রেপ্তার হন।
চার মাসের বেশি সময় তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এতে ৮৩ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-১৫-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম। তিনি ১৫ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেন। অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকাণ্ডকে একটি পরিকল্পিত ঘটনা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
কারাগারে থাকা ১৫ আসামি হলেন—বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, প্রদীপের দেহরক্ষী রুবেল শর্মা, বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিত, বরখাস্ত কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আব্দুল্লাহ আল মামুন, বরখাস্ত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, বরখাস্ত কনস্টেবল সাগর দেব, বরখাস্ত এপিবিএনের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহজাহান, বরখাস্ত কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ। এ ছাড়া রয়েছেন টেকনাফ থানায় পুলিশের দায়ের করা মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।
সিনহা নিহত হওয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি তদন্ত শেষে একটি প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়। তবে ওই তদন্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়নি। তবে কক্সবাজারের পুলিশ সুপারসহ একযোগে দেড় সহস্রাধিক পুলিশ সদস্যকে অন্যত্র বদলি করে তদন্তস্থলে নতুন পুলিশ সদস্যদের পদায়ন করা হয়।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাত সোয়া ৯টা
কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএনের চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান।
২০২০ সালের ১ আগস্ট
পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি এবং রামু থানায় একটি মামলা করে। সরকারি কাজে বাধা প্রদান এবং মাদক আইনে মামলা দুটি করে পুলিশ। টেকনাফ থানায় করা দুই মামলায় সিনহার সঙ্গী সাইদুল ইসলাম সিফাতকে আসামি করা হয়। রামু থানায় মাদক আইনে করা মামলাটিতে আসামি করা হয় সিনহার অন্য সঙ্গী শিপ্রা দেবনাথকে।
২০২০ সালের ৫ আগস্ট
সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে কক্সবাজার আদালতে মামলা করেন। এতে প্রধান আসামি করা হয় টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে। মামলার অন্য আসামিরা হলেন—টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, উপ-পরিদর্শক (এসআই) টুটুল ও কনস্টেবল মোহাম্মদ মোস্তফা। মামলাটি টেকনাফ থানায় নথিভুক্ত করার পর আদালত তদন্তভার দেন র্যাবকে। একই সঙ্গে পুলিশের দায়ের করা মামলা তিনটিও র্যাবকে তদন্ত করার আদেশ দেন আদালত।
২০২০ সালের ৬ আগস্ট
সকালে মামলাটি টেকনাফ থানায় নথিভুক্ত করে তদন্তের জন্য র্যাবে হস্তান্তর করা হয়। ওই দিন বিকেলে মামলায় আসামি সাতজনের মধ্যে সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এসআই টুটুল ও কনস্টেবল মোহাম্মদ মোস্তফা নামের কোনো পুলিশ সদস্য জেলা পুলিশে কর্মরত ছিলেন না। ওই দিনই আত্মসমর্পণকারী আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
২০২০ সালের ১১ আগস্ট
পুলিশের মামলার তিন সাক্ষী টেকনাফের মারিশবুনিয়া এলাকার মো. নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আয়াজ ও নিজাম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। ওই দিনই তাঁদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
২০২০ সালের ১৮ আগস্ট
এপিবিএনের তিন সদস্য সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শাহজাহান মিয়া, কনস্টেবল মো. রাজীব ও কনস্টেবল মো. আব্দুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। ওই দিনই তাঁদের রিমান্ড আবেদন করে র্যাব।
২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর
কনস্টেবল রুবেল শর্মাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে র্যাব। ওই দিনই তাঁর বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
পরে কারাগারে থাকা ১৪ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। তাঁদের মধ্যে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা ছাড়া অন্য ১২ আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর
র্যাব-১৫-এর কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) খাইরুল ইসলাম ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযুক্তদের মধ্যে ১৪ জন কারাগারে থাকলেও টেকনাফ থানার কনস্টেবল সাগর দেব পলাতক ছিলেন। অভিযোগপত্রে সাক্ষী করা হয় ৮৩ জনকে। একই দিন পুলিশের করা মামলা তিনটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর
আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে পলাতক আসামি কনস্টেবল সাগর দেবের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। একই সঙ্গে পুলিশের করা তিনটি মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে সাইদুল ইসলাম সিফাত ও শিপ্রা দেবনাথকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এরপর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তামান্না ফারাহর আদালত থেকে মামলাটির কার্যক্রম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেনের আদালতে স্থানান্তর করা হয়।
২০২১ সালের ২৪ জুন
পলাতক আসামি কনস্টেবল সাগর দেব আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত ওই দিনই তাঁকে কারাগারে পাঠান।
২০২১ সালের ২৭ জুন
আদালত ১৫ আসামির বিচার শুরুর আদেশ দেন। একই সঙ্গে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২৬ থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত দিন ধার্য করেন। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে আদালতের বিচার কার্যক্রম স্থগিত থাকায় ধার্য দিনগুলোতে সাক্ষ্যগ্রহণ সম্ভব হয়নি।
২০২১ সালের ২৩ আগস্ট থেকে ১ ডিসেম্বর
আট দফায় ৮৩ জনের মধ্যে ৬৫ জন সাক্ষ্য দেন। প্রথম দফায় ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত তিন দিনে দুজনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়। দ্বিতীয় দফায় ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চার দিনে সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয় চারজনের। তৃতীয় দফায় ২০ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দিনে সম্পন্ন হয় আটজনের সাক্ষ্যগ্রহণ। চতুর্থ দফায় ২৮ ও ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দুই দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা করা হয় ছয়জনের। পঞ্চম দফায় ১০ থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত তিন দিনে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়।
ষষ্ঠ দফায় ২৫ থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত তিন দিনে সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয় ২৪ জনের। সপ্তম দফায় ১৫ থেকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত তিন দিনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ছয়জন সাক্ষ্য দেন। এদের মধ্যে পাঁচজনের জেরা সম্পন্ন হলেও তদন্তকারী কর্মকর্তার জেরা অসম্পন্ন ছিল। সর্বশেষ অষ্টম দফায় ২৯ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন দিনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়।
২০২১ সালের ৬ ও ৭ ডিসেম্বর
আসামিরা ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন।
২০২২ সালের ৯ থেকে ১২ জানুয়ারি
মামলায় উভয় পক্ষের আইনজীবীরা যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করেন।
২০২২ সালের ১২ জানুয়ারি
যুক্তি-তর্ক উপস্থাপনের শেষ দিন আদালত ৩১ জানুয়ারি মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।
মেজর সিনহা মামলা সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

বক্তারা বলেন, ‘আমরা ইতিপূর্বে প্রিপেইড মিটারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলাম। তখন নেসকো থেকে দাবি মেনে নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু নেসকো সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করে পুনরায় আবাসিকে প্রিপেইড মিটার স্থাপন কার্যক্রম শুরু করেছে, যা খুবই দুঃখজনক।’
৩২ মিনিট আগে
ভৈরব জেলা দাবির বিপরীতে এবার অখণ্ড কিশোরগঞ্জ জেলার জন্য বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ছাত্র-জনতা। আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কিশোরগঞ্জ শহরের গুরুদয়াল সরকারি কলেজ চত্বরের শহীদ মিনারে এই সমাবেশ করে তারা।
১ ঘণ্টা আগে
করোনাকালে শুরু হওয়া লটারি পদ্ধতি বাতিল করে পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে রাজধানীর উত্তরার রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা।
১ ঘণ্টা আগে
সিলেটের গোয়াইনঘাটে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
২ ঘণ্টা আগেঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

পাবনার ঈশ্বরদীতে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই পিএলসির (নেসকো) গ্রাহকেরা প্রিপেইড মিটার স্থাপন কার্যক্রমের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ ও বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করেছেন। টানা তিন ঘণ্টার ঘেরাও কর্মসূচি শেষে নেসকো কর্তৃপক্ষ লিখিতভাবে অঙ্গীকার করেছে যে ঈশ্বরদীতে আর কোনো প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হবে না এবং ইতিপূর্বে লাগানো সব মিটারও পাল্টে দেওয়া হবে। আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ঈশ্বরদীর সর্বস্তরের গ্রাহক এই কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় বিদ্যুৎ অফিস কার্যত অচল হয়ে পড়ে।
এর আগে ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঈশ্বরদী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে সমাবেশে মিলিত হন গ্রাহকেরা। পরে তাঁরা ঈশ্বরদী-পাবনা সড়ক অবরোধ করেন। তবে জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে আধা ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নিয়ে তাঁরা বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করেন। এ সময় তাঁরা চলমান প্রিপেইড মিটার বন্ধের জন্য তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তের দাবি জানান। অন্যথায় দাবি না মানা পর্যন্ত নেসকো অফিস ঘেরাও করে রাখা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
বক্তারা বলেন, ‘আমরা ইতিপূর্বে প্রিপেইড মিটারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলাম। তখন নেসকো থেকে দাবি মেনে নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু নেসকো সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করে পুনরায় আবাসিকে প্রিপেইড মিটার স্থাপন কার্যক্রম শুরু করেছে, যা খুবই দুঃখজনক।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাসমিন মাহবুব প্রাপ্তি বলেন, ‘প্রিপেইড মিটারে কেউ উপকৃত হচ্ছেন না, বরং সাধারণ মানুষ শোষিত ও হয়রানি হচ্ছে। আমরা বারবার বন্ধের জন্য দাবি করছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তা মানছে না। বাধ্য হয়ে আমরা রাস্তায় নেমেছি।’
এ সময় আরও বক্তব্য দেন ‘প্রিপেইড মিটার স্থাপন প্রতিরোধ’ কর্মসূচির সংগঠক আ ফ ম রাজিবুল আলম ইভান, পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন জনি, শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বি সিয়াম, ঈশ্বরদী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রিয়ামুল ইসলাম রিয়াম, খোরশেদ আলম দিপু প্রমুখ।
একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে অফিসে গেলে নেসকোর আবাসিক প্রকৌশলী (নির্বাহী) আব্দুন নুর আলোচনার একপর্যায়ে গ্রাহকদের দাবি মেনে নিয়ে একটি লিখিত অঙ্গীকার করেন।
তাঁর স্বাক্ষরিত একটি সাদা কাগজে তিনি লেখেন, ‘প্রিপেইড মিটার লাগানো স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করছি। ইতিপূর্বে ঈশ্বরদীতে লাগানো প্রতিটি প্রিপেইড মিটার নেসকো নিজ দায়িত্বে পাল্টে আগের মিটার লাগিয়ে দেবে।’
এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নেসকোর আবাসিক প্রকৌশলী আব্দুন নুর বলেন, গ্রাহকদের জোরালো দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে।

পাবনার ঈশ্বরদীতে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই পিএলসির (নেসকো) গ্রাহকেরা প্রিপেইড মিটার স্থাপন কার্যক্রমের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ ও বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করেছেন। টানা তিন ঘণ্টার ঘেরাও কর্মসূচি শেষে নেসকো কর্তৃপক্ষ লিখিতভাবে অঙ্গীকার করেছে যে ঈশ্বরদীতে আর কোনো প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হবে না এবং ইতিপূর্বে লাগানো সব মিটারও পাল্টে দেওয়া হবে। আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ঈশ্বরদীর সর্বস্তরের গ্রাহক এই কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় বিদ্যুৎ অফিস কার্যত অচল হয়ে পড়ে।
এর আগে ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঈশ্বরদী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে সমাবেশে মিলিত হন গ্রাহকেরা। পরে তাঁরা ঈশ্বরদী-পাবনা সড়ক অবরোধ করেন। তবে জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে আধা ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নিয়ে তাঁরা বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করেন। এ সময় তাঁরা চলমান প্রিপেইড মিটার বন্ধের জন্য তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তের দাবি জানান। অন্যথায় দাবি না মানা পর্যন্ত নেসকো অফিস ঘেরাও করে রাখা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
বক্তারা বলেন, ‘আমরা ইতিপূর্বে প্রিপেইড মিটারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলাম। তখন নেসকো থেকে দাবি মেনে নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু নেসকো সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করে পুনরায় আবাসিকে প্রিপেইড মিটার স্থাপন কার্যক্রম শুরু করেছে, যা খুবই দুঃখজনক।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাসমিন মাহবুব প্রাপ্তি বলেন, ‘প্রিপেইড মিটারে কেউ উপকৃত হচ্ছেন না, বরং সাধারণ মানুষ শোষিত ও হয়রানি হচ্ছে। আমরা বারবার বন্ধের জন্য দাবি করছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তা মানছে না। বাধ্য হয়ে আমরা রাস্তায় নেমেছি।’
এ সময় আরও বক্তব্য দেন ‘প্রিপেইড মিটার স্থাপন প্রতিরোধ’ কর্মসূচির সংগঠক আ ফ ম রাজিবুল আলম ইভান, পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন জনি, শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বি সিয়াম, ঈশ্বরদী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রিয়ামুল ইসলাম রিয়াম, খোরশেদ আলম দিপু প্রমুখ।
একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে অফিসে গেলে নেসকোর আবাসিক প্রকৌশলী (নির্বাহী) আব্দুন নুর আলোচনার একপর্যায়ে গ্রাহকদের দাবি মেনে নিয়ে একটি লিখিত অঙ্গীকার করেন।
তাঁর স্বাক্ষরিত একটি সাদা কাগজে তিনি লেখেন, ‘প্রিপেইড মিটার লাগানো স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করছি। ইতিপূর্বে ঈশ্বরদীতে লাগানো প্রতিটি প্রিপেইড মিটার নেসকো নিজ দায়িত্বে পাল্টে আগের মিটার লাগিয়ে দেবে।’
এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নেসকোর আবাসিক প্রকৌশলী আব্দুন নুর বলেন, গ্রাহকদের জোরালো দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে।

মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার শুনানি শেষ হয়েছে গত ১২ জানুয়ারি। কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈল ৩১ জানুয়ারি রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন। সিনহা হত্যা মামলায় টেকনাফের ত্রাস ওসি প্রদীপসহ ১৫ আসামির সাজা শোনার অপেক্ষায় দেশবাসী।
৩০ জানুয়ারি ২০২২
ভৈরব জেলা দাবির বিপরীতে এবার অখণ্ড কিশোরগঞ্জ জেলার জন্য বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ছাত্র-জনতা। আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কিশোরগঞ্জ শহরের গুরুদয়াল সরকারি কলেজ চত্বরের শহীদ মিনারে এই সমাবেশ করে তারা।
১ ঘণ্টা আগে
করোনাকালে শুরু হওয়া লটারি পদ্ধতি বাতিল করে পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে রাজধানীর উত্তরার রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা।
১ ঘণ্টা আগে
সিলেটের গোয়াইনঘাটে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
২ ঘণ্টা আগেকিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

ভৈরব জেলা দাবির বিপরীতে এবার অখণ্ড কিশোরগঞ্জ জেলার জন্য বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ছাত্র-জনতা। আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কিশোরগঞ্জ শহরের গুরুদয়াল সরকারি কলেজ চত্বরের শহীদ মিনারে এই সমাবেশ করে তারা।
ভৈরব জেলার দাবিতে আন্দোলনে ট্রেনে হামলার প্রসঙ্গ তুলে ধরে সমাবেশে অখণ্ড কিশোরগঞ্জ জেলা রক্ষার মুখপাত্র ও কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক জগলুল হাসান চয়ন বলেন, ‘কিছু সন্ত্রাসী যাত্রীবাহী ট্রেনে মধ্যযুগীয় কায়দায় পাথর নিক্ষেপ করেছে। সেই ঘটনায় ২০ জন আহত হয়েছে। আপনারা জেলার দাবি করবেন, সেটা আপনাদের ব্যাপার, ওইখানে নাক গলাব না। আমি শুধু বলব, আপনারা ট্রেনে হামলা করে নৈতিকভাবে সেটা হারিয়েছেন। ট্রেনে হামলার ঘটনায় যে মামলা হয়েছে, সেই মামলায় অপ্রাপ্তবয়স্ক তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এগুলো না করে, যারা এ ঘটনার জন্য দায়ী, তাদের প্রত্যেককে গ্রেপ্তার করতে হবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কিশোরগঞ্জের সাবেক আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ বিএনপির যিনি দায়িত্বে রয়েছেন শরীফুল আলম। আপনারা উনার মাধ্যমে আপনাদের দাবি সচিবালয়ে, মন্ত্রণালয়ে, উপদেষ্টাদের নিকট পৌঁছান। কিন্তু আপনারা ট্রেন আটকে পাথর নিক্ষেপ করেছেন। হামলা-ভাঙচুর করেছেন। সহিংসতা ঘটিয়েছেন। এটা ফ্যাসিস্টের কাজ। আমরা অবিলম্বে এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।’
অখণ্ড কিশোরগঞ্জ জেলা রক্ষার মুখপাত্র ও কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক জগলুল হাসান চয়নের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন, সাবেক সদস্যসচিব ফয়সাল প্রিন্স, হয়বতনগর বয়েজ ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম জনি, কিশোরগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি নুসরাত জাহান, সদর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম লিমন, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি তরিকুল ইসলাম তুহিন। সমাবেশ পরিচালনা করেন গুরুদয়াল সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোদাচ্ছির তুসি।

ভৈরব জেলা দাবির বিপরীতে এবার অখণ্ড কিশোরগঞ্জ জেলার জন্য বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ছাত্র-জনতা। আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কিশোরগঞ্জ শহরের গুরুদয়াল সরকারি কলেজ চত্বরের শহীদ মিনারে এই সমাবেশ করে তারা।
ভৈরব জেলার দাবিতে আন্দোলনে ট্রেনে হামলার প্রসঙ্গ তুলে ধরে সমাবেশে অখণ্ড কিশোরগঞ্জ জেলা রক্ষার মুখপাত্র ও কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক জগলুল হাসান চয়ন বলেন, ‘কিছু সন্ত্রাসী যাত্রীবাহী ট্রেনে মধ্যযুগীয় কায়দায় পাথর নিক্ষেপ করেছে। সেই ঘটনায় ২০ জন আহত হয়েছে। আপনারা জেলার দাবি করবেন, সেটা আপনাদের ব্যাপার, ওইখানে নাক গলাব না। আমি শুধু বলব, আপনারা ট্রেনে হামলা করে নৈতিকভাবে সেটা হারিয়েছেন। ট্রেনে হামলার ঘটনায় যে মামলা হয়েছে, সেই মামলায় অপ্রাপ্তবয়স্ক তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এগুলো না করে, যারা এ ঘটনার জন্য দায়ী, তাদের প্রত্যেককে গ্রেপ্তার করতে হবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কিশোরগঞ্জের সাবেক আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ বিএনপির যিনি দায়িত্বে রয়েছেন শরীফুল আলম। আপনারা উনার মাধ্যমে আপনাদের দাবি সচিবালয়ে, মন্ত্রণালয়ে, উপদেষ্টাদের নিকট পৌঁছান। কিন্তু আপনারা ট্রেন আটকে পাথর নিক্ষেপ করেছেন। হামলা-ভাঙচুর করেছেন। সহিংসতা ঘটিয়েছেন। এটা ফ্যাসিস্টের কাজ। আমরা অবিলম্বে এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।’
অখণ্ড কিশোরগঞ্জ জেলা রক্ষার মুখপাত্র ও কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক জগলুল হাসান চয়নের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন, সাবেক সদস্যসচিব ফয়সাল প্রিন্স, হয়বতনগর বয়েজ ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম জনি, কিশোরগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি নুসরাত জাহান, সদর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম লিমন, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি তরিকুল ইসলাম তুহিন। সমাবেশ পরিচালনা করেন গুরুদয়াল সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোদাচ্ছির তুসি।

মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার শুনানি শেষ হয়েছে গত ১২ জানুয়ারি। কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈল ৩১ জানুয়ারি রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন। সিনহা হত্যা মামলায় টেকনাফের ত্রাস ওসি প্রদীপসহ ১৫ আসামির সাজা শোনার অপেক্ষায় দেশবাসী।
৩০ জানুয়ারি ২০২২
বক্তারা বলেন, ‘আমরা ইতিপূর্বে প্রিপেইড মিটারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলাম। তখন নেসকো থেকে দাবি মেনে নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু নেসকো সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করে পুনরায় আবাসিকে প্রিপেইড মিটার স্থাপন কার্যক্রম শুরু করেছে, যা খুবই দুঃখজনক।’
৩২ মিনিট আগে
করোনাকালে শুরু হওয়া লটারি পদ্ধতি বাতিল করে পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে রাজধানীর উত্তরার রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা।
১ ঘণ্টা আগে
সিলেটের গোয়াইনঘাটে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
২ ঘণ্টা আগেউত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি

করোনাকালে শুরু হওয়া লটারি পদ্ধতি বাতিল করে পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে রাজধানীর উত্তরার রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরে প্রতিষ্ঠানটির সামনে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত রাজউকের শিক্ষার্থীরা ‘শিক্ষা না জুয়া, শিক্ষা শিক্ষা’, ‘জুয়া বন্ধ কর, পরীক্ষা চালু কর’, ‘আমাদের দাবি, মানতে হবে, মানতে হবে’ সহ নানা শ্লোগান দেন।

শিক্ষার্থীদের দাবি, কোভিড-১৯ বা করোনাকালীন সময়ে স্কুল পর্যায় বিভিন্ন শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতিক্রমে লটারির ব্যবস্থা করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। তারই ধারাবাহিকতায় রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজেও ষষ্ঠ শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে ভর্তির প্রক্রিয়ার ব্যবস্থা করে কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষার্থীরা বলেন, এখন দেশে করোনা মহামারি নেই। তবুও করোনাকালে চালু হওয়া লটারি পদ্ধতি এখনো চালু রয়েছে। যার কারণে মেধাবীরা ভর্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই আমরা লটারি পদ্ধতি বাতিল করে পরিক্ষার মাধ্যমে ভর্তির প্রক্রিয়া চালু করার জোর দাবি জানাচ্ছি।

আন্দোলনে অংশ নেওয়া রাজউক কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র আবু বক্কর সিদ্দিক আয়মান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা লটারি পদ্ধতি বাতিল করে ভর্তি পরীক্ষার দাবিতে আন্দোলন করেছি। আমাদের সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও একমত। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ডের কাছে লটারি পদ্ধতি বাতিলের আমাদের দাবি আমাদের।’
আয়মান আরও বলেন, ‘আমরা রোববার পর্যন্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ডের পুরাতন নির্দেশনা বাতিল করে নতুন নির্দেশনার অপেক্ষায় থাকব। নাহলে রোববার থেকে ক্লাস বর্জন করে আমরা নতুন কর্মসূচি শুরু করব।’
এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে রাজউক কলেজের সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সেখানে থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা নজরদারি রাখা হয়।

করোনাকালে শুরু হওয়া লটারি পদ্ধতি বাতিল করে পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে রাজধানীর উত্তরার রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরে প্রতিষ্ঠানটির সামনে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত রাজউকের শিক্ষার্থীরা ‘শিক্ষা না জুয়া, শিক্ষা শিক্ষা’, ‘জুয়া বন্ধ কর, পরীক্ষা চালু কর’, ‘আমাদের দাবি, মানতে হবে, মানতে হবে’ সহ নানা শ্লোগান দেন।

শিক্ষার্থীদের দাবি, কোভিড-১৯ বা করোনাকালীন সময়ে স্কুল পর্যায় বিভিন্ন শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতিক্রমে লটারির ব্যবস্থা করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। তারই ধারাবাহিকতায় রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজেও ষষ্ঠ শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে ভর্তির প্রক্রিয়ার ব্যবস্থা করে কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষার্থীরা বলেন, এখন দেশে করোনা মহামারি নেই। তবুও করোনাকালে চালু হওয়া লটারি পদ্ধতি এখনো চালু রয়েছে। যার কারণে মেধাবীরা ভর্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই আমরা লটারি পদ্ধতি বাতিল করে পরিক্ষার মাধ্যমে ভর্তির প্রক্রিয়া চালু করার জোর দাবি জানাচ্ছি।

আন্দোলনে অংশ নেওয়া রাজউক কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র আবু বক্কর সিদ্দিক আয়মান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা লটারি পদ্ধতি বাতিল করে ভর্তি পরীক্ষার দাবিতে আন্দোলন করেছি। আমাদের সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও একমত। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ডের কাছে লটারি পদ্ধতি বাতিলের আমাদের দাবি আমাদের।’
আয়মান আরও বলেন, ‘আমরা রোববার পর্যন্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ডের পুরাতন নির্দেশনা বাতিল করে নতুন নির্দেশনার অপেক্ষায় থাকব। নাহলে রোববার থেকে ক্লাস বর্জন করে আমরা নতুন কর্মসূচি শুরু করব।’
এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে রাজউক কলেজের সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সেখানে থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা নজরদারি রাখা হয়।

মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার শুনানি শেষ হয়েছে গত ১২ জানুয়ারি। কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈল ৩১ জানুয়ারি রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন। সিনহা হত্যা মামলায় টেকনাফের ত্রাস ওসি প্রদীপসহ ১৫ আসামির সাজা শোনার অপেক্ষায় দেশবাসী।
৩০ জানুয়ারি ২০২২
বক্তারা বলেন, ‘আমরা ইতিপূর্বে প্রিপেইড মিটারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলাম। তখন নেসকো থেকে দাবি মেনে নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু নেসকো সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করে পুনরায় আবাসিকে প্রিপেইড মিটার স্থাপন কার্যক্রম শুরু করেছে, যা খুবই দুঃখজনক।’
৩২ মিনিট আগে
ভৈরব জেলা দাবির বিপরীতে এবার অখণ্ড কিশোরগঞ্জ জেলার জন্য বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ছাত্র-জনতা। আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কিশোরগঞ্জ শহরের গুরুদয়াল সরকারি কলেজ চত্বরের শহীদ মিনারে এই সমাবেশ করে তারা।
১ ঘণ্টা আগে
সিলেটের গোয়াইনঘাটে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
২ ঘণ্টা আগেগোয়াইনঘাট (সিলেট) প্রতিনিধি

সিলেটের গোয়াইনঘাটে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকালে উপজেলার ২ নম্বর পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের আহারকান্দি গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবকের নাম মো. আলী ওরফে আল আমিন (৩০)। তিনি ওই গ্রামের মোস্তফা মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আহারকান্দি বাজারের দোকানের পেছনের জায়গা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে মোস্তফা মিয়া এবং নুর হোসেনের লোকজন। এতে আল আমিন গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে গোয়াইনঘাট থানা-পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে প্রাথমিকভাবে আটক করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে প্রাথমিকভাবে আটক এবং দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি বলেন, লাশ ওসমানী মেডিকেলের মর্গে রাখা হয়েছে।

সিলেটের গোয়াইনঘাটে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকালে উপজেলার ২ নম্বর পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের আহারকান্দি গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবকের নাম মো. আলী ওরফে আল আমিন (৩০)। তিনি ওই গ্রামের মোস্তফা মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আহারকান্দি বাজারের দোকানের পেছনের জায়গা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে মোস্তফা মিয়া এবং নুর হোসেনের লোকজন। এতে আল আমিন গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে গোয়াইনঘাট থানা-পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে প্রাথমিকভাবে আটক করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে প্রাথমিকভাবে আটক এবং দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি বলেন, লাশ ওসমানী মেডিকেলের মর্গে রাখা হয়েছে।

মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার শুনানি শেষ হয়েছে গত ১২ জানুয়ারি। কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈল ৩১ জানুয়ারি রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন। সিনহা হত্যা মামলায় টেকনাফের ত্রাস ওসি প্রদীপসহ ১৫ আসামির সাজা শোনার অপেক্ষায় দেশবাসী।
৩০ জানুয়ারি ২০২২
বক্তারা বলেন, ‘আমরা ইতিপূর্বে প্রিপেইড মিটারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলাম। তখন নেসকো থেকে দাবি মেনে নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু নেসকো সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করে পুনরায় আবাসিকে প্রিপেইড মিটার স্থাপন কার্যক্রম শুরু করেছে, যা খুবই দুঃখজনক।’
৩২ মিনিট আগে
ভৈরব জেলা দাবির বিপরীতে এবার অখণ্ড কিশোরগঞ্জ জেলার জন্য বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ছাত্র-জনতা। আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কিশোরগঞ্জ শহরের গুরুদয়াল সরকারি কলেজ চত্বরের শহীদ মিনারে এই সমাবেশ করে তারা।
১ ঘণ্টা আগে
করোনাকালে শুরু হওয়া লটারি পদ্ধতি বাতিল করে পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে রাজধানীর উত্তরার রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা।
১ ঘণ্টা আগে