Ajker Patrika

সাবেক মন্ত্রীপুত্রসহ ৫ জনকে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিল দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
সাবেক মন্ত্রীপুত্রসহ ৫ জনকে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিল দুদক

জালিয়াতি আর ভুয়া আবেদনপত্র তৈরির মাধ্যমে সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলামের ছেলে মুজিবুর রহমানের নামে ২২টি অবৈধ সংযোগ দেয় কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) চারজন অসাধু কর্মকর্তা। অভিযোগের সত্যতার ভিত্তিতে মুজিবসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন সাবেক দুদক কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিন। এ মামলায় সাক্ষ্য না পাওয়ার কারণ দেখিয়ে সেই ৫ জনকে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে দুদক। 

মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়া পাঁচজন হলেন—মন্ত্রীপুত্র মুজিবুর রহমান, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) সাবেক মহাব্যবস্থাপক (ইঞ্জিনিয়ারিং ও সার্ভিসেস) মো. সারওয়ার হোসেন, বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত দক্ষিণ জোনের টেকনিশিয়ান (সার্ভেয়ার) মো. দিদারুল আলম, সাবেক মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) মোহাম্মদ আলী চৌধুরী ও ব্যবস্থাপক মজিবুর রহমান। 

দুদক প্রধান কার্যালয়ের কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হকের সই করা একটি চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, তদন্ত কর্মকর্তার দাখিল করা সাক্ষ্য-স্মারক ও অন্য কাগজপত্র পর্যালোচনায় উপযুক্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ না পাওয়ায় দুদক আইন–২০০৪–এর ৩২ ধারা এবং দুদক কমিশন বিধিমালা ২০০৭–এর বিধি ১৫ উপবিধি ১–এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের অনুমোদন দেওয়া হলো। চিঠিটি ইস্যু হয়েছে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি। 

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক আখতার কবির চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনুসন্ধানের প্রতিবেদন পেয়েই দুদক মামলা করে। সাবেক মন্ত্রীপুত্রের অবৈধ গ্যাস–সংযোগের বিষয়টি সব কাগজপত্রে রয়েছে। অবৈধ হওয়ায় পরে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল। দুদক এই মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে নিজেদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। তারা ক্ষমতার কাছে নতি স্বীকার করেছে। চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি গ্রহণ না করতে দুদকের আইনজীবী আদালতে আবেদন করতে পারেন।’ 

চট্টগ্রাম আদালতে দায়িত্বরত দুদকের জিআরও আবদুল লতিফ বলেন, বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে প্রতিবেদনটি আসে। মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের অনুমোদনের চিঠিটি আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রতিবেদন এখনো পাওয়া যায়নি। 

এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক মো. আতিকুল আলম কোনো মন্তব্য করেননি। 

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১০ জুন দুদকের তৎকালীন উপসহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি করেছিলেন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছিল, চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর এলাকার বাসিন্দা এম এ সালামের (বর্তমানে মৃত) নামে বরাদ্দ করা ১৮টি অব্যবহৃত দ্বৈত চুলার গ্যাস–সংযোগ ছিল। এর মধ্যে ১২টি নগরের চান্দগাঁও সানোয়ারা আবাসিক এলাকার গ্রাহক মুজিবুর রহমানের নামে স্থানান্তর করা হয়। এ কাজে সালামের স্ত্রীর নামে ভুয়া চুক্তিনামাও করা হয়। 

এজাহার অনুযায়ী সালাম ও মুজিবুরের গ্রাহক সংকেত পৃথক হওয়ায় সংযোগ স্থানান্তরের কোনো আইনগত বৈধতা নেই। এ ছাড়া ২০১৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে গ্যাস–সংযোগ দেওয়া বন্ধ থাকলেও সে সিদ্ধান্ত অমান্য করে মুজিবুরের নামে আরও ১০টি সংযোগ দেওয়া হয়। ২০১৭ সালের ২ মার্চ থেকে পরের বছরের ২ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে এসব সংযোগ দেওয়া হয়েছিল। 

এ সময়কালে মামলা হওয়ার তিন দিন পর ২০২১ সালের ১৩ জুন অবৈধ ২২টি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে কেজিডিসিএল। কেজিডিসিএলের তিন কর্মকর্তাকেও গ্রেপ্তার করে দুদক। পরে অবশ্য তারা জামিনে বেরিয়ে আসেন। 

কেজিডিসিএলে সাবেক মহাব্যবস্থাপক ইঞ্জিনিয়ার সারোয়ার হোসেন সম্প্রতি শরীফের বিরুদ্ধে করা একটি সংবাদ সম্মেলনে গ্যাস সংযোগের বিষয়টি অবৈধ ছিল বলে স্বীকারও করেন। তবে এই ঘটনায় তারা জড়িত নয় বলে দাবি করেন। 

জানতে চাইলে শরীফ উদ্দিন বুধবার সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রমাণ পেয়েতো সাবেক মন্ত্রীপুত্রসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করি। কর্ণফুলী গ্যাস পরে এসব অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নও করে। এখন বর্তমানে দুদকের প্রতিবেদনটি কোন অবস্থায় আছে জানি না।’ 

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সংঘবদ্ধ এই চক্র শুরু থেকে আমার পেছনে লাগে। তারা চাকরি থাকাকালীন দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। সম্প্রতি তাঁদের এজেন্ডা নিয়ে একটি বিশেষ মিডিয়ায় নিউজও করাইছে। অথচ ওই সব নিউজ একেবারে ভুয়া-মনগড়া।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

৩৬ বার অপারেশন, অবশেষে বাড়ি ফিরল মাইলস্টোনের শিক্ষার্থী নাভিদ

আজকের রাশিফল: মুখটা সামলে রাখুন, শত্রুরা ফেসবুক পোস্টে প্রচুর হা হা দেবে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গৃহকর্মী নির্যাতন: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষিকার মায়ের ৫ বছরের কারাদণ্ড

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় ১৪ বছরের এক কিশোরীকে নির্যাতনের মামলায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির সহকারী অধ্যাপক ইসমত জাহান জনির মা পারভীন চৌধুরীকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক মো. গোলাম কবীর এ রায় ঘোষণা করেন।

কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামিকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হলে তাঁকে আরও চার মাস বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে বলে রায়ে বলা হয়েছে।

১৫ বছর আগের ঘটনায় করা এ মামলার রায় ঘোষণার সময় সাজাপ্রাপ্ত পারভীন চৌধুরী ট্রাইব্যুনালে হাজির ছিলেন। তাঁকে সাজা পরোয়ানাসহ কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ১৪ বছরের কিশোরী শিরিন শেওড়াপাড়ায় পারভীন চৌধুরীর বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করত। কারণে-অকারণে পারভীন চৌধুরী ও তাঁর মেয়ে ইসমত জাহান জনি তাকে মারধর করতেন। গরম পানির ছ্যাঁকা দিতেন। ঘরে আটকে রাখতেন। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দিতেন না। ২০১০ সালের ১৫ ও ১৬ সেপ্টেম্বর গৃহকর্মীকে মারধর করে তাকে জখম করেন মা ও মেয়ে। পরে ২৩ অক্টোবর পারভীন চৌধুরী তাকে মারধর করে বাসা থেকে বের করে দেন। বেলা ৩টার দিকে শেওড়াপাড়ায় শিরিনকে কান্নাকাটি করতে দেখেন তার মায়ের পূর্বপরিচিত প্রতিবেশী আব্দুর রশিদ। তিনি শিরিনের শরীরে ক্ষত দেখতে পান। এ ঘটনায় ওই দিনই আব্দুর রশিদ মিরপুর মডেল থানায় পারভীন চৌধুরী ও ইসমত জাহান জনিকে আসামি দিয়ে মামলা করেন।

মামলাটি তদন্ত শেষে পারভীন চৌধুরীকে অভিযুক্ত করে মিরপুর মডেল থানার এসআই আবু বকর মিয়া অভিযোগপত্র জমা দেন। তবে ইসমত জাহান জনির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁকে অব্যাহতির আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। পরে ট্রাইব্যুনাল তাঁকে অব্যাহতি দেন।

এরপর ২০১৫ সালের ১৬ এপ্রিল পারভীন চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হয়।

মামলার বিচার চলাকালে ১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ছয়জনের সাক্ষ্য নেন ট্রাইব্যুনাল। অন্যদিকে পারভীন চৌধুরী নিজে ও ইসমত জাহান মায়ের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

৩৬ বার অপারেশন, অবশেষে বাড়ি ফিরল মাইলস্টোনের শিক্ষার্থী নাভিদ

আজকের রাশিফল: মুখটা সামলে রাখুন, শত্রুরা ফেসবুক পোস্টে প্রচুর হা হা দেবে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিএম কলেজ: বাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে অনশনে দুই ছাত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
বাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে দুই ছাত্রের অনশন। এতে সংহতি জানিয়ে এসেছেন আরও কয়েকজন। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে দুই ছাত্রের অনশন। এতে সংহতি জানিয়ে এসেছেন আরও কয়েকজন। ছবি: আজকের পত্রিকা

বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ ছাত্র সংসদ (বাকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে দুই ছাত্র অনশন শুরু করেছেন। ইতিহাস বিভাগের ২১-২২ সেশনের ছাত্র ফেরদৌস রুমি গতকাল রোববার দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে আমরণ অনশন শুরু করেন। আজ সোমবার বিকেলে রুমির সঙ্গে ছাত্র অধিকার পরিষদের কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হক অনশনে যোগ দেন। আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাকসু নির্বাচনের দাবিতে ছাত্রদের অনশন অব্যাহত রয়েছে।

অনশনরত রুমি বলেন, ‘৩২ হাজার শিক্ষার্থীর পদচারণে মুখর বিএম কলেজ। ছাত্র সংসদ নির্বাচন ছাত্রদের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু ২৪ বছর ধরে কলেজটিতে নির্বাচন হচ্ছে না। ছাত্র সংসদ না থাকায় শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে ভূমিকা রাখতে পারছে না বাকসু। নির্বাচনের দাবিতে এক মাসের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোনো কর্ণপাত করছে না। বাধ্য হয়ে অনশনে বসেছেন। নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা না করা পর্যন্ত অনশন চলবে।’

অর্থনীতি বিভাগের মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্র কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বাকসু নির্বাচনের দাবিতে তাঁরা বেশ কিছুদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। গতকাল রোববার বেলা ১টা থেকে এ দাবিতে ইতিহাস তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ফেরদৌস রুমি অনশনে বসেন। আজ থেকে ছাত্র অধিকার পরিষদের বিএম কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হক অনশন শুরু করেছেন।’ কামরুল বলেন, বাকসু নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা না করলে তাঁরা অনশনের পাশাপাশি অচিরেই কলেজে শাটডাউন ঘোষণা দিতে পারেন।

বিএম কলেজের অধ্যক্ষ ড. শেখ মো. তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, ছাত্র সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। ইতিমধ্যে শিক্ষকদের নিয়ে একটি প্রাথমিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এখন ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে চূড়ান্ত রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে।

প্রসঙ্গত, সর্বশেষ বাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০০৩ সালে। এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন হওয়ায় বিএম কলেজেও নির্বাচনের দাবি ওঠে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

৩৬ বার অপারেশন, অবশেষে বাড়ি ফিরল মাইলস্টোনের শিক্ষার্থী নাভিদ

আজকের রাশিফল: মুখটা সামলে রাখুন, শত্রুরা ফেসবুক পোস্টে প্রচুর হা হা দেবে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শাহরাস্তিতে বসতবাড়ি থেকে ১২টি গোখরা সাপ উদ্ধার

চাঁদপুর প্রতিনিধি
সাপগুলো বোতলে ভরে নিয়ে গেছেন স্থানীয় সাপুড়েরা।
সাপগুলো বোতলে ভরে নিয়ে গেছেন স্থানীয় সাপুড়েরা।

চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে ১২টি বিষধর গোখরা সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে পৌরসভার ঠাকুর বাজারসংলগ্ন নিজমেহার গ্রামের সাহাবাড়ি থেকে স্থানীয় সাপুড়েরা সাপগুলো উদ্ধার করেন।

ওই বাড়ির বাসিন্দা মিহির চন্দ্র সাহা বলেন, গতকাল রোববার তিনি নিজ ভবনের টয়লেটের ট্যাংকের পাইপের মুখে দুটি গোখরো সাপ দেখতে পান। ওই সময় পাইপের মুখে গরম পানি ও ব্লিচিং পাউডার ঢেলে একটি সাপ মেরে ফেলা হয়েছে। পরে সাপের খোলস দেখে সন্দেহ হয়, বাড়ির ভেতরে আরও সাপ থাকতে পারে। আজ দুপুরে স্থানীয় সাপুড়েদের সহায়তায় ছোট ভাই বিপ্লব সাহার ভবনের গ্যারেজ রুমের পাশে লাকড়ির স্তূপের নিচ থেকে ১২টি সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা সাপগুলো সাপুড়েরা বোতলে ভরে নিয়ে গেছেন।

ওই বাড়ির যুবক রকি চন্দ্র সাহা জানান, উদ্ধার করা সাপগুলো এক ফুটের চেয়ে বড়। তবে বড় সাপগুলো পালিয়ে গেছে।

স্থানীয় সাপুড়ে কামাল হোসেন জানান, সাপগুলো গোখরা জাতের। এগুলো বিষধর।

শাহরাস্তি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মাকসুদ আলম জানান, গোখরাসহ বিষধর সাপ সাধারণত খাবার ও আশ্রয়ের খোঁজে বসতবাড়ির আশপাশে আসে। বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, ইঁদুর দমন করা এবং গর্ত বা ফাঁকফোকর বন্ধ রাখলে এ ধরনের সাপের প্রবেশ অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব। কেউ সাপ দেখলে আতঙ্কিত না হয়ে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস বা বন্য প্রাণী রেসকিউ টিমে খবর দিতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

৩৬ বার অপারেশন, অবশেষে বাড়ি ফিরল মাইলস্টোনের শিক্ষার্থী নাভিদ

আজকের রাশিফল: মুখটা সামলে রাখুন, শত্রুরা ফেসবুক পোস্টে প্রচুর হা হা দেবে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নাফিসা কামালসহ আট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সিআইডির মামলা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
নাফিসা কামাল। ছবি: সংগৃহীত
নাফিসা কামাল। ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানির সঙ্গে জড়িত সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য নাফিসা কামালের প্রতিষ্ঠান অরবিটালস ইন্টারন্যাশনালসহ আট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় ৩৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকার বেশি আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে গতকাল রোববার রাতে গুলশান থানায় মামলাটি করা হয়।

আজ সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান।

সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, নাফিসা কামাল ও তাঁর জনশক্তি রপ্তানি প্রতিষ্ঠান অরবিটালস ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে একই সিন্ডিকেটে যুক্ত আছেন ইরভিং এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী হাফিযুল বারী মোহাম্মদ লুৎফর রহমান, আমান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী রফিকুল ইসলাম পাটোয়ারী, আহাদ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী জসিম উদ্দিন আহমেদ, আক্তার রিক্রুটমেন্ট এজেন্সির স্বত্বাধিকারী মো. আকতার হোসাইন, মালয়েশিয়া-বাংলাদেশ হোল্ডিংস প্রা. লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী শিউলী বেগম, মৃধা ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশনের স্বত্বাধিকারী কাউসার মৃধা ও রাব্বি ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ বশির।

তদন্তে আরও জানা যায়, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পরস্পর যোগসাজশে ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার ১১১ জন কর্মীকে মালয়েশিয়ায় পাঠান। সরকার নির্ধারিত জনপ্রতি ফি ছিল ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা। কিন্তু সিন্ডিকেটটি অবৈধভাবে জনপ্রতি ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেয়। এ ছাড়া পাসপোর্ট, মেডিকেল, কোভিড-১৯ পরীক্ষা ও পোশাক বাবদ সরকার নির্ধারিত ফি ছাড়াও অতিরিক্ত ৩৬ হাজার ৫০০ টাকা করে আদায় করা হয়।

অভিযোগে বলা হয়েছে, সরকার নির্ধারিত ফির বাইরে সিন্ডিকেটটি জনপ্রতি গড়ে ১ লাখ ৭ হাজার ৫১০ টাকা করে মোট ৩৩ কোটি ৪৪ লাখ ৬৩ হাজার ৬১০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এই অর্থ অবৈধভাবে পাচারের প্রাথমিক প্রমাণ মেলায় সিআইডি মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করে।

সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট মামলাটির তদন্ত করছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের সন্ধান নেওয়া হচ্ছে। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদ্‌ঘাটন ও সংশ্লিষ্টদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

৩৬ বার অপারেশন, অবশেষে বাড়ি ফিরল মাইলস্টোনের শিক্ষার্থী নাভিদ

আজকের রাশিফল: মুখটা সামলে রাখুন, শত্রুরা ফেসবুক পোস্টে প্রচুর হা হা দেবে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত