Ajker Patrika

যাঁরা ভোট চান না, তাঁদের রাজনৈতিক দল করার দরকার কী: আমীর খসরু

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১৯ জুলাই ২০২৫, ২২: ২৩
চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজারসংলগ্ন লেডিস ক্লাবে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: আজকের পত্রিকা
চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজারসংলগ্ন লেডিস ক্লাবে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘আপনারা যাঁরা ভোট চান না, তাঁদের রাজনৈতিক দল করার দরকার কী! নির্বাচন করবেন না, আবার বলবেন আমি রাজনৈতিক দল; জনগণের কাছে যেতে চাইবেন না, আবার বলবেন আমি রাজনৈতিক দল; তো আপনি রাজনৈতিক দল হলে তো জনগণের কাছে যেতে হবে। এটাই তো রাজনীতি।’

শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজারসংলগ্ন লেডিস ক্লাবে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শাখার ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খসরু এসব কথা বলেন।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচনের প্রক্রিয়া থেকে কেউ যদি সরে দাঁড়াতে চায়, তাদের মেসেজ দিতে হবে, বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র চায়, বাংলাদেশের মানুষ তার দেশের মালিকানা ফিরে পেতে চায়। আর আপনারা যাঁরা গণতন্ত্র চান না, তাঁদের তো কেউ রাজনীতি করতে বলেনি।’ তিনি বলেন, ‘সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে, ঐকমত্যের কথা বলা হচ্ছে, সব ঠিক আছে—সেখানে যতটুকুতে ঐকমত্য হবে, তার বাইরে সময় নষ্ট না করে, লন্ডনে আমাদের তারেক রহমানের সঙ্গে ড. ইউনূসের যে মিটিং হয়েছে, সেই মিটিং অনুযায়ী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের মালিকানা তাদের ফিরিয়ে দিতে হবে। এর বাইরে আর কোনো পথ নেই।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ চায়, একটি সহনশীল বাংলাদেশ চায়, পরস্পর সম্মানবোধের জায়গায় যেতে চায়, একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চায়। বাংলাদেশের মানুষের সাংবিধানিক, রাজনৈতিক, গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেতে চায়। সুতরাং একটাই পথ, দ্বিতীয় আর কোনো পথ নেই, দেশের মালিকের ভোটে নির্বাচিত সংসদ ও সরকার, এর কোনো ব্যতিক্রম নেই।’

আমীর খসরু বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করছে ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য। সুতরাং, আমাদের নির্বাচনের দিকেই যেতে হবে। মানুষ যদি বিএনপিকে ভোট দেয়, তাহলে দেবে, আর না দিলে যাকে ভোট দেয়, সেটা আমরা মেনে নেব, কিন্তু নির্বাচন হোক। আমরা আমাদের সাংবিধানিক, গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক অধিকার নিয়ে বাঁচতে চাই। আমি আমার নাগরিক অধিকার ভোগ করতে চাই।’ এ প্রসঙ্গে নেতা-কর্মীদের নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার তো রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বশীল সরকার নয়, এটা তাদের সীমাবদ্ধতা। সুতরাং তাদের দ্রুত নির্বাচন দিয়ে দেশটাকে তার মালিক জনগণের হাতে তুলে দেওয়া দরকার। তারাই সিদ্ধান্ত নেবে আগামীর বাংলাদেশ কীভাবে চলবে। পরিবর্তন কী হবে, এ দেশের জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে।’

বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা রাজনীতিকরণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মন্তব্য করে খসরু বলেন, ‘গত ১৫-১৬ বছরে শিক্ষা একজন ব্যক্তি, একটি পরিবার, একটি দল এবং তাদের আদর্শের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে। এটি ভয়াবহ। শিক্ষা কখনো কোনো দলের হয়ে কাজ করে না। শিক্ষা হবে জাতি গঠনের প্রধান হাতিয়ার।’

প্রধান বক্তা হিসেবে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া বলেন, ‘প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় সরকারি স্কুল ছাড়া আর কোনো স্কুলের শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পরীক্ষা দিতে পারবে না বলে—কয়েক দিন আগে সরকার যে সার্কুলার জারি করেছে, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না।’

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শিক্ষক সমিতির আহ্বায়ক ও বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম টিপুর সভাপতিত্বে এবং সদস্যসচিব মোহাম্মদ মোবারক আলী ও খন্দকিয়া চিকনদণ্ডী স্কুলের প্রধান শিক্ষক শাহিদা আক্তারের পরিচালনায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন শিক্ষক সমিতির মহাসচিব ও শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের অতিরিক্ত মহাসচিব মো. জাকির হোসেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের সঙ্গে আফগানিস্তান-শ্রীলঙ্কাও ঢাকায় এসিসির সভা বর্জন করল

মুক্তি পেয়ে আ.লীগ নেতার ভিডিও বার্তা, বেআইনি বলল বিএনপি

গাড়ি কেনার টাকা না দেওয়ায় স্ত্রীকে মারধর, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে মামলা

সালাহউদ্দিনকে নিয়ে বিষোদ্‌গার: চকরিয়ায় এনসিপির পথসভার মঞ্চে বিএনপির হামলা-ভাঙচুর

যুদ্ধবিমানের ২৫০ ইঞ্জিন কিনছে ভারত, ফ্রান্সের সঙ্গে ৬১ হাজার কোটি রুপির চুক্তি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত