নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের বায়েজিদ এলাকার লিংক রোডের সংযোগ সড়কের পাশ থেকে গত ২৯ জুন ভোরে এক নারীর ক্ষতবিক্ষত মরদেহ পায় পুলিশ। স্থানীয়রা জানান, দ্রুতগামী একটি ট্রাক তাঁকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এক দিন পর বেওয়ারিশ হিসেবেই দাফন করা হয় তাঁকে। তবে এ ঘটনায় করা মামলায় তদন্ত চালিয়ে যায় পুলিশ। বেরিয়ে আসে তাঁর নাম-পরিচয়। গতকাল শনিবার বিকেলে পুলিশ নিশ্চিত হয়, মরদেহটি চট্টগ্রাম কারাগারে অন্যের বদলে সাজা খাটা আলোচিত সেই মিনু আক্তারের।
মিনু একটি খুনের মামলায় কুলসুম আক্তার নামের অন্য এক নারীর হয়ে যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করছিলেন। তিন বছর জেলে থাকার পর আদালতের নির্দেশে গত ১৬ জুন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। মুক্তির ১২ দিন পর ট্রাকচাপায় এমন মর্মান্তিক মৃত্যু হলো তাঁর।
পুলিশ আর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মুক্তির পর মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন ৩১ বছর বয়সী মিনু। ছিলেন সীতাকুণ্ডের ছিন্নমূল মানুষের বসতি এলাকায় ভাই রুবেলের আশ্রয়ে। দুর্ঘটনার দিন সকালে ঘর থেকে বের হন। রাতে বায়েজিদের সড়কে নেমে ঝুঁকিপূর্ণভাবে ছোটাছুটি করছিলেন। এ সময় একটি ট্রাক চাপা দিয়ে চলে যায়।
বায়েজিদ থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত হয়েছি নিহত নারী কারাগারের সেই মিনু আক্তার। ঘটনার দিন রাতে বায়েজিদের লিংক রোডের আগে সানমারের বিপরীত রাস্তায় এদিক–সেদিক ছোটাছুটি করছিলেন তিনি। আমাদের টহল দল তাঁকে দুবার রাস্তা থেকে সরিয়ে পাশের ফুটপাতে এনে দিয়েছিল। পরে গভীর রাতে সড়কে নেমে আবারও দৌড়াদৌড়ি করতে গেলে একটি দ্রুতগতির ট্রাক তাঁকে চাপা দেয়।’
মিনু সব গুছিয়ে দুই ছেলেকে নিয়ে আবারও নতুন জীবন শুরু করবেন—এমনই আশা ছিল ভাই মো. রুবেলের। এ জন্য বোন আর তাঁর দুই ছেলেকে আশ্রয়ে রেখে সহায়তা করছিলেন তিনি। দরিদ্র রিকশাচালক হলেও বোনের ভাগ্য গড়ার চেষ্টায় আন্তরিকতার ঘাটতি ছিল না তাঁর।
কান্নাচাপা কণ্ঠে রুবেল বলেন, ‘ঘটনার চার দিন পর যখন জানলাম ট্রাকচাপায় নিহত নারীটি আমার বোন, তখন বুঝলাম সে কতটা অভাগী। এত বছর কষ্ট করে, এত অন্যায় সহ্য করে কারাগার থেকে ছাড়া পেয়েও আমার বোনটা সুখী জীবন পেল না। তার দুই ছেলে আছে। তারা মাকে ফিরে পেয়ে অনেক আনন্দে ছিল। এখন আমি তাদের কীভাবে মায়ের মৃত্যুর কথা জানাব।’
মর্জিনা আক্তার নামের এক নারী ২০১৮ সালের রমজান মাসে জাকাতের টাকা ও সন্তানদের ভরণপোষণ দেওয়ার কথা বলে মিনুকে ডেকে নিয়ে যান। পরে জানা যায়, তিনি কারাগারে আছেন। পিতৃহারা সন্তানদের মুখে হাসি ফোটাতে মিনু অন্য নারীর সাজা ভোগের এমন আত্মঘাতী চুক্তিতে রাজি হয়েছিলেন বলে জানান তাঁর ভাই রুবেল।
চট্টগ্রামের বায়েজিদ এলাকার লিংক রোডের সংযোগ সড়কের পাশ থেকে গত ২৯ জুন ভোরে এক নারীর ক্ষতবিক্ষত মরদেহ পায় পুলিশ। স্থানীয়রা জানান, দ্রুতগামী একটি ট্রাক তাঁকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এক দিন পর বেওয়ারিশ হিসেবেই দাফন করা হয় তাঁকে। তবে এ ঘটনায় করা মামলায় তদন্ত চালিয়ে যায় পুলিশ। বেরিয়ে আসে তাঁর নাম-পরিচয়। গতকাল শনিবার বিকেলে পুলিশ নিশ্চিত হয়, মরদেহটি চট্টগ্রাম কারাগারে অন্যের বদলে সাজা খাটা আলোচিত সেই মিনু আক্তারের।
মিনু একটি খুনের মামলায় কুলসুম আক্তার নামের অন্য এক নারীর হয়ে যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করছিলেন। তিন বছর জেলে থাকার পর আদালতের নির্দেশে গত ১৬ জুন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। মুক্তির ১২ দিন পর ট্রাকচাপায় এমন মর্মান্তিক মৃত্যু হলো তাঁর।
পুলিশ আর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মুক্তির পর মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন ৩১ বছর বয়সী মিনু। ছিলেন সীতাকুণ্ডের ছিন্নমূল মানুষের বসতি এলাকায় ভাই রুবেলের আশ্রয়ে। দুর্ঘটনার দিন সকালে ঘর থেকে বের হন। রাতে বায়েজিদের সড়কে নেমে ঝুঁকিপূর্ণভাবে ছোটাছুটি করছিলেন। এ সময় একটি ট্রাক চাপা দিয়ে চলে যায়।
বায়েজিদ থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত হয়েছি নিহত নারী কারাগারের সেই মিনু আক্তার। ঘটনার দিন রাতে বায়েজিদের লিংক রোডের আগে সানমারের বিপরীত রাস্তায় এদিক–সেদিক ছোটাছুটি করছিলেন তিনি। আমাদের টহল দল তাঁকে দুবার রাস্তা থেকে সরিয়ে পাশের ফুটপাতে এনে দিয়েছিল। পরে গভীর রাতে সড়কে নেমে আবারও দৌড়াদৌড়ি করতে গেলে একটি দ্রুতগতির ট্রাক তাঁকে চাপা দেয়।’
মিনু সব গুছিয়ে দুই ছেলেকে নিয়ে আবারও নতুন জীবন শুরু করবেন—এমনই আশা ছিল ভাই মো. রুবেলের। এ জন্য বোন আর তাঁর দুই ছেলেকে আশ্রয়ে রেখে সহায়তা করছিলেন তিনি। দরিদ্র রিকশাচালক হলেও বোনের ভাগ্য গড়ার চেষ্টায় আন্তরিকতার ঘাটতি ছিল না তাঁর।
কান্নাচাপা কণ্ঠে রুবেল বলেন, ‘ঘটনার চার দিন পর যখন জানলাম ট্রাকচাপায় নিহত নারীটি আমার বোন, তখন বুঝলাম সে কতটা অভাগী। এত বছর কষ্ট করে, এত অন্যায় সহ্য করে কারাগার থেকে ছাড়া পেয়েও আমার বোনটা সুখী জীবন পেল না। তার দুই ছেলে আছে। তারা মাকে ফিরে পেয়ে অনেক আনন্দে ছিল। এখন আমি তাদের কীভাবে মায়ের মৃত্যুর কথা জানাব।’
মর্জিনা আক্তার নামের এক নারী ২০১৮ সালের রমজান মাসে জাকাতের টাকা ও সন্তানদের ভরণপোষণ দেওয়ার কথা বলে মিনুকে ডেকে নিয়ে যান। পরে জানা যায়, তিনি কারাগারে আছেন। পিতৃহারা সন্তানদের মুখে হাসি ফোটাতে মিনু অন্য নারীর সাজা ভোগের এমন আত্মঘাতী চুক্তিতে রাজি হয়েছিলেন বলে জানান তাঁর ভাই রুবেল।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাবেক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের নাম ভাঙিয়ে দুটি খাবারের দোকান বসান তাঁর চাচাতো ভাই মোসাদ্দেক হোসেন নয়ন। ২০০৮ সাল থেকে দোকান দুটির ভাড়া বকেয়া ২ কোটি ১১ লাখ টাকা।
৬ মিনিট আগেরংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ১৩ বছর আগে ১০ শয্যার নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) চালু করা হয়। এর মধ্যে একটি শয্যা দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট। এখন ৯ শয্যার ইউনিটই পুরো রংপুর বিভাগের দুই কোটির বেশি মানুষের একমাত্র সরকারি আশ্রয়স্থল।
১১ মিনিট আগেদিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক ও কর্মচারী সংকটে ব্যাহত হচ্ছে নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা, অপারেশন (অস্ত্রোপচার), পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম। জানা গেছে, হাসপাতালটিতে পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি ও অবকাঠামো থাকলেও জনবলের অভাবে বন্ধ রয়েছে সিজার, অ্যাপেন্ডিসাইটিসসহ জরুরি অস্ত্রোপচার।
১৬ মিনিট আগেময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ব্যস্ততম ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড এলাকাটি এখন কার্যত একটি অবৈধ বাজারে পরিণত হয়েছে। মহাসড়কের পাশে গড়ে উঠেছে শতাধিক ভ্রাম্যমাণ দোকান। এসব দোকানে প্রতিনিয়ত চলছে ফলমূল ও কাঁচামাল বিক্রি। এতে জনসাধারণ ও যানবাহনের চলাচলে সৃষ্টি হয়েছে চরম দুর্ভোগ।
১৬ মিনিট আগে