Ajker Patrika

সেনবাগে সাবেক স্ত্রী, মেয়ে ও শাশুড়িকে কুপিয়ে জখম, দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক

নোয়াখালী প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫: ১৮
সেনবাগে সাবেক স্ত্রী, মেয়ে ও শাশুড়িকে কুপিয়ে জখম, দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক

নোয়াখালীর সেনবাগে আমির হোসেন (৪৮) নামের এক ব্যক্তি তাঁর সাবেক স্ত্রী, মেয়ে ও শাশুড়িকে কুপিয়ে জখম করেছেন। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার অর্জুনতলা ইউনিয়নের ইদিলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর দ্রুত পালিয়ে যান আমির হোসেন।

হামলার শিকার তিনজন হলেন আমির হোসেনের সাবেক স্ত্রী বিবি ফাতেমা (৩৮), মেয়ে রাবেয়া খাতুন (১৮) ও শাশুড়ি মাফিয়া বেগম (৫৮)। আহতদের মধ্যে মাফিয়া ও ফাতেমাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

তবে ঠিক কী কারণে আমির হোসেন তাঁদের কুপিয়েছেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২৭-২৮ বছর আগে পারিবারিকভাবে পাশের সোনাইমুড়ী উপজেলার অম্বরনগর গ্রামের সফি উল্যার ছেলে আমিরের সঙ্গে ফাতেমার বিয়ে হয়। তাঁদের সংসারে এক মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে তিন বছর আগে ফাতেমা ও আমিরের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তখন থেকে তিন সন্তান ফাতেমার সঙ্গে থাকত। ফাতেমা বাবার বাড়ির এলাকায় একটি ঘর করে সন্তানদের নিয়ে বসবাস করতেন। তাঁদের এক ছেলে ঢাকায় চাকরি করেন, কয়েক দিন আগে আরেক ছেলে বিদেশে যান। মেয়ে ও মাকে নিয়ে বাড়িতে থাকেন ফাতেমা।

আহত রাবেয়া খাতুন বলেন, ‘আজ ভোরে বাবা এসে ঘরের দরজা খুলতে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু তাতে আমরা কেউ সাড়াশব্দ করিনি। বাবার ডাকাডাকি বন্ধ হলে তিনি চলে গেছেন ভেবে কিছুক্ষণ পর মা ঘর থেকে বের হন। তখন তাঁকে দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপানো শুরু করেন বাবা। পরে ঘরে এসে আমাকে এবং নানিকেও কুপিয়ে জখম করেন। আমাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে বাবা পালিয়ে যান। পরে লোকজন আমাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আর আমার মা ও নানিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে তাঁদের দুজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সেনবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত