Ajker Patrika

সেপ্টেম্বরে কক্সবাজারে ট্রেন চলাচলের ঘোষণা, এখনো শুরু হয়নি কালুরঘাট সেতুর কাজ

জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
সেপ্টেম্বরে কক্সবাজারে ট্রেন চলাচলের ঘোষণা, এখনো শুরু হয়নি কালুরঘাট সেতুর কাজ

তিন মাস পর অর্থাৎ সেপ্টেম্বরে কক্সবাজারে ট্রেন চলাচলের ঘোষণা দেওয়া হলেও এখনো শুরু হয়নি কালুরঘাট সেতুর কাজও। এ ছাড়া নিয়োগ হয়নি ৩২ জন স্টেশন মাস্টার ও পয়েন্টম্যানদের। কয়টি ট্রেন এই রুটে চলাচল করবে, টিকিটের দামও বা কত তাও নির্ধারণ করা যায়নি। ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কক্সবাজারে ট্রেন চলাচল নিয়ে শঙ্কায় আছেন সংশ্লিষ্টরা। 

চলতি বছরের জুনে পুরাতন কালুরঘাট সেতুর কাজ শুরু হওয়ার কথা বলেন সেতুর ফোকাল পারসন ও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) মো. গোলাম মোস্তফার। তিনি জানান, এটির পুরোপুরি সংস্কার কাজ শেষ হতে সময় লাগবে ৬ মাস। অর্থাৎ চলতি বছরের ডিসেম্বরে সংস্কার কাজ শেষ হবে। অন্যদিকে সম্প্রতি রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন ঘোষণা দিয়েছেন তিন মাস পর অর্থাৎ চলতি বছরের সেপ্টেম্বরেই কক্সবাজারে ট্রেন যাবে। 

রেলওয়ের পরিবহন বিভাগ জানায়, কক্সবাজার রুটে মোট ৮টি স্টেশন তৈরি করা হয়েছে। সেগুলো হলো—চকরিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, হারবাং, ডুলাহাজারা এবং কক্সবাজার। এই ৮ স্টেশনে ন্যূনতম চারজন করে স্টেশন মাস্টার প্রয়োজন। একজন করে প্রয়োজন পয়েন্টম্যান। কিন্তু কক্সবাজার রুটের কাজ শেষ হওয়ার পথে হলেও এই ৩২ জন স্টেশন মাস্টার ও পয়েন্টম্যান নিয়োগ করা যায়নি। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেলওয়ে পরিবহন বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘এমনিতে রেলওয়েতে স্টেশন মাস্টার ও পয়েন্টম্যান সংকট। অন্য স্টেশন থেকে কক্সবাজার রুটের স্টেশনে কোনো স্টেশন মাস্টার বা পয়েন্টম্যান দিয়ে কাজ চালানো সম্ভব নয়। যদি অন্য কোনো স্টেশন থেকে স্টেশন মাস্টার আনা হয় সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট স্টেশন বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ বর্তমানে প্রায় দেড় শ স্টেশনে চাহিদার তুলনায় অর্ধেক জনবল রয়েছে।’ 

রেলওয়ে পরিবহন বিভাগের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এমন অবস্থায় নতুন নিয়োগ ছাড়া কক্সবাজার রুটের ট্রেন পরিচালনা করা সম্ভব নয়। আবার নতুন করে স্টেশন মাস্টারও নিয়োগ দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ স্টেশন সম্পর্কে বুঝতে ৬ মাসের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি দুই-তিন বছর সময় লাগে। এখন শুধু একটি উপায় তা হলো—সম্প্রতি যে সব স্টেশন মাস্টার বা পয়েন্টম্যান অবসরে গেছেন তাঁদের অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া। এদের নিয়োগ দিলে তবেই কক্সবাজার রুটের ট্রেন পরিচালনা করা যাবে। কারণ এদের ৩০ বছর মাঠে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। 

এদিকে কক্সবাজার রুটে প্রাথমিকভাবে ঢাকা থেকে সরাসরি দুটি ও চট্টগ্রাম থেকে দুটি ট্রেন চালানোর বিষয়ে আলোচনা হলেও এখনো চূড়ান্ত হয়নি কয়টি ট্রেন চলাচল করবে। এমনকি ভাড়াও নির্ধারণ করা যায়নি। মূলত একটি রুটে ট্রেন চালানোর জন্য যা যা দরকার তার বেশির ভাগই ঘাটতি রয়ে গেছে। শুধু রেল রুটের কাজ শেষ পর্যায়ে, বাকি কাজগুলো এখনো চূড়ান্ত হয়নি। 

কালুরঘাট সেতুর ফোকাল পারসন ও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘কালুরঘাট সেতুতে বর্তমানে যেসব ট্রেন যায়, সেগুলোর এক্সেল লোড ১১ দশমিক ৯৬ টন। কক্সবাজারে যে ট্রেন যাবে, তার ইঞ্জিন ১৫ এক্সেল লোডের। যেহেতু কর্ণফুলী নদীতে নতুন রেলসেতু করা অনেক সময়ের ব্যাপার, তাই পুরোনো সেতুটি সংস্কার করে কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালানো হবে।’ 

তিনি বলেন, ‘এই সেতুতে ১৫ এক্সেল লোডের ট্রেন চালানোর জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দ্বারস্থ হয়েছি আমরা। তারা একটি নকশা দিয়েছে, সেটির ভিত্তিতে সংস্কার করা হবে।’ 

এর আগে ২০২১ সালের অক্টোবরে বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের পর্যবেক্ষক দল সেতুটি পরিদর্শন করে। তারপর এই সেতু দিয়ে ভারবাহী ট্রেন চালানো যাবে কি না, গেলেও কীভাবে সংস্কার করতে হবে—সেই পরামর্শ দিতে ১২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা চান বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও পর্যবেক্ষক দলের প্রধান ড. এ এফ এম সাইফুল আমিন। এ নিয়ে রেলের দফায় দফায় বৈঠক শেষে ৮ কোটি ৬০ লাখ টাকার বিনিময়ে পরামর্শ দিতে রাজি হন তাঁরা। 

কক্সবাজার রুটের জনবল নিয়োগের বিষয়ে রেলওয়ের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা এসএম সলিমুল্লাহ বাহার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে মন্ত্রী মহোদয়কে জনবল নিয়োগের বিষয়ে প্রস্তাবনা দিয়েছি। সেটির অনুমোদন হলে শিগগিরই জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

পুতিন যুদ্ধ বন্ধে ‘অস্বীকৃতি জানানোয়’ রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আনোয়ারায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৭

কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
আনোয়ারায় দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তারকৃতরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
আনোয়ারায় দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তারকৃতরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় দেশীয় অস্ত্রসহ সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (২২ অক্টোবর) দিবাগত রাতে পরৈকোড়া ইউনিয়নের কালীগঞ্জ ব্রিজের দক্ষিণ পার্শ্ব এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে তাঁদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশের সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন সহকারী পুলিশ সুপার মো. সোহানুর রহমান সোহাগ ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন পরৈকোড়া ৯ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মো. সাকিব প্রকাশ শাকিল (২১), পটিয়ার কাশিয়াইশ ইউনিয়নের ইদ্রিস চেয়ারম্যানের বাড়ির মোহাম্মদ নেছার (২২), একই এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মো. সাইফুল ইসলাম (৩৫), পরৈকোড়ার বাতুয়াপাড়ার শাহাদাত হোসেন (২২), পটিয়ার গৌরনখাইন রফিক ম্যানেজারের বাড়ির মো. আরিফুল ইসলাম প্রকাশ বাবু (২৫), শান্তির হাট জমিদার বাড়ির মো. হাবিব (২৩) এবং দক্ষিণ আশিয়াইশ চৌধুরীর বাড়ির মো. রাজীব চৌধুরী (২১)। পুলিশ তাঁদের কাছ থেকে একটি এলজি, তাজা কার্তুজ, স্কচটেপ দ্বারা মোড়ানো লোহার তৈরি পাইপগান সদৃশ অস্ত্র, লোহার তৈরি বাহারি দেশীয় অস্ত্র, দুটি জম্বি বেসবল ব্যাট, একটি বেসবল ব্যাট, একটি তলোয়ার, পাঁচটি বড় রামদা, একটি কুড়াল উদ্ধার করে।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে কালীগঞ্জ ব্রিজের দক্ষিণ পার্শ্ব এলাকায় ডাকাতি করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় তাঁরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁদের আটক করে। আজ দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাঁদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

সহকারী পুলিশ সুপার মো. সোহানুর রহমান সোহাগ বলেন, ‘আটককৃতরা পেশাদার সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে তারা দেশীয় অস্ত্রসহ উল্লিখিত স্থানে একত্রিত হয়েছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

পুতিন যুদ্ধ বন্ধে ‘অস্বীকৃতি জানানোয়’ রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টর্চলাইট জ্বালিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৩০

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: 
টর্চলাইট জ্বালিয়ে সংঘর্ষ। ছবি: সংগৃহীত
টর্চলাইট জ্বালিয়ে সংঘর্ষ। ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মহাসড়কের ওপর টর্চলাইট জ্বালিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে সদর উপজেলার উত্তর সুহিলপুরে আজিজের গোষ্ঠী ও উকিলের গোষ্ঠীর মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় তারা কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক তিন ঘণ্টা আটকে সংঘর্ষ চালায়।

সংঘর্ষে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপ আর পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় এলাকাজুড়ে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। বন্ধ হয়ে যায় ওই মহাসড়কে যান চলাচল।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত চার-পাঁচ দিন আগে বিতর্কের জেরে উকিলের গোষ্ঠীর সাদ্দাম আজিজের গোষ্ঠীর আক্তারকে থাপ্পড় মারেন। এ নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা চলতে থাকে। গতকাল বিকেলে বিষয়টি মীমাংসার জন্য সালিস বসে। কিন্তু তাতে সমাধান না হওয়ায় রাতে দুই গোষ্ঠীর লোকজন মহাসড়কের ওপর সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আজিজের গোষ্ঠী ও উকিল গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এরই জেরে গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে দুই গোষ্ঠীর লোকজন সংঘর্ষে জড়ায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

পুতিন যুদ্ধ বন্ধে ‘অস্বীকৃতি জানানোয়’ রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নওগাঁ সীমান্ত থেকে যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ

­­­নওগাঁ প্রতিনিধি
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

নওগাঁর পোরশা সীমান্ত থেকে আইয়ুব আলী (৩৫) নামের এক যুবককে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ বুধবার ভোরে উপজেলার নিতপুর সীমান্তের ২৩১ নম্বর পিলার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আইয়ুব আলী উপজেলার নিতপুর গোপালগঞ্জ গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আইয়ুব আলী বুধবার ভোরে ২৩১ নম্বর পিলার সীমান্তের কাছে মাঠে কাজ করতে যান। এ সময় ভারতের ক্যাদারীপাড়া ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাঁকে ধরে নিয়ে যায়। আইয়ুব আলীকে ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় সীমান্ত এলাকার গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

নওগাঁ-১৬ বিজিবির নিতপুর ক্যাম্পের সুবেদার মাহফুজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি বিএসএফ সদস্যরা আইয়ুব আলীকে আটক করে ভারতের হরিপুর থানায় হস্তান্তর করেছে। তাঁকে ফেরত আনার জন্য প্রয়োজনীয় কূটনৈতিক ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

পুতিন যুদ্ধ বন্ধে ‘অস্বীকৃতি জানানোয়’ রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাপে কাটা রোগীদের জন্য হাসপাতালে চালু হলো বিশেষায়িত ওয়ার্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রামেকে সাপে কাটা রোগীদের জন্য বিশেষ ওয়ার্ড চালু। ছবি: আজকের পত্রিকা
রামেকে সাপে কাটা রোগীদের জন্য বিশেষ ওয়ার্ড চালু। ছবি: আজকের পত্রিকা

সাপে কাটা রোগীদের জন্য বিশেষায়িত একটি ওয়ার্ড চালু করেছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল। এটি দেশের কোনো হাসপাতালে সাপা কাটা রোগীদের জন্য প্রথম বিশেষায়িত ওয়ার্ড। এর আগে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সীমিত পরিসরে স্নেকবাইট ক্লিনিক চালু করা হয়েছিল। মৃত্যুহার কমাতে রামেক হাসপাতাল ওয়ার্ডটি চালু করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদ ওয়ার্ডটির উদ্বোধন করেন। হাসপাতালের পুরোনো ক্যানটিনের জায়গায় ১২ শয্যার হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিট (এইচডিইউ) মানের এই ওয়ার্ড করা হয়েছে। সাপে কাটা রোগীদের শ্বাসকষ্ট হয়, হার্ট ফেইলিওরের ঝুঁকি থাকে। এসব সমস্যারও চিকিৎসা হবে এ ওয়ার্ডে।

জানা গেছে, হাসপাতালে আসা সাপে কাটা সব রোগীই চিকিৎসা পাবে। তবে শয্যা পাবে আটজন পুরুষ ও চারজন নারী। ওয়ার্ডের ফোকাল পারসন হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবু শাহীন মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। তিনি বর্তমানে রাসেলস ভাইপার সাপের বিষের ওপর পিএইচডি করছেন, যা শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত রামেকে ১ হাজার ২০৫ জন সাপে কাটা রোগী এসেছে। এর মধ্যে ২৬০ জন বিষধর সাপের কামড় নিয়ে এসেছিল। অন্যরা নির্বিষ সাপের কামড় নিয়ে আসে। হাসপাতালে আসা রোগীদের মধ্যে ৩০ জন মারা গেছে। এর মধ্যে ১০ জনের মৃত্যু হয় রাসেলস ভাইপারের কামড়ে। অন্যরা কালাচ বা কেউটে ও গোখরা সাপের কামড়ে মারা গেছে। মৃত্যুহার কমিয়ে আনার জন্য ডেঙ্গু, করোনা ও নিপাহভাইরাসের মতো সাপে কাটা রোগীদের জন্যও বিশেষায়িত ওয়ার্ড করার সিদ্ধান্ত নেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদ। এ জন্য আগে চিকিৎসক ও নার্স বাছাই করা হয়। তাঁদের স্নেকবাইট ন্যাশনাল গাইডলাইন অনুযায়ী প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পাশাপাশি ওয়ার্ড প্রস্তুত করা হয়।

ওয়ার্ডের ফোকাল পারসন আবু শাহীন মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, ২০১৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত হাসপাতালে রাসেলস ভাইপারের কামড়ে মৃত্যুহার ছিল ২৭ শতাংশ। চিকিৎসাব্যবস্থার উন্নতির ফলে এই হার এখন অনেক কমে এসেছে। নতুন বিশেষায়িত ওয়ার্ডে সমন্বিত চিকিৎসা (ইন্টিগ্রেটেড ট্রিটমেন্ট) দেওয়া যাবে। সার্বক্ষণিক চিকিৎসক ও নার্সদের তত্ত্বাবধান থাকবে এবং পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনমের মজুত রাখা হবে। ফলে মৃত্যুহার আরও কমবে।

আবু শাহীন মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, সাপে কাটা রোগীদের অ্যান্টিভেনমের প্রতিটি ডোজের মূল্য প্রায় ১৩ হাজার টাকা। একটি ডোজে ১০ ভায়াল অ্যান্টিভেনম লাগে। কোনো কোনো রোগীর ক্ষেত্রে একাধিক ডোজ প্রয়োজন হয়। রোগীরা হাসপাতাল থেকেই পুরোপুরি বিনা মূল্যে এই ওষুধ পাবে। রোগী ওয়ার্ডে আসার সঙ্গে সঙ্গে তার চিকিৎসা শুরু হবে। এক মিনিটও বিলম্ব হবে না।

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদ বলেন, ‘সাপে কাটা রোগীরা এমনিতেই দেরি করে হাসপাতালে আসে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে হাসপাতালেও চিকিৎসা শুরু হতে একটু দেরি হতো। দেখা যেত, বড় একটা ওয়ার্ডের এক কোণায় রোগীরা থাকত। এখন ভালো হলো। এটা একেবারেই মেডিকেল ইমার্জেন্সি ইউনিট, এইচডিইউ সুবিধাও থাকছে। এখানে ২৪ ঘণ্টাই চিকিৎসক থাকবেন। নার্সরা তো থাকবেনই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

পুতিন যুদ্ধ বন্ধে ‘অস্বীকৃতি জানানোয়’ রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত