রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের রাউজানে নিখোঁজের পাঁচ দিন পর এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বসতঘরের পেছনে টয়লেটসংলগ্ন নালা থেকে তিন সন্তানের জননীর গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মৃত নারীর নাম রোকসানা আকতার (২৮)। তিনি রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পাঠানপাড়া আশরাফ খান মাতব্বরের বাড়ির মুহাম্মদ আজমের (৪০) স্ত্রী।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে রাউজান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য উদয় দত্ত অর্ক বলেন, ‘বিকেল ৫টার দিকে খবর পেয়ে চুয়েট ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আরিফুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দেখি বাড়ির সীমানাপ্রাচীরের ভেতরে বসতঘরের পেছনে টয়লেট-সংলগ্ন নালার এক পাশ থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এ সময় নালার ওপর থেকে স্লাব সরিয়ে দেখি নারীর গলিত মরদেহ। তবে মরদেহের চেহারা দেখা যাচ্ছে না।’
নিহতের চাকরিজীবী বোন তাহমিনা আকতার বলেন, ‘আমি শুক্রবার বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসি। এ সময় আমার বোন বলেছিলেন, তাঁঁর মামাশ্বশুর ইছহাক, ননদ ফেরদৌসী আক্তার, ননদের স্বামী সোহেল প্রায় সময় নির্যাতন করেন, তাঁরা সম্পত্তি বিক্রির টাকা আত্মসাৎ করতে চান। আমি বোনকে সান্ত্বনা দিয়ে পরদিন শহরে চাকরিতে ফিরে যাই। সোমবার বোনের মোবাইল ফোনে বারবার কল দিয়ে সংযোগ না পেয়ে ননদের স্বামী সোহেলের নম্বরে ফোন দিলে তিনি বলেন, আমার বোন পালিয়েছে। তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। পরদিন মঙ্গলবারে আমরা বোনের বাড়িতে এলে মামাশ্বশুরসহ স্থানীয় চার ছেলে আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করেন। আমার বোন কোনো পরপুরুষের সঙ্গে পালিয়েছেন বলে নানান কটু কথা বলেন। আমাদের আটকে রাখেন। পরে স্থানীয় মেম্বার আমাদের উদ্ধার করলে আমি চলে যাই। পরদিন আমার মামা সাদ্দাম হোসেন থানায় জিডি করেন। আজ পুলিশের মাধ্যমে জানতে পারি আমার বোনের মরদেহ পাওয়া গেছে। আমার বোনের স্বামী সহজ-সরল। তেমন কোনো কাজ করতে পারেন না। তাঁদের সম্পত্তি আত্মসাতের জন্য আমার বোনকে তাঁর মামাশ্বশুর, ননদ ও ননদের স্বামী মিলে হত্যা করেছেন।’
নিহতের ননদ ফেরদৌস আকতার বলেন, ‘ভাবি নিখোঁজ হয়েছে বলে সংবাদ পেয়ে শ্বশুরবাড়ি কদলপুর থেকে এখানে আসি। বৃহস্পতিবার বিকেলে টয়লেটে গেলে পাশের নালা থেকে গন্ধ পেয়ে গিয়ে দেখি স্লাবের নিচে নালায় আমার ভাবির মরদেহ। পরে মামাসহ অন্যদের মাধ্যমে মেম্বারকে ফোন দিলে পুলিশসহ এখানে আসেন। আমার ভাই মোহাম্মদ আজম ও মা রিজিয়া বেগমকে পুলিশ নিয়ে গেছে।’
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল হারুন বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানা যাবে।
জানা যায়, ২০১৫ সালে রাঙ্গুনিয়ার পোমরা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তিন সৌদিয়া প্রজেক্ট এলাকার মোহাম্মদ মফিজের মেয়ে রোকসানা আক্তারের সঙ্গে আজমের বিয়ে হয়। তাঁদের তিন ছেলে রয়েছে।
চট্টগ্রামের রাউজানে নিখোঁজের পাঁচ দিন পর এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বসতঘরের পেছনে টয়লেটসংলগ্ন নালা থেকে তিন সন্তানের জননীর গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মৃত নারীর নাম রোকসানা আকতার (২৮)। তিনি রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পাঠানপাড়া আশরাফ খান মাতব্বরের বাড়ির মুহাম্মদ আজমের (৪০) স্ত্রী।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে রাউজান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য উদয় দত্ত অর্ক বলেন, ‘বিকেল ৫টার দিকে খবর পেয়ে চুয়েট ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আরিফুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দেখি বাড়ির সীমানাপ্রাচীরের ভেতরে বসতঘরের পেছনে টয়লেট-সংলগ্ন নালার এক পাশ থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এ সময় নালার ওপর থেকে স্লাব সরিয়ে দেখি নারীর গলিত মরদেহ। তবে মরদেহের চেহারা দেখা যাচ্ছে না।’
নিহতের চাকরিজীবী বোন তাহমিনা আকতার বলেন, ‘আমি শুক্রবার বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসি। এ সময় আমার বোন বলেছিলেন, তাঁঁর মামাশ্বশুর ইছহাক, ননদ ফেরদৌসী আক্তার, ননদের স্বামী সোহেল প্রায় সময় নির্যাতন করেন, তাঁরা সম্পত্তি বিক্রির টাকা আত্মসাৎ করতে চান। আমি বোনকে সান্ত্বনা দিয়ে পরদিন শহরে চাকরিতে ফিরে যাই। সোমবার বোনের মোবাইল ফোনে বারবার কল দিয়ে সংযোগ না পেয়ে ননদের স্বামী সোহেলের নম্বরে ফোন দিলে তিনি বলেন, আমার বোন পালিয়েছে। তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। পরদিন মঙ্গলবারে আমরা বোনের বাড়িতে এলে মামাশ্বশুরসহ স্থানীয় চার ছেলে আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করেন। আমার বোন কোনো পরপুরুষের সঙ্গে পালিয়েছেন বলে নানান কটু কথা বলেন। আমাদের আটকে রাখেন। পরে স্থানীয় মেম্বার আমাদের উদ্ধার করলে আমি চলে যাই। পরদিন আমার মামা সাদ্দাম হোসেন থানায় জিডি করেন। আজ পুলিশের মাধ্যমে জানতে পারি আমার বোনের মরদেহ পাওয়া গেছে। আমার বোনের স্বামী সহজ-সরল। তেমন কোনো কাজ করতে পারেন না। তাঁদের সম্পত্তি আত্মসাতের জন্য আমার বোনকে তাঁর মামাশ্বশুর, ননদ ও ননদের স্বামী মিলে হত্যা করেছেন।’
নিহতের ননদ ফেরদৌস আকতার বলেন, ‘ভাবি নিখোঁজ হয়েছে বলে সংবাদ পেয়ে শ্বশুরবাড়ি কদলপুর থেকে এখানে আসি। বৃহস্পতিবার বিকেলে টয়লেটে গেলে পাশের নালা থেকে গন্ধ পেয়ে গিয়ে দেখি স্লাবের নিচে নালায় আমার ভাবির মরদেহ। পরে মামাসহ অন্যদের মাধ্যমে মেম্বারকে ফোন দিলে পুলিশসহ এখানে আসেন। আমার ভাই মোহাম্মদ আজম ও মা রিজিয়া বেগমকে পুলিশ নিয়ে গেছে।’
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল হারুন বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানা যাবে।
জানা যায়, ২০১৫ সালে রাঙ্গুনিয়ার পোমরা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তিন সৌদিয়া প্রজেক্ট এলাকার মোহাম্মদ মফিজের মেয়ে রোকসানা আক্তারের সঙ্গে আজমের বিয়ে হয়। তাঁদের তিন ছেলে রয়েছে।
কক্সবাজারের পেকুয়ায় গুলি ছুড়ে এক পুলিশ কর্মকর্তার গ্রামের বাড়ি থেকে গরু লুট করে নিয়েছে ডাকাত দল। গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের মেহেরনামা চড়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ডাকাতি হয় চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার থানার...
১১ মিনিট আগেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত হওয়ায় উচ্ছ্বসিত নিয়োগপ্রত্যাশীর আন্দোলন প্রত্যাহার করে যোগদান করতে নিজ নিজ জেলায় ফিরে যাচ্ছেন
২২ মিনিট আগেপানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বর্তমান সচিব ও সাতক্ষীরার সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) নাজমুল আহসানের বিরুদ্ধে অবৈধ নির্বাচন, খুন, গুমে অংশ নেওয়াসহ নানা অপকর্মের অভিযোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৩২ মিনিট আগেকুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বালুভর্তি বস্তা দিয়ে চাপা দেওয়া অবস্থায় এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার সকালে উপজেলার চরসাদিপুর ইউনিয়নের চর ঘোষপুরে লাশটি পাওয়া যায়। নিহত মো. শিহাব (১০) ঘোষপুরের রতন শেখের ছেলে। বাবা নিরুদ্দেশ হওয়ার পর সে মা তাসলিমা খাতুনের সঙ্গে সরকারি আবাসন প্রকল্পের গুচ্ছগ্রামে থাকত
১ ঘণ্টা আগে