জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
‘চার দিন পর গভীর ঘুম আসে। সকালে উঠে দেখি, আগের দুদিন যিনি বন্দুক তাক করে পাহারায় ছিলেন, তিনি ঠায় দাঁড়িয়ে। যাকে আগের দুদিন একবারও ঘুমাতে দেখিনি। তিনি কিনা তৃতীয় দিনও পাহারায়! জলদস্যুরা না ঘুমিয়ে দিনের পর দিন এভাবে এমভি আবদুল্লাহকে পাহারা দিতেন।’ জাহাজে জিম্মি থেকে মুক্তি পাওয়া একজন এসব কথা বলেন।
আজকের পত্রিকার এই প্রতিবেদক এ বিষয়ে পাঁচ নাবিকের সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে তাঁরা কেউ নাম-পরিচয় প্রকাশ করতে রাজি হননি। ওই নাবিকেরা বলেন, জলদস্যুরা একটি বিশেষ মাদক গ্রহণ করতেন। যেটি খেলে তিন দিনও ঘুম আসত না। জলদস্যুদের কাউকে একটানা তিন দিন, কাউকে দুই দিন নির্ঘুম কাটাতে দেখেছেন নাবিকেরা।
নাবিকেরা বলেন, দস্যুরা চা-পাতার মতো একটি বিশেষ মাদক গ্রহণ করতেন। এটি তাঁরা কেনিয়া থেকে আনতেন। যেটি একপ্রকার নেশাজাতীয় দ্রব্য। এটি খাওয়ার পর দুই-তিন দিন তাঁরা ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে পারতেন। ঘুম বা ক্লান্তি অনুভব করতেন না তাঁরা। নেশা করে হাতে বন্দুক তাক করে নাবিকদের এভাবে পাহারায় রাখতেন সারা দিন-রাত। এসব খুব বেশি আতঙ্কিত করেছে নাবিকদের। কারণ নেশা করার পর হাতে বন্দুক দিয়ে যেকোনো কিছু ঘটাতে পারতেন তাঁরা।
এমনকি হঠাৎ হঠাৎ দস্যুরা বন্দুক দিয়ে ফায়ার করতেন। যখন ফ্রি ফায়ার করতেন, তখন পুরো জাহাজ কেঁপে উঠত। এসব খুব আতঙ্কিত করেছে নাবিকদের।
জিম্মির প্রথম ৩ দিন ব্রিজে ছিলেন ২৩ নাবিক, ব্যবহার করতেন একটি টয়লেট
জিম্মির প্রথম তিন দিন ব্রিজে (যেখান থেকে জাহাজ পরিচালনা করা হয়) ছিলেন ২৩ নাবিক, ব্যবহার করতেন একটিমাত্র টয়লেট। নাবিকেরা বলেন, ১২ মার্চ জাহাজটি জিম্মি হওয়ার পর থেকে তিন দিন জাহাজের ব্রিজে হাঁটু গেড়ে বসিয়ে রেখেছিলেন নাবিকদের। ছোট একটি ব্রিজে ২৩ জন নাবিক। সঙ্গে অস্ত্রসহ আরও ১২ দস্যু। খুবই কষ্টের ছিল সময়টা। এই তিন দিন কেউ ঘুমাতে পারেননি। সাহ্রি ও ইফতারের খাবার একটি গামলায় রেখে খেতে হয়েছে।
জাহাজে থাকা ১২-১৫ জন জলদস্যু প্রথম তিন দিন প্রচুর খাবার নষ্ট করেছেন বলে জানান নাবিকেরা। জাহাজে থাকা ছয়-সাতটা ছাগল দুই-তিন দিনে খেয়ে ফেলেছেন জলদস্যুরা। চাল, ডাল, চিনি ও খাবার পানিও প্রচুর নষ্ট করছিলেন। নষ্ট বলতে বেশি রান্না করে কিছু খেত আর বাকিগুলো ফেলে দিত। সঙ্গে খাবার পানিও নষ্ট করছিল। পরে চালাকি করে জাহাজের মাস্টার খাবার পানির লাইন বন্ধ করে দেন। শুধু সপ্তাহে এক দিন এক ঘণ্টার জন্য জাহাজে পানি সরবরাহ করা হতো।
তিন দিন পর যদিও জলদস্যুদের জন্য জাহাজে খাবার আসা শুরু করে। স্পিডবোটে এসে একটি গ্রুপ খাবারগুলো সরবরাহ করত। তখন নাবিকেরা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে। তাদের খাবার থেকে নাবিকদেরও কিছু দিত তারা। যেমন দুম্বার মাংস।
এমভি আবদুল্লাহতে বসানো হয় মেশিনগান-রকেট লঞ্চার
সোমালিয়ার ডেরায় নোঙর করার পর বড় বড় মেশিনগান নিয়ে আসে দস্যুরা। সেগুলো ট্রাইপডে বসিয়ে বিভিন্ন পজিশনে তাক করা ছিল। এমনকি রকেট লঞ্চারও জাহাজে বসানো হয়। নোঙর করার পর জাহাজটিতে সার্বক্ষণিক ২২-২৫ জন জলদস্যু অবস্থান করতেন। তাঁরা ভারী ভারী এসব অস্ত্র কিছু জাহাজের সামনে, ছাদে, কিছু ব্রিজ উইয়িংয়ে পজিশন নেন। তারপর জাহাজে সর্বশেষ আসেন সোমালিয়ায় থাকা তাদের নেতা আহমেদ। তিনি জাহাজের মাস্টার আব্দুর রশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কথা বলেন মুক্তির আগ পর্যন্ত।
জাহাজে ওই জলদস্যু আবার জাহাজে থাকা তিনজনের কথা মেনে চলতেন। তাঁরা ছিলেন একজন জলদস্যুদের ইনচার্জ মো. আসিফ, আরেকজন ছিলেন কমান্ডার মো. আফসির এবং আরেকজন অনুবাদক আহমেদ উল করিম। এ তিনজন আবার যোগাযোগ রাখতেন সোমালিয়ায় থাকা তাঁদের নেতা আহমেদের সঙ্গে।
জিম্মি থেকে মুক্ত নাবিকেরা বলেন, সোমালিয়ার ডেরায় পৌঁছানোর কিছু আগে এমভি আবদুল্লাহকে ফলো করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ। তারা অভিযান পরিচালনারও চেষ্টা করে। ওই সময় আমাদের সবাইকে খোলা জায়গায় নিয়ে মাথায় অস্ত্র তাক করে, যুদ্ধজাহাজগুলোকে সরে যেতে বলে। তখন ৩০ মিনিটের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের যুদ্ধজাহাজ সরে যায়।
নোঙর করার পর জাহাজে কাজ করার সুযোগ দেয় দস্যুরা
নাবিকেরা বলেন, সোমালিয়ার ডেরায় জাহাজ নোঙর করার পর জাহাজের মাস্টার আব্দুর রশিদ দস্যুদের দলনেতা আহমেদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁকে অনুরোধ করেন, তাঁর কিছু কাজ করা লাগে। সে জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় যাতে তাঁকে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়। দস্যুনেতা আহমেদ তাতে রাজি হন। তারপর নাবিকেরা কাজের ফাঁকে ফাঁকে কেবিনে গিয়ে রেস্ট নিতে পারতেন।
এক নাবিক বলেন, ‘যখন তাঁরা কাজ করার সুযোগ দেন তখন আমরা কেবিনে গিয়ে কিছু সময়ের জন্য রেস্ট নেওয়া শুরু করি। নাবিকেরা যতটুকু পেরেছেন, আহমেদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করে সুযোগ-সুবিধা আদায় করে নিয়েছেন।’
রাতে ঘুমাতে দিতেন না দস্যুরা
দিনে কাজের ফাঁকে ফাঁকে কেবিনে রেস্ট নেওয়ার সুযোগ থাকলেও ইফতারের পর সবাইকে জাহাজের ব্রিজে ধরে নিয়ে যেতেন দস্যুরা। ব্রিজে প্রতিদিনের চিত্র ছিল এটি। কেউ কেউ ঘুমাতে পারলেও ব্রিজে নাবিকদের অনেকে এই ৩৩ দিন ঘুমাতে পারেননি। সবাই সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করতেন।
জিম্মি থেকে ফিরে আসা নাবিকেরা বলেন, ছোট একটি ব্রিজে যেন জেলখানায় বন্দী ছিলেন তাঁরা। ঘুম আসত না, মাঝেমধ্যে রাতে দস্যুরা ফায়ার করলে আতঙ্কের মধ্যে থাকতেন। এই ৩৩ দিনের মধ্যে দস্যুরা শুধু ফ্রেশ ওয়াটার সাপ্লাই দিতে পারছে প্রতিজনের বিপরীতে মাত্র ১৬ এলএম। সাতটি দুম্বা দিয়েছে। যদিও এগুলোর বেশির ভাগই তাঁরা নিজেরাই খেয়ে ফেলতেন।
মুক্তির আগ পর্যন্ত সোমালিয়ার ল্যান্ডের কাছে ছিল জাহাজ
জিম্মি হওয়ার পর জাহাজ প্রথম যেখানে নোঙর করা হয়, সেখানে অবস্থান নেয় মাত্র দুদিন। তারপর দস্যুরা জাহাজ আরেকটি পজিশনে নিয়ে যায়। যেখান থেকে সোমালিয়ার ল্যান্ড দেখা যাচ্ছিল। নাবিকেরা বলেন, মুক্তির আগ পর্যন্ত যেখানে ল্যান্ড করছিল, সেখান থেকে সোমালিয়ার ল্যান্ড দেড় মাইল দূরে ছিল।
‘চার দিন পর গভীর ঘুম আসে। সকালে উঠে দেখি, আগের দুদিন যিনি বন্দুক তাক করে পাহারায় ছিলেন, তিনি ঠায় দাঁড়িয়ে। যাকে আগের দুদিন একবারও ঘুমাতে দেখিনি। তিনি কিনা তৃতীয় দিনও পাহারায়! জলদস্যুরা না ঘুমিয়ে দিনের পর দিন এভাবে এমভি আবদুল্লাহকে পাহারা দিতেন।’ জাহাজে জিম্মি থেকে মুক্তি পাওয়া একজন এসব কথা বলেন।
আজকের পত্রিকার এই প্রতিবেদক এ বিষয়ে পাঁচ নাবিকের সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে তাঁরা কেউ নাম-পরিচয় প্রকাশ করতে রাজি হননি। ওই নাবিকেরা বলেন, জলদস্যুরা একটি বিশেষ মাদক গ্রহণ করতেন। যেটি খেলে তিন দিনও ঘুম আসত না। জলদস্যুদের কাউকে একটানা তিন দিন, কাউকে দুই দিন নির্ঘুম কাটাতে দেখেছেন নাবিকেরা।
নাবিকেরা বলেন, দস্যুরা চা-পাতার মতো একটি বিশেষ মাদক গ্রহণ করতেন। এটি তাঁরা কেনিয়া থেকে আনতেন। যেটি একপ্রকার নেশাজাতীয় দ্রব্য। এটি খাওয়ার পর দুই-তিন দিন তাঁরা ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে পারতেন। ঘুম বা ক্লান্তি অনুভব করতেন না তাঁরা। নেশা করে হাতে বন্দুক তাক করে নাবিকদের এভাবে পাহারায় রাখতেন সারা দিন-রাত। এসব খুব বেশি আতঙ্কিত করেছে নাবিকদের। কারণ নেশা করার পর হাতে বন্দুক দিয়ে যেকোনো কিছু ঘটাতে পারতেন তাঁরা।
এমনকি হঠাৎ হঠাৎ দস্যুরা বন্দুক দিয়ে ফায়ার করতেন। যখন ফ্রি ফায়ার করতেন, তখন পুরো জাহাজ কেঁপে উঠত। এসব খুব আতঙ্কিত করেছে নাবিকদের।
জিম্মির প্রথম ৩ দিন ব্রিজে ছিলেন ২৩ নাবিক, ব্যবহার করতেন একটি টয়লেট
জিম্মির প্রথম তিন দিন ব্রিজে (যেখান থেকে জাহাজ পরিচালনা করা হয়) ছিলেন ২৩ নাবিক, ব্যবহার করতেন একটিমাত্র টয়লেট। নাবিকেরা বলেন, ১২ মার্চ জাহাজটি জিম্মি হওয়ার পর থেকে তিন দিন জাহাজের ব্রিজে হাঁটু গেড়ে বসিয়ে রেখেছিলেন নাবিকদের। ছোট একটি ব্রিজে ২৩ জন নাবিক। সঙ্গে অস্ত্রসহ আরও ১২ দস্যু। খুবই কষ্টের ছিল সময়টা। এই তিন দিন কেউ ঘুমাতে পারেননি। সাহ্রি ও ইফতারের খাবার একটি গামলায় রেখে খেতে হয়েছে।
জাহাজে থাকা ১২-১৫ জন জলদস্যু প্রথম তিন দিন প্রচুর খাবার নষ্ট করেছেন বলে জানান নাবিকেরা। জাহাজে থাকা ছয়-সাতটা ছাগল দুই-তিন দিনে খেয়ে ফেলেছেন জলদস্যুরা। চাল, ডাল, চিনি ও খাবার পানিও প্রচুর নষ্ট করছিলেন। নষ্ট বলতে বেশি রান্না করে কিছু খেত আর বাকিগুলো ফেলে দিত। সঙ্গে খাবার পানিও নষ্ট করছিল। পরে চালাকি করে জাহাজের মাস্টার খাবার পানির লাইন বন্ধ করে দেন। শুধু সপ্তাহে এক দিন এক ঘণ্টার জন্য জাহাজে পানি সরবরাহ করা হতো।
তিন দিন পর যদিও জলদস্যুদের জন্য জাহাজে খাবার আসা শুরু করে। স্পিডবোটে এসে একটি গ্রুপ খাবারগুলো সরবরাহ করত। তখন নাবিকেরা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে। তাদের খাবার থেকে নাবিকদেরও কিছু দিত তারা। যেমন দুম্বার মাংস।
এমভি আবদুল্লাহতে বসানো হয় মেশিনগান-রকেট লঞ্চার
সোমালিয়ার ডেরায় নোঙর করার পর বড় বড় মেশিনগান নিয়ে আসে দস্যুরা। সেগুলো ট্রাইপডে বসিয়ে বিভিন্ন পজিশনে তাক করা ছিল। এমনকি রকেট লঞ্চারও জাহাজে বসানো হয়। নোঙর করার পর জাহাজটিতে সার্বক্ষণিক ২২-২৫ জন জলদস্যু অবস্থান করতেন। তাঁরা ভারী ভারী এসব অস্ত্র কিছু জাহাজের সামনে, ছাদে, কিছু ব্রিজ উইয়িংয়ে পজিশন নেন। তারপর জাহাজে সর্বশেষ আসেন সোমালিয়ায় থাকা তাদের নেতা আহমেদ। তিনি জাহাজের মাস্টার আব্দুর রশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কথা বলেন মুক্তির আগ পর্যন্ত।
জাহাজে ওই জলদস্যু আবার জাহাজে থাকা তিনজনের কথা মেনে চলতেন। তাঁরা ছিলেন একজন জলদস্যুদের ইনচার্জ মো. আসিফ, আরেকজন ছিলেন কমান্ডার মো. আফসির এবং আরেকজন অনুবাদক আহমেদ উল করিম। এ তিনজন আবার যোগাযোগ রাখতেন সোমালিয়ায় থাকা তাঁদের নেতা আহমেদের সঙ্গে।
জিম্মি থেকে মুক্ত নাবিকেরা বলেন, সোমালিয়ার ডেরায় পৌঁছানোর কিছু আগে এমভি আবদুল্লাহকে ফলো করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ। তারা অভিযান পরিচালনারও চেষ্টা করে। ওই সময় আমাদের সবাইকে খোলা জায়গায় নিয়ে মাথায় অস্ত্র তাক করে, যুদ্ধজাহাজগুলোকে সরে যেতে বলে। তখন ৩০ মিনিটের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের যুদ্ধজাহাজ সরে যায়।
নোঙর করার পর জাহাজে কাজ করার সুযোগ দেয় দস্যুরা
নাবিকেরা বলেন, সোমালিয়ার ডেরায় জাহাজ নোঙর করার পর জাহাজের মাস্টার আব্দুর রশিদ দস্যুদের দলনেতা আহমেদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁকে অনুরোধ করেন, তাঁর কিছু কাজ করা লাগে। সে জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় যাতে তাঁকে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়। দস্যুনেতা আহমেদ তাতে রাজি হন। তারপর নাবিকেরা কাজের ফাঁকে ফাঁকে কেবিনে গিয়ে রেস্ট নিতে পারতেন।
এক নাবিক বলেন, ‘যখন তাঁরা কাজ করার সুযোগ দেন তখন আমরা কেবিনে গিয়ে কিছু সময়ের জন্য রেস্ট নেওয়া শুরু করি। নাবিকেরা যতটুকু পেরেছেন, আহমেদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করে সুযোগ-সুবিধা আদায় করে নিয়েছেন।’
রাতে ঘুমাতে দিতেন না দস্যুরা
দিনে কাজের ফাঁকে ফাঁকে কেবিনে রেস্ট নেওয়ার সুযোগ থাকলেও ইফতারের পর সবাইকে জাহাজের ব্রিজে ধরে নিয়ে যেতেন দস্যুরা। ব্রিজে প্রতিদিনের চিত্র ছিল এটি। কেউ কেউ ঘুমাতে পারলেও ব্রিজে নাবিকদের অনেকে এই ৩৩ দিন ঘুমাতে পারেননি। সবাই সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করতেন।
জিম্মি থেকে ফিরে আসা নাবিকেরা বলেন, ছোট একটি ব্রিজে যেন জেলখানায় বন্দী ছিলেন তাঁরা। ঘুম আসত না, মাঝেমধ্যে রাতে দস্যুরা ফায়ার করলে আতঙ্কের মধ্যে থাকতেন। এই ৩৩ দিনের মধ্যে দস্যুরা শুধু ফ্রেশ ওয়াটার সাপ্লাই দিতে পারছে প্রতিজনের বিপরীতে মাত্র ১৬ এলএম। সাতটি দুম্বা দিয়েছে। যদিও এগুলোর বেশির ভাগই তাঁরা নিজেরাই খেয়ে ফেলতেন।
মুক্তির আগ পর্যন্ত সোমালিয়ার ল্যান্ডের কাছে ছিল জাহাজ
জিম্মি হওয়ার পর জাহাজ প্রথম যেখানে নোঙর করা হয়, সেখানে অবস্থান নেয় মাত্র দুদিন। তারপর দস্যুরা জাহাজ আরেকটি পজিশনে নিয়ে যায়। যেখান থেকে সোমালিয়ার ল্যান্ড দেখা যাচ্ছিল। নাবিকেরা বলেন, মুক্তির আগ পর্যন্ত যেখানে ল্যান্ড করছিল, সেখান থেকে সোমালিয়ার ল্যান্ড দেড় মাইল দূরে ছিল।
নিম্নমানের খাবার, অতিরিক্ত দাম ও ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ক্যাফেটেরিয়া, হল ক্যানটিন ও আশপাশের দোকানগুলোর বিরুদ্ধে। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ ও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, বাসি ও অরুচিকর খাবারকে মুখরোচক করতে ব্যবহৃত হচ্ছে...
৪ মিনিট আগেবাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবিতে নতুন কর্মসূচি হিসেবে আজ রোববার শিক্ষা ভবন অভিমুখে ভুখা মিছিল করবেন আন্দোলনরত এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। দাবি আদায়ে টানা সাত দিন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান করছেন এই শিক্ষকেরা। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ভুখা মিছিলের ঘোষণা দেন তাঁরা।
৪০ মিনিট আগেহবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ইমামবাড়ি বাজারে মিষ্টির বাক্সের অতিরিক্ত ওজন নিয়ে বিরোধের জেরে টর্চ জ্বালিয়ে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের ইমামবাড়ি...
১ ঘণ্টা আগেনদীবেষ্টিত এলাকা পটুয়াখালী পৌরসভায় দীর্ঘদিন ধরে নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে ভুগছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পৌর কর্তৃপক্ষের সঞ্চালন লাইনের পানির ওপর নির্ভরশীল হলেও জলবায়ু পরিবর্তন, ভূগর্ভস্থ পানির অতিরিক্ত ব্যবহার ও অপর্যাপ্ত অবকাঠামোর কারণে দিন দিন তীব্র হচ্ছে পানির সংকট।
১ ঘণ্টা আগে