সবুজ শর্মা শাকিল, সীতাকুণ্ড
মাত্র দুই মাস আগে উদ্বোধন হওয়া চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বাঁশবাড়িয়া-গুপ্তছড়া ফেরিঘাটটি বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপজনিত প্রবল ঢেউয়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। একই সঙ্গে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফেরিঘাট পর্যন্ত নবনির্মিত ৮০০ মিটার সড়কটি। বর্ষা শুরুর আগেই এমন ক্ষয়ক্ষতিতে হতাশ ও ক্ষুব্ধ সন্দ্বীপগামী যাত্রী ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ফেরিঘাট ও সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয় তড়িঘড়ি করে, যার ফলে স্থাপনাগুলোর কাঠামো ছিল অত্যন্ত নাজুক ও টেকসইহীন। সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের একদিনের আঘাতেই ফেরিঘাট এলাকা ও সড়কটি ভেঙে পড়েছে। তাঁরা বলছেন, সরকারের প্রায় ২০০ কোটি টাকার এই প্রকল্প অনিয়ন্ত্রিত নির্মাণকাজের কারণে পানিতে ভেসে গেল।
অন্যদিকে বিআইডব্লিউটিএ জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট প্রবল জলোচ্ছ্বাসে ঘাট ও সংলগ্ন সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারা জানিয়েছে, নির্মাণকাজ এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে দ্রুত মেরামতকাজ শুরু হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সন্দ্বীপবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বাঁশবাড়িয়া-গুপ্তছড়া ফেরিঘাট নির্মাণে নেওয়া হয় ২০০ কোটি টাকার প্রকল্প। চলতি বছরের ২৪ মার্চ ফেরিঘাটটি উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম শাখাওয়াত হোসেন। এর মাধ্যমে সন্দ্বীপগামী যাত্রাপথ সহজ ও আরামদায়ক হয়ে ওঠে, পাশাপাশি ঘাটটিকে ঘিরে গড়ে ওঠে পর্যটনকেন্দ্রিক অর্থনৈতিক কার্যক্রমও। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই প্রকৃতি ও নিম্নমানের নির্মাণকাজের ধাক্কায় স্বপ্নভঙ্গ ঘটে হাজারো মানুষের।
সরেজমিন পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রবল ঢেউয়ে ব্লক সরে গিয়ে পুরো ফেরিঘাট এলাকা বিধ্বস্ত হয়েছে। ৮০০ মিটার সড়কের অধিকাংশ স্থানে ইট ও সুরকি উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ১ নম্বর ঘাটের দক্ষিণ অংশে ধস নামায় তা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ২ নম্বর ঘাট থেকে কিছু দূরে সড়কের মাঝ বরাবর অংশ ফেটে গিয়ে দক্ষিণ পাশ ভেঙে পড়েছে সাগরে। কোথাও কোথাও ব্লকের নিচের মাটি সরে গিয়ে বিশাল ফাঁকা গর্ত তৈরি হয়েছে, যেখানে ঢেউয়ের আঘাতে প্রতিমুহূর্তে গর্তের বিস্তার বাড়ছে।
উত্তাল সাগর পাড়ি দিয়ে বাঁশবাড়িয়া ফেরিঘাটে আসা বৃদ্ধ যাত্রী ফোরকান বলেন, ‘ফেরি সার্ভিসটি কেবল শীতকালে ভালো চলে। এখন দুর্ভোগে পড়েছি। বর্ষার আগেই ফেরি বন্ধ। আজ স্পিডবোটও মিলছিল না। ছেলের ওমান যাওয়ার ফ্লাইট থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসেছি। এসে দেখি ঘাট আর রাস্তা সব ধ্বংস হয়ে গেছে।’
স্থানীয় বাসিন্দা মো. সোলেমান হোসেন বলেন, ‘সরকারের আগ্রহে দ্রুতগতিতে কাজ হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু নির্মাণ মান যাচাই হয়নি। তাই দুই মাস না যেতেই ঘাট ও সড়ক ভেঙে একাকার। দ্রুত সঠিকভাবে মেরামতের দাবি জানাচ্ছি।’
বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘সড়কের নির্মাণকাজ এখনো চলমান। এর মধ্যেই সৃষ্ট নিম্নচাপে ঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রকৌশলীরা ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রণয়ন করছেন। তালিকা অনুযায়ী দ্রুত মেরামত করা হবে।’
উল্লেখ্য, বাঁশবাড়িয়া-গুপ্তছড়া ফেরিঘাটটি সন্দ্বীপের প্রায় চার লাখ মানুষের মূল যাতায়াত মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত। এর উন্নয়নকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মানুষের মধ্যে যেমন স্বস্তি ফিরেছিল, তেমনি পর্যটন সম্ভাবনাও বাড়ছিল। তবে প্রকল্প বাস্তবায়নে দুর্বল পরিকল্পনা ও নির্মাণ তদারকির অভাবেই আজ সেই স্বপ্ন মুখ থুবড়ে পড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মাত্র দুই মাস আগে উদ্বোধন হওয়া চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বাঁশবাড়িয়া-গুপ্তছড়া ফেরিঘাটটি বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপজনিত প্রবল ঢেউয়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। একই সঙ্গে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফেরিঘাট পর্যন্ত নবনির্মিত ৮০০ মিটার সড়কটি। বর্ষা শুরুর আগেই এমন ক্ষয়ক্ষতিতে হতাশ ও ক্ষুব্ধ সন্দ্বীপগামী যাত্রী ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ফেরিঘাট ও সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয় তড়িঘড়ি করে, যার ফলে স্থাপনাগুলোর কাঠামো ছিল অত্যন্ত নাজুক ও টেকসইহীন। সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের একদিনের আঘাতেই ফেরিঘাট এলাকা ও সড়কটি ভেঙে পড়েছে। তাঁরা বলছেন, সরকারের প্রায় ২০০ কোটি টাকার এই প্রকল্প অনিয়ন্ত্রিত নির্মাণকাজের কারণে পানিতে ভেসে গেল।
অন্যদিকে বিআইডব্লিউটিএ জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট প্রবল জলোচ্ছ্বাসে ঘাট ও সংলগ্ন সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারা জানিয়েছে, নির্মাণকাজ এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে দ্রুত মেরামতকাজ শুরু হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সন্দ্বীপবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বাঁশবাড়িয়া-গুপ্তছড়া ফেরিঘাট নির্মাণে নেওয়া হয় ২০০ কোটি টাকার প্রকল্প। চলতি বছরের ২৪ মার্চ ফেরিঘাটটি উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম শাখাওয়াত হোসেন। এর মাধ্যমে সন্দ্বীপগামী যাত্রাপথ সহজ ও আরামদায়ক হয়ে ওঠে, পাশাপাশি ঘাটটিকে ঘিরে গড়ে ওঠে পর্যটনকেন্দ্রিক অর্থনৈতিক কার্যক্রমও। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই প্রকৃতি ও নিম্নমানের নির্মাণকাজের ধাক্কায় স্বপ্নভঙ্গ ঘটে হাজারো মানুষের।
সরেজমিন পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রবল ঢেউয়ে ব্লক সরে গিয়ে পুরো ফেরিঘাট এলাকা বিধ্বস্ত হয়েছে। ৮০০ মিটার সড়কের অধিকাংশ স্থানে ইট ও সুরকি উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ১ নম্বর ঘাটের দক্ষিণ অংশে ধস নামায় তা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ২ নম্বর ঘাট থেকে কিছু দূরে সড়কের মাঝ বরাবর অংশ ফেটে গিয়ে দক্ষিণ পাশ ভেঙে পড়েছে সাগরে। কোথাও কোথাও ব্লকের নিচের মাটি সরে গিয়ে বিশাল ফাঁকা গর্ত তৈরি হয়েছে, যেখানে ঢেউয়ের আঘাতে প্রতিমুহূর্তে গর্তের বিস্তার বাড়ছে।
উত্তাল সাগর পাড়ি দিয়ে বাঁশবাড়িয়া ফেরিঘাটে আসা বৃদ্ধ যাত্রী ফোরকান বলেন, ‘ফেরি সার্ভিসটি কেবল শীতকালে ভালো চলে। এখন দুর্ভোগে পড়েছি। বর্ষার আগেই ফেরি বন্ধ। আজ স্পিডবোটও মিলছিল না। ছেলের ওমান যাওয়ার ফ্লাইট থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসেছি। এসে দেখি ঘাট আর রাস্তা সব ধ্বংস হয়ে গেছে।’
স্থানীয় বাসিন্দা মো. সোলেমান হোসেন বলেন, ‘সরকারের আগ্রহে দ্রুতগতিতে কাজ হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু নির্মাণ মান যাচাই হয়নি। তাই দুই মাস না যেতেই ঘাট ও সড়ক ভেঙে একাকার। দ্রুত সঠিকভাবে মেরামতের দাবি জানাচ্ছি।’
বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘সড়কের নির্মাণকাজ এখনো চলমান। এর মধ্যেই সৃষ্ট নিম্নচাপে ঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রকৌশলীরা ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রণয়ন করছেন। তালিকা অনুযায়ী দ্রুত মেরামত করা হবে।’
উল্লেখ্য, বাঁশবাড়িয়া-গুপ্তছড়া ফেরিঘাটটি সন্দ্বীপের প্রায় চার লাখ মানুষের মূল যাতায়াত মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত। এর উন্নয়নকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মানুষের মধ্যে যেমন স্বস্তি ফিরেছিল, তেমনি পর্যটন সম্ভাবনাও বাড়ছিল। তবে প্রকল্প বাস্তবায়নে দুর্বল পরিকল্পনা ও নির্মাণ তদারকির অভাবেই আজ সেই স্বপ্ন মুখ থুবড়ে পড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
নীলফামারীর ডিমলায় পশুর হাটগুলোতে ইজারাদারেরা অতিরিক্ত হাসিল বা খাজনা আদায় করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁরা প্রশাসনের ইজারা শর্ত ও নীতিমালার তোয়াক্কা করছেন না। উপজেলার বিভিন্ন হাটে পশু বিক্রির রসিদ দেখে এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা জানা গেছে, গরু-ছাগল বিক্রিতে সরকারনির্ধারিত খাজনার চেয়ে দ্বিগুণ
৪ ঘণ্টা আগেঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’র শঙ্কা কেটে গেছে। তবে এবার উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরার নদীতীরবর্তী মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে বেড়িবাঁধ ভাঙন-আতঙ্ক। তাঁরা জানান, ইতিমধ্যে কপোতাক্ষ নদ ও খোলপেটুয়া নদীর দুটি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। জেলায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে কমপক্ষে ২১টি পয়েন্টের বেড়িবাঁধ।
৫ ঘণ্টা আগেবগুড়ার নন্দীগ্রামে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় শারফুদ্দীন মাহমুদ খান (৫০) নামে এক বিএনপি নেতা নিহত হয়েছেন। রোববার (১ জুন) রাত ১০টার দিকে পৌর এলাকার বেলঘড়িয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৭ ঘণ্টা আগেসিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফয়সাল কাদের রুমিকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে ছাত্র-জনতা। রোববার (১ জুন) বিকেলে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার নয়ন মোড়ে তাঁর এক আত্মীয়র বাড়ি থেকে আটক করা হয়। এই বাড়িতে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। বিষয়টি জানাজানি হলে বিকেলে তাঁকে আটক করে পুলিশে দেয় ছাত্র-জনতা।
৭ ঘণ্টা আগে