Ajker Patrika

চট্টগ্রামে ৬ শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণ: মাদ্রাসাশিক্ষককে আমৃত্যু কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ০৪ জুন ২০২৫, ১৭: ৪৮
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামে ছয় মাদ্রাসাশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় মো. নাজিম উদ্দিন (৪৫) নামের এক শিক্ষককে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ বুধবার চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক ফেরদৌস আরা এই রায় দেন।

দণ্ডিত নাজিম উদ্দিন ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাট ইউনিয়নের বাবুগঞ্জ গ্রামের হাফেজ গোলমুর রহমানের ছেলে। তিনি চট্টগ্রামের পাঁচলাইশের মুরাদপুরে রহমানিয়া তাহফীজুল কোরআন একাডেমির শিক্ষক।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শফিউল মোর্শেদ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, আদালত আসামি নাজিম উদ্দিনকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০-এর ৯(১) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে এই রায় দেন। রায়ের সময় এজলাসে আসামি উপস্থিত ছিলেন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানামূলে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

পিপি বলেন, ২০২১ সালের ৪ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষ এই মামলায় ১১ জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেছে। আসামিপক্ষে আসামিসহ দুজন সাফাই সাক্ষ্য দেন। পরে যুক্তিতর্ক শেষে আজ আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে ট্রাইব্যুনাল এই রায় দেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, আসামি নাজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মাদ্রাসাটির হেফজ বিভাগের ছয় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। পরে মারধরসহ নানা ভয় দেখিয়ে সেসব শিশুকে আরও একাধিকবার ধর্ষণ করেন নাজিম উদ্দিন। ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থীদের বয়স ছিল ১১ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে।

ঘটনাটি জানাজানির পর ২০২১ সালের ৪ মার্চ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের একজনের অভিভাবক বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় নাজিম উদ্দিনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় পরে নাজিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে আসামি নাজিম উদ্দিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে মামলার বাদী বলেন, ‘রায়ে আমরা সন্তুষ্ট হয়েছি। মাদ্রাসার ভেতরে ধর্ষণের ঘটনার বিষয়ে আমরা কেউই জানতাম না। আমার ছোট ভাইও একজন ভিকটিম ছিল। কিন্তু সে এই ঘটনার বিষয়ে কিছু বলত না।

ওই মাদ্রাসা থেকে লেখাপড়া শেষ করে বেরিয়ে আসা এক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে আমরা বিষয়টি জানতে পারি। পরে আমিসহ অন্য ভিকটিমদের অভিভাবক সবাই মিলে মাদ্রাসার ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি মামলা করি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত