Ajker Patrika

মিরসরাইয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, থানায় মামলা

মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ থানা। ছবি: সংগৃহীত
মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ থানা। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় একে অন্যকে দোষারোপ করেছে। গতকাল রোববার (২৯ জুন) রাতে বারইয়ারহাট পৌর বাজারের মসজিদ গলি এলাকায় বিএনপির দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। এতে উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আজিজুর রহমান চৌধুরী ও বারইয়ারহাট পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মঈন উদ্দিন লিটনসহ দুই পক্ষের ১০ নেতা-কর্মী আহত হন। এ ঘটনায় মাঈনুল ইসলাম রাহাত (এক পক্ষের কর্মী) ৩০ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জনকে আসামি করে জোরারগঞ্জ থানায় মামলা করেন।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন এবং আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন চেয়ারম্যানের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিনের অনুসারী মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আজিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘রোববার রাতে বারইয়ারহাট পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মঈন উদ্দিন লিটনসহ আমাদের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে কাশবন রেস্টুরেন্টে চা-নাশতা খেতে যাই। সেখান থেকে বের হলে সন্ত্রাসীরা আমার এবং নেতা-কর্মীদের ওপর লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালান। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব গাজী নিজাম উদ্দিন ও বারইয়ারহাট পৌর বিএনপির আহ্বায়ক দিদারুল আলম মিয়াজীর অনুসারীরা আমাদের ওপর এই ন্যক্কারজনক হামলা চালান। হামলায় আমাদের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশকে ফোন দিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি। তাঁরা আমাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন। আমরা মামলা করেছি। আসামিদের এখনো গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।’

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন চেয়ারম্যানের অনুসারী মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব গাজী নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘বারইয়ারহাট পৌর বাজারে নিয়মিত আমাদের শত শত নেতা-কর্মী অবস্থান করেন। কাশবন হোটেলের সামনে রোববার রাতে আমাদের ছাত্রদল-যুবদলের কয়েকজন নেতা-কর্মী দাঁড়িয়ে ছিলেন। প্রতিপক্ষের অনুসারী নেতা-কর্মীরা আমাদের নেতা-কর্মীদের কটূক্তি করেন। একপর্যায়ে তা বাগ্‌বিতণ্ডায় গড়ায়। তাঁরাই প্রথমে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করেন। তাঁদের হামলায় শাফায়েত হোসেন শুভ, শাহীন আলম নিশাত, তানবীর হোসেন, মো. বাদশা, জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।’

মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. সালাউদ্দিন বলেন, ‘হামলায় আহত হওয়া ৪ জনকে আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। গোলাম মাওলা ও কাশেম মাহফুজ নামের দুজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম বলেন, ‘বিএনপির দলীয় কোন্দল থেকে হামলার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। রাতে বিএনপির এক পক্ষের নেতা-কর্মীরা থানায় আসেন। মাঈনুল ইসলাম রাহাত এজাহারভুক্ত ৩০ এবং অজ্ঞাতনামা ৫০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। আমরা মামলা নিয়েছি, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত