Ajker Patrika

২৫ সাঁতারুর বাংলা চ্যানেল পাড়ি

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২২, ২১: ৫৮
Thumbnail image

কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিনে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে অংশ নেন নারীসহ ৩১ জন সাঁতারু। এদের মধ্যে সফলভাবে পাড়ি দিয়েছেন ২৫ জন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৫ মিনিটে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহ্পরীর দ্বীপের পশ্চিমপাড়া সমুদ্রসৈকত থেকে সাঁতার শুরু হয়। ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দূরত্বের বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়ে সাঁতার শেষ হয় সেন্ট মার্টিন দ্বীপে।

প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছেন রাসেল, রাব্বি ও মনিরুজ্জামান। তারা ১টার দিকে সেন্টমার্টিনে পৌঁছান। রাব্বি আর রাসেল এক মিনিটের ব্যবধান। মনিরুজ্জামান ২টার দিকে পৌঁছান। বাকিরা পর্যায়ক্রমে সেন্টমার্টিনে পৌঁছাতে পারলেও তাঁদের মধ্যে ছয়জন পৌঁছাতে পারেননি। এ ছয়জনের মধ্যে নারীও রয়েছেন। 

এবারের সাঁতারের আয়োজন করেছে ‘ষড়জ অ্যাডভেঞ্চার’ ও ‘এক্সট্রিম বাংলা’। ১৭ তম বাংলা চ্যানেল সাঁতার-২০২২’ অনুষ্ঠিত হবে। বাংলা চ্যানেল সাঁতারের প্রধান সমন্বয়ক ও ষড়জ অ্যাডভেঞ্চারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লিপটন সরকার। এখন পর্যন্ত ১৮ বার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন তিনি। 

এ বারের সাঁতারুরা হলেন লিপটন সরকার, মো. মনিরুজ্জামান, মোহাম্মদ শামসুজ্জামান আরাফাত, শেখ মাহবুব উর রহমান, সাইফুল ইসলাম রাসেল, আবুল কালাম আজাদ, মাসুদ রানা, আলী রওনাক ইসলাম, আবাদুল ইসলাম, মো. জিহাদ হুসেন, সালাহ উদ্দিন, মো. কামাল হোসেন, মো. শোহেল রানা, শৌভিক বড়ুয়া, উজ্জল চৌধুরী, মো. সাকিব মাহমুদ নাইম খান, মো. বদর উদ্দিন, মো. ফারুক হোসেন। 

আরও হলেন এস এম শারিয়ার মাহমুদ, মো. আবু রাশেদ, মো. গোলাম রব্বানী, আব্দুল্লাহ আল সাবিত, শোয়েব তালুকদার, এস কে রায়হান আরাফাত আকাশ, মোছা. রেজিনা পারভিন, মো. তারেক হাসান, আব্দুল্লাহ আল তৌসিফ, মো. জামিল হোসেন, মো. নাসির উদ্দিন, রাশেদুল ইসলাম ও রাব্বি রহমান। 

কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিনে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিলেন সাঁতারুরাসাইফুল ইসলাম রাসেল প্রথম, রাব্বি রহমান দ্বিতীয় ও মনিরুজ্জামান তৃতীয় স্থান অধিকার লাভ করেন। বাকিরা পর্যায়ক্রমে সেন্টমার্টিনে পৌঁছান। সর্বশেষ সাঁতারু ৫টায় পৌঁছান। তবে একমাত্র নারী সাঁতারু পৌঁছাতে পারেননি। ছয়জনের মধ্যে তিনিও মাঝ পথে বোটে উঠে যান। রাব্বি সদ্য এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। 

লিপটন সরকার জানান, এবার একজন নারীসহ ৩১ জন সাঁতারু অংশ নিয়েছেন। ছয়জন তাঁদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেননি। ভবিষ্যতে তারাও সফল হবেন। এই সাঁতার আন্তর্জাতিক রীতি মেনে পরিচালনা করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। 

লিপটন সরকার বলেন, ‘বাংলা চ্যানেল সাঁতারকে আন্তর্জাতিক করতে পেরেছি। ধারাবাহিকভাবে এ নৌপথে সাঁতার অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিবারেই সাঁতারুরা অংশ নিচ্ছেন।’ 

বঙ্গোপসাগরে দূরপাল্লার সাঁতারের উপযোগী ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দূরত্বের বাংলা চ্যানেল আবিষ্কার করেন প্রয়াত কাজী হামিদুল হক। ২০০৬ সালের প্রথমবারের মতো বাংলা চ্যানেল সাঁতার অনুষ্ঠিত হয়। সেই বার সাঁতারে অংশ নিয়েছিলেন লিপটন সরকার, ফজলুল কবির সিনা ও সালমান সাইদ। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত