হিমেল চাকমা, রাঙামাটি
১৯৯৭ সালে ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চুক্তির পর অস্ত্র জমা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সশস্ত্র শান্তিবাহিনীর সদস্যরা। চুক্তি মতে তাঁদের পুনর্বাসনের কথা থাকলেও তা হয়নি। চুক্তি সম্পাদনের দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে একাধিক আঞ্চলিক দল গঠন হয়েছে। এসব দলের কোন্দলে মারা গেছেন বহু মানুষ।
গত কয়েক বছরে বিভিন্ন ঘটনায় জেএসএস নেতা-কর্মীদের নামে দায়ের করা হয়েছে অর্ধ শতাধিক মামলা। এর পর থেকে জেএসএস শূন্য রাঙামাটি। ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ সব নেতা এখন আত্মগোপনে রয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর মতে, শুধু জেএসএস কেন্দ্রীয়, জেলা, উপজেলা পর্যায়ের প্রথম সারির প্রায় শতাধিক নেতা আত্মগোপনে চলে গেছেন। এদের অনেকেই চুক্তির আলোকে অস্ত্র জমাদানকারী শান্তিবাহিনীর সদস্য ছিলেন। এ ছাড়াও জেএসএস ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী আত্মগোপনে গেছে এক হাজারের অধিক। এদের অধিকাংশই তরুণ।
গত ৫ নভেম্বর রাঙামাটিতে মানবেন্দ্র নারায়ন লারমার ৩৮ তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় সন্তু লারমা বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যাকে রাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও ২৪ বছর হতে চলেছে চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের কোনো সদিচ্ছা দেখা যাচ্ছে না। শুধু তাই নয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম ৫১ বছর ধরে সেনা শাসনের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। পার্বত্য চুক্তির পরেও ‘অপারেশন উত্তরণ’ জারি করে সেনাশাসন বলবৎ রেখেছে। এ অবস্থায় পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি এখন অনেকটাই পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি উত্তর অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে।
সন্তু লারমার এ বক্তব্য ভাবিয়ে তুলেছে স্থানীয় প্রশাসনকে। এ বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন অবগত হলেও আত্মগোপনকারীদের ফেরানোর কোনো উদ্যোগ নেই। জেএসএসের হাজারো নেতা-কর্মীর মধ্যে দলটির কেন্দ্রীয় সভাপতি ও আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা ছাড়া গত ২ / ৩ বছর ধরে বাকি কারওই এখন দেখা মিলছে না।
জেএসএস নেতা-কর্মীদের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত রাঙামাটি শহরে দলটির নেতা-কর্মীদের স্ব শরীরে দেখা মিলছে না দুই বছরের অধিক সময় ধরে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর বিভিন্ন প্রতিবেদন বলছে, পাহাড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা থাকায় জেএসএস নেতা-কর্মীরা আত্মগোপনে গেছে। তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে কয়েকশ তরুণ। এরা হয়তো প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নিয়েছে।
জেএসএস জেলা কমিটির প্রচার সম্পাদক নগেন্দ্র চাকমা বলেন, ‘আমাদের এক হাজারের অধিক নেতা-কর্মীর নামে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। এসব মামলার কারণে আমাদের আত্মগোপন করতে বাধ্য হয়েছে। তাঁরা সবাই দেশের ভেতরে আছে। শুধুমাত্র গ্রেপ্তার এড়াতে তাঁরা জেলা উপজেলা থানা শহরে আসছে না।’ এসব প্রত্যক সদস্য ও তাঁদের পরিবার মানবেতর জীবন পার করছে বলে জানান নগেন্দ্র চাকমা।
নগেন্দ্র চাকমা আরও বলেন, ‘মিথ্যা মামলাগুলো প্রত্যাহারের জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু করা হচ্ছে না। পাহাড়ে বৃহৎ এ আঞ্চলিক দলটি সরকারের সাথে পার্বত্য চুক্তি করেছিল। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ীও হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে আত্মগোপনে যাওয়ায় জনমনে নানান প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
এ ব্যাপারে রাঙামাটি পুলিশ সুপার মীর মোদদাছছের হোসেন বলেন, ‘ঠিক কতজন আত্মগোপনে আছে এ তথ্য আমাদের কাছে নেই। বিভিন্ন সময়ে মামলায় যারা আসামি হয়েছেন তাঁরা পালিয়ে না থেকে আদালতে গিয়ে সমাধান করলে ভালো হবে। তাঁরা যেহেতু অপরাধের সঙ্গে যুক্ত নয়, তো তাঁরা পালিয়ে থাকবে কেনো? তাঁদের উচিত পালিয়ে না থেকে আদলতে গিয়ে মোকাবিলা করা।’
১৯৯৭ সালে ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চুক্তির পর অস্ত্র জমা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সশস্ত্র শান্তিবাহিনীর সদস্যরা। চুক্তি মতে তাঁদের পুনর্বাসনের কথা থাকলেও তা হয়নি। চুক্তি সম্পাদনের দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে একাধিক আঞ্চলিক দল গঠন হয়েছে। এসব দলের কোন্দলে মারা গেছেন বহু মানুষ।
গত কয়েক বছরে বিভিন্ন ঘটনায় জেএসএস নেতা-কর্মীদের নামে দায়ের করা হয়েছে অর্ধ শতাধিক মামলা। এর পর থেকে জেএসএস শূন্য রাঙামাটি। ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ সব নেতা এখন আত্মগোপনে রয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর মতে, শুধু জেএসএস কেন্দ্রীয়, জেলা, উপজেলা পর্যায়ের প্রথম সারির প্রায় শতাধিক নেতা আত্মগোপনে চলে গেছেন। এদের অনেকেই চুক্তির আলোকে অস্ত্র জমাদানকারী শান্তিবাহিনীর সদস্য ছিলেন। এ ছাড়াও জেএসএস ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী আত্মগোপনে গেছে এক হাজারের অধিক। এদের অধিকাংশই তরুণ।
গত ৫ নভেম্বর রাঙামাটিতে মানবেন্দ্র নারায়ন লারমার ৩৮ তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় সন্তু লারমা বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যাকে রাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও ২৪ বছর হতে চলেছে চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের কোনো সদিচ্ছা দেখা যাচ্ছে না। শুধু তাই নয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম ৫১ বছর ধরে সেনা শাসনের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। পার্বত্য চুক্তির পরেও ‘অপারেশন উত্তরণ’ জারি করে সেনাশাসন বলবৎ রেখেছে। এ অবস্থায় পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি এখন অনেকটাই পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি উত্তর অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে।
সন্তু লারমার এ বক্তব্য ভাবিয়ে তুলেছে স্থানীয় প্রশাসনকে। এ বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন অবগত হলেও আত্মগোপনকারীদের ফেরানোর কোনো উদ্যোগ নেই। জেএসএসের হাজারো নেতা-কর্মীর মধ্যে দলটির কেন্দ্রীয় সভাপতি ও আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা ছাড়া গত ২ / ৩ বছর ধরে বাকি কারওই এখন দেখা মিলছে না।
জেএসএস নেতা-কর্মীদের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত রাঙামাটি শহরে দলটির নেতা-কর্মীদের স্ব শরীরে দেখা মিলছে না দুই বছরের অধিক সময় ধরে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর বিভিন্ন প্রতিবেদন বলছে, পাহাড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা থাকায় জেএসএস নেতা-কর্মীরা আত্মগোপনে গেছে। তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে কয়েকশ তরুণ। এরা হয়তো প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নিয়েছে।
জেএসএস জেলা কমিটির প্রচার সম্পাদক নগেন্দ্র চাকমা বলেন, ‘আমাদের এক হাজারের অধিক নেতা-কর্মীর নামে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। এসব মামলার কারণে আমাদের আত্মগোপন করতে বাধ্য হয়েছে। তাঁরা সবাই দেশের ভেতরে আছে। শুধুমাত্র গ্রেপ্তার এড়াতে তাঁরা জেলা উপজেলা থানা শহরে আসছে না।’ এসব প্রত্যক সদস্য ও তাঁদের পরিবার মানবেতর জীবন পার করছে বলে জানান নগেন্দ্র চাকমা।
নগেন্দ্র চাকমা আরও বলেন, ‘মিথ্যা মামলাগুলো প্রত্যাহারের জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু করা হচ্ছে না। পাহাড়ে বৃহৎ এ আঞ্চলিক দলটি সরকারের সাথে পার্বত্য চুক্তি করেছিল। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ীও হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে আত্মগোপনে যাওয়ায় জনমনে নানান প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
এ ব্যাপারে রাঙামাটি পুলিশ সুপার মীর মোদদাছছের হোসেন বলেন, ‘ঠিক কতজন আত্মগোপনে আছে এ তথ্য আমাদের কাছে নেই। বিভিন্ন সময়ে মামলায় যারা আসামি হয়েছেন তাঁরা পালিয়ে না থেকে আদালতে গিয়ে সমাধান করলে ভালো হবে। তাঁরা যেহেতু অপরাধের সঙ্গে যুক্ত নয়, তো তাঁরা পালিয়ে থাকবে কেনো? তাঁদের উচিত পালিয়ে না থেকে আদলতে গিয়ে মোকাবিলা করা।’
গাইবান্ধা সদরে কালবৈশাখীর সময় গাছের ডাল ভেঙে পড়ে র্যাবের এক সদস্য নিহত ও আরেকজন আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে গাইবান্ধা-সাদুল্লাপুর সড়কের সাহার বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আবু বক্কর সিদ্দিক গাইবান্ধা র্যাব-১৩ ক্যাম্পে কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি কুষ্টিয়া জেলার বাসিন্দা।
২২ মিনিট আগেবগুড়ার শেরপুরে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতাকে ছাড়িয়ে নিতে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের এক নেতা থানায় হাজির হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মিজানুর রহমান পলাশ ছাত্র অধিকার পরিষদের বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
৩৬ মিনিট আগেনাটোরের বড়াইগ্রামে জুলাই আন্দোলনের পুরো সময় সরব থাকা গিয়াস উদ্দিন মনিরের দুটি কিডনি অচল হয়ে গেছে। আন্দোলনকালে তাঁর পায়ে লাগা আঘাত থেকে এই অবস্থা হয়েছে বলে চিকিৎসক সূত্রে জানা গেছে। মনির বনপাড়া পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মালিপাড়ার সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি বনপাড়া পৌরসভার সদ্য সাবেক কাউন্সিলর।
৩৯ মিনিট আগেজুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কামাল আকবর এবং কোষাধ্যক্ষ ওয়াকার আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে শহীদ ও আহতদের পরিবারের সদস্যরা।
১ ঘণ্টা আগে