Ajker Patrika

আজ থেকে কমল চট্টগ্রাম-জেদ্দার একটি ফ্লাইট

আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম 
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ছবি: সংগৃহীত

প্রবাসী, ওমরাসহ যাত্রীর ব্যাপক চাহিদা থাকলেও চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক রুটে আরও একটি ফ্লাইট কমে গেছে। চট্টগ্রাম-জেদ্দা রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট আজ বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) থেকে আর চলছে না। বিষয়টি নিশ্চিত করে বিমান বাংলাদেশ চট্টগ্রামের ব্যবস্থাপক আল মামুন ফারুক জানান, এয়ারক্রাফটের সংকটের কারণে চট্টগ্রাম থেকে জেদ্দা রুটে বুধবারের ফ্লাইটটি কমানো হয়েছে।

এত দিন প্রতি সপ্তাহে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জেদ্দায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের তিনটি ফ্লাইট যাতায়াত করত। এর মধ্যে প্রতি বুধবারের ফ্লাইটটি আজ থেকে আর পরিচালনা করবে না বিমান।

ফ্লাইট কমানোর সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) চট্টগ্রাম জোনের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহ আলম। তিনি বলেন, অতীতে আমরা বারবার বলেছি, চট্টগ্রাম-জেদ্দা ও চট্টগ্রাম-মদিনা রুটে আরও বেশি ফ্লাইট বাড়ানো দরকার। সেখানে উল্টো কাজ করেছে বিমান।

এজেন্সিগুলোর তথ্যমতে, বছরের শেষ দিকে পবিত্র ওমরাহ পালনকারী যাত্রীর সংখ্যা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় একটু বেশি থাকে। সৌদি আরব রুটে সাধারণ যাত্রী ও ওমরাহ যাত্রীদের চাপে আসনসংকট তৈরি হয়।

ওমানের বেসরকারি এয়ারলাইনস সালাম এয়ার কর্তৃপক্ষ এত দিন প্রতিদিন একটি করে সপ্তাহে মোট সাতটি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। চট্টগ্রাম থেকে ওমানের মাস্কাট রুটে এয়ারলাইনসটি আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে সপ্তাহের প্রতি সোম, বুধ ও শুক্রবার অতিরিক্ত তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করবে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, চট্টগ্রাম থেকে বিমানের ফ্লাইট কমে যাওয়ায় সৌদি আরবের জেদ্দা, কুয়েত ও কাতারের দোহাগামী যাত্রীরা সালাম এয়ারের ফ্লাইটে মাস্কাট হয়ে ট্রানজিটে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাচ্ছেন।

বিমানবন্দরের তথ্যে জানা যায়, ২০০০ সালে বিদেশি বিমান সরাসরি চালুর পর যাত্রীর সংখ্যা বার্ষিক ৬ লাখ থেকে বেড়ে ১৬ লাখ দাঁড়িয়েছে। ২০২৩ সালে এই বিমানবন্দর দিয়ে আন্তর্জাতিক রুটের যাত্রী চলাচল বেড়েছে সাড়ে ৮ শতাংশ। ২০২৩ সালে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে ৯ লাখ ৬৮ হাজার যাত্রী আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গন্তব্যে গেছেন।

চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের ফ্লাইট পরিচালনার সমস্যা নিয়ে বলেন, বিমানবন্দরের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে অবকাঠামো। তার মধ্যে প্যাসেঞ্জার বিল্ডিংয়ের সক্ষমতা কম। ৬ লাখ যাত্রীর সক্ষমতা দিয়ে ১৬ লাখ হ্যান্ডেলিং করা হচ্ছে। ফলে অনেক ভোগান্তি তৈরি হচ্ছে।

বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ করার বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী ইব্রাহিম খলিল জানান, বিমান কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম-জেদ্দা রুটে বুধবারের ফ্লাইটটি পরিচালনা বন্ধ করে দিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতির বেয়াদবি ছুটায় দেব: জামায়াত নেতা সাঈদের ফেসবুক পোস্ট

বিবৃতি দিয়ে রাত ১০টার পর থেকে নেপালের নিয়ন্ত্রণ নিল সেনাবাহিনী

ডাকসুর ফলাফল ঘোষণায় বিলম্বের কারণ জানালেন রিটার্নিং কর্মকর্তা

নেপালের অর্থমন্ত্রীকে দিগম্বর করে নদীতে নিক্ষেপ

জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন নেপালের সেনাপ্রধান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত