Ajker Patrika

কক্সবাজারে নারীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে অপহরণের শিকার ২ যুবক

 টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

কক্সবাজারের টেকনাফে রাফিয়া নামের এক নারীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে দুই যুবক অপহরণের শিকার হয়েছেন। তাঁরা হলেন উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের উত্তর সোনারপাড়ার শফিউল আলমের ছেলে মো. আদনান (২১) এবং একই এলাকার মো. শফিকের ছেলে মো. হাশেম (২২)। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

তাঁরা হলেন টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এলাকার আব্দুল হকের ছেলে মো. ফয়সাল (৩০) এবং একই ইউনিয়নের জাহাজপুরা এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ কামরুল।

আজ সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাসান মিয়া।

এ ঘটনায় হওয়া মামলার বাদী হলেন আদনানের চাচাতো ভাই সাইফুল ইসলাম বেলাল (৩০)। তিনি মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে টেকনাফ থানায় মামলা করেন।

এসআই হাসান মিয়া বলেন, উখিয়া উপজেলার সোনারপাড়ার বাসিন্দা আদনান ও হাশেমকে বেড়ানোর নামে টেকনাফে ডেকে আনেন রাফিয়া নামের এক নারী। পরে অপরাধী চক্রের সদস্যরা মুক্তিপণের দাবিতে তাঁদের জিম্মি করেন। এরপর স্বজনদের কাছে মোবাইল ফোনে ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। গতকাল রোববার মধ্যরাত থেকে আজ ভোর পর্যন্ত টেকনাফের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার দুই আসামিকে আজ বিকেলে পুলিশ কক্সবাজার আদালতে পাঠায়।

মামলার বাদী সাইফুল ইসলাম বেলাল জানান, অপহরণের শিকার আদনান তাঁর আপন চাচাতো ভাই এবং হাশেম প্রতিবেশী। তাঁরা বন্ধু। রাফিয়া নামের এক নারী পরিবার নিয়ে উখিয়ার উত্তর সোনারপাড়ায় তাঁর চাচার ভাড়া বাসায় থাকেন।

এই পরিচয় সূত্রে গত মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুই বন্ধুকে নিয়ে ওই নারী টেকনাফের শামলাপুর এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যান। পরদিন (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আদনান ও হাশেমের সঙ্গে পরিবারের লোকজনের যোগাযোগ ছিল। রাতেই আদনান ও হাশেম বাড়ি ফিরবে বলে জানান। কিন্তু সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে তাঁদের মোবাইল ফোনের সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়।

ওই দিন রাতে তাঁরা বাড়ি না ফেরায় স্বজনেরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পরও তাঁদের সন্ধান মেলেনি।

মামলার বাদী আরও জানান, গত বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাঁর চাচা শফিউল আলমকে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি মোবাইল ফোন করেন। এতে আদনান ও হাশেমকে জিম্মি করা হয়েছে দাবি করে ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পরে মুক্তিপণের টাকা আদায়ের পর থেকে দুর্বৃত্তদের মোবাইল ফোনের সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়। এ নিয়ে স্বজনেরা আরও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন।

সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘একপর্যায়ে আমার চাচাসহ কয়েকজন স্বজন শামলাপুর পৌঁছে মুক্তিপণের টাকা গ্রহণকারী আসামি ফয়সালের সন্ধান পাই। এ সময় ফয়সাল জানায়, জিম্মিরা সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের সদস্য ইসমাঈলের বাড়িতে রয়েছে। পরে ওই বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নেওয়া হলে ইসমাঈলসহ জিম্মিরা অজ্ঞাতনামা স্থানে রয়েছে বলে জানা যায়। পরে দুর্বৃত্তরা তাদের ছেড়ে দিতে ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত